1. নতুন গল্পঃ2. ছোট গল্প গুলোঃলেখাঃ সুরাইয়া সাত্তার ঊর্মি (Apis-Indica)

কেনা বউ !! লেখাঃ সুরাইয়া সাত্তার ঊর্মি (Apis-Indica)

কেনা বউ

সময়টি মাঝরাতে। চারিদিক ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক শুনা যাচ্ছে।ঠিক সেই সময় গায়ে চাদর মুড়ি দিয়ে বাড়ির পিছনের দরজা দিয়ে বের হয়ে উঠানে এসে দাড়ায় শ্রেয়া।আবার পিছনে ফিরে আরেক দফা চোখ বুলিয়ে নেয় সে পুরো বাড়িটুকুতে। চোখ ঝাপসা হয়ে আসে তার। এই বাড়ির উঠানে কেঁটেছে তার ছোট বেলা।কত না আছড়ে পড়েছে হাঁটতে গিয়ে, বার বার মা সামলে নিত তাকে। আজ মা নেই তার পাশে থাকলে হয়তো এভাবে চুপি চুপি পালিয়ে যাওয়ার প্রশ্নেই আসতো না..!! কথায় আছে” মা মরলে বাপ তালই”। কথাটি আগে হেসে উড়িয়ে দিলেও আজ তা সত্য বলে মনে হচ্ছে শ্রেয়ার। কি কপাল তার মা যখন ছিল, বাপের আদরে ঠিকানা ছিল না।মা কবরে শুতেই বাবা পর হয়ে গেল। ছোট শ্বাস ছাড়লো শ্রেয়া।বাড়ির পিছনের দিক আছে একটি বট গাছ।সেই গাছের শক্ত ডালে দুটো মোটা দড়ি দিয়ে বেঁধে দিয়েছিল দোলনা।যা এখন বাতাসে হালকা নড়ছে।কতবার বাবা-মায়ের সাথে রাগ করে গাল ফুলিয়ে এখানে বসে কাঁদত সে। মা-বাবা রাগ ভাঙ্গানোর জন্য কত কিছুই না করত?
বাবা তখন আদর করে বলত,,
—-কান্দিস না মা!! তোরে এত তাড়াতাড়ি বিয়ে দিব না..!!সত্যিই দেব না..!!
শ্রেয়া তখন তার ফোকলা দাঁত বের করে খিল খিল করে হেসে দিত..!!
মা তখন পরম আনন্দে ভাত মাখিয়ে খাইয়ে দিত।খাওয়া শেষ প্লেট উল্টিয়ে দেখিয়ে বলত,,
—-দেখ মা দেখ,, তুই সব খেয়েছিস!!এখন আমার মা এত বড় হয়ে যাবে..!!
কতই না আদরের ছিল সে..!! আর আজ আদর করার মতো কেউ নেই…!!
ফোনের ভাইব্রেট হওয়ায় ধেন ভাঙ্গে শ্রেয়ার।ফোনটা উঁচু করতেই ভেসে উঠে আরিয়ানের নাম।এই একটি ব্যক্তি গত তিনটি বছর তাকে আগলে রেখেছে।কতটা না ভালই বাসে তাকে।একটি বার ফোন রিসিভ না করলে পাগল পাগল হয়ে যায়।ফোনটা রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে অস্থিরতার সাথে বলল আরিয়ান,,
—-কই তুমি কতক্ষণ যাবৎ দাঁড়িয়ে আছি রাস্তার মোড়ে। তাড়াতাড়ি আসো কেউ দেখে ফেললে আর আস্ত রাখবে না।
শ্রেয়া তার চোখের পানি মুছে বলতে লাগে,,
—-আসচ্ছি আমি।
ফোন কেঁটে সামনের দিক হাটা দেয় শ্রেয়া।আর পিছনে ফিরে তাকায় না সে,, তাকালেই আবেগ বাড়বে, আবেগ যে বড্ড খারাপ জিনিস। তাই সে আর ফিরবেনা পিছনে।
কিছুক্ষণ হাটার পর রাস্তার মোড়ে এসে দাঁড়ায় শ্রেয়া। কিছু সামনেই দাড়িয়ে আছে আরিয়ান।যে এখন তার বর্তমান আর ভবিষ্যৎ হতে চলেছে। আরিয়ান দূর থেকে শ্রেয়াকে দেখতে পায়। আজ প্রায় ৬ মাস পর তাকে দেখছে।শ্রেয়াকে দেখে তার মনে ধক করে উঠে। কি হাল করেছে মেয়াটা তার চোখের নিচে কালি পরে গেছে।মুখ টা শুকনো হয়ে ছোট হয়ে গেছে।তার গলুমলু শ্রেয়াটা কেমন শুকিয়ে গেছে। আরিয়ান শ্রেয়ার কাছে গিয়ে আফসোসের ভঙ্গিতে বলতে লাগে,,
—-শ্রেয়া কি হাল করেছো নিজের?? এমন দেখাচ্ছে কেন তোমাকে?? সাথে সাথে কপালে হাত দিয়ে অস্থির কন্ঠে বলে উঠে,,
—-তোমার শরীরে তো অনেক জ্বর গা পুরে যাচ্ছে।কি হয়েছে জান?
শ্রেয়া হাসল! আর বলল,
—-অস্থির হয়ো না তেমন কিছু না শুধু হালকা জ্বর..!
—–এটাকে তুমি হালকা বলছো?
—–উফ এতো হাইপার হয়েও না চল তাড়াতাড়ি।।
—–হুম চল! আজকের পর তোমাকে কোনো কষ্ট ছুতে পারবেনা আমার জান পাখিটার।।
শ্রেয়া হাসল শুধু।কিছু বলার নেই তার। কারণ এই পাগলটা এমনি কতটা ভালবাসে শ্রেয়া জানে।
গাড়ি ছুটে চলল শহরের দিক, গন্তব্য ঢাকা। সেখানেই বিয়ে করে এক হয় যাবে তারা। শ্রেয়ার জ্বরটা বাড়চ্ছে আরিয়ানের বুকে বিড়ালছানার মতো লেপ্টে আছে।শ্রেয়া আরিয়ানের বুকে মাথা রেখে বাহিরের দৃশ্য দেখে যাচ্ছে আর ভাবচ্ছে কিছু ঘন্টা আগের কথা…!!
বাড়ি ভর্তি মানুষের সামনে পুতুলের মত সাজিয়ে বসি রাখা হয়েছে শ্রেয়াকে। এ নিয়ে তিনবার।যেটি শ্রেয়ার মোটেও পছন্দ নয়।এটা কেমন কথা মেয়েদের দেখতে আসবে ছেলারা তার সামনে মমির পুতুলের মত সেঁজে গুজে বসে থাকতে হবে মেয়েদের।তার উপর ছেলের পছন্দ হলে বিয়ের কথা আগাবে, নয়তো রিজেক্ট করে দিব?এতে ওই মেয়েটির মনে কি প্রভাব পরে তা কি কখনো তারা ভেবে দেখেছে? হয়ত না। দেখলে কোনো মা তার মেয়েকে এভাবে সাজিয়ে গুজিয়ে আসনে বসাতো না।আর শ্রেয়ার ফুট কপাল তারতো মা নেই। আছে সৎ মা। যে কিছু দূর দাড়িয়ে পান চিবুচ্ছে।
ছেলে পক্ষ নানান রকম প্রশ্ন করে চলছেন শ্রেয়াকে। শ্রেয়া চুপ করে বসে।কি আর করবে সে? বাবার বয়সি লোককে তার সৎ মা ঠিক করে দিয়েছেন।সব কথা পাকা করে ফেললেন তার সৎ মা রেহেনা।বাবা মতিন চুপটি করে এক কোনে বসে চা খাচ্ছেন। শ্রেয়ার দিক যেন কার খেয়ালি নেই। আর এই দেখতে আসা লোকটি দাঁত কেলিয়ে হেসে যাচ্ছে। কি নির্লজ্জ মানুষ।চক্ষু লজ্জা বলতে কিছু নেই? নিজের মেয়ের বয়সি মেয়েকে বউ করতে এসেছে! শ্রেয়ার রাগে দুঃখ বুক ফেঁটে কান্না আসচ্ছে আর সইতে না পরে ছুটে রুমে চলে যায় আর কাঁদতে লাগে।কি পোড়া কপাল তার।নিজের বাপ ও আজ মেয়ের মতামত জানতে চাইলো না? যেখানে সব কিছু শ্রেয়ার পছন্দের ছিল আর আজ..!! ভাতে পারছেনা আর। তখনি ফোন আসে আরিয়ানের।তখন শুধু শ্রেয়া বলছিল,,
—-বিয়ে করবে আমায়?
আরিয়ান যেন তাই চাইছিল..!! তার মন নেচে উঠলো।এতো মেঘ না চাইতে বৃষ্টি।কবে থেকে শ্রেয়াকে বিয়ের কথা তারা দিচ্ছিল। কিন্তু শ্রেয়া রাজি হতো না। আজতো চমৎকার হয়ে গেল।সর সাথে সাথে বলল,
—-হে তা আবার বলতে? বল কবে কখন?
—–কাল বিয়ে করবো আমরা। আজ আমাকে নিয়ে যাবে?
—-ঠিক আছে রাতে তৈরি থেকো।।
আরিয়ান তার কথা রেখেছে বন্দী খাঁচা থেকে তাকে মুক্ত করেছে।
আরিয়ান শ্রেয়াকে নিয়ে দাড়িয়ে আছে ম্যারেজ রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে। শ্রেয়ার বুক ধুকপুক ধুকপুক করছে। হয়ত বিয়ের আগে প্রতিটি মেয়েরি করে? আরিয়ান আর শ্রেয়া ভিতরে ঢুকলো।
উকিলের কাছে সব ডকুমেন্ট দিয়ে দিলো।শ্রেয়ার দিক একটি কাগজ এগিয়ে দিল সাইন করার জন্য, শ্রেয়া সাইন করতে গিয়ে বার বার হাত কাপঁচ্ছে। চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। হয়ত এমনি হয় সবার। কতো অদ্ভুত ব্যাপার! এই একটি কাগজে সাইন করার সাথে সাথে তার পুরো টা জীবন হয়ে যাবে আরিয়ানের নামে..!! মেয়েদের ভাগ্য বিয়ের আগে বাবার নাম বিয়ের পর বরের নাম।আচ্ছা আরিয়ান কি বিয়ের পর ঠিক এমনি ভালবাসবে? মনের মাঝে হাজারো প্রশ্ন এসে জমা হচ্ছে শ্রেয়ার মনে..!!তখনি আরিয়ান হালকা ধাক্কা দিয়ে বলল,,
—-কি হলো শ্রেয়া! তাড়াতাড়ি কর? আরো মানুষ দাড়িয়ে আছে বিয়ের জন্য।।
শ্রেয়া চোখের পানি মুছে মাথা নাড়িয়ে সাইন করে দেয়। আজ থেকে সে হয়ে যায়। মিসেস শ্রেয়া আরিয়ান শেখ…!ছোট শ্বাস ফেলে শ্রেয়া। জানানেই কেন মনের মাঝে খচখচ করছে। মনে হচ্ছে কিছু একটা ঠিক নেই। অথচ যা যে ভাবে ভেবেছিল সব ঠিক হচ্ছে।হয়তো সব তার মনে ভুল..!
আরিয়ান শ্রেয়াকে একটি বাংলো বাড়িতে নিয়ে আসে। বাড়ি দেখে শ্রেয়া শক্ড। এত বড় বাড়ি। তখন সে প্রশ্ন করে,
—-এটা তোমার বাড়ি?
আরিয়ান আমতা আমতা করে বলে না একটি বড় ভাইয়ের বাসা। তিনি আপাদত আউট অফ টাউন। আর চাবি আমার কাছে তাই নিয়ে আসলাম তোমাকে।
শ্রেয়া উত্তর দিল,
—ও..!
তারপর কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলে উঠে,
—-তোমার বাসায় কবে যাবো?
আরিয়ান কিছুটা ভড়কে গেল।তারপর নিহেকে সামলিয়ে বলল,,
—–বাসায় জানায় নি। সব ঠিক ঠাক হক নিয়ে যাবো।
শ্রেয়া আর কিছু বলল না।
আরিয়ান শ্রেয়াকে একটি ঘরে নিয়ে বসালো আর বলল,
—-তুমি ফ্রেশ হয়ে নাও। আমি বাহির থেকে খাবার আর তোমার মেডিসিন নিয়ে আসছি। দেখি(শ্রেয়ার কপালে হাত দিয়ে) জ্বরটা এখনো আছে দেখচ্ছি।
শ্রেয়া আরিয়ানের হাত সরিয়ে তার দু হাতের মাঝে রেখে বলতে লাগে,,
—-আমি ঠিক আছি চিন্তা করো না তুমি পাশে থাকলে আমি সুস্থ্য হয়ে যাবো।
—-এতটা ভালবাসো আমায়? যদি কখনো তোমাকে ধোকা দেই তখন কি করবে?
এমন কথায় শ্রেয়ার চোখে মুহুর্তেই পানি চলে আসে।সে কাঁদতে কাঁদতে বলে,,
—এমন কখনো করো না আমি নিজেকে শেষ করে দিব।
আরিয়ানের খারাপ লাগলো।শ্রেয়ার চোখের পানি মুখে দিয়ে, কপালে ঠোঁট ছোট চুমু এঁকে দেয়।আর বলতে লাগে,
—-ধূর পাগলি কাঁদে না। আমি আছি তোমার পাশে। এখন রেস্ট নাও আমি খাবার নিয়ে আসচ্ছি।
বলে আরিয়ান চলে গেল।
কেন জানি আরিয়ান চলে যাওয়াতে, শ্রেয়ার খারাপ লাগচ্ছে। মনে হচ্ছে ও আর ফিরবেই না…!! আবার বাঁজে চিন্তা ভেবে এ সব মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে ওয়াশরুমের দিক পা বারায় শ্রেয়া। ফ্রেস হয়ে এসে খাটে বসে।ঘরটির চারিদিক চোখ বুলায় সে, মনে হচ্ছে যার বাসা এটি, সে লোকটি অতি রুচিশীল সম্পন্ন, তার সাথে পরিষ্কার ও গোছানো। শরীর আর চলছে না। আজ কত দিন শান্তির ঘুম হয়নি। এখন যেন চোখে সারা রাজ্যের ঘুম এসে জড় হচ্ছে।তাকিয়ে থাকা দায়। শ্রেয়া বসে থাকতে না পরে এবার গা এলিয়ে দিল বিছানায়।মুহুর্তেই ঘুমের রাজ্য পারি দেয় সে…!!
ঘুমের মাঝে হঠাৎ কারোও ঠোঁটের স্পর্শ পেয়ে ঘুমটা ভেঙ্গে যায় শ্রেয়ার।।চোখ খুলতেই অন্য কাউকে তার ঠোঁটে ঠোঁট রাখা অবস্থায় পেয়ে স্বজোরে ধাক্কা মারে।লোকটি বিছানা থেকে ছিটকে নিচে পরে যায়।।শ্রেয়া ততক্ষণে নিজের শরীরের কাপড় ঠিক করে চেচাতে লাগে,,
—–আপনি কে?? এখানে, এই মুহুর্তে আমার স্বামীর থাকার কথা…!! আপনি কে??? আর আপনার সাহস হয় কিভাবে আমাকে ছোঁয়ার…!!
লোকটিকে ধাক্কা দেয়ায় রাগ উঠে যায় তার কিন্তু নিজেকে সংযোগ রেখে উঠে বসে।। শ্রেয়ার কাছে এসে দু গাল চেপে ধরে বলতে লাগে,,
—-আরিশ খানকে থাক্কা দেয়ার সাহস কোথায় পেলে হে…!! আর আমি তোমার স্বামী…!! এমন আর কখনো করলে তোমার জন্য খুব একটা ভাল হবে না বুঝে নিও…!!
শ্রেয়া আরিশের কাছ থেকে। নিজেকে ছাড়িয়ে বলতে লাগে,,
—-মিথ্যা বলছেন আপনি…!! আমার আরিয়ান কই..!! ও আমার স্বামী,, ভালবেসে বিয়ে করেছি আমরা।। আর আপনি বলছেন আমার স্বামী…!! ফালতু লোক বলে শ্রেয়া আরিশের কর্লার টেনে ধরে বলতে লাগে,,
—- কি করেছেন আমার স্বামীর সাথে বলুন,, বলুন বলছি,, বলে ঠাস করে চর বসিয়ে দেয় আরিশের গালে,, আরিশের সাথে সাথে কপালের রগ দাড়িয়ে যায়,, চোখ মুখ লাল হয়ে যায়।।সেও শ্রেয়ার গালে ঠাস করে চর মারে।।তার চুলের মুঠি ধরে তার বারবর দাড় করিয়ে হিসহিস করে বলতে লাগে,,,
—–তোর সেই স্বামী বিক্রি করে দিয়েছে তোকে আমার কাছে,, তুই হচ্ছিস আমার #কেনা_বউ বুঝলি…!!
আজ থেকে আমি তোর স্বামী তুই…!! মাথায় ঢুকিয়ে নে..!! বলে খাটের উপর ফেলে বের হয়ে যায় আরিশ..!! রাগে গা জ্বলছে তার…জ্বালিয়ে দিতে ইচ্ছে করছে সব তার…!!যেখানে তার বাপ-মা ফুলের টোকাটা পর্যন্ত দেয় না সেখানে এই মেয়ে তাকে চড় মেরে দিয়েছে…!! হজম করতে পারছে না সে…!! রাগে মাথা ব্যাথা করছে তার..!!
এদিকে শ্রেয়া বিছানায় বসে কেঁদে যাচ্ছে।।কি হয়ে গেল তার…!! তিন বছরের ভালবাসার জন্য ঘর ছেড়ে পালিয়ে ছিল সে…!! আর সেই মানুষটি তাকে বিক্রি করে দিল…!!এ জিবন সে আর রাখবেনা..!! অন্যের কেনা বউ হয়ে থাকার চেয়ে, মরে যাওয়া ভাল।।সে চোখ মুছে দাড়িয়ে ফেনের দিক তাকালো।।এক টানে শাড়িটা শরীর থেকে খুলে ফেনের সাথে বাজিয়ে নিজের গলায় বেঁধে ঝুলে পড়লো…!! কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তির পর সব শান্ত হয়ে গেল…!! তবে কি এখানেই শেষ হয়ে গেল শ্রেয়ার জীবন…??নাকি নতুন কিছু অপেক্ষা করছে তার জন্য……..!!
চলবে..!!

বিঃ দ্রঃ নিচে ভালো করে লক্ষ্য করুন পরবর্তী পর্বের Link দেওয়া আছে..

বিঃ দ্রঃ “ লেখাঃ সুরাইয়া সাত্তার ঊর্মি (Apis-Indica) ” লেখকের লেখা অন্য গল্প গুলো পড়তে এখানে ক্লিক করুন !!

👉আমাদের ফেসবুক পেজ