উপন্যাস- রাত

উপন্যাস- রাত পর্ব- ০৯

প্রহর – মুখ চেপে ধরলাম।
কি হয়েছে?? চিতকার দিচ্ছ কেন? ?

রাত্রি- ভয় পাইয়ে দিয়েছিলে ত কি করব।? আর তাছাড়া
তুমি ত ছিলেনা।
বলে এতক্ষনে খেয়াল করলাম ও শুধু তোয়ালে
পরে আছে।
আবার দিলাম চিতকার


প্রহর – আবার মুখ চেপে ধরলাম।
কি হয়েছে আবার? ???

রাত্রি- তু তু তু……মি মি মি…

প্রহর – কি? ?? কি বলতে চাচ্ছ।
রাত্রি- লজ্জা নেই কি পরে আছো।

প্রহর – তা আমার কি স্বপ্নে এসে বলে
গিয়েছিলে এখন তুমি আসবে??

কি বলতে এসেছিলে??

রাত্রি-তুমি জানলে কিভাবে আমি কোথায় আছি।
।প্রহর – সেটা তোমাকে বলার প্রয়োজন মনে
করছিনা।

রাত্রি- না না সেটা বললে ত আমি শুনব না।
আমি জানতে চাই।বলেই সামনের দিকে ঘুড়লাম।

প্রহর -ওর চুল গুলা বারি খেলো আমার মুখের
সাথে।
আমি ওর কথা শুনছিলাম।
শুনছিলাম বললে ভুল হবে আমি ওকে দেখছিলাম।
কিন্তু ওর কথা গুলা হয়ত কান পর্যন্ত যাচ্ছিল না।
চুল থেকে টপ টপ পানি পড়ছে।
কপালে নাকে মুখে গলায় বিন্দু বিন্দু পানি জমে
আছে সেই আগের মত।
ঘোরের মধ্যে আছি।

রাত্রি- আমি ওকে এত কিছু জিজ্ঞেস করছি আর ও
…. মুখে মনে হচ্ছে তালা মেড়ে দিয়েছে
কেঊ দাড়াও দেখাচ্ছি মজা
বলে একটা চিমটি দিলাম হাতে।

প্রহর- আহ! ব্যথা লাগল।
আর আমার উঠে গেলো রাগ।
রাগ কোন্ট্রল করা আমার জন্য খুব কঠিন।
সহজেই রাগ উঠে যায়।
তাই ওকে নিজের সাথে জরিয়ে ওর হাত টা ওর
পিঠের সাথে আটকালাম।
মনে হচ্ছে এখনি ঘাড়ে কামোড় মেড়ে রক্ত
খেয়ে নেই।

রাত্রি- আমি প্রচুর ভয় পেলাম যে মুখ থেকে
কোনো কথা ই বের হচ্ছেনা।
শুধু চেয়ে আছি।

প্রহর – তোমাকে আমি কোনো কিছুর জবাব দিব
না। বুজলে!??

রাত্রি- রাগে মমনে হহচ্ছে আরেক টা চিমটি
মেড়ে দেই।তাই নাকি? ? কেন দিবানা শুনি।

প্রহর – সেটা সম্পুর্ন আমার ব্যপার।( তাছাড়া
তোমাকে ত বলতে পারিনা যে অন্য ভ্যাম্পায়ার
আমাকে খবর দিয়েছে।)

রাত্রি- না তোমার ব্যপার না।

প্রহর – don’t bore me. now go.
বলে ছেড়ে দিলাম।

রাত্রি- ( কি বলল আমি বোর করি ওকে??)
পিঠে একটা চিমটি মেড়ে দিলাম দোড়।
ঘরে এসে
মনে হল এতক্ষনে জানে জান আসল।
যে দোড় দিয়েছিলাম।
প্রহর – ওর এমন কাজে আমি রাগ হবো না হাসবো
বুঝতে পারছিনা।
এখনও বাচ্চা ই রয়ে গিয়েছে।

নিমি- কিরে হাপাচ্ছিস কেন? ?

রাত্রি- না কিছুনা।
সারাদিন শুয়ে বসে কেটে গেলো ।
# বিকালে
রাত্রি- নিমি রেডি হয়ে নে। চল বাইরে থেকে
ঘুড়ে আসি।
আর বাসায় থাকতে ইচ্ছে করছেনা।

নিমি – ওকে।
এখনি হচ্ছি।

রাত্রি- রেডি হয়ে নিলাম।
ব্লাক জিন্স, ব্লাক হাফ হাতা গেঞ্জি আর উপরে
রেড শার্ট আর গলায় স্কার্ফ জরিয়ে নিলাম।
আমি আর নিমি ঘর থেকে বের হলাম।
সামনেই দেখি প্রহর দাড়িয়ে আছে।

প্রহর – কোথায় যাচ্ছ??

নিমি- আমাদের সাথে যা…
রাত্রি- নিমি কে থামিয়ে …. যেখানেই যাই তোমার কি
তাতে।
আয় ত নিমি।

প্রহর – রাত্রি র সামনে পথ আগলে দাঁড়ালাম।
আমি তোমার বডি গার্ড ভুলে যেওনা।

রাত্রি- আমি ভুলিনা। হয়ত তুমি ভুলে যাও মাঝে মাঝে।
তাই আর মনে করাতে চাচ্ছিনা।

প্রহর- সমস্যা টা কি??

রাত্রি- এত কিছু বলার টাইম নাই।
সরো।

প্রহর – সামনে থেকে সরে গেলাম।

নিমি- তুই ও না মাঝে মাঝে যা করিস।
ও গেলে কি হত।
আমাদের ত ভালই হত।
এমন হ্যান্ডসাম বডি গার্ড আমাদের সাথে থাকলে।

রাত্রি- চুপ করতো।
গাড়ি চালাতে দে আমাকে।
একটা ব্রিজ এর উপর গাড়ি থামালাম।
অনেক সুন্দর পরিবেশ।
ঠান্ডা বাতাসে শীত লেগে যাচ্ছে।
ব্রিজ এর উপর মানুষ খুব কম।
দুরে ২-৩ টা কাপল দাড়িয়ে আছে।
গাড়ি তে করে দুরে কিছু ছেলে নামল।
পরন্ত বিকেল বেলা।
ছেলে গুলাকে দেখে সুবিধার মনে হল না।
তাই আমি আর নিমি নেমে যাচ্ছিলাম।
কিন্তু ছেলে গুলা পথ আগলে দাড়ালো।
খারাপ মন্তব্য করতে লাগল।

নিমি- এখন প্রহর থাকলে এমন টা হত না।
তোকে বললাম ও তুই শুনলিনা।

রাত্রি- একটা ছেলে গায়ে হাত দেওয়ার জন্য হাত
বাড়াচ্ছে।
আমি আর নিমি ছেলে গুলাকে ধাক্কা দিয়ে দিলাম
দোড়।
পিছে ছেলে গুলাও দৌড়াচ্ছে।
হঠাত সামনে যেয়ে থমকে গেলাম কারন সামনে
প্রহর দাড়িয়ে আছে।

নিমি- যাক তুমি সময় মত এসেছ ।

প্রহর – ছেলে গুলা আমাকে দেখে চলে
গেলো।
আর সামনে এলোনা।

প্রহর – যেয়ে গাড়ি তে উঠো।

নিমি- কিরে দাড়িয়ে আছিস কেন পাথরের মত চল
আরে আয় না।
ঠেলে ঠেলে গাড়ি তে তুললাম।

রাত্রি- গাড়ি থেকে নেমেই নিজের রুমে গেলাম।
কারন আমি জানি সামনে থাকলে অনেক ভাষন শুনতে
হবে।
আর ওত ভাষন হজম করা আমার সম্ভব না।
তাই আগেই কেটে পরলাম।

প্রহর-( তুমি কি ভেবেছ তোমাকে আমি একা
পাবো না ??)

রাত্রি- একে ত ওর উপর রাগ তাও ওই মেয়ের জন্য
আবার তার উপর ওর ভাষন কে শুনতে যাবে।
এর জন্য ত ভয়ে রাতে খেতে ও যায়নি।
রাত বাজে ২ টা

পাশে নিমি ঘুমাচ্ছে আরামে আর আমি ক্ষুদার জ্বালায়
ঘুমাতেই পারছিনা।এখন ত অনেক রাত নিশ্চয় ই প্রহর
ঘুমিয়ে পড়েছে।হুম। এখন ত যাওয়া ই যায়।
আস্তে আস্তে বের হলাম রুম থেকে। আস্তে
আস্তে পা ফেলে রান্না ঘরে গিয়ে ফ্রিজে
কেক ছিল সেটা খেয়ে নিলাম।
তারপর পানির বোতলে পানি খেতে খেতে রুমে
আসছিলাম।
হঠাত মনে হল কোনো ঝড় এসে আমাকে
উড়িয়ে নিয়ে গেলো।

প্রহর – খুব শক্ত করে ওকে দরজায় চেপে
ধরে আছি।

রাত্রি- তু তু তু…… মি…… ঘুমাও নি।

প্রহর – ……..

রাত্রি- ওমন ভ্যাম্পায়ার এর মত তাকিয়ে আছো
কেন? ?

প্রহর – অবাক হয়ে কি বললে!?
রাত্রি- না মানে এইভাবে তাকিয়ে আছো কেন?

প্রহর – আমি যদি তখন না যেতাম কি হত??
রাত্রি- কি আর হত! ? কিছুই হত না।

প্রহর – কিছুই হত না???
তাহলে চল ওদের কাছে আবার দিয়ে আসি।

রাত্রি- কি করছ কি হাত ছাড়ো। তোমার ত সাহস কম না।

প্রহর – তোমার প্রব্লেম টা কি বলত?

রাত্রি- তুমি!”!! তুমি হচ্ছ প্রব্লেম। হইছে। শুনেছ?
এবার শান্তি? ??

প্রহর – আমি তোমার প্রব্লেম তাই ত ??

রাত্রি- হ্যা। তাই ই।

প্রহর – ঠিক আছে।
তাই তোমার কাকু কে ফোন করে বলে দিব
তোমার জন্য নতুন কাউকে রাখতে। কিন্তু তার আগ
পর্যন্ত
আমি যত দিন আছি তোমাকে আমার কথা শুনতে
হবে।

রাত্রি- (রাগের মাথায় কি বললাম। ও কি সত্যি ই আমাকে
ছেড়ে চলে যাবে??)
হ্যা তাহলে ত তোমার ভালই হয় তুমি ওই মেয়ের
সাথে সময় কাটাতে পারবে।

প্রহর – ঘুরে ওর এক পাশে দরজায় জোরে
করে হাত রাখলাম।
কোন মেয়ে?? আর কিসের ই বা কথা বলছ তুমি?

রাত্রি- বাহ! কিছু বুঝ না কিছুই জানো না বুঝি।
আমি rose এর কথা বলছি।

প্রহর – ওকে নিয়ে তোমার কি এত প্রব্লেম শুনি।
ও তোমার কি করেছে??
আর ওর সাথে আমি যাই করি তাতে তোমার কি সেটা
ই ত বুঝিনা।

রাত্রি- মাথা থাকলে ত বুঝবা।

প্রহর – কি বললে?

রাত্রি- কিছুনা। আমার ঘুম পেয়েছে আমি যাবো।
যেতে দেও।

প্রহর – ( মাঝে মাঝে মনে হয় মেয়েটাকে
খেয়ে ফেলি। এত দেমাগ আর এত রাগ।)

রাত্রি- কি হল!?

প্রহর – এমন রাগ লাগছে ওকে ধাক্কা দিয়ে বের
করে দিলাম।

রাত্রি- এত বড় ইন্সাল্ট!!!??? আমাকে এইভাবে বের
করে দিল! ?
আমিও দেখে নিব।
হ্যা এই বলে দিলাম।

প্রহর – নাহ এইভাবে বের করা টা ঠিক হয়নি।
রাগ উঠে গেলে ত আর হুশ থাকেনা।

আমি জানালা দিয়ে রাত্রির ঘরে গেলাম।
চলবে
 


বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *