ঘৃণার মেরিন !! Part- 03
রাতে……
মেরিন কাপড় চোপর ভাজ করে cupboard এ রাখছে। নীড় কিছু কাজ করছে।
মেরিন: বউ আমি আপনার সরাসরি দেখতে পারেন আমাকে…….
নীড়: তোমার ঠিক পিছেই যে ১টা ঘড়ি আছে সেটা দেখো। তোমার দিকে তাকানোর আগে যেন আমি অন্ধ হয়ে যাই।
.
পরদিন…….
নাস্তার টেবিলে।
নিহাল: কি ব্যাপার….. আজকে সকাল সকাল এতো item…. কলিজা ভুনা… আলু পরাটা, মাংস ভুনা, সবজি, পাস্তা, সুজির হালুয়া। ঘ্রাণ এবং রং-রুপই বলে দিচ্ছে যে খাবার কতো মজা হয়েছে।
সবাই মন ভরে তৃপ্তির সাথে খেলো। শুধু তাই নয় দুপুরে আর রাতেও সবাই জমিয়ে খেলো । রাতের খাওয়ার পর সবাই বসে পিঠা খাচ্ছে। পাটিসাপটা, পুলি, মালপোয়া।
নিহাল: নীলিমা বিয়ের চক্করে তো ১২দিন ধরে তুমি রান্না বান্না করছোনা। এই ১২দিনে তোমার হাতের মতো রান্না আমার মা-দাদীমার মতো রান্না কিভাবে শিখে গেলে?
নীলিমা: আজকে সকাল থেকে কোনো রান্নাই আমি করিনি। এমনকি রান্নাঘরে পা পর্যন্ত রাখিনি।
নিহাল: তাহলে??
নীলিমা: সব রান্না আজকে মামনি করেছে।
নিহাল: what???
নীড় মাঝপথে খাওয়া থামিয়ে হাত থেকে পিঠা ফেলে
বলল: এখনি hospital এ চলো।
নিহাল: মানে?
নীড়: এই মেয়ে খাবার বানিয়েছে । damn sure… আমাদের মেরে ফেলার জন্য বিষ টিষ মিশিয়েছে।
মেরিন: যদি আপনাদের মেরে ফেলতে হয় তবে এখন এই মুুহুর্তে bomb blast করিয়ে মারতে পারি….. গুলি করে মারতে পারি…. মেরিন ছলনা করে কাজ করেনা । মেরিন ভীতদের মতো পেছনো ছুরি চালায় না…
নীড় উঠে চলে গেলো। নিহালও চলে যেতে নিলো।
মেরিন: দারাও বাবা…..
নিহাল: খবরদার আমাকে বাবা ডাকবেনা। আমি তোমাকে সেই অধিকার দেইনি।
মেরিন: মেরিনকে অধিকার দেয়ার অধিকার তোমাদের কারো নেই। আমি বাবা ডাকবো তো ডাকবো। তোমাকে জিজ্ঞেস করে ডাকবোনা । সে যাই হোক। মামনি বলল যে চৌধুরী পরিবারে নাকি নতুন বউকে বিয়ের পরপরই কিছু রান্না করে বাড়ির সবাইকে খাওয়াতে হয়। রান্না যখন করতে হবে তাই আজই করলাম। এরপর কবে করবো তা আমি নিজেও জানিনা। চৌধুরীরা নাকি নতুন বউয়ের রান্না খেয়ে তাকে কিছু gift করো।
নিহাল: তোমাকে আমি ছেলের বউ হিসেবে মানিনা।
মেরিন: সেটা তোমার ব্যাপার। তবে আজকে দেখি সত্যি চৌধুরীদের খান্দানি নিয়মের জোর আছে কিনা?
নিহাল: মানে?
মেরিন: খুব সহজ। আমি রান্না করেছি। তাই আমি কোনো gift চাইবো সেটা দিতে হবে।
নিহাল:…..
মেরিন: ভয় নেই। টাকা পয়সা চাইবোনা। ওগুলো তো আমারই অভাব নেই। তুমি আর কি দিবে….
নিহাল: তুমি কি আমাকে নিচু দেখাচ্ছো।
মেরিন: মোটেও না। আমি কেবল তোমাকে ভয় পেতে না করছি।
নিহাল: কি চাই?
মেরিন: বিয়ের দিন তোমাকে সালাম করেছিলাম। কিন্তু তুমি শুধু নীড়ের মাথায় হাত দিয়েছিলে। আমার মাথায় দাওনি। আজকে আমি আবার তোমাকে সালাম করবো। তুমি আমার মাথায় হাত রাখবে।
নিহাল: কেউ সালাম করলে তার মাথায় শুধু হাত রাখাই হয়না সাথে কিছু আশীর্বাদও করতে হয়। তোমাকে আমি কখনো আশীর্বাদ করতে পারবোনা।
মেরিন: না না আশীর্বাদ করতে হবেনা। সেটা আমায় কেউ করেনা। শুধু মাথায় হাত রাখবে। মাথায় হাত রেখে অভিশাপই করো। কিন্তু তবুও হাত রাখো।
নিহাল অবাক হয়ে গেলো মেরিনের কথায়।
মেরিন সালাম করলো। নিহাল মাথায় হাত রাখলো।
মনে মনে: সুখী হও…..
মেরিন রুমে গেলো। গিয়ে দেখে নীড় সোফায় হেলান দিয়ে কপালে হাত দিয়ে বসে আছে। মেরিন গিয়ে ধাপ করে নীড়ের কোলে বসলো। নীড় অবাক হয়ে গেলো।
নীড়: এই মেয়ে আমার কোলে বসলে কেন, নামো। নামো বলছি।
মেরিন: আমার লাগে নাম নেই???? এই মেয়ে এই মেয়ে বলে ডাকেন কেন??
নীড়:তো??
মেরিন: বুঝেছি আপনি আমাকে ভালোবেসে এই মেয়ে বলে ডাকেন। যাই হোক। আজকে আমার রান্না খেলেন। বিনিময়ে আমাকে কিছু উপহার দিবেন না???
নীড় মেরিনকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো।
নীড়: তোমার রান্না আমার জন্য বিষ বরাবর। আর উপহার । যদি চাও তবে উপহারে তালাক দিতে পারি।
মেরিন:🤣🤣। এতো বড় gift আমি নিতে পারবোনা।
মেরিন উঠে আমার আবার নীড়ের কোলে বসলো।
মেরিন: আমি আপনাকে ভালোবাসি। আপনি চান আর না চান আপনাকে আমার সাথে থাকতেই হবে।
পরদিন……
নীড় মেডিকেল যাবে। গাড়িতে গিয়ে বসেই দেখলো পাশের সিটে মেরিন বসে আছে।
নীড়: তুমি???
মেরিন: any doubt ??,
নীড়-মেরিন মেডিকেল পৌছালো। গিয়ে নীড় জানতে পারলো যে নীড় রোগী দেখার পাশাপাশি আর কোনো ক্লাস করাতে পারবেনা। শুধু 2nd year এর A section এর ক্লাস নিতে পারবে।
নীড় কাহিনি বুঝতে পারলো। নীড় আজকে রোগী না দেখে রুমে বসে আছে। তখন ওর ১টা কলিগ ওর রুমে এলো।
নীড়: আরে এলা। তুমি?
এলা: হামম।
নীড়: বসো ।
এলা: তোমার মুখটা এমন লাগছে কেন?
নীড়: হাহ্… আর কতো ভালো থাকবো? মেরিনের বর হয়ে বেচে আছি তাই বেশি।
এলা: আমি বুঝি তোমার কষ্টটা।
এলা নীড়ের হাতের ওপর হাত রাখলো।
এলা: কিন্তু তোমার তো এভাবে থাকলে হবেনা…. তো….
তখনই কোথায় থেকে মেরিন এসে এলার চুলের মুঠি ধরে দার করালো।
নীড়: তুমি?
মেরিন: তোর সাহস কি করে হয় আমার নীড়ের হাত ধরার। আজকে আমি তোর এমন অবস্থা করবো যে তুই আমার নীড়ের দিকে ভুল করেও আর কখনো হাত বারানোর কথা কল্পনাও করতে পারবিনা…..
মেরিন এলার চুল ধরে টেনে নিয়ে যেতে লাগলো।
নীড়: মেরিন ছারো ওকে….. ছারো বলছি।
মেরিন টেনেই নিয়ে যাচ্ছে। মেরিন এলার চুল টেনে নিচে নিয়ে মাঠের ওখানে নিয়ে সবার সামনে নিচে ফেলল। এরপর এলার ডান হাতের ওপর পারা দিয়ে দারালো। চিকন পেন্সিল হিলের যাতা খেয়ে এলার জান বেরিয়ে যাচ্ছে। মেরিন আবার এলার চুলের মুঠি ধরে
বলল: খুব শখ না আমার নীড়ের হাত ধরার… হ্যা? আর যদি কখনো নীড়ের দিকে চোখ তুলে তাকাস তবে জানে মেরে দিবো।
এরপর এলাকে ছেরে দিলো।
মেরিন: সবাই নিজের কানে ১টা কথা ভালোভাবে ঢুকিয়ে রাখো। নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন মেরিন বন্যা নীড় খান চৌধুরীর স্বামী। কেউ উনার দিকে চোখ তুলে তাকালেও আমি তার চোখ উঠিয়ে ফেলবো। এরপরও যদি কেউ কলিজা দেখায় তবে আমি তার কলিজাটাই বের করে ফেলবো।
.
২দিনপর……
২জন বাড়ি ফিরছে। সামনে ১টা গাড়ি এমনভাবে break মারলো যে accident এরানোর জন্য নীড়কেও খুব জোরে break চাপ দিতে হলো। যার কারনে স্টিয়ারিং এ লেগে নীড় কপাল সামান্য একটু খানি কেটে গেছে। একদম সামান্য।
মেরিন : নীড় আপনি ঠিক আছেন?
মেরিন একদম অস্থির হয়ে গেলো। পাগলের মতো করতে লাগলো। one time ব্যান্ডেজ লাগিয়ে দিলো।
নীড়: আরে ঠিক আছি…..
মেরিন দেখলো সামনের গাড়িটা start দিয়ে চলে যাচ্ছে।
মেরিন নীড়কে
বলল: নীড় আপনি পিছে গিয়ে বসুন।
নীড়: মানে?
মেরিন: পিছে যান…..
নীড়কে বাধ্য হয়ে পিছের সিটে গেলো। মেরিন driving sitএ বসলো। এরপর এমন speed এ গাড়ি চালাতে লাগলো যে ভয়ে নীড়ের আত্মা যায়যায়।
মেরিন গাড়ি একদম ওই গাড়ির সামনে নিয়ে থামালো । এরপর গাড়ি থেকে নেমে ওই গাড়ির driverএর কলার ধরে টেনে বের করলো । এরপর ইচ্ছা মতো পিটানো শুরু করলো।
মেরিন: তোর জন্য আমার নীড়ের কপাল কেটে গেছে। তোকে তো আমি…..
মেরিন মারতেই আছে মারতেই আছে। ততোক্ষনে জনও চলে এসেছে। অনেক কষ্টে নীড় মেরিনকে সরিয়ে আনলো।
নীড়: পাগল হয়ে গেছো। মরে যাবে লোকটা।
মেরিন:যাক। ওর জন্যেই আপনি ব্যাথা পেয়েছেন।
নীড়: আরে এটা সামান্য একটু ব্যাথা।
মেরিন: আপনার জন্য সেটা সামান্য। আমার জন্য নয়। জন….
জন: জী ম্যাম…..
মেরিন: এর এমন অবস্থা করো যেন আর কোনোদিন গাড়ি না চালাতে পারে।
জন: ম্যাম আপনার হাত তো কেটে গেছে। রক্ত বের হচ্ছে।
নীড়ও দেখলো।
মেরিন: ওহ হ্যা। এমনভাবে বলছো যেন এই ১ম কেটেছে। আসছি।
নীড় driving sit এ বসতে নিলেই
মেরিন বলল: আরে আরে আপনি drive করবেন নাকি?
নীড়: হ্যা।
মেরিন: মোটেও না আপনি ব্যাথা পেয়েছেন না…. তো কিভাবে drive করবেন?
নীড়: আরে এ…..
মেরিন: কোনো কথানা।
মেরিন কাটা হাত নিয়েই drive করে বাড়িতে পৌছালো। মানবতার খাতিরেও নীড় মেরিনের কাটা হাতের কথা জিজ্ঞেস করলোনা। কারন ঘৃণা। এভাবেই চলছিলো দিনকাল। মেরিনকে দেখে নীড় অবাক হলেও ঘৃণা ১বিন্দুও কমেনি। কিন্তু মেরিনের ভালোবাসা বেরে গেছে। সবসময় নীড়ের সামনে ঢাল হয়ে দারিয়ে থাকে। ১টা আচরও লাগতে দেয়না নীড়ের গায়ে। রোজ রাতে নীড়ের বুকে ঘুমায়। আর সকালে good morning kiss…
১মাসপর……
নীড়-মেরিন কোথাও যাচ্ছে। তখন দেখলো। যে ১টা মেয়ে taxiএর জন্য দারিয়ে আছে। আঙ্গুলে ব্যান্ডেজ করা। আর মেয়েটা নিরা। নীড় গাড়ি থেকে নামতে নিলে মেরিন হাত ধরে বাধা দিলো। নীড় ঝারা দিয়ে মেরিনের হাত সরিয়ে দিলো। নীড় বেরিয়ে গেলো
নীড় নিরার হাত ধরে
বলল: তততোমার হাতে কি হয়েছে? তুমি এখানে কি করছো?
নিরা: কি আর করবো বলো। গরীব মানুষ। তাই taxi এর জন্য দারিয়ে আছি ।
নীড়: কিন্তু তোমার কাছে তো গাড়ি ছিলো।
নিরা: ছিলো। কেরে নিয়েছে।
মেরিন: একটু ভুল হলো। কেরে নেইনি। আমার জিনিস আমি ফেরত নিয়ে নিয়েছি মাত্র। আমার সম্পত্তি আমি তো আর কোনো ছোটলোক পথের ভিখারীর সাথে share করবোনা।
নিরা: মেরিন…
মেরিন: চুপ ভিখারীর ঘরে ভিখারী, ছোটলোকের ঘরে ছোটলোক, চোরের ঘরে চোর।
নীড়: mind ur language ….
মেরিন: চুপচাপ গাড়িতে উঠুন।
নীড়:না।
মেরিন: contract এর কথা ভুলে গিয়েছেন???
নীড়: go to hell with that contract……
মেরিন: আপনি সত্যি ভালো কথা ভালোভাবে বোঝেন না…..
মেরিন gun টা বের করলো। সেটা দেখে ভয়ে নিরা নীড়কে চেপে ধরলো।
মেরিন: ছার নীড়কে….l না হলে আমি তোকে গুলি করে দিবো।
নীড় নিরার সামনে দারালো।
নীড়: করো গুলি…… নিরার কাছে যেতে হলে আগে নীড়কে জানে মারতে হবে……. নীড়ের বুক থেকে কখনো নিরাকে সরাতে পারবেনা……
মেরিন: নীড় ওকে ছেরে দিন…….
নীড়: না….. দেখো এখন আমি তোমার চোখের সামনে কি করি……
বলেই নীড় নিরার কোমড় জরিয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো। এরপর কেবল kiss করবে তখনই কেউ ওদের chloroform দিয়ে দিলো। ২জন অজ্ঞান হয়ে গেলো।
৩ঘন্টাপর…….
২জনের জ্ঞান ফিরলো। নীড় চোখ মেলে দেখলো যে ওকে চেয়ারের সাথে লোহার শেকল দিয়ে বাধা হয়েছে। কিন্তু লোহার শেকলের ওপর ১টা কিছুর আবরন লাগানো হয়েছে যেন লোহার শেকলটা দিয়ে নীড়ের গায়ে ব্যাথা না লাগে। আর ওর চোখ বরাবর আছে মেরিন।
মেরিন: hello honey…….
নীড়: আমাকে এখানে কেন এনেছো??
মেরিন: ছবি দেখাতে…..
নীড়: মানে?
মেরিন: মানে আপনার ডান দিকে দেখুন……
নীড় ডানদিকে ঘুরলো। দেখলো সেখানে নিরাকে দারা করানো। ওকে কস্টেপ দিয়ে পেচিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
নীড়: নিরা…. ছেরে দাও ওকে।
মেরিন: ছেরেদিলে ছবি কিভাবে দেখবেন?
নিরা: please মেরিন আমাকে ছেরে দে। আমি কখনো তোর ছায়াও মারাবোনা…..
মেরিন: সেটা আজকে আমার ছায়া মারানোর আগে ভাবা দরকার ছিলো……..
বলেই টেবিলে থাকা ৪-৫টা ছুরি থেকে সবথেকে ভয়ংকর আর ধার ছুরিটা হাতে নিলো।
মেরিন: আমার এই ছুরি গুলো অনেকের রক্ত ঝরিয়েছে। কিন্তু আজকে প্রথম জান নিবে……
নীড়: না মেরিন তুমি এমন কিছু করবেনা…
মেরিন: আমি এমনটাই করবো ॥
খুব শখনা তোর মিথ্যা আঙ্গুল কাটা নিয়ে সমবেদনা নেয়ার। এখন সত্যি সত্যি কাটার যন্ত্রনা উপভোগ কর।
মেরিন নিরার কাছে গেলো।
মেরিন: তুই এই হাতে নকল ব্যান্ডেজ করেছিলিনা…..
বলেই ছুরি দিয়ে নকল ব্যান্ডেজটা ছুরি দিয়ে কেটে ফেলল।
মেরিন:এই হাত দিয়েই নীড়কে চেপে ধরেছিলিনা…..
বলেই নিরার হাতে ছুরি দিয়ে পোচ মারলো……
নীড়: নিরা…..
মেরিন নিরার অন্য হাতে পোচ দিলো।
নীড়: মেরিন ওকে ছেরে দাও… আমি আর কখনো ওকে touch করবোনা। এমনকি তাকাবোও না ওর দিকে…. ওকে ছেরে দাও…….
মেরিন নীড়ের কথা কানে না নিয়ে নিরাকে একের পর একের আঘাত করেই যাচ্ছে…. শেষে ছুরি নিরার গলা বরাবর চালাতে নিলে
নীড় বলে
উঠলো: তোমাকে আমার কসম লাগে থেমে যাও মেরিন….
মেরিন থেমে গেলো। ছুরিটা just নিরার গলায় touch করেছে। নীড়ের কসমে থেমে গেলো।
নীড়: আমি কথা দিলাম যে কখনো নিরার কাছে যাবোনা…. তবু ওকে মেরে ফেলোনা please …..
মেরিন থেমে গেলো। নিরার থেকে ৪কদম সরে এসে হাতের ছুরিটা দিয়ে নিজেরই অন্যহাতে চালাতে লাগলো। নিজের হাতে একের পর এক পোচ দিতে লাগলো। আর সাপের মতো কুমাতে লাগলো।
জন: ম্যাম… ম্যাম… কি করছেন কি?
জবাবে মেরিন এমনভাবে জনের দিকে তাকালো যে জন কেপে উঠলো। পিছে চলে গেলো। নীড় অবাক চোখে দেখছে।
মেরিনের চোখ অসম্ভব লাল।
মেরিন: জন….. নিরার মাথার তুল সব ফেলে ন্যারা করে। মুখে কালি মাখিয়ে….. ছবি তুলে facebook এ newspaper এ খবরে সব জায়গায় দিয়ে দাও যে এই ভিখারীর বাচ্চাটা চুরি করতে গিয়ে ধরা খেয়েছে। এরপর ব্যান্ডেজ করো।
নিরা : না মেরিন না….. এর থেকে তুই আমাকে জানে মেরে ফেল তাও ভালো। কিন্তু এমন করিস না। আমি কথা দিচ্ছি যে কোনোদিন তোদের সামনে আসবোনা। তবুও আমার সাথে এমন করিসনা।
মেরিন:জন…. ৫মিনিট সময় দিলাম……
জন: জী ম্যাম…. এই সানা…..
সানা নামের মেয়েটা এসে মেরিনের কথা মতো কাজ করতে লাগলো।
জন: ম্যাম এবার তো ব্যান্ডেজ করান। এখন তো নিরা যথেষ্ট শাস্তি পাচ্ছে।
মেরিন: আমি নিরার জন্য আমার হাত কাটিনি….. আমি তোমাকে ২টা injection এর নাম লিখে দিচ্ছি। সেগুলো এখন গিয়ে নিয়ে আসবে।
জন: ok.. mam…..
১০মিনিটপর…..
মেরিন নীড় ডান হাতে ১টা injection push করলো। এরপর লোহার খুব সরু ধারালো কাঠির মাথা আগুনে পুরিয়ে নীড়ের হাতে মেরিন লিখতে লাগলো। injection এর কারনে নীড় হাতে একটুও ব্যাথা পাচ্ছেনা। নীড়ের হাত থেকে রক্ত ঝরছে। তা দেখে মেরিনের জানটা বেরিয়ে যাচ্ছে।
মেরিন: iii m sssorry…. কতো রক্ত বের হচ্ছে আপনার….. তততাইতো আআমি আপনার থেকে চচচারগুন রক্ত বের করছি। আপনার ব্যাথা লাগছেনা তো?? আপনার এই ক্ষতটা তারাতারি শুকিয়ে যযযাবে। কিন্তু এই মমমেরিন নননামটা সবসময় সারাজীবন আআপনার হহহাতে থাকবে….. আপনার হাতে লেখা এই মেরিন নামটা আপনাকে সসসবসময় আমার নাম স্মরন করিয়ে দদেবে। আপনি চাইলেও কককখনো ভুলতে পপপারবেন না যে…. মমমেরিন আপনার বউ। আপনার life partner ….. আপনি না চাইলেও এই লেখার মতো আমিও সারাজীবন আপনার জজীবনে থাকবোহ।
মেরিন নীড়ের হাতে নিজের নামটা লিখে medicine লাগিয়ে ব্যান্ডেজ করে দিলো। এরপর নীড়ের বাধন খুলে দিলো। মেরিনের মাথাটা ঝিমঝিম করতে লাগলো।
জন: ম্যাম….. এবার তো হাতে ব্যান্ডেজ করিয়ে নিন….
মেরিন: হু… হামম। দাও।
জন: দিন ম্যাম হাত….
মেরিন: আমারটা আমিইহ…. ককরতে পারবো…….
জন: একি স্যার কি করছেন কি??
মেরিন ঘুরে দেখলো যে নীড় সেই লোহার কাঠিটা দিয়ে যেন কি ১টা লিখলো। মেরিন দৌড়ে গিয়ে নীড়ের হাত থেকে ওইটা ফেলে দিলো।
মেরিন: আআপনার হাত থেকে তো রররক্ত পর……
মেরিন দেখলো যে নীড় মেরিনের আগে ঘৃণার শব্দটা লিখেছে।
নীড়: তুমি আমার হাতে মেরিন লিখেছো। আমি তার আগে ঘৃণার কথাটা লিখলাম। আমার হাতের মতো আমার মনেও এবং আমার জীবনেও তুমি আজীবন #ঘৃণারমেরিন ই হয়ে থাকবে…….. কখনো ভালোবাসার মেরিন হতে পারবেনা…….
মেরিন নীড়ের হাত নিয়ে ব্যান্ডেজ করতে করতে
বলল: যেভাবেই হোক আপনার মনে আমার নামতো থাকবে। সেটা ভালোবাসার নাই বা হলো…. হোক না সে নামটা ঘৃণার। ঘৃণার উছিলায় আমি সারাজীবন আপনার বুকের গভীরে তো থাকতে পারবো……
কারন যাকে আমরা ভালোবাসি তাকে বুকের মাঝে রাখি। আর যাকে ঘৃণা করি তাকে রাখি বুকের গভীরে….
ভালোবাসা ভোলা গেলেও ঘৃণা কখনো ভোলা যায়না।
আপনার ঘৃণা কখনোই আপনাকে মেরিনের নাম ভুলতে দেবেনা……
মেরিন মরে গেলেও না। আর এটাই ঘৃণার মেরিনের বড় পাওয়া।
নীড়: মেরিনের মৃত্যুই এখন নীড়ের সকল দোআয়……
.
১৫দিনপর…..
মেরিন পরীক্ষা দিচ্ছে। তখন হঠাৎ ১টা message পেয়ে পরীক্ষা মাধপথে রেখেই মেরিন ছুটলো। নীড় balcony তে দারিয়ে ফোনে কথা বলছিলো দেখলো মেরিন দৌড়ে কোথাও যাচ্ছে।
নীড়: এরনা exam চলছে…. exam রেখে কোথায় যাচ্ছে ?? জাহান্নামে যাক….. কিন্ত এ তো এর study নিয়ে অনেক serious….
তখনই নীড়ের mobile এ নীলিমার ফোন এলো। জানতে পারলো মেরিনের দাদুভাইয়ের accident হয়েছে। নীড়ও hospital এ গেলো।
হাসপাতালে…..
doctor : uncle এর রক্ত লাগবে….
মেরিন:doctor uncle …. আমার রক্তও তো O+….. আমারটা নিন….
doctor : না মামনি… তোমার এমনিতেই রক্তশূন্যতা… তারমধ্যে BP একদম low….. তোমার শরীর থেকে রক্ত নিতে পারবোনা…
মেরিন:আমার বাচা মরা matter করেনা….. আমার দাদুভাইকে বাচান……
নীলিমা: মামনি… মামনি… আমি দেখছি কোথায় রক্ত পাওয়া যায়??
নার্স: sir… blood bank এ blood নেই।
মেরিন: দেখেছেন uncle .. আপনি আমার রক্ত নিন।
doctor : কিন্তু ১জনের জীবন বাচাতে গিয়ে আমি অন্যজনের জীবন নিতে পারবোনা।
মেরিন doctor এর কলার ধরে
বলল: এই doctor এই.. আমার জীবনের বিনিময় হলেও আমার দাদুভাইয়ের জীবন বাচান….. এই পৃথিবীতে আমার বাচার দরকার নেই কিন্তু আমার দাদুভাইয়ের বাচার দরকার আছে। তাই আমার চিন্তা বাদ দিয়ে আমার দাদুভাইয়ের জীবন বাচান। না হলে আপনাকে আমার হাত থেকে কেউ বাচাতে পারবেনা….
doctor : ok.. fine.. cool … চলো।।।
মেরিন কেবল যাবে ভেতরে তখনই
কবির: দারাও রানা(doctor )… কনিকার blood group ও O+… তাই কনিকাই বাবাকে রক্ত দেবে।
( কবির-কনিকা দেশের বাইরে ছিলো। দাদুভাইয়ের খবর পেয়ে দৌড়ে এসেছে)
রানা: thats better ….
কনিকা: চলুন ভাই।
মেরিন: uncle …. আমার দাদুভাই…. আমিই রক্ত দিবো।
কবির: তুমি ভাবলে কি করে যে তোমার বিষাক্ত রক্ত আমি আমার বাবাকে দিতে দেবো…
মেরিন: এই mr. khan….. সাপের বিষ কেবল মারতে নয় বাচাতেও লাগে।
আমি যখন বলেছি তখন রক্ত আমিই দিবো…..
রানা: মামনি…… দেখো তোমার শরীর থেকে speed এ রক্ত নিতে পারবোনা। রক্ত কম থাকায় ঝামেলা হবে… late হবে….. uncle এর জন্য ভালো হবেনা। তাই কনিকা ভাবির রক্তটা নিবো। its about ur দাদুভাই……..
মেরিন বাধ্য হয়ে রাজী হলো। operation চলছে। সবাই একসাথে বসে আছে। কবির কনিকা কে শ্বান্তনা দিচ্ছে। আর মেরিন একা একা এক কোনে। ওকে শ্বান্তনা দেয়ার কেউ নেই…….
operation successful হলো।
কিছুদিনপর দাদুভাই সুস্থ হলো। নীড় কিছুতেই অংক মিলাতে পারছেনা।
নীড় মনে মনে: মেয়েটা অনেক খারাপ। কিন্তু তবুও ওর নিজের বাবা কিভাবে ওর রক্তকে বিষাক্ত বলতে পারে…… strange ……
চলবে……