ঘৃণা ও প্রেম

গল্প—-”ঘৃণা ও প্রেম” পর্ব–৭

শুন্য- সরে দাড়ালাম।
আচ্ছা এখন বল এইখানে কেন এসেছিলে?? ।
নিলান্তি- এইখানে …… এইখানে ….
হা…হাটতে এসেছিলাম।

শুন্য- তা দাড়িয়ে ছিলে কেন? ?? ।
নিলান্তি- তুমি দেখলে কি করে? ? ।
শুন্য- ( মনে মনে সব ই হচ্ছে তোমার গলার
চেইন এর কামাল!!! হাহাহা)

নিলান্তি- কি হল? ?

শুন্য- আমার মাথার পিছনে আর ও ২ টি চোখ
আছে।

নিলান্তি- কই কই দেখি।

শুন্য- হা হা হা।
তুমি সত্যি আমার কথা মেনে নিলে? ?? এটা
কি সম্ভব? ?
হাহাহা।

নিলান্তি- মুখ বাঁকালাম। হুহ আমি জানি।
আমি মজা করছিলাম

শুন্য- আচ্ছা চল।
নিচে যাই।

নিচে এসে নাস্তা করে নিলাম। ।
শুন্য- আচ্ছা আজ ত অফ ডে। তুমি বাসায়
থাকো।
আমি ১ টা কাজ করেই আসছি।

নিলান্তি- আমি একা থাকব? ??

শুন্য- কেন ভয় লাগছে? ?

নিলান্তি- জি নাহ। একটু ও না। ।
শুন্য- ওকে থাকো।
আমি জলদি আসব।

নিলান্তি- শুন্য চলে গেল। আমি আগের কথা
ভাবছি কত ঘৃণা করতাম ওকে। কত বার মারার
চেস্টা করেছি। ও এসব জেনেও আমার সবসময়
খেয়াল রেখেছে।
আমার ক্ষতি করেনি।
তাই ত একটু একটু করে আমার মনের অনেক
জায়গা ও দখল করে নিয়েছে।

# অন্য_গ্রহে –

dark spirit -( কাপতে কাপতে) my lord
মেয়েটাকে খুজে পাওয়া যায়নি। ।
spirit king- গলা চেপে ধরলাম।আমার বেচে
থাকার জন্য মেয়েটা আমার দরকার। সব গ্রহে
তল্লাসি চালা ছড়িয়ে যা সব গ্রহে ।
কিন্তু মেয়েটাকে আমার চাই। ।
# পৃথিবী –

শুন্য- ক্লাবে এলাম। লাইব্রেরি তে গেলাম।
আজ অফ ডে তাই কেউ নেই।
অনেক পুরান বই খুজতে লাগলাম ।
কারন আমার নিলান্তির ঘাড়ের ওই চিহ্ন
সম্পকে জানতে হবেই।
এত বই দেখলাম কিন্তু কিচ্ছু পেলাম না
খুব সমস্যা হয়ে গেল ত।
এখন কি হবে??
৩ মাস ধরে ১ টা জিনিস খুজে বেড়াচ্ছি তাও
পাচ্ছি না।
খুব বিরক্ত লাগছে।
মাথায় হাত দিয়ে দেওয়াল এ হেলান দিয়ে
দাড়িয়ে- থাকলাম।

ঘাড়ের চিহ্ন নিয়ে আমার সমস্যা হত না যিদি
সেটা থেকে আলো না ছড়াত। ভাবতে ভাবতে
আমার মাথা ধরে যাচ্ছে। এর মাঝেই হঠাত
করে সবার শেষ এর বুক সেল্ফ এর দিকে চোখ
গেল।
যার উপরের দিকে ১ টা খুব মোটা বই রয়েছে।
বই টার মোলাট টা কেমন অদ্ভুত দেখতে। বই
টা নামালাম।
টেবিল এর উপর রেখে বই এর পেজ উল্টিয়ে
দেখতে লাগলাম।

বিভিন্ন গ্রহ, তাদের রাজা, সৈন্য অনেক
কিছু নিয়ে লেখা এই বই তে।

পরতে পরতে হঠাত এক টা চিহ্ন তে চোখ
আটকে গেল।
ঠিক সেই চিহ্ন যেটা আমি নিলান্তি র
ঘাড়ের পিছনে দেখেছিলাম।

কি লিখা তা পড়া শুরু করলাম আর যা পরলাম
তা পড়ে আমার মাথা খারাপ এর মত অবস্থা
হল. সেখানে যা লিখা ছিল তার কিছু সার
সংক্ষেপ এমন ছিল-
এই চিহ্ন এর অধিকারী মেয়েরা হয় # pure_soul
.mane পবিত্র আত্মা।
এরা অধিক শক্তি র অধিকারীনি।যা তারা
নিজেও অনেক সময় বুঝতে পারে না। এই চিহ্ন
এর কাউকে কেউ যদি বলি দেয় সে অমর হয়ে
যাবে আর অধিক শক্তি র অধিকারী হবে।
১০০ বছরে ১ টা এমন চিহ্ন এর কেউ জন্ম নেয়।
মেয়েটির ২১ বছর হয়ে যাবার পর মেয়েটিকে
বলি দিলে সে অনেক ক্ষমতাবান হবে( আর
সেটা পূর্নিমার রাতে করতে হয়।) চাঁদের
আলোতে গেলে এই চিহ্ন থেকে আলো
ছড়াতে থাকে।
২১ বছর হয়ার আগ পর্যন্ত এই চিহ্ন থেকে নীল
আলো ছড়ায়।
আর ২১ বছর হয়ে গেলেই সবুজ আলো। এই চিহ্ন
এর অধিকারী মেয়ের গর্ভে মেয়ে জন্ম নিলে
সেও এই চিহ্ন এর অধিকারী হয়। ।
শুন্য- তার মানে নিলান্তির বাবা এটা জানত।
তাই ওকে আমার হেফাজতে দিয়ে গেছে। এই
হচ্ছে ব্যপার।
নিলান্তি এই ব্যপারে জানেনা। নাহ ওকে
জানানো ও যাবেনা। ওকে যে কোন মূল্যেই
ওকে বাচাতে হবে। আমি ওর কিচ্ছু হতে দিব
না কিচ্ছুনা।
আমি ওকে হারাতে চাইনা।

আচ্ছা এই বই এ ওকে বাঁচানোর কোন উপায়
আছে নাকি খুজতে হবে।

কোমান্ড – শুন্য!!!!! আজ তুমি এইখানে?? ।
শুন্য- (কোমান্ড কে কিছু বলা যাবেনা। বই টা
আআড়াল করে দাড়ালাম )কোমান্ড কিছু বই
নিয়েছিলাম। রাখতে এসেছি। ।
কোমান্ড – কাজ হয়েছে? ?

শুন্য- জি।
যাচ্ছি।

বাসায় আসলাম।
নিলান্তি- তুমি এসে গেছ?? নিশা ফোন
দিয়েছিল।
আমাকে বলল বের হতে।
আমি ওর সাথে এখন বের হব। তোমার জন্যই
অপেক্ষা করছিলাম। ।
শুন্য- তুমি কোথাও যাবেনা ( চিতকার করে) ।
নিলান্তি- আমি ভয়ে কেপে উঠলাম। ।
শুন্য- im. im sorry. প্লিজ তুমি এখা কোথাও
যেওনা।

নিলান্তি- কিন্তু আমিত একানা। নিশা
আছে।
শুন্য- আমি ত বলেছি তুমি যাবেনা মানে
যাবেনা।
ঘরে যাও।
কি ব্যপার যাও।
( ধমক দিয়ে)

নিলান্তি- মুখ ভাড় করে চলে আসলাম।
শয়তান, ১ টা।
আমি কি কোথাও যাই।কোনো দিন
গিয়েছি? ?
আমাকে কোথাও নিয়েও যায়না। এই প্রথম
আমি কোথাও একা বের হতে চাচ্ছি তাও
দিবেনা।
দিবেনা ভাল কথা এইভাবে ধমক দিয়ে বলার
কি ছিল।

শুন্য- দরজায় দাড়িয়ে দেখছিলাম ও
বিছানায় বসে নিজের সাথে কথা বলছে আর
চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।
আমি ওর সামনে যেয়ে নিচে বসলাম। হাত
দিয়ে ওর মুখ উচু করে চোখের পানি মুছে
দিলাম।
আর ২ হাত দিয়ে নিজের ২ কান ধরলাম। আর
বললাম im sorry.pls forgive me.আমি আর
তোমাকে বোকব না।

নিলান্তি- মুখ ঘুরিয়ে নিলাম। হুহ

শুন্য- আচ্ছা তুমি বাইরে যাবে ত । আমি নিয়ে
যাচ্ছি চল বলে হাত ধরলাম।

নিলান্তি- হাত ছাড়িয়ে আমি যাব না। ।
শুন্য- আচ্ছা বাবা বলছি ত সরি, ।
নিলান্তি- তোমার সরি লাগবেনা। তুমি যাও
এইখান থেকে।

শুন্য- টেনে ওকে নিজের কাছে নিলাম। চলে
যাব????।

নিলান্তি- নিজেকে ছাড়াতে ছাড়াতে- হ্যা
যাও।

শুন্য-আরো শক্ত করে ধরে- আমার দিকে
তাকিয়ে বল।

নিলান্তি- পারব না।

শুন্য- তাহলে আমিও যাব না।

নিলান্তি- ঠিক আছে আমি ই যাচ্ছি। ।
শুন্য- আগে নিজেকে আমার থেকে ছাড়াও
তারপর।

নিলান্তি- নিজেকে ছাড়ানোর খুব চেস্টা
করলাম।
পারছি ই না।পরে আর পারলাম না। হাল
ছেড়ে দিলাম।

শুন্য- কি হল শক্তি শেষ? ??

নিলান্তি- ছাড়ো আমাকে।

শুন্য- আগে বল মাফ করেছ।

নিলান্তি- আচ্ছা যাও করেছি। ।
শুন্য- অকে জরিয়ে ধরে tnx tnx ….thank u so
much.বলে গালে আদর করে দিলাম।

নিলান্তি- আমি চোখ বড় বড় করে গালে হাত
দিয়ে দাড়িয়ে থাকলাম।

শুন্য- আমি নিজেই লজ্জা পেয়ে গেলাম।
মাথা চুলকাতে চুলকাতে বেরিয়ে আসলাম । ।
নিলান্তি – হালকা ১ টা হাসির রেখা ঠোটে
ফুটে উঠল।
আমি পিছনে তাকালাম।
দেখি ও দাড়িয়ে আছে আমার দিকে
তাকিয়ে।
আমি তাকাতেই চলে গেল।
ঘৃণা ও প্রেম” পর্ব–৮