1. নতুন গল্পঃ3. রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প গুলোঃআলোছায়ালেখাঃ নাইমা জাহান রিতু

আলোছায়া !! লেখাঃ নাইমা জাহান রিতু

আলোছায়া

“আমি বেরুচ্ছি রফিক মিঞা। ওদিকে মেয়েটার স্কুল ছুটি দিয়ে দিয়েছে বোধহয়! মেয়েটা একা কেঁদেকেটে অস্থির না হয়ে পড়লে হয়!”
দ্রুত পায়ে হাসপাতাল ছেড়ে বেরিয়ে রিকশায় উঠে বসলো মেসবাহ। উদ্বিগ্ন মুখে হাত ঘড়ির দিকে তাকিয়ে রিকশাচালকের উদ্দেশ্যে সানরাইজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের নাম আওড়ে কপালের ঘাম মুছে নিল। স্কুলটি খুব একটা দূরে না হলেও তীব্র এই রোদের মাঝে হেটে যাওয়া আজ সম্ভব হবে না। তাছাড়া আজ বেশ দেরি হয়ে পড়েছে। খুব দ্রুত পৌছাতে হবে তাকে স্কুলে। নয়তো বড়সড় একটি ভুমিকম্প আসতে একদন্ড সময় নেবে না!

(বিঃ দ্রঃ “ আলোছায়া !! লেখাঃ নাইমা জাহান রিতু ” গল্পের সবগুলো পর্ব একসাথে পেতে এখানে ক্লিক করুন)

আবারও হাত ঘড়ির দিকে নজর দিল মেসবাহ। বেলা বাজে দুপুর বারোটা। সূর্যর প্রখর তাপ এসে লম্বভাবে পড়ছে তার উপর। যার উত্তাপে পুরো শরীর ঘেমে ভিজে উঠছে। জ্বলুনি ধরছে পিঠের দিকটায়। হাত বাড়িয়ে রিকশার হুডটা উঠিয়ে দিল সে। লম্বা একটি দম ছেড়ে ফুটপাতের দিকে নজর দিতেই চোখে পড়লো মৈত্রীর স্কুলেরই এক বাচ্চাকে। স্কুল তবে ছুটি হয়ে গেছে? অবশ্য তার রাস্তাও বেশি একটা নেই। কিছুক্ষণের মাঝেই পৌছে যাবে সে। তবে মেয়েটি সেটুকু সময় ধৈর্য ধরে থাকলে হলো! বয়স তার খুব একটা বেশি নয়। সবে চারবছর। তবে উল্লাসীর কথামতোই তাকে পাঁচের কোঠা না পেরুতেই ভর্তি করে দেয়া হয়েছে স্কুলে। এতে বরং উল্লাসীর জন্য সুবিধা হলেও অসুবিধায় পড়েছে সে। রোজ রোজ সকালে উঠে মেয়েকে তৈরি করে তাকে নিয়ে স্কুলে পৌছানো, ডিউটি শেষ না হতেই আবারও মেয়েকে স্কুল থেকে আনবার তোড়জোড় তাকে বেশ নুইয়ে দিয়েছে এই ক’দিনেই।
“বাবা.. আমার বাবা। এসে গেছি আমি।”
গেইট দিয়ে ঢুকেই দুইহাত বাড়িয়ে মেসবাহ ডেকে উঠতেই ঠোঁট ভেঁচকে কেঁদে উঠলো মৈত্রী। আহ্লাদে আটখানা হয়ে দাঁতে দাঁত চেপে ফুঁপিয়ে উঠলো সে।
“ভালোবাসে না.. আমাকে কেউ ভালোবাসেনা।”
“ভুল হয়ে গেছে বাবা। ভুল হয়ে গেছে.. আর হবে না ভুল। বাবা সরি.. খুব সরি!”
সে কথা কানে তুললো না মৈত্রী। বাবার দিক থেকে মুখ ঘোরাতে পিছন ফিরলো সে।
“মা তো ফ্রি। তারপরও মা কেনো আসেনা? তুমি কেনো দেরি করো। আমার যে কষ্ট হয় তা তোমরা বুঝো না?”
মৃদু হাসলো মেসবাহ। পকেট থেকে চকলেট বের করে তা মৈত্রীর দিকে বাড়িয়ে ধরতেই আবারও তার দিকে ফিরলো মৈত্রী। চোখের কোণার পানি মুছতে মুছতে তাকে আঁকড়ে ধরতেই মেয়েকে কোলে উঠিয়ে নিল মেসবাহ। বড়বড় পা ফেলে রিকশার দিকে এগুতে এগুতে বললো,
“মা কোথায় ফ্রি? মার তো একটু পরেই কোচিং-এ যাবে।”
“সকালে তো বাসায়ই থাকে।”
“সকালে তো বাসার কাজ করে মা।”
“বাসার কাজ মা নয় করিম খালা করে।”
“মাকে তো দেখতে হয়।”
চকলেট মুখে পুড়ে নাক কুঁচকে ফেললো মৈত্রী।
“ধুর! মা আমাকে ভালোবাসে না। একটুখানিও ভালোবাসেনা। রশ্নির মা সারাটা সময় স্কুলে এসে বসে থাকে। লাবিবের মাও.. কিন্তু আমার মা আসেনা। তার কত্ত কাজ! তার কত্ত লেখা-পড়াশোনা! সে আমায় খাইয়ে দেয় না.. আমায় কোলে নিয়ে চুমুও খায় না!”
মেয়ের মাথায় চুমু দিল মেসবাহ। তাকে সজোরে বুকের ভেতরটায় চেপে ধরে বললো,
“ওদের মায়েদের পড়াশোনা করতে হয় না বাবা।”
“তবে আমার মারও পড়াশোনা করতে হবেনা।”
“তখন যে তোমার মাকে নিয়ে ওরা মজা করবে! বলবে জানিস মৈত্রীর মা পড়তে জানেনা!”
“আমিও বলবো.. তোদের মাও তো পড়তে জানেনা!”
“উহু! ওদের মায়েদের তো পড়াশোনা শেষ। এখন আর পড়াশোনা বাকি নেই বলেই তোমার মার মতো উনারা পড়াশোনা করে না। তেমন তোমার মারও একসময় পড়াশোনা শেষ হবে।
“কিন্তু তখন তো আমি আর ছোট থাকবোনা বাবা..”
মন খারাপ করে ফুটপাতের দিকে তাকালো মৈত্রী। এখন আর হাতের চকলেট খাচ্ছেনা সে। নড়াচ্ছে না পাজোড়া। চোখভর্তি জল নিয়ে সে ভাবছে.. ভাবছে রশ্নির মায়ের মতো কেনো হলোনা তার মা?
“করিম খালা.. তুমি কচুর লতি রাঁধবে না। ওসব খেলে আমার গলা চুলকোয়।”
বিরক্ত মুখে উল্লাসীর দিকে তাকালেন করিমুন্নেসা। কপাল কুঁচকে বললেন,
“ভাই রানবার কইছে।”
“আর আমি নিষেধ করলাম.. যাও ফেলে দিয়ে এসো।”
“তাই ফালাইয়া দিয়া আসমু? আপনি না খাইলে কন.. আমি খালি ভাইয়ের লেইগা রান্ধি!”
“দরকার নেই..”
“ভাই যে আমারে কইয়া গেল?”
চোখমুখ কুঁচকে ফেললো উল্লাসী।
“এত কথা কেনো বলো করিম খালা?”
করিমুন্নেসা বললেন,
“বারবার করিম খালা করিম খালা করবেন না! আমার নাম করিমুন্নেসা.. স্বামী আদর কইরা ডাকে করিম কইয়া। তয় আমার ওইনাম পছন্দ না।”
আর কথা বাড়ালো না উল্লাসী। রান্নাঘর ছেড়ে বেরিয়ে ড্রয়িং রুমের দিকে এগুতেই বেজে উঠল কলিংবেল।
“এটা ধর..”
“এটা কী?”
উল্লাসীর প্রশ্নে উৎসাহী গলায় মুন্নি সরকার বললেন,
“মালাই কেক.. হাসান বাইনা ধরেছিল বলে বানিয়েছিলাম।”
“কেক আবার মালাইও হয়? দুধের পিঠার মতো ভিজিয়েছো নাকি?”
“হু..”
নাক কুঁচকে ফেললো উল্লাসী।
“দুধ আমার পেটে সহ্য হয় না..”
“তোর খেতে হবে না। মেসবাহ আর মৈত্রীকে দিস।”
“আচ্ছা.. ভেতরে আসবে না?”
“না.. চুলোয় ভাত বসিয়ে এসেছি। মৈত্রী আসলে আমার কাছে পাঠিয়ে দিস। যাচ্ছি আমি..”
দরজা বন্ধ করে ফ্রিজে কেকের বাটিটা রেখে সোফায় এসে বসলো উল্লাসী। গাজী আজমলের জীববিজ্ঞান ২য় পত্র নিয়ে তাতে চোখ বুলাতে শুরু করতেই মাথার ভিতরটায় তার টিপটিপ করে উঠলো। মেসবাহ কোন শখে তাকে দিয়ে মেডিকেল কোচিং করাচ্ছে কে জানে! তবে তার মাথার ভেতরটা এত চাপ নিতে মোটেও প্রস্তুত নয়। মাঝেমাঝে পড়ার হিসেব মেলাতে গিয়ে বুকের ভেতরটায় অদ্ভুত এক ছটফটানি শুরু হয় তার। হাত-পা কেঁপে জ্বর এসে পড়ে। এতসব সামলাতে গিয়ে স্রোতের প্রতিকূলে গা ভাসিয়ে ভুল পথে হারিয়ে যাবেনা তো সে!
“মা..”
পাশ থেকে মৈত্রী চিৎকার করে ডেকে উঠতেই ঘোর কাটলো উল্লাসীর। ঢোক গিলে বুকে থুতু দিয়ে মেয়ের দিকে একনজর তাকিয়ে মৃদু হাসলো সে। মেয়েটি কার মতো হয়েছে? না সে এতটা চটপটে আর না মেসবাহ! তবে এতটা বিচ্ছুপনা কোত্থেকে শিখলো মেয়েটি? মনে চলা প্রশ্নটির জবাব না পেয়ে বইয়ের পাতায় চোখ ডোবাতেই জুতোর র‍্যাকে জুতো রাখতে রাখতে মেসবাহ বললো,
“তৈরি হওনি এখনো? তিনটায় পরীক্ষা শুরু হবে না?”
“হু..”
বই থেকে মুখ না তুলেই জবাব দিল উল্লাসী।
মেসবাহ এগিয়ে এসে বললো,
“দ্রুত চলো.. তোমাকে নামিয়ে দিয়ে আমি একটা কাজে যাবো।”
“ওদিকে আপনার কী কাজ?”
“আছে.. ”
মেসবাহর এমন স্বল্প বাক্যের জবাবে বিরক্ত হলো উল্লাসী। কঠিন করে তাকে দুটো কথা শোনানোর ইচ্ছে থাকলেও পাশ থেকে আসা মৈত্রীর চিৎকার চেঁচামেচিতে তার উপরেই সমস্ত রাগ ঝাড়ার সিদ্ধান্ত নিলো উল্লাসী। গলার স্বর বাড়িয়ে সে কচমচে সুরে বললো,
“এই মৈত্রী.. চেচাচ্ছিস কেনো? গরুর হাট পেয়েছিস বাড়িটাকে? যা বিদায় হ.. মুন্নি ভাবি ডেকেছে। ওখানে গিয়েই গোসল কর। যা বিদায় হ..”
বাসের ডান পাশের চতুর্থ সিটটাতে জানালার ধারে গা লাগিয়ে বসেছে উল্লাসী। গোসল করে বেরুনোর কারণে ভেজা চুল গুলো বারেবারে এসে পড়ছে তার কপালে। আলতো করে ছুঁইয়ে দিয়ে যাচ্ছে তার চোখমুখ সহ গোলাপি ঠোঁটকে। এই দুপুরে অদ্ভুত এক চাওয়া মাথায় ভর করে বসতেই চোখ ফিরিয়ে নিল মেসবাহ। চিন্তার মোড় ঘোড়াতে চোখজোড়া বুজতেই মনে পড়লো লিমনের কথা। লিমনকে আজ বিকেলে একবার দেখা করতে বলেছিল সে। কারণটি অবশ্য সাধারণ নয়। খুব দ্রুত গাড়ি কিনতে যাচ্ছে সে। এর মাঝে একবার লিমনকে নিয়ে গাড়ি দেখেও এসেছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ঈদে সেই গাড়িতে করেই না হয় যাওয়া যাবে গ্রামে! বাতাসে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে আবারও উল্লাসীর দিকে তাকালো মেসবাহ। গলা খাঁকরে ক্ষীণ গলায় বললো,
“মুবিনকে একটা নাম্বার ম্যাসেজ করে দিতে পারবে?”
প্রশ্নসূচক চোখে মেসবাহর দিকে তাকিয়ে কপালের চুলগুলো সড়িয়ে নিল উল্লাসী।
“কার নাম্বার?”
“পুষ্পর।”
“তো আমি কেনো? আপনিই দিন।”
কপাল কোঁচকালো মেসবাহ।
“আমিই দিতাম। তবে আমি বড় ভাই হয়ে ওকে ওর হবু বউয়ের নাম্বার কী করে দেই! বড়ভাবিকে বললাম তুমিই দিয়ে দাও! ভাবি বলে পুষ্পকে নাকি তার পছন্দ হয়নি। তাই নাম্বারও নাকি দিতে পারবেনা।”
“অপছন্দ হবার কী আছে! মেয়েটা বেশ উচ্চশিক্ষিতা, সুন্দরী, নম্র ভদ্র। তো সমস্যা কোথায়?”
সে প্রশ্নের জবাব দিল না মেসবাহ। সমস্যাটি যখন তার জানা নেই তখন জানি না এমন উত্তর দেয়ার মানেই হয় না।
“তা আপনি কই নামবেন?”
আবারও প্রশ্ন করলো উল্লাসী। উত্তরে মেসবাহ ভাবলেশহীন গলায় বললো,
“তোমার সাথেই।”
“মানে আপনিও মেডিকো অব্দি যাবেন?”
“হ্যাঁ..”
“কেনো? আপনার সেখানে কী কাজ?”
“আইয়ুবের কাছে একটু দরকার ছিল।”
“কী দরকার? আমি বুঝি না আপনার ওখানে কেনো যেতে হবে!”
ছটফটিয়ে উঠলো উল্লাসী।
মেসবাহ পূর্ব সুরেই বললো,
“প্রতিদিন যাই নাকি? আজ কাজ পড়েছে বিধায়..”
মেসবাহকে মাঝপথেই থামিয়ে দিল উল্লাসী। আবারও জানালার গ্লাসে মাথা হেলিয়ে দিয়ে বললো,
“ঠিকাছে আপনি যান। তবে আমায় নিয়ে কোনো কথা তোলার দরকার নেই। প্রতিদিন ক্লাসে এসে উনি আমায় ভাবি বলে ডাকলে আমার অস্বস্তি হয়। ক্লাসের সবাই এমন হা করে তাকিয়ে থাকে যেনো আমি মানুষ নই কোনো এলিয়েন!”
বুকচিরে গভীর এক দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে অপরপাশ ফিরলো মেসবাহ। মেডিকোতে যাবার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে সে। সামনে কোথাও বাস থামালে নেমে পড়বে। যাবে লিমনের খোঁজে। তবে কি উল্লাসীর কথায় কষ্ট পেল সে? হয়তোবা.. তবে উল্লাসীও মাঝেমাঝেই তার কাজে কষ্ট পায়। এইতো এরইমধ্যে যেদিন তার এইচএসসি শেষ হলো সেদিনের ঘটনা! আগে থেকেই উল্লাসী ঠিক করে রেখেছিল শেষ পরীক্ষার রাতটা বিশেষভাবে উদযাপন করবে। একারণে সেইরাতে মৈত্রীকে রেখে এসেছিল মুন্নি ভাবির কাছে। তবে সে কী করেছিল? সারাদিনের অজস্র ক্লান্তি তার দু’চোখে এত করে চেপে বসেছিল যে, উল্লাসীর জন্য দুই দন্ড অপেক্ষা না করেই ঘুমে তলিয়ে গিয়েছিল। নষ্ট করে দিয়েছিল সে রাতকে ঘিরে বোনা উল্লাসীর সকল চাওয়া-পাওয়াকে। তবে সে নিয়ে তো কোনো অভিযোগ করেনি উল্লাসী! পরনের নতুন শাড়ি নিয়েই পরম যত্নে তার বুকে মাথা রেখে কাটিয়ে দিয়েছে একাকী এক রাত.. তবে কেনো আজকাল তার অন্তরে উদয় ঘটে এত অভিযোগ উল্লাসীকে ঘিরে?
“আসসালামু আলাইকুম..”
“ওয়ালাইকুম সালাম। কে বলছেন?”
“বড়ভাবি আপনাকে নাম্বার দেয়নি নাকি আপনি নাম্বার সেইভ করেননি?”
ফোনের অপরপ্রান্তের মেয়েটির গলার স্বর শুনে একমুহূর্ত ভাবলো মুবিন। গ্লাসে কফি ঢেলে তা নিয়ে ড্রয়িংরুমের দিকে এগুতে এগুতে বললো,
“বড়ভাবি দেয়নি.. তবে ছোটভাবি দিয়েছে। কিন্তু সেইভ করা হয়নি।”
“কেনো সেইভ করেননি? দরকার পড়েনি নাকি সময় হয়ে উঠেনি?”
“সময় হয়ে উঠেনি।”
কফির মগে চুমুক দিল মুবিন। তবে অপরপাশ থেকে পুষ্পর আর কোনো সাঁড়া না পেয়ে সে আবারও বললো,
“তা ভালো আছেন?”
“আছি.. আপনি বুঝি ব্যস্ত ছিলেন?”
“ছিলাম একটু..”
“তবে কি বিরক্ত করলাম?”
ছোট একটি শ্বাস ছেড়ে মুবিন বললো,
“না.. কিছু বলতেন?”
“হ্যাঁ.. আচ্ছা একে একে দুই হলে দুইয়ে দুইয়ে কত হয়?”
পুষ্পর ধাঁধার উত্তরে একদন্ড ভেবে মুবিন ইতস্ততভাবে বললো,
“চার?”
“হ্যাঁ.. কিছু মনে না করলে আরেকটা প্রশ্ন করতে পারি?”
“করুন..”
“বাংলাদেশের জাতীয় ফল কোনটি?”
“কাঠাল..”
“আর মানুষের হাতের আঙ্গুল? একহাতে কয়টি আঙ্গুল থাকে?”
“এসব বাচ্চাদের প্রশ্ন আমায় কেনো করছেন? বাচ্চাকাচ্চা পড়াতে পারবো নাকি সে পরীক্ষা নিচ্ছেন?”
“উহু.. তাইলে বলুন আইডেন্টিকাল টুইনের ডিএনএ রিপোর্ট সেইম হলেও ফিংগারপ্রিন্ট রিপোর্ট সেইম নয় কেনো?”
কপাল কুঁচকে ফেললো মুবিন। মিনিট খানেক নীরবতার পর সুপ্ত গলায় বললো,
“পাঁচটি..”
“কী?”
“একহাতের আঙ্গুল।”
মুবিনের উত্তরে ফোনের অপরপাশ থেকে হেসে উঠলো পুষ্প। তবে তার সেই হাসিতে নেই কোনো তাচ্ছিল্য। আছে শুধুই একরাশ মুগ্ধতা…
-চলবে

বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

বিঃ দ্রঃ ” লেখাঃ নাইমা জাহান রিতু ” লেখকের লেখা অন্য গল্প গুলো পড়তে এখানে ক্লিক করুন !!

👉আমাদের ফেসবুক পেজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *