ঘৃণা ও প্রেম

গল্প—-”ঘৃণা ও প্রেম” পর্ব–৮

শুন্য- রুমে গিয়ে ভাবতে লাগলাম আসলে কি
ওর ঘাড়ে সেই চিহ্ন টাই ছিল নাকি ওটার
মতই অন্য রকম।
এক বার নিশ্চিত হওয়া দরকার। যাই দেখে
আসি।
যেয়ে দেখি নিলান্তি ঘুম। এখন কি করব?? ১
সেকেন্ড ও দেরি করা মানে ওর জিবনের
অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাওয়া।
ডাক দিতে গেলাম।
ডাক দিতে যেয়েও দিলাম না। থাক সকালে
দেখব।
সকালে-
নিলান্তি ক্লাসের জন্য রেডি হলাম। ।
শুন্য- নিলান্তি তোমার সাথে আমার ১ টা
কাজ ছিল

নিলান্তি – হুম বল।

শুন্য- আসলে কি করে বলি?? তুমি প্লিজ
মাইন্ড করোনা।

নিলান্তি- কি হয়েছে বলবে ত। ।”
শুন্য- আমি তোমার ঘাড়ের চিহ্ন টা দেখতে
চাচ্ছিলাম।
তুমি যদি কিছু মনে না কর।

নিলান্তি- ……….

শুন্য- তুমি না চাইলে থাক।

নিলান্তি- আমি ওর সামনে যেয়ে ঘুড়ে
দাড়াল।
চুল পিছন থেকে সামনে নিয়ে এলাম।বললাম
দেখো।

শুন্য- আমি চিহ্ন টা দেখে নিলাম। আর বের
হয়ে গেলাম।

নিলান্তি- এটা দেখে ও কি করবে। কে
জানে।
আমি নিচে গেলাম।
ও বাইকে বসে আছে।
উঠে বসলাম।

শুন্য- ক্লাবে যেয়েই ও ওর ক্লাসে চলে
গেল।
আমি সোজা লাইব্রেরি তে। কিন্তু বই টা
খুজে পেলাম না। কি হল বইটা গেল কই।
সারা লাইব্রেরি খুজলাম। পেলাম না।
পরে ক্লাসে যেতেই কোমান্ড ডাকল
আমাকে।
গেলাম তার রুমে।

কোমান্ড – শুন্য get ready for ur new mission. ।
শুন্য- কোমান্ড এবার আমাকে না পাঠালেই
নয় কি? ?

কোমান্ড – তুমি কখন কোনো মিশন এর জন্য না
করনি।

is there any pblm??
শুন্য- কোমান্ড আসলে ….

কোমান্ড – না যেতে চাইলে জোর করব না।
প্রহর এর টিম কে পাঠাব।
আর হ্যা এবার নিলান্তি কেউ পাঠাচ্ছি।
আমি ভেবেছিলাম ওর সাথে তুমি থাকলেই
ভাল হবে।
ওকে।
তুমি না গেলে প্রহর এর সাথে যাক। ।
শুন্য- ( নিলান্তি! “!! ও যাবে? ???) কোমান্ড
কিন্তু ও তো নতুন। ও কি পারবে? ? কোমান্ড
কখনও না কখনো ত শুরু করতে হবে। and she is
enough strong. শুধু মানসিক ভাবে প্রস্তুত
হলেই হবে।
physically she is fit.
শুন্য- ( ওকে একা ছাড়া যাবেনা। যে কোন
সময় যা তা হয়ে যেতে পারে) কোমান্ড আমি
যাব। আমার টিম এর সাথে নিলান্তি ও যাবে

কোমান্ড – that’s my boy.
get ready.

বাসায়-
রাতে-
শুন্য – খাওয়া দাওয়া শেষ করে প্রেক্টিজ
করছিলাম।
নিলান্তি কে ত জানানই হল না। কিছু বললাম
ও ত না।

আমি ত অন্য চিন্তা করতে করতে ওকে কাল
কের মিশন এর কথা ওকে বলতে ভুলেই গেছি।
তোলয়ার নিয়ে সামনে মারতেই মনে হল কে
যেন ঠেকাল।
সামনে নিলান্তি দাড়িয়ে।

নিলান্তি- একা একা আবার!!!!!! আমার সাথে
প্রেক্টিজ কর।

শুন্য- তোমার সাথে হা হা হা। আগের বারের
কথা ভুলে গেছ? ??

নিলান্তি- হুহ।
I’m enough strong now.
শুন্য- really? ?
nilanti – really …
শুন্য- ok let’s see.
নিলান্তি- হুম।
দেখে নিও।
( ওদের মধ্যে ফাইট হচ্ছে। নিলান্তি র
ফাইটিং স্কেল আসলেই অনেক উন্নত হয়েছে!
শুন্য ও বুঝতে পারছে।) ।
(ফাইট এর এক পর্যায় নিলান্তি লাথি মেরে
শুন্য কে ফ্লোরে ফেলে দেয়।) নিলান্তি-
সরি সরি তোমার বেশি লাগেনি ত????ওকে
উঠা তে হাত বাড়িয়ে দিলাম। ।
শুন্য-হাত ধরে টেনে ওকে নিচে ফেলে
দিলাম।

নিলান্তি- ও মা!!!!! আমি শেষ। ওই পাজি।
এটা কি হল।

শুন্য- আমি দাড়িয়ে এবার হাত বাড়িয়ে
দিলাম।

নিলান্তি- হাত ধরে উঠে দাড়ালাম। কলার
ধরে- ওই আমাকে এইভাবে ফেলে দিলা
কেন? ?
শুন্য- নিলান্তি কে ঘুরিয়ে ওর পিঠে র সাথে
লেগে দাড়া হলাম।
আর বললাম- তা শত্রুদের মেরে কি এই ভাবেই
ওদের বলবা যে ব্যথা পেয়েছ কিনা? ? ।
নিলান্তি – সেটা আবার করব কেন? ? ।
শুন্য- আমিও ত তোমার শত্রু ঈ। তোনার বাবা
কে মেরেছি বলে কথা। ।
নিলান্তি- শত্রু ছিলে এখন নেই। তোমাদের
সাথে থেকে আমি অনেক কিছু বুঝেছি
শিখেছি।
আমি বুঝেছি তুমি বাবাকে কেন মেরেছ? ?
শুন্য- কাল কে আমাদের মিশন আছে আর
তোমার প্রথম মিশন। তুমি কি জানো।??
নিলান্তি- হুম।
কোমান্ড বলেছে।
আর আমি বেশি ভয় ও পাচ্ছিনা। তুমি ত
আছো।
শুন্য- নিলান্তি যখন কথা বলছিল তখন ওর
চুলের মধ্য দিয়ে আলো এসে আমমার চোখে
লাগল

আমি জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখি
চাদের আলো এসে আমাদের গায়ে পরছে।
চাদ টা অনেক বড়।
আজ কি পূর্নিমা? ?
আমি ঘাড়ের উপর থেকে ওর চুল সরালাম। ।
নিলান্তি – আমি ওর এমমন কাজে কথা বলতে
বলতে চুপ হয়ে গেলাম।

শুন্য- আমি অবাক হয়ে গেলাম যখন ওর ঘাড়্রর
চিহ্ন টার দিকে তাকালাম সেটা দিয়ে সবুজ
আলো ছড়াচ্ছে।
আমি কি করব বুঝতে পারছি না। ওকে ছেড়ে
দাড়ালাম।

নিলান্তি- কি হল।
কি ভাবছ? ??.
শুন্য- তুমি তোমার ঘরে যাও। ।
নিলান্তি- হুম।
কিন্তু কি হয়েছে

শুন্য- কাল কে মিশন আছে। রেস্ট নেও।
সকাল সকাল বের হতে হবে।

নিলান্তি- আচ্ছা।

শুন্য- ব্যপার টা খুব জটিল হয়ে গেল। বই টাও
পাচ্ছিনা।
বাচাব কি করে নিলান্তি কে? ?? তার উপর
কাল কের মিশন।
উফফ
সারারাত ঘুম হয়নি।
জানালার সামনে বসে ছিলাম। ভাবতে
ভাবতে মাথা ধরে যাচ্ছে। কিন্তু যাই হক না
কেনো আমি নিলান্তি র কিচ্ছু হতে দিব না।
কিচ্ছুনা।
খুব ভালবাসি ওকে আমি।
খুব।

সকালে-
নিলান্তি- রাতে তেমন ১ টা ঘুম হয়নি। কারন
অরথম বার কোনো মিশন এ যাচ্ছি। কিন্তু শুন্য
আছে বলে কিছুটা ভয় কম লাগছে। ।
শুন্য র রুমে গেলাম।
দেখি ও জানালায় বসা।
কিছু ভাবছে।

নিলান্তি- কি ভাবছ?

শুন্য- তুমি! ! এত সকালে। নিলান্তি- হ্যা।
কেনো? ?
কি সমস্যা।

শুন্য- কোনো সমস্যা নেই। ফ্রেশ হয়ে রেডি
হয়ে নেও।

নিলান্তি- আমি শুন্য র হাত ধরলাম। কি
হয়েছে।
কি নিয়ে ভাবছ এত

শুন্য- কিছু না

নিলান্তি- কিছু ত হয়েছেই। তোমার মুখ
দেখেই বুঝা যাচ্ছে।
ঘৃণা ও প্রেম” পর্ব–৯