উপন্যাস- রাত

উপন্যাস- রাত পর্ব- ০৭


নিশি- বের হতে যায়ে দেখি গার্ড বাইরে দাড়িয়ে।
দ্রুত চলে গেলাম।

প্রহর – নিচে ওর থাকার ব্যবস্থা করেছি।

রাত্রি- ভালো করেছ আর কিছু!?

প্রহর – এটা তোমার ভালোর জন্যই ।

রাত্রি- অনেক হয়েছে আর ভাল দেখতে হবেনা।
এখন আমি একা থাকতে চাই তুমি যাও।

প্রহর – কিং ফোন দিয়েছে । কিং এর কাছে আসলাম।

কিং- সময় কিন্তু ঘনিয়ে আসছে প্রহর।
আর বেশি সময় নেই।
আর কয়েক্টা পূর্নিমার রাত তারপর….

প্রহর – আপনি চিন্তা করবেন না।।
আমি আছিত।

কিং- তুমি আছ বলেই ওত টা চিন্তা করছিনা। তারপর ও
চিন্তা কম হচ্ছেনা।
নাইট থেমে থাকবে না। প্রহর – আমি জানি ও থেমে থাকবে না।
ও রাত্রিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আবার আসবে।
তাই আমি সব সময় রেডি আছি।
আপনি চিন্তা করবেন না।

রাত্রি- এখন আর তার খবর নাই।
অনেক্ষন ধরে ত ওই মেয়েটাকেও ত
দেখতে পাচ্ছি না।
কই গিয়েছে ২ জন মিলে?? ২ জন আবার এক সাথে
নাই ত ???
দাড়াও খবর নিতে হচ্ছে।

প্রহর – আমি বলছিত rose আমি কোমান্ডর সাথে কথা
বলেছি।

rose- হ্যা কিন্তু…

প্রহর – আমি rose এর মুখ চেপে ধরলাম।

রাত্রি- আমি রুমে প্রবেশ করলাম।
দেখলাম ও মেয়েটার মুখ চেপে ধরে আছে।
আমাকে দেখে ছেড়ে দিল।
কি হচ্ছে এইখানে?

প্রহর – কিছু লাগবে তোমার??

রাত্রি- তুমি এইখানে কি করছ??

rose- আসলে…

রাত্রি- বাহ ভালো ত প্রশ্ন করি এক জন কে উত্তর
দেয় আরেক জন।

প্রহর – না আসলে….
রাত্রি দাড়াও রাত্রি! !!!

rose- যাহ বাবা।
কাহিনি কি ডিয়ার।

প্রহর – বেক ওফ।
( উফফ কেনো যে একে পাঠালো কিং কি আর
কাউকে পেলোনা।)

রাত্রি – বাহ বাহ কি সুন্দর।
না গেলে ত দেখতেই পারতাম না।

নিশি- আপা মনি কি হইছে।
??

রাত্রি- কিছু না। তুমি এখনও যাওনি।

নিশি- যাচ্ছি এখন।
সব রান্না আছে। খেয়ে নিয়েন।
আর আপুনি ওই মেয়ের…

রাত্রি- কি? ?

নিশি- স্বভাব ভালো না। একটু সাবধানে।

রাত্রি- হইছে আর কত বার বলবা।
এখন যাও ত।

প্রহর – রাত্রি ঘুমাচ্ছে নির্ভয়ে । আমি চাই ও
এইভাবেই থাকুক।
যেখানে কোনো ভয় থাকবেনা।
আর না থাকবে ওর জিবনের কোনো সংকট।
নাইট কে থামাতেই হবে।
ও যদি একবার রাত্রি কে পেয়ে যায় সব শেষ হয়ে
যাবে।
যা আমি কখনই হতে দিব না।
বন্দুক টা ভালো মত মুছে রাখলাম।
এইটা যেনো তেনো বন্দুক না।
ভ্যাম্পায়ার দের মারার বন্দুক।
খুব সাবধানে যত্ন করে রেখেছি।
নাইট আর ওর সৈন্য দের মারতে হলে এটা আমার
দরকার।

রাত্রি- ঘুম ভেংগে গেলো।
না আজ স্বপ্ন দেখেনা।
মনে হচ্ছিল কেউ তাকিয়ে আছে আমার দিকে।
কিন্তু কেউ ত নেই ঘরে।

প্রহর – খুব বাচা বেচে গিয়েছি।
আরেক্টু হলেই ত দেখে ফেলত।
রাত্রি- পাতলা শাল টা গায়ে জরিয়ে জানালার কাছে
গেলাম।
চাদের আলোতে চারিদিক আলোকিত হচ্ছে।
শীতল বাতাসে ঠান্ডা অনুভব হচ্ছে।
চুল গুলা সরিয়ে এক পাশে আনলাম।

প্রহর – আমি রাত্রির রুমের আধারে মিশে আছি।
ও হয়ত বুঝবেও না কেউ আছে ওর রুমে।
কিন্তু হঠাত চোখ গেলো জলন্ত চিহ্ন টার দিকে।
ওর পিঠের।
সময় খুব ঘনিয়ে আসছে।
যে কোনো সময় ওর বিপদ আসন্ন।ও হয়ত
জানেনা, কখনই জানবেনা ওর সাথে যা হচ্ছে সব
সত্যি।
প্রথম ও যেদিন রাতে রাস্তায় প্রথম দেখে সেদিন
হয়ত আমি আরেক্টু দেরি করলেই ও শেষ হয়ে
যেত।
তাই ত কিং আমাকে ওর কাছে পাঠাল।
আর আমি ওর বডি গার্ড হয়ে এইখানে চলে এলাম।

রাত্রি- রাত গুলা এমন নিশ্চুপ আর ভয়ংকর হয় কেন? ?
রাতের অন্ধকার নামার সাথে সাথে কেনো
নিরবতাও নেমে আসে।

প্রহর – রাতের নিরবতাও স্বাক্ষি থাকে অনেক
আধারের ঘটে যাওয়া ঘটনার।
যা মিশে যায় সকালের আলোর সাথে।

রাত্রি- আমি ঘুম থেকে উঠে নিচে গেলাম।রাতে
একটু ও ঘুম হয়নি।
আড়মোড়া ভাংতে ভাংতেই সিড়ি দিয়ে নামছিলাম।
চোখ ডলে সামনের দিকে তাকালাম।
দেখি rose বের হয়ে যাচ্ছে।
নিশ্চয় ই প্রহরের কাছে যাচ্ছে।
।আমি দ্রুত নেমে দরজার সামনে যেতেই
দেখি প্রহর আর ওই মেয়েটা বের হয়ে গেল
গেট দিয়ে।

বাহ বাহ!
এ হচ্ছে বডি গার্ড , যে নাকি দিনের ২৪ ঘন্টা র
মধ্যে ২৫ ঘন্টা ই বাইরে থাকে।

নিশি- এটা কি বলেন?? এমন হয়নাকি?

রাত্রি – দুর এ ত রাগের কথা।
এমনি বললাম ২৫ ঘন্টা।
দুর সকাল সকাল মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো
প্রহর – কিং হঠাত ডাকল বলেই ত যেতে হল।
আমি ত আর ইচ্ছে করে নিয়ে যাই নি।

rose- অহ ডিয়ার আমি জানিত।

প্রহর – and pls stop calling me that.
বাসার গেটে ঢুকে বাসার সামনে যেয়ে দেখি
দরজায় তালা মারা।

rose- ব্যাপার টা কি হল?

প্রহর- কিন্তু আউট হাউজ তালা মারা না।
কি হল হঠাত! ??? কিছু হল না ত??
কিন্তু তালা মারা কেন? ? দাড়োয়ান কে জিজ্ঞাস
করে দেখতে হচ্ছে।

দাড়োয়ান – ওহ আপনারা চলে এসেছেন।

প্রহর – রাত্রি কোথায়? আর বাসা তালা মারা কেন? ?

দাড়োয়ান – সকালে আপনারা বের হওয়ার কিছুক্ষন
পর ম্যাম ও বের হয়ে যায় ব্যাগ নিয়ে

বলে গেছে কিছুদিন ফিরবে না।
আপনারা যাতে তার খোজ না করেন।
।।
প্রহর – কোথায় গেছে।

দাড়োয়ান – আসলে আমাকে কিছু বলে যায় নি।
নিশি জানলেও জানতে পারে।

প্রহর – damn it.
উফফ এই মেয়ে!!!
rose- ভুল টা তোমারি। একা রেখে চলে গেলে..

প্রহর – রাগে চোখ লাল হয়ে আছে।
ওর দিকে তাকালাম।

rose- ওকে সরি।এখন কি করবে??

প্রহর – তুমি কিং এর কাছে যাও।
দরকার হলে ডেকে নিব।
আমি ওকে খুঁজতে যাচ্ছি।

rose- r u kidding me.?
.
prohor -no I’m not.
I’m serious .
now go.
.
নিমি- কিরে তখন থেকে বক বক করে যাচ্ছি আর
তুই চুপ করে আছিস কেন?


রাত্রি- বক বক টা থামা।

নিমি- অনেক দিন পর আপির বাসায় যাচ্ছি। I’m just to
excited.
।আর তুই সাথে যাচ্ছিস বলে আরও মজা লাগছে।
কিন্তু তোর বডি গার্ড? ?

রাত্রি- আরে থাম ত।
( যত দুরে থাকা যায় ততই ভাল।)

প্রহর – নিশির কাছে জানতে পারলাম না রাত্রি কোথায়।
ফোন টাও অফ করে রেখেছে এই মেয়ে।
গেলো কোথায়??

রাত্রি- ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম। হঠাত ড্রাইভার এত
জোরে ব্রেক করল সোজা সামনের সিটে বারি
খেলাম।
। কিন্তু নিমির কোনো হুশ ই নাই।
ঘুমিয়েই যাচ্ছে।
কি হল কাকা??

ড্রাইভার – আমার মনে হল গাড়ি র সামনে কেউ ছিল।
গাড়ি র নিচে পরল না ত ?

রাত্রি- whaaat!!! আমি গাড়ি থেকে নামলাম সাথে
ড্রাইভার ও।
গাড়ি র পিছন দিকে গেলাম।
কিন্তু কেউ ছিল না।
ড্রাইভার কাকা এইখানে ত কেউ নেই বলে তার
সামনে যেয়ে দাঁড়ালাম।
তারপর যা দেখলাম তা বলার মত না।এত ভয়ংকর চেহারা
আমি এর আগেও কয়েকবার দেখেছি।
আমি চিতকার করে পিছনের দিকে সরে গেলাম।
চলবে
 


বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *