আমার ক্রাশ বর সিজন- 2 !! Part- 07
এরপর হঠাৎ করে আরিয়ান সামনে থেকে কিছু জঙ্গলি ফুল তুলে নিজের হাতে খুব সুন্দর করে একটা ব্রেসলেট বানিয়ে অনুর বাম হাতে পড়িয়ে দেয়।
আরিয়ানের এমন কাজ দেখে তো সবাই অবাক!
অনু তো খুশীতে গদগদ হয়ে যায়।
উফফ মনের মানুষ যখন নিজের হাতে কোনো কিছু তৈরি করে উপহার দেয় তার তার থেকে দামী আর কোনো উপহার হতে পারে না।
অারিয়ান অনুর হাতে ব্রেসলেট টা পরিয়ে দিয়ে বলে,”তোমার মতো মিষ্টি মেয়ের হাত ফাঁকা থাকা মানাই না।তাই এটা বানিয়ে পড়িয়ে দিলাম।।”
রাজ বলে,”তার মানে তোর মনের ভেতর কিছু না কিছু তো আছেই।”
আরিয়ান বলে,”দেখ রাজ আজারে কানের কাছে ঘ্যানঘ্যান করবি না তো।সব সময় সব কিছুতে ফাইজলামি ভালো লাগে না আমার।”
রাজ বলে,”তোর মতো নিরামিষের তো কিছুই ভালো লাগবে না! ”
অনু বলে,”রাজ ভাইয়া উনি কোন দিক দিয়ে নিরামিষ আমার তো আমিষ আমিষ মনে হয়।”
রাজ বলে,”ওহ প্লিজ অনু আমাকে ভাইয়া বলে ডাক দিও না কলিজায় লাগে।”
অনু, “কেনো ভাই আপনি কি আমাকে পছন্দ করেন যে কলিজায় লাগে? ”
রাজ ::-আরে তেমন কোনো কিছু না,,শালী তো আধি ঘরওয়ালী হয় তাই।”
অনু :আগে রিদির সাথে বিয়ে হোক তারপর আমাকে আধী ঘরওয়ালী ভাবতে যাবেন।
এবার আরিয়ান একটা ভ্রূ কুঁচকে অনুর দিকে তাকিয়ে বলে,”এই ঝাঁঝ লবঙ্গ আমিষ আমিষ লাগে মানে কি? ”
অনু একটু লজ্জা লজ্জা ভাব নিয়ে বলে,”এহহহ আসছে কচি খোকা কিছুই যেনো বোঝেনা।”
অারিয়ান বলে, “অনু এইসব ফালতু কথা একদম বলবে না।ছোট মানুষ ছোটদের মতো থাকো।”
রিমা বলে,”এই যা হহহ ভাই এটা কি করলেন ওরে ছোট মানুষের খোঁটা দিয়ে ঠিক কাজ করেন নাই।এবার দেখেন কতো কাহিনী করে অনু। ”
অনু আরিয়ানের শার্টের কলার ধরে বলে,”এই বেয়াদব আমিষ! আমাকে কোনদিক দিয়ে ছোট বাচ্চা মেয়ে মনে হয়? আমি কলেজ পড়ুয়া মেয়ে।দেখতে মাশাআল্লাহ খারাপ না।ভদ্র তবে একটু প্রতিবাদী।”
আরিয়ান অনুর হাত ধরে বলে, “তোহহ তাতে আমি কি করবো? ”
অনু বলে,”ঘোড়ার ঘাস কাটবেন কি আর করবেন। জানেন আমার দাদীমা ষোল বছর বয়সে দুই সন্তানের মা হয়ে গেছে।
তার নাতনী কে কি না আপনি ছোট মানুষ বলছেন? কোনদিক দিয়ে আমি ছোট?
আমি আর শিশু নেই এখন একজন তরুণী।
শুধু আঠারো বছর হবার অপেক্ষায় আছি।
আঠারো বছর হলে সরকারি আইন অনুযায়ী বিয়ের জন্য প্রাপ্ত বয়সী হয়ে যাবো।”
আরিয়ান বলে,”ওরে আল্লাহ গো এ মেয়ে কতো কথা বলতে পারে গো!আগে জানতাম ঝগড়াটে এখন দেখছি আস্তা বাচাল।”
অনু বলে,”সত্যি কথা বললে বাঁচাল তাই না? নিজেরা যখন বলেন কুড়ি পার হলে মেয়েরা বুড়ি তখন এ কথা মাথায় থাকে না?””
আরিয়ান অনুর সামনে দুই হাত জোড় করে বলে,”সরি মিস ঝগড়াটে আমার ভুল হয়ে গেছে মাফ করে দিন।আর কখনো আপনার সাথে লাগতে যাবো না।
এরপর রিমা অনুকে টান দিয়ে একটু দূরে এনে বলে, “অারে অনু তুই কতো বোকা তা কি জানিস? ”
অনু বলে,”কেনো আমি কি বোকামি করেছি? ”
রিমা বলে,”আরে গাধী তুই যে ভাবে বিয়ের কথা বলেছিস তাতে তো তোকে সবাই বিয়ে পাগলি ভাবতে যাবে।তখন কি আর আরিয়ান তোকে পছন্দ করবে বলে তোর মনে হয়? ”
অনু বলে,”আরে হা,তাই তে!
যাহ আমি নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মেরেছি।
এরপর থেকে কুড়াল মারার সময় পা সেভ রেখে কুড়াল মারবো।”
রিমা বলে, “তাহলে তো যে লাউ সেই কদু একই বিষয় হলো।”
অনু বলে,”আরে ধুর ওসব বাদ দে তো।”
এরপর সবাই মিলে এক সাথে অনেক ঘুরাঘুরি করে।একটু খাওয়া দাওয়া করে।
আরিয়ান একটা বিষয় লক্ষ করে অনু সব সময় সবার চোখের আড়ালে গিয়ে অারিয়ান কে দেখে।
আরিয়ান বুঝতে পারে অনু হয়তো তাকে পছন্দ করতে শুরু করে দিয়েছে।
আরিয়ান ভাবে,”আমি তো রাজ না যে এই সব ছ্যাঁচড়া মার্কা প্রেম ভালবাসা করে জীবন পার করে দিবো।হয়তো অনুকে নিয়ে আমার মনের ভুল চিন্তা এসব।”
এরপর রিমা রিদি অনু সবাই চলে যায়।
ওরা চলে যাবার পর নিরব রাজ কে বলে,”দোস্ত তুই তো একটার সাথে দুইটা সুন্দরি ফ্রি পেয়েছিস।”
রাজ বলে,”সবি আমার ভাগ্য!
তবে অনু মেয়েটা বাকী দুজনের মতো না।
ওদের থেকে একদম আলাদা সে।”
সিয়াম বলে,”ওদের নিয়ে কি তোর কোনো প্লানিং আছে? ”
অারিয়ান লাফ দিয়ে বলে ওঠে,”এই প্লানিং প্লটিং এইসব মানে কি? ”
রাজ, “আরে Nothing else, just cool done my cousin brother. ”
আরিয়ান :যে মেঘে গর্জন বেশী হয় সে সে মেঘে কিন্তু বর্ষণ বেশি হয় না।
রাজ :মানে কি বোঝাতে ছাইছি?
আরিয়ান রাজের পিঠে থাপড় দিতে দিতে বলে,”আরে দোস্তো তুই তো ঝোপ বুঝে কোপ দেওয়ার ছেলে।সে কোপ কোথায় পররে তা ভালো করে জানা আমি।এবার এই সংলাপের পেছনে মানে খুঁজতে যাবি না কিন্তু। ”
রাজ :যেমন তুই তেমন তোর ফালতু লজিক।
সিয়াম বলে,”আরিয়ান আচ্ছা একটা কথা সত্যি করে বলতো তুই কি অনুকে পছন্দ করিস?”
আরিয়ান :তোদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে না কি?আমি করবো তাও অনুকে পছন্দ ইম্পসিবল।”
নিরব বলে,”হুম তোর পছন্দ হবে তোর মতো নিরামিষ কোনো মেয়ে।অনুর মতে মেয়ের তোর জন্য না।”
সিয়াম বলে,”তুই যাকে মনের কথা বলবি রাজ তাকে করে নিবে।””
আরিয়ান বলে,”যাকে আমি ভালোবাসবো তাকে রাজ কেনো পৃথিবীর কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।”
নিরব বলে,”তোর ভালবাসার রাস্তায় কাটা দু জন।একদিকে রাজ অন্যদিকে রুবি।
তুই যাবি কোন দিকে হাহাহাহ! ”
আরিয়ান বলে,”এই আরিয়ান কে হয়তো তোরা এখনো চিনিস না।আমি রাজের মামাতো ভাই তবে রাজের থেকে কোনদিক দিয়ে কম না।আমিও রোমান্টিক কম না সময় হলে তোদের প্রমাণ করে দিবো দেখবি। ”
রাজ আরিয়ানের এ কথা শুনে মাটিতে গড়াগড়ি খেতে শুরু করে দেয়।
আরিয়ান বলে,”বেয়াদব পোলা বেশী করে খা তুই গড়াগড়ি। ”
তাই বলে আরিয়ান চলে যায়।
আর বাকি সবাই আরিয়ানের চলে যাওয়া দেখে ঠাট্টাতামাসা করতে থাকে
(সরি আমি খুব ব্যস্ত তার জন্য আজ পর্ব বড় করে দিতে পারি নাই।আশা করছি সবাই বুঝবেন😞)
‘
‘
‘
‘
চলবে…..