ঘৃণার মেরিন

ঘৃণার মেরিন !! Part- 12

১৫দিনপর……
নীড় সুস্থ হলো। কেন যেন সুস্থ হয়ে নির্বনকে দেখার জন্য মন চাইছে। নীড় ready হয়ে বের হচ্ছে।
নীলিমা: কিরে কোখায় যাচ্ছিস?
নীড়: কাউকে জবাব দেয়না।
কবির: চলো তবে আমরাও তোমার সাথে যাই।
নীড়: why?? আমি কি ছোট বাচ্চা?
কবির: না তা কেন হবে? আসলে বাড়িতে বসে বসে bore হয়ে গেছি। তাই। তুমি যখন নিতে চাইছোনা তখন যাবোনা।
নীড় কবির-কনিকার কথা ফেলতে পারেনা। কারন মেরিন বলেছিলো আমার আম্মু-বাবাকে দেখবেন।
নীড়: আমি কি বলেছি যে নেবোনা।।🙄🙄🙄।চলো।
নীড়,নিহাল আর কবির হাটতে বের হলো। সেই পার্কে।

নীড় গিয়ে দেখলো যে নির্বন বন্ধুদের সাথে মিলে কি যেন করছে।
নীড়: নির্বন……
নির্বন ঘুরলো।
নির্বন: আরে uncle ….
নির্বন নীড়,নিহাল,কবিরকে সালাম দিলো।
নীড়: এখন তোমার শরীর কেমন আছে??
নির্বন : এই তো ভালো। তোমাকে অনেক ধন্যবাদ। আমাকে সেদিন বাচানোর জন্য।
নীড়: most welcome ….. নির্বন এরা হলো আমার বাবা। মানে আমার ছেলের নানাভাই আর দাদুভাই।
নির্বন: দাদুভাই… জানো uncle আমার মামনিরও দাদুভাই আছে। উইই….
নীড়: কি হলো….
নির্বন: ভুল হলো।
বলেই নির্বন নিহাল আর কবিরের পা ধরে সালাম করে
বলল: জানো আমার মামনি বলে যে বড়দেরকে সবসময় এভাবে সালাম করতে হয়। আর জানো তোমরা না দেখতে এত্তোগুলা sweet …..
কবির নির্বনের মধ্যে ছোট্ট মেরিন আর নিহাল ছোট্ট নীড়কে খুজে পেলো। বাচ্চাদের নিয়ে ওরা আড্ডা দিতে লাগলো।

১ঘন্টাপর….
নির্বন: উইই….
নিহাল: কি হয়েছে??
নির্বন : আর বলোনা। কালকে আমার স্কুলে cultural program… তো আমি 1minute competition এ অংশ নেই। সবসময় 1st হই। এখানে এসেছিলাম practice করতে। ভুলেই গেছি।
কবির:তুমি কালকে 1 minute competition এ অংশ নিবে?
নির্বন: হামম।
কবির: যদি দেখতে পারতাম!!!
নির্বন: ওমা দেখতে পারবেনা কেন? তোমরা ২জন কালকে আমার স্কুলে এসো। south point school ….
নিহাল: সত্যি?
নির্বন: হামম।
নীড়: নির্বন.. আমাকে invite করবেনা??
নির্বন: তুমি কি করে আসবে??
নীড়: কেন?
নির্বন: তোর দাড়ি গোফ তো ডাকাতদের মতো…. জঙ্গল হয়ে গিয়েছে। teacher রা তো ঢুকতেই দেবেনা…..
নীড়: এই কথা…. আমার নির্বন আড়ালের 1minute competition দেখতে হলে আমি এই দাড়ি গোফ কেন আমি তো আমার গলাটাও কেটে ফেলতে পারি…
নির্বন নীড়ের মুখে হাত দিয়ে
বলল: ছিঃ ছিঃ এমন কথা বলতে নেই।

.

পরদিন…….
নির্বনের program শুরু হলো। মেরিন এক সারিতে বসা। আর নীড়,নিহাল, কবির অন্যসারিতে। সবাই সামনের সিটে। নীড় দাড়ি গোফ কেটে মানুষ হয়েই এসেছে। নির্বনের নাম announce করতেই সবাই অনেক excited হয়ে গেল। নির্বন কাগজটা তুলল। নির্বন কাগজটা খুলে পড়েই স্তব্ধ হয়ে গেলো। থমকে গেলো। কারন তাতে “বাবা” শব্দটা লিখা ছিলো। বাবা কেমন হয় সেটাতে নির্বন জানেইনা।কি বলবে?
teacher : and your time start now…..

সময় শুরু হয়ে গেলো। কিন্তু নির্বন চুপ। মেরিন ইশারা করে বলছে বলতে। টিচাররাও বলছে বলতে। কিন্তু নির্বন চুপ। চোখে পানি টলমল। তবুও নির্বন সেগুলো ধরে রেখেছে । কারন নির্বন জানে যে ওর মামনি ওর চোখের পানি দেখলে পাগল হয়ে যাবে।
নির্বন: iii m sssorry…..
টিচার: আমি নির্বনের মা ডাক্তার আড়ালকে অনুরোধ করছি নির্বনের তরফ থেকে complete করতে।
নির্বনের মনটা খারাপ দেখে মেরিনের মনটাও খারাপ হয়ে গেলো। মেরিন stage এ গেলো।

.

মেরিনকে দেখে নীড়-নিহাল-কবির অবাক হয়ে গেলো। মেরিন নির্বনের দিকে তাকিয়ে stage এ ওঠায় ওদেরকে দেখলোনা। মেরিন stage এ গিয়ে আগে নির্বনের কপালে ১টা চুুমু একে দিলো।

মেরিন: its ok baby…… মামনি is here na….
বলেই মেরিন নির্বনের হাতের কাগজটা হাতে নিলো। আর যে শব্দটা লেখা দেখলো তা দেখে মেরিনও স্তব্ধ হয়ে গেলো। কারন শব্দটা ছিলো বাবা। আর মেরিনও জানেনা বাবার ভালোবাসা কেমন। ওর বাবাতো ছিলো। কিন্তু বাবার ভালোবাসানা।
টিচার: বলুন।
মেরিন: বাবাহ…..
সামনে microphone থাকায় মেরিনের আসতে করে বলা শব্দটাও সবাই শুনতে পেলো।
টিচার: বলুন…..
মেরিন: বববাবাহ…. ববববাবাহ…. হহলো….
ii m aalso sssorrry….
কবির আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলোনা। দারিয়ে গেলো। দৌড়ে স্টেজে গেলো ।
কবির: বাবা মানে মাথার ওপর ভরসার হাত…. বাবা মানে সকল আবদারের ভান্ডার…. বাবা মানে সকল আশার আলো….. বাবা মানে ………

কবিরের গলার আওয়াজ পেয়ে মেরিন কবিরের দিকে তাকালো।
তাকিয়ে অবাক হয়ে গেলো। মেরিনের চাহনি দেখে কবির আর বলতে পারলোনা।

তখন নিহাল বলে
উঠলো: বাবা মানে মনের কথা বলার বন্ধু….. বাবা মানে সবথেকে বড় support system ….. বাবা মানে না বলা ভালোবাসা….. বাবা মানে…..

মেরিন নিহালের দিকে তাকালো। নিহালের মুখ দিয়েও আর কথা বের হলোনা।

.

তখন নীড় আগে stage এর দিকে বারতে লাগলো আর বলতে
লাগলো: বাবা মানে best friend …. বাবা মানে দিন শেষে স্নেহের ভান্ডার।
বাবা মানের দিন শেষে উপহারের সমাহার, বাবা মানে অনুপ্রেরনা, বাবা মানে বট গাছের ছায়া, বাবা মানে অদ্ভুদ মায়া, বাবা মানে সকল বিপদের জম, বাবা মানে জীবন….. বাবা মানে দুনিয়া…….

বলতে বলতে নীড় একদম মেরিন-নির্বনের সামনে চলে গেলো। মেরিন অবাক চোখে নীড়কে দেখছে। জনও সবাইকে দেখে অবাক। নীড় নির্বনের সামনে হাটু গেরে বসলো। বসে নির্বনের কপালে মুখে চোখে অসংখ্য চুমু দিলো। এরপর দারিয়ে মেরিনের চোখে চোখ রাখলো। মেরিন ১পলকও দেরি না করে নির্বনকে কোলে নিয়ে দৌড়ে বেরিয়ে গেলো। মেরিন বাসায় গিয়ে রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে নির্বনকে কোলে নিয়ে শক্ত করে বুকে জরিয়ে ধরে বসে রইলো। যেন একটু ছারলেই কেউ নির্বনকে নিয়ে যাবে। নির্বন তার মাকে কোনো প্রশ্ন না করে চুপচাপ মায়ের বুকের সাথে লেগে রইলো।

২ঘন্টাপর…..
নির্বন ঘুমিয়ে পরেছে। তবুও মেরিন ওকে শক্ত করে ধরে রেখেছে। তখন দরজার করা নরলো। মেরিন নির্বনকে আরো শক্ত করে ধরলো। ওর মনে হচ্ছে ভাগ্য ওর জীবন থেকে হয়তো নির্বনকেও কেরে নিবে। কেউ দরজায় করা নেরেই যাচ্ছে।
মেরিন: না আমি খুলবোনা। কককে আছো চলে যযযাও। যযযেই হহহওনা কককেন চচচলে যযযাও।
জন: its me… বোন। দরজা খোল।
মেরিন: ননননা খখখুলবোনা। তততুমি চচচলে যযযাও ভভাইয়া।
জন: তোর এই ভাইয়ের জন্যেও দরজা বন্ধ….. please খোল।
মেরিন নির্বনকে কোলে নিয়েই দরজা খুলল। জন মিষ্টি ১টা হাসি দিয়ে নির্বনের মাথায় হাত বুলিয়ে
বলল: ঘুমিয়ে পরেছে?
মেরিন: হামম।
জন: তাহলে শুইয়ে দে।
মেরিন: ননা আমি কককাউকে দদদিবোনা….
জন: আরে বোকারে তোর কাছে থেকে কেউ নির্বনকে কেরে নিতে পারবেনা।
মেরিন:ওওওরা।
জন: কেউ পারবেনা….. আমি আছিনা…..
এরপর জন কিছু পেপার বের করে
বলল:এখন এই পেপারগুলোতে signature করে দেতো।
মেরিন: কককিসের পপপেপার এগুলো……
জন: তোর কাছে থেকে যেন কেউ কখনো নির্বনকে কেরে নিতে না পারে তার ব্যাবস্থা।
মেরিন: মমানে?
জন: মানে তোর নির্বন আজীবন তোর বুকেই থাকবে।
মেরিন: সসসত্যি?
জন: তোর ভাইয়ের ওপর বিশ্বাস নেই তোর??
মেরিন: নননা ননা তততা না। দদাও আমি এএখনই কককরে দদদিচ্ছি।
মেরিন না পড়েই কাগজে signature করে দিলো।

জন মনে মনে: ক্ষমা করে দিস আমায়। তোর সুখের জন্যেই আমাকে এই প্রথম তোকে ধোকা দিতে হলো। জানি সত্যিটা জানলে আমাকে কখনোই ক্ষমা করতে পারবিনা। তবুও তোর ভালোর জন্য, শান্তির জন্য আমাকে এটা করতেই হলো।

জন পেপরাগুলো নিয়ে চলে গেলো।

১ঘন্টাপর…..
মেরিন নির্বনকে খাটে শুইয়ে দিয়ে just ঘুরলো। আর তখনই কেউ ওকে জরিয়ে ধরলো। একদম নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো। পারলে সে মেরিনকে নিজের বুকের মধ্যে ঢুকিয়ে ফেলে। মেরিন ১টা নিষ্প্রাণ মূর্তির মতো দারিয়ে আছে। কারন মেরিন জানে যে এটা নীড়। নীড়যে অঝরে মেরিনকে জরিয়ে কাদছে সেটাও মেরিন বুঝতে পারছে।
নীড় মেরিনের চোখে মুখে ঠোটে কপালে গালে পাগলের মতো চুমু দিতে লাগলো।
নীড়: ককককেন ফেলে এসেছিলিরে আমাকে?? কেহনো? 😢😢😢।
মেরিন নিজেকে সামলে নীড়কে সরিয়ে দিলো।
মেরিন: ককে আপনি?? আপনি আমার বববাসায় ঢঢুকলেন ককিভাবে?
নীড়: মেরিন তুমি ……
মেরিন: মেরিন!!! কে মেরিন? এখানে কোনো মেরিন থাকেনা। আমি আড়াল। doctor araal।
নীড়: মেরিন আমি….. i love you…. i just love you… i love you a lot…… আমি তোমাকে ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি।
মেরিন: excuse me… আপনার লজ্জা করেনা অজানা মহিলাকে ভালোবাসি বলতে? ঘরে কি মা-বোন নেই? যান এখনই বববেরিয়ে যান। নননা হলে আমি পপপুলিশ ডাকবো।
নীড়: মেরিন…. তুমি ….
মেরিন: কি আশ্চর্য…. আমি মমেরিন নই আমি আরাল। আআপনার ককোথাও ভভুল হচ্ছে। দদদেখুন আআমি এএকা এএকা থাকি। আমার ছেলেকে নিয়ে। যযদি কেউ আআপনাকে আআমার বাসায় দদেখে ফেলে ততবে খামোখা ববদনাম হবে। ppplease চচলে যান।

নীড় অবাক চোখে ওর মেরিনকে দেখছে। কতোটা পরিবর্তন….. যেই চোখে এক সময়ে আগুন ছিলো সে চোখে আজকে হাজারো সংশয়। যে চেহারায় সূর্যের তেজ ছিলো সে চেহারায় আজকে লোকভয়। যে মেরিন এক সময় ভয়ের অন্য নাম ছিলো সে আজকে ভীতের অন্য নাম। যে মেরিন pant-shirt পরতো সে মেরিন আজকে high neck, full হাতার dress পরে। যার চুল কখনো নীড় বাধতে দেখেনি তার চুল আজকে খোপার আরালে।

মেরিন: pppplease চচচলে যযযান।
নীড় মেরিনকে আর কথা বলতে না দিয়ে ওর ঠোট জোরা দখল করে নিলো।

.

১০মিনিটপর নীড় মেরিনকে ছারতেই মেরিন ঠাস করে নীড়কে ১টা থাপ্পর দিলো। নীড় অবাক হয়ে গেলো।
মেরিন: আআপনার সাহস কককিভাবে হহহয়?
নীড়: মেরিন তুমি যাই বলোনা কেন? নিজের নাম যাই বলোনা কেন আড়াল or what….. আমি জানি যে তুমিই আমার মেরিন। এই চোখ, এই ঠোট, এই নাক, এই মুখ আমার চিরচেনা।
মেরিনের কপালে সেই কাটা দাগটা ছুয়ে নীড়
বলল: এই দাগ….. আমার দেয়া।
মেরিন দুরে সরে গেলো।
মেরিন: চচচলে যান।
নীড়: মেরিন ৮টা বছর আমিহ…..
যাই হোক। সব বাদ। চলো আমার সাথে। তুমি আমি আর আমাদের নির্বন…. আমরা ৩জন মিলে নতুন করে জীবন সাজাবো।
মেরিন: নির্বন কেবল আমার। দেখুন আমি হাত জোর করে অনুরোধ করছি। please আপনি চলে যান। কেউ দেখলে উল্টা পাল্টা কথা বলবে।
নীড়: মেরিন…. আমিও তোমার হাত ধরে বলছি।
মেরিন সাথে সাথে নিজের হাত ছারিয়ে নিলো।
নীড়: রাগ ওঠাচ্ছো কিন্তু এবার।
মেরিন: আআমি ককিন্তু সসসত্যি পপুলিশ ডাকবো।
নীড়: আমি আন্দাজ করেছিলাম এমন কিছুই হবে। তবুও শেষ বারের মতো তোমাকে জিজ্ঞেস করছি যে তুমি….
মেরিন mobile হাতে নিলো পুলিশকে ফোন করার জন্য। তখন নীড় chloroform দিয়ে মেরিনকে অজ্ঞান করে দিলো। মেরিন ঢলে নীড়ের বুকের ওপর পরলো।
নীড়: তুমি আমার জান মেরিন….. ৮টা বছর পর আমি তোমাকে ফিরে পেয়েছি। কোনোভাবেই আমি তোমাকে হারাতে পারবোনা। তোমার ঘৃণার পাত্র হলেও তোমাকে আমি আমার থেকে আলাদা করতে পারবোনা। নাহয় এবার আমিই হবো তোমার #ঘৃণারনীড় …..
তবুও তোমাকে আর আমার ছেলেকে নিজের থেকে আলাদা করতে পারবোনা। জীবন গেলেওনা।

২দিনপর……
মেরিনের জ্ঞান ফিরলো। চোখ খুলেই নীড় অবাক হয়ে গেলো। কারন ও নীড়ের বাহুতে শুয়ে আছে। আর নির্বন নীড়ের বুকের ওপর ঘুমিয়ে আছে। আর নীড়? নীড় তাকিয়ে আছে মেরিনের দিকে। নীড়কে তাকিয়ে থাকতে দেখে মেরিন চমকে গেলো। টান দিয়ে নির্বনকে নিজের কোলে নিলো। দারিয়ে গেলো।
মেরিন: আপনার সাহস কি করে হয় আমার ছছছেলেকে বুকে জরানোর।
নীড়: খুব বেশি সাহস হয়ে গেছে আমার….. তাইনা ??
মেরিন: দদদেখুন….
নীড়: দেখছিই তো তোমাকে। সারারাত দেখেছি।
মেরিন চারদিকটা খেয়াল করে দেখলো যে এটা নীড়-মেরিনের রুম। সব furniture আগের মতোই আছে। শুধু দেয়ালটার গল্প পাল্টে গেছে। সবগুলো দেয়ালের রং ঢেকে গেছে মেরিন আর নির্বনের ছবি দিয়ে। চোখ ঘুরিয়েই দেখলো নীড় ওর একে বারে সামনে। মেরিন কোনো কথা না বলে নির্বনকে নিয়ে সোজা নিচে নেমে এলো। সেখানে কবির-কনিকা, নিহাল-নীলিমা বসে আছে।

.

মেরিনের চোখে মুখে সে কি ভয়….. সবাইকে ignore করে মেরিন বেরিয়ে যেতে নিলে কনিকা সামনে এসে মেরিনকে জরিয়ে ধরলো।
কনিকা: কেন জানালিনারে সব? কেন আড়ালে রয়ে গেলি?
কনিকার কথা মেরিন কিছুই বুঝতে পারছেনা। নিজেকে ছারিয়ে নিলো।
মেরিন: sssorry আন্টি। আআপনি কককি ববলছেন? বববুঝতে পপপারছিনা। দদদেখি সরুন। আআআমাকে যযযেত দিন।
বলেই মেরিন দরজার সামনে গেলো। দরজা খুলতে নিলো। কিন্তু খুলতে পারলোনা।
মেরিন: এএটা খখুলছেনা কেন?? খখুলে দিন না।
নীড়: ওটা খুলবেনা। কারন password দেয়া। যা কেবল আআমি জানি। কোনো মানুষ আমার মর্জি ছারা বাইরে যাওয়া অসম্ভব।
মেরিন: আপনি আমার সসসাথে এমন করছেন কেন?? আর আমাকে কোথায় নিয়ে এসেছেন?
নীড়: তোমাকে তোমার রাজত্বে নিয়ে এসেছি।
মেরিন: ককি? বল….
তখনই নির্বনের ঘুম ভেঙে গেলো।। নির্বন নিজেকে মায়ের কোলে দেখে মাকে জরিয়ে ধরে
বলল: মামনি…… gooody gooody morning ….
মেরিন: good morning বাবুই পাখি।
নির্বন: মামনি তুমি উঠেছো? তুমি এতোক্ষন কেন ঘুমিয়ে ছিলে? তোমার মুখ এমন লাগছে কেন? তুমি কি অসুস্থ।
মেরিন: না বাবাই।
নির্বন: ওহ।
নির্বন তখন নীড়কে দেখলো।
নির্বন: মামনি মামনি… ওই uncle টা বলে কি জানো??? বলেকি যে তিনি নাকি আমার বাবা। আর তারা সবাই আমা দাদুভাই-দীদা…. নানাভাই-নানুমনি….. আমি বিশ্বাস করিনি। জানো মামনি মামাও বলছিলো। তবুও আমি বিশ্বাস করিনি। কারন যতোক্ষন না তুমি আমাকে বলবে ততোক্ষন আমি কিচ্ছু বিশ্বাস করবোনা।

মেরিন জন এর কথা শুনে অনেক অবাক হলো। জন কিভাবে এমনটা করতে পারে??
নির্বন: ও মামনি…. বলোনা……
মেরিন:……
নির্বন: ও মামনি বলোনা….. তুমিনা বলেছিলে যে তোমার মধ্যেই আমার বাবা বিদ্যমান…… তাই তুমিই আমার মা আর তুমিই আমার বাবা……. তাহলে???

মেরিন নির্বনের চাহনী দেখে বুঝতে পারলো যে ও মুখে যাই বলুক কিন্তু ও ঠিকই বাবাকে চায়। মেরিন আর এই অবস্থা মেনে নিতে পারলোনা। অজ্ঞান হয়ে গেলো।

এখন আসি কাহিনিতে…

{{ মেরিন যখন নির্বনকে কোলে নিয়ে বেরিয়ে গেলো। তখন নীড়ও আসতে নিয়েছিলো। কিন্তু জন নীড়কে বাধা দিলো।
জন: আর ১পাও বারাবেন না mr. chowdhuri….. এখানেই দারান।
নীড় দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে
বলল: আমি হাত জোর করে বলছি please আমাকে যেতে দাও।
জন বাধা দিলো। নীড় সব বাধা উপেক্ষা করে বাইরে এলো।
কিন্তু সেখানে ১০-১২ জন লোক দারিয়ে আছে।
নীড়: দেখো ভাই আমি চাইনা তোমাদের সাথে মারামারি করতে। যেতে দাও।
জন: যেতে চাইলেই কি যাওয়া যায়?? আমার বোনের কাছে যাওয়ার ভুলেও চেষ্টা করোনা। ও মেরিন না। ও হলো আড়াল। আর আড়াল কখনো নীড়ের না।

তখন নীড় নিজের কাছে থাকা gunটা জনের মাথায় ঠেকালো।
নীড়: আমি নীড়। মেরিনের স্বামী। তাই আমার সাথে মেপে কথা বলবে। & boys … পথ ছারো। না হলে তোমাদের boss… শেষ।

.

১ঘন্টাপর…..
জনের হাত পা বাধা। সামনে gun হাতে নীড় বসে আছে।
নীড়: তুমি আমার মেরিনের জন্য যা করেছো তা হয়তো কোনো আপন ভাইও করেনা। কিন্তু আমি আমার মেরিনকে আর হারাতে পারবোনা।
জন: হারাবেন তখন যখন পাবেন। কখনো পাবেননা।
নীড়:🤣🤣🤣। good… আমার বউয়ের জেদ থাকবেনা তো কার থাকবে? চলো তোমাকে ১টা কাহিনি শোনাই। ১টা সন্তানের ওপর অবশ্যই মায়ের হক বেশি থাকে। কিন্তু বাবার অধিকারও ফেলনা না। তাই আমাকে না জানিয়ে আমার অনাগত সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে আসা। নিজের নাম পরিবর্তন করে সবাইকে ধোকা দেয়া ইত্যাদি ইত্যাদি সব বলে যদি case file করা হয়। তবে ১মিনিটও লাগবেনা মেরিনকে জেলে পাঠিয়ে নির্বনকে নিজের কাছে নিতে। আর নীড়ের পাওয়ার যে তোমার থেকে বেশি তা তো জানোই……
জন: আর কতো কেরে নিবেন মেয়েটার কাছে থেকে?
নীড়: কিছুই কেরে নিবোনা। ওর সবটা ওকে ফিরিয়ে দেবো।
জন: ফিরিয়ে দেবেন? কি ফেরাবেন? সবটাই তো ওই নিরা ছিনিয়ে নিয়েছে।
নীড়: নিরা মেরিনের যা কেরে নিয়েছিলো তা নীড় মেরিনের জীবনে আসার আগে নিয়েছিলো। কিন্তু নীড় থাকতে মেরিনের কোনো কিছুতেই কেউ ভাগ বসাতে পারবেনা।

জন:🤣🤣🤣। সব কিছু নিরাকে…
নীড়: না।
নীড় জনকে সবটা বলল। সব শুনে জন অবাক।

জন: তাহলে….
নীড়: হামম। নীড়-মেরিন ২জন জনের। ওদের মাঝে আর কেউ কখনো আসতে পারবেনা। শুধু ১টা ভুল বোঝাবোঝির জন্য আমাদের জীবনের চিরসুখের ৮টা বছর চির দুঃখের ৮টা বছরে পরিনিতে হয়েছে।

সব সত্যটা জেনে জন রাজী হলো নীড়ের support করতে। আর সেই পেপারে কি আছে তা না হয় পরে জানবেন। }}

যদি পারি তবে রাতে আরেকটা part দিবো।

.

চলবে…….