আলোছায়া

আলোছায়া !! Part- 25

“আই ফিল ফর হিম.. বাট নেভার ওয়ান্টেড টু ব্রেক আপ দেয়ার রিলেশনশিপ। এন্ড আই নেভার ওয়ান্টেড হিম ইন মাই লাইফ আফটার হিস ম্যারিজ। আই সোয়ার..”
ইভনার ভাবমূর্তি ক্রমশ খুশি থেকে দুঃখের দিকে ধাবিত হচ্ছে বুঝতে পারায় প্রসঙ্গ বদলানোর চেষ্টা করলো লিমন। তবে ইভানার তাতে সামান্যতম আগ্রহ না দেখানোয় হতাশ হলো সে। বুকচিরে বেরিয়ে আসা গভীর এক দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দৃঢ় গলায় বললো,
“তোর এখন নিজেকে নিয়ে ভাবা উচিৎ.. লাইফে এগিয়ে যাওয়া উচিৎ। ইউ ডিসার্ভ সামওয়ান বেটার মাই গার্ল।”
ম্লান হাসলো ইভানা। হাতে থাকা কোকের গ্লাসটি টেবিলে রেখে আরাম করে সোফায় বসে বললো,
“ভাবছি.. তাছাড়া আমিও চাইনা আমাকে নিয়ে মেসবাহর সংসারে অশান্তি হোক, ঝামেলা হোক। আসলে দোষটা উল্লাসীকেও দেয়া যায়না। দোষ আমাদের সোসাইটির। হয়তো আমি ম্যারিড হলে উল্লাসী এতটা ইনসিকিউর ফিল করতো না।”
“তাহলে কি তুই বিয়েটা উল্লাসীর ভাবনা পালটাতে করতে চাস?”
আবারও ম্লান হাসলো ইভানা।
“না.. এতগুলো বছর একা পাড় করার পর এখন মনে হয় পাশে একজনকে দরকার৷ খুব করে দরকার.. যাকে পাশে বসিয়ে মনের দুঃখকষ্ট সবটা বলা যাবে নিঃসংকোচে।”
“স্বামীকে বলবি মনের লুকানো প্রেমের কথা? এত উন্নত চিন্তাধারার মানুষ এই সোসাইটিতে আছে?”
“নেই?”
একমুহূর্ত ভাবলো লিমন। পাশ ফিরে তাকিয়ে হাতের ইশারা করে বললো,
“ডক্টর আরফান মাহবুব। কার্ডিওলোজিস্ট.. তোর হৃদয়ের রোগ সারাতে সফল হলেও হতে পারে!”
ঘাড় ঘুরিয়ে আধাপাকা আধাকাচা চুলের ফর্সা বর্ণের আরফান মাহবুবকে দেখে আবারও কোকের গ্লাসটি হাতে নিল ইভানা। অনুরাগী গলায় বললো,
“সাথের বাচ্চা মেয়েটি কে?”
“উনার মেয়ে.. ভাবি মারা গেছেন একটা রোড এক্সিডেন্টে বছর তিনেক হলো।”
“তারপর আর বিয়ে করেনি?”
“করলে তোর রোগ সারানোর দায়িত্ব তাকে দিতে চাইতাম?”
ঘাড় নেড়ে উদ্বিগ্ন স্বরে ইভানা বললো,
“হু.. আমাদের চিন্তাধারার এবার পরিবর্তন করা উচিৎ। চল.. পরিচয় করিয়ে দে।”
সোফা ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো লিমন। হালকা কেশে পা বাড়ালো ডাইনিংয়ের দিকে। আজ তার জন্মদিন। এই দিনেই সে আলো দেখেছিল পৃথিবীর। আবার এই দিনেই প্রথমবারের মতো কোনো মেয়ের প্রেমে পড়েছিল সে। মেয়েটি সেদিন নীল শাড়ি পরে এসে দাঁড়িয়েছিল তার সামনে। হৃদয় ক্ষতবিক্ষত করে ঠোঁটের কোণায় হাসির রেখে নিয়ে বলেছিল, আজ নৌকাভ্রমণ করবো বলে শাড়ি পরে এলাম। তোরা দুজনে দেখ তো আমায় ঠিকঠাক লাগছে কিনা! উত্তরে মেসবাহ মাথা নাড়ালেও সে বলতে পারেনি কিছু। সেই কি ছিল তার সর্বনাশের শুরু?
আরফান মাহবুবের সাথে সৌজন্যসূচক হালকা কথা সেরে উল্লাসীর দিকে এগিয়ে এল ইভানা। তার শাড়ির আঁচল ঠিক করে দিয়ে মৃদু হেসে বললো,
“সুন্দর দেখাচ্ছে..”
“শাড়িতে সব মেয়েকেই তো সুন্দর দেখায়। আপনি কেনো শাড়ি পরেননি? পরতে জানেন না?”
“জানি.. তবে কখনো পরতে ইচ্ছে হয়নি।”
“ইচ্ছে কেনো হয়নি?”
“সেটা তো ইচ্ছেকেই জিজ্ঞেস করতে হবে! তা তোমার এখানে ভালোলাগছে তো?”
“লাগছে..”
“মৈত্রী কোথায়?”
ইভানার প্রশ্নে চারিদিকে নজর বোলালো উল্লাসী। তবে আশেপাশে কোথাও মৈত্রীর দেখা না পেয়ে উদ্বিগ্ন স্বরে বললো,
“মাত্র লিমন ভাইয়ের ছেলের সাথে এখানেই তো ছিল! এর মাঝে আবার কোথায় গেল!”
উল্লাসীর পাশের চেয়ারে বসলো ইভানা। তাকে আস্বস্ত করার চেষ্টায় বললো,
“টেনশনের দরকার নেই। আছে হয়তো কোনো রুমে.. আচ্ছা একটা কথা বলো তো?”
“কী কথা?”
“আমি তোমায় উপদেশ দিলে তোমার কাছে কি সেসব শুনতে খুবই জঘন্য লাগে?”
মাথা নেড়ে ইভানার দিকে ভালোভাবে ফিরে বসলো উল্লাসী।
“না.. আপনি তো আমাদের ভালোই চান। তাহলে শুধুশুধু জঘন্য লাগবে কেনো?”
“তাহলে এখন আরেকটি উপদেশ দেই। আমাদের জীবনটা খুব ছোট উল্লাসী। এতে যেমন দুঃখকষ্ট আছে তেমন সুখও রয়েছে। এখন সেই সুখ খোঁজার চেষ্টায় তুমি যদি মিথ্যার আশ্রয় নাও তবে সেই সুখটি হয় ক্ষণস্থায়ী.. কিছু সময়ের মাত্র। তাছাড়া তুমি খেয়াল করলে দেখবে একটি মিথ্যা ঢাকতে আশ্রয় নিতে আরও শ’খানেক মিথ্যার.. শ’খানেক ছলনার। আর প্রিয়জন কিংবা কাছের মানুষ হিসেবে মেসবাহ এসব ডিজার্ভ করেনা। তোমার কী মনে হয়? করে?”
কপালে চিন্তার রেখা ফুটিয়ে উল্লাসী সুপ্ত গলায় বললো,
“উহু..”
“তাহলে তুমি মেসবাহকে সবটা খুলে বলো। আমার এটুকু বিশ্বাস ওর প্রতি আছে। ও তোমাকে বুঝতে পারবে। তাছাড়া তুমি এখন ওর কাছ থেকে বিষয়টি লুকিয়ে রাখলেও দু’দিন পর যে মেসবাহ জাভেদের বিষয়টি জানতে পারবে না তার কি গ্যারান্টি? আরেকটা কথা মাথায় রেখো.. মেসবাহর তোমার কাছ থেকে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হওয়া আর অন্যের মাধ্যমে অবগত হওয়ার মাঝে আকাশপাতাল পার্থক্য আছে। হতে পারে এখন তোমার উপরে ওর যতটা বিশ্বাস রয়েছে অন্যের কাছ থেকে জাভেদের বিষয়টি জানার পর আর ওই বিশ্বাসটি থাকলো না!”
কথোপকথনের এপর্যায়ে মেসবাহ এবং লিমন এগিয়ে আসতেই থেমে গেল ইভানা। তাদের দিকে চেয়ে মৈত্রীর কথা জানতে চাইতেই লিমন বললো,
“ওসব রাখ। তুই উঠতো! উঠ..”
“কেনো?”
“শালাকে দেখেছিস? চৌদ্দমাইল ফাঁকে দাঁড়িয়েও উল্লাসীর দিকে এমন চোখে তাকিয়ে ছিল যেন কতটা তৃষ্ণায় দিন পাড় করছে সে! বলি শালা উল্লাসী কি পরের বউ? দেখি.. উঠ। ওকে ওর সামনে বসতে দে। দেখি কতক্ষণ ওর দিকে তাকিয়ে থাকতে পারে! ভাইরে আমরাও তো বিয়ে করেছি! বউ থাকে উত্তর পাড়ায় আর আমি দক্ষিণ! তাকাতাকি করবো কখন?”
হেসে উঠলো ইভানা।
“কেনো? তোর জ্বলে?”
“বিশ্বাস কর.. জ্বলেপুড়ে ছারখার হয়ে যায়! তুই উঠ না!”
ইভানা উঠে দাঁড়াতেই লিমনের ভুড়িতে ঘুষি মারলো মেসবাহ। কপাল কুঁচকে ইভানার হাত ধরে টেনে আবারও চেয়ারে বসিয়ে দিয়ে বললো,
“মানসম্মান নিয়ে আর খেলিস না.. মাফ চাই।”
“চারপাশের অবস্থান ভুলে বউয়ের দিকে তাকিয়ে থেকে তুমি বুঝি বহুত সম্মান কামাচ্ছো?”
“ভাইরে ভাই। একটু চুপ কর।”
লিমনকে ধরে টেনে ফাঁকে নিয়ে যাবার চেষ্টায় দু’পা বাড়াতেই পেটের ভেতরটা মুচড়ে উঠলো উল্লাসীর। বেশ খানিকক্ষণ যাবৎ বিতৃষ্ণা বোধ করায় গড়গড়িয়ে খাবারের উচ্ছিষ্ট সে উগরে দিল মেঝেতে।
সকালে দেরি করে উঠার অভ্যাস থাকলেও ব্যস্ত জীবনের চাপে তা হয়ে উঠেছিল বেশ দুঃসাধ্য ব্যাপার। তবে গতরাত পুষ্পর সাথে হাসপাতালে কাটানোর পর তাকে নিয়ে শপিংমলে ঘোরাঘুরি, খাওয়াদাওয়া শেষে ক্লান্তিতে আচ্ছন্ন শরীর নিয়ে বাসায় ফেরায় অবশিষ্ট ছিল না একফোঁটা শক্তি। কোনোরকম জামাকাপড় ছেড়ে মুবিন শরীর এলিয়ে দিয়েছিল বিছানায়। পুষ্পর সাথে কাটানো সময় নিয়ে ভাবতেই ভাবতেই ঘুমিয়ে তলিয়ে পাড়ি জমিয়েছিল রঙিন এক জগতে।
চৈতালির আসা ফোন কলে যখন তার ঘুম ভাঙ্গলো তার তখন সকাল দশটা বেজে পঁচিশ মিনিট। চোখজোড়া ছানাবড়া করে সে একবার দেয়াল ঘড়ির দিকে চেয়ে বললো,
“সর্বনাশ!”
ওপাশ থেকে চৈতালি আর্তনাদের সুরে বললো,
“ওর কষ্ট হচ্ছে.. পুরো শরীর লাল হয়ে গেছে।”
“শফিক ভাইকে আমি কল করে বলে দিচ্ছি।”
“তুমি আসতে পারবে না?”
“আমার তো ব্যাংকে যেতে হবে।”
ফোনের ওপাশ থেকে চৈতালির দীর্ঘশ্বাসের ধ্বনি নজরে এড়ালো না মুবিনের। বিছানা ছেড়ে নেমে ওয়াশরুমের দিকে এগুতে এগুতে সে বললো,
“আচ্ছা আমি আসছি। তুমি চমকের দিকে খেয়াল রেখো।”
ফোনের লাইন কেটে ব্রাশ হাতে নিল মুবিন। সিদ্ধান্ত নিল দ্রুত একবার হাসপাতাল থেকে ঘুরে তারপরই ব্যাংকে যাবে সে।
চমকের শরীরে ফোসকার মতো কিছু পড়ায় বেশ ঘাবড়ে পড়েছিল চৈতালি। ডিউটিরত নার্স দেখে তাকে আস্বস্ত করলেও মায়ের মন মানতে চাইছিল না কোনোভাবেই। তবে মুবিন এসে ডাক্তার ডাকায় শান্ত হলো তার মন। শঙ্কা পুরোপুরি না কাটলেও মুবিনের ব্যস্ততার কথা ভেবে সে শান্ত করলো নিজেকে।
“তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়ে ফেললাম! তবে আজ আর তোমাকে আসতে হবে না। আমি সবটা সামলে নিতে পারবো।”
“কোনো কষ্টই হয়নি.. তুমি সকালে খেয়েছো?”
ছোট একটি নিঃশ্বাস ফেলে মুবিন প্রশ্নখানা করতেই ফোনে রিংটোন বেজে উঠলো তার। হাতে থাকা ফোন চোখের সামনে মেলে ধরতেই স্ক্রিনে পুষ্পর নাম্বার দেখে চৈতালির জবাব উপেক্ষা করে সে পা বাড়ালো করিডরের দিকে।
“আপনি কি ব্যস্ত ছিলেন?”
“না.. বলো।”
“সকালে খেয়ে বেড়িয়েছেন তো?”
হাত ঘড়িতে সময় দেখে নিল মুবিন। কপালের খানিকটা চিন্তার রেখা ফুটিয়ে বললো,
“হ্যাঁ.. তোমার খাওয়াদাওয়া হয়েছে?”
“জ্বি.. অনেক আগেই। আচ্ছা শুনুন না! ভাবি বলেছে আমাকে নাকি হলুদ শাড়িটায় একদম মানাবে না। খেটখেটে কালার হয়েছে নাকি একদম!”
“ভাবি যেহেতু বলেছে অবশ্যই ঠিক বলেছে।”
“তাই? ঠিক বলেছে? তাহলে আপনি কেনো আমায় হলুদ শাড়িটাই নিতে বললেন?”
তীক্ষ্ণ সুরে প্রশ্ন করলো পুষ্প।
জবাবে মৃদু হেসে কিছু একটা বলার জন্য মুবিন মুখ খুলতেই ওপরপাশ থেকে পুষ্প বললো,
“ওহহো! বলতে ভুলেই গেছি! যে কারণে কল করেছিলাম সেটি হলো আপনার বাবা রাতে কল করেছিল। উনি বিয়ের ডেইট এগিয়ে আনতে চাইছেন। বলছিলো ঈদের আগেই উনি অনুষ্ঠানটা সেরে ফেলতে চান।”
রাতে আলাউদ্দিন শেখ তাকে কল করলেও বাইরে থাকায় আর রিসিভ করা হয়ে উঠেনি তার কল। ভেবে খানিকটা উদ্বিগ্ন হলো মুবিন। মনের ভেতরটায় একরাশ ভয় এসে জড়ো হতে শুরু করলো ধীরেধীরে। তবে কি পুরো গ্রামে চৈতালির বিষয়টি ছড়িয়ে গেছে? বাবা কি কোনোভাবে আশংকা করতে পেরেছে চৈতালি এসেছে তার কাছেই?
“কিছু কি হয়েছে? কোনো ঝামেলা হয়েছে কি?”
ঢোক গিললো মুবিন। তার বিবেক বারবার চাইছে পুষ্পকে সবটা জানিয়ে দিতে, তবে মন ঘটাচ্ছে বারবারে ব্যাঘাত।
“চুপ কেনো আপনি? ঝামেলা হয়েছে কোনো? প্লিজ আপনি আমার কাছ থেকে কিছুই লুকাবেন না। কিছু হলে বলুন।”
“আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারবো না পুষ্প। আমায় মাফ করো।”
একদমে কথাটি বলেই কল কেটে ফোন বন্ধ করে দিল মুবিন। অপরপাশ থেকে একটিবারও শোনবার চেষ্টা করলো না পুষ্পর জবাব।
বুকের ভেতরটায় চাপা আর্তনাদে চোখটা ঝাপসা হয়ে এল তার। চারপাশটা ক্ষণিকের জন্য মনে হলো জনমানবশূন্য কোনো নগরী। পারবে না সে পুষ্পর আরেকটি কথা শুনতে.. পারবে না কখনোই পুষ্পর মুখোমুখি দাঁড়াতে। আরও একবার হেরে গেল সে। জীবনের সাথে বাস্তবতার লড়াইয়ে হেরে গেল আরেকটি বার। একদিকে তার প্রথম ভালোবাসা অপরদিকে প্রতিজ্ঞারক্ষা।চৈতালি তার প্রথম ভালোবাসা। যাকে একসময় আগুনের দিকে ঠেলে দিয়েছিল সে। ভাসিয়ে দিয়েছিল কষ্টের সাগরে। অন্যদিকে পুস্প। তার হবু স্ত্রী। যাকে নিয়ে না চাইতেও ভেবে ফেলেছে অনেক কিছুই। এঁকেছে মনের আঙিনায় সুন্দর কিছু মুহূর্তর প্রতিচ্ছবি। মেয়েটিকে করা প্রতিজ্ঞা, তার প্রতি সেই দায়বদ্ধতার সাথে কি তবে সামান্য ভালোবাসার অনুভূতিও জন্ম নিয়েছে?
দমবন্ধ হয়ে আসার জোগাড় হতেই বাতাস একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো মুবিন। পুষ্পর জন্য মনের ভেতরটার ছটফট করছে তার। তার অবুঝ মন বারেবারে বলছে কোথাও কিছু বদলে গেছে তার জীবনে। এক ঝড়ের তান্ডবে সবটা উল্টেপাল্টে দায়বদ্ধতার খাতায় চৈতালি নাম লেখালেও ভালোবাসার খাতায় নাম লেখিয়েছে পুষ্প।
“তোমার বিয়ে ঠিক হয়েছিল?”
হঠাৎ পেছন থেকে চৈতালির আওয়াজ কানে আসতেই চমকে উঠলো মুবিন। দ্রুত শার্টের হাতায় মুখটা মুছে পেছন ফিরে কাঁপা স্বরে বললো,
“তুমি টেনশন করো না চৈতালি। আমরা বিয়ে করে নেব। খুব দ্রুত বিয়ে করে নেব। বড়ভাই, মেজভাই, বাবা সবাইকেই আমি ম্যানেজ করে নেবো। না ম্যানেজ হলেও আমি তোমাকে একা ছাড়বো না।”
“মেয়েটির জন্য তোমার কষ্ট হচ্ছে মুবিন?”
অবিশ্বাস্য গলায় চৈতালি প্রশ্নটি করলেও তার জবাব দিল না মুবিন। ঢোক চেপে সে ক্ষীণ স্বরে বললো,
“আমি না করে দিয়েছি ওদের.. তোমার এনিয়ে ভাবতে হবে না।”
“তুমি কষ্ট পাচ্ছো! মেয়েটাকে তুমি ভালোবেসে ফেলেছো মুবিন?”
ছলছলে নয়নে প্রশ্নটি করেই মুবিনের বিবর্ণ মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো চৈতালি। বুকের ভেতরটা ফেটে যাচ্ছে তার। তীব্র উত্তেজনায় ঘুরছে চারপাশটা।
(চলবে)