আজব প্রেমের কাহিনি

আজব প্রেমের কাহিনি !! Part- 19

মেরিন অবাক হয়ে গেলো কারন সবার মুখ ভারী। আর নতুন ১জন মানুষের পেছন দিকটা দেখতে পাচ্ছে। লোকটা নীল রঙের suit পরা। লোকটা মেরিনের দিকে ঘুরলো। আর লোকটাকে দেখে মেরিনের চোখ কপালে উঠে গেলো। চোখে-মুখে ভয়। তার চোখও নীল। মেরিনের মুখ দিয়ে বেরিয়ে
গেল:নীল…..

.

নীল দৌড়ে মেরিনকে জরিয়ে ধরলো।
নীল: তোমাকে কতো খুজেছি জান….. তুমি ছারা এতোদিন কিভাবে কেটেছে তা কেবল আমি জানি….
মেরিন ধাক্কা দিয়ে নীলকে সরিয়ে দিলো।
মেরিন: don’t touch me নীল…..
তখন মেরিন শুনতে
পেলো: এমন করতে নেই মা….
মেরিন ঘুরে দেখলো কবির-কনিকা-তারা দারিয়ে আছে। মেরিন ১গাল হেসে ওদের কাছে গেলো।
মেরিন: আম্মু… আপু….
ওদের জরিয়ে ধরলো।
কবির: জল্লাদ বাপটাকে জরিয়ে ধরবি না মা….?
মেরিন: উহু……
কনিকা: না হয় একটু মনমালিন্য হয়েইছে তাই বলেকি জামাইর সাথে এভাবে রাগ করে থাকবি? আর আমাদের সাথেও যোগাযোগ বন্ধ করে দিবি….
মেরিন: জামাই? কিসের জামাই? আর আমি কিভাবে কবে যোগাযোগ বন্ধ করলাম….. আমি তো…. আর আপুর সাথে তো সেদিনও দেখা হলো….
নীল: থাক মা বাদ দিন…… আমি আমার বউকে পেয়েছি দুনিয়া পেয়েছি…. আর কিছু চাইনা…
মেরিন: বউ? কিসের বউ?
তারা: এভাবে বলিস নারে…. স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কতো রকমের ঝগড়া হয়েই থাকে….
মেরিন: চুপ একদম চুপ। কি স্বামী-স্ত্রী স্বামী-স্ত্রী করছো…. নীলের সাথে আমার বিয়ে কবে হলো?
নীল: জান এমন করেনা…. আমি আর কখনো তোমাকে বকা দিবোনা…. তুমি অন্যছেলেদের সাথে কথা বলো বা প্রেম করো তবুও কিছু বলবোনা। তবুও তুমি আমার কাছে থাকো। ছেরে যেওনা।
মেরিন ঠাস করে নীলকে থাপ্পর মারলো।
মেরিন: আরেকটা বাজে কথা বললে তোর জিহ্বা টেনে ছিরে ফেলবো নীল…..
মেরিন দৌড়ে নীড়ের সামনে গেলো।
মেরিন: নীড় বিশ্বাস করুন আ…..
নীড় ঠাস করে মেরিনকে থাপ্পর মারলো।
নীল মেরিন বলে দৌড়ে গিয়ে ওকে ধরলো।
নীল:জান… hey you…. mr chowdhuri… আপনার সাহস কি করে হয় আমার সামনে আমার বউকে থাপ্পর মারার।

.

মেরিন আবার নীলকে ধাক্কা দিয়ে দুরে সরালো। মেরিন: বিশ্বা…
নীড়: চুপ….😠…
নীড়ের ঝাড়িতে সারা বাড়ি কেপে উঠলো।
নীড়: যদি আরেকবার “বিশ্বাস” শব্দটা উচ্চারন করেছো….. জানে মেরে ফেলবো। লজ্জা করেনা অন্যজনের বউ হয়ে ….
মেরিন: আমি নীলের বউনা…. আমি স…
নীড়: চুপ….
বলেই নীড় কতোগুলো ছবি মেরিনের ওপর ছুরে মারলো। মেরিন দেখলো যে ওগুলো নীল-মেরিনের বিয়ের ছবি।
মেরিন: এগুলো সব মিথ্যা….
নীড়: মিথ্যা… হাহাহাহা…. মিথ্যা…. আচ্ছা ওগুলোও মিথ্যা…. তবে এই কাবিননামা?? সেটাও মিথ্যা….
বলেই নীড় নীল-মেরিনের কাবিননামাটাও মেরিনের ওপর ছুরে মারলো।
মেরিন: মিথ্যা মিথ্যা মিথ্যা সব মিথ্যা…. নীলের সাথে আমার বিয়ে হয়নি। এগুলো সব নীলের মায়া। সব মিথ্যা।
নীড়: মিথ্যা?
নীড় মেরিনের হাত ধরে নিয়ে কবির-কনিকা-তারার কাছে নিয়ে গেলো।
নীড়: এরাও কি মিথ্যা? বলো নীলের মতো এদেরকেও চিনো না?
মেরিন: কেন চিনবো না? এরা আমার আম্মু আপু আর জল্লাদ বাপ। আর আমি তো একবারও বলিনি যে আমি নীলকে চিনিনা….
নীড়:🤣🤣। মিথ্যাবাদী… কলঙ্কিনি….
মেরিন: বিশ্বাস করুন নীড় আমি কখনো কোনো মিথ্যা বলিনি….😢😢😢
নীড়: তোমার সবটাই মিথ্যা… যে মেয়ে মা-বাবা থাকতে বলতে পারে যে বেচে নেই সেই মেয়ের কাছে কিছু আশা করাই বেকার….
মেরিন: আমি তো কখনোই বলিনি যে ওরা মারা গেছে আমি বলেছি যে ওরা পৃথ…
নীড়: shut up…. just shut up… মিথ্যার পর মিথ্যা বলে গেছো তুমি। আমার ভালোবাসা নিয়ে খেলা করেছো…. তোমার মতো মেয়ের মুখও আমি দেখতে চাইনা। ঘৃণা হচ্ছে আমার…
মেরিন: নীড় আমার কথাটা…
নীড়: i hate u…..
মেরিন: but i love u…. আপনি আমার কথা শুনতে বাধ্য… কারন আমি আপনার বিয়ে কপা বউ….
নীড়: বউ…. হাহাহাহা…. তুমি আমার বউ নও। ১বার কারো সাথে বিয়ে হলে তালাক না হওয়ার আগে ২য় বিয়ে করলে সেটা কখনোই বৈধ হয়না। তাই তুমিও আমার বউনা….
তুমি আমার কেউনা…. কিচ্ছুনা….
বলেই নীড় ওপরে চলে গেলো। মেরিনও যেতে নিলে সারা চৌধুরী পরিবার ওর পথ আটকালো….

.

মেরিন: প্রনয় ভাইয়া তুমিই বোঝাও না। ভা….
প্রনয়: খবরদার আমাকে ভাইয়া ডাকবেনা। ঠক প্রতারক… নিজের বোন ভেবেছিলাম…. আর তুমি…
নীলিমা: মেয়ের মতো ভালোবাসা দিয়েছি তোমায়। আর তুমি…. ছিঃ….
দীদা: চরিত্রহীনা…
মেরিন: যা মন চায় বলো. কিন্তু আমাকে আমার নীড়ের কাছে যেতে দাও।
বলেই মেরিন দৌড়ে নীড়ের কাছে গেলো। গিয়ে নীড়কে পেছন থেকে জরিয়ে ধরলো।
মেরিন: আমার কথাটা ১টা বার শুনুন…..
নীড় মেরিনকে ধাক্কা মারলো। মেরিন পরে গেলো।
নীড়: আপনি আপনার অপবিত্র হাত দিয়ে আমাকে ছোবেননা…. গা ঘিনঘিন করছে আমার।
বলেই নীড় মেরিনের হাত ধরে টেনে ঘরের বাইরে বের করে দরজা লাগিয়ে হাটু গেরে বসে দরজায় মাথায় ঠেকিয়ে কান্না করতে লাগলো। আর ওদিকে মেরিনও দরজায় মাথা ঠেকিয়ে কান্না করছে।
মেরিন: নীড়.. … ওই নীল ধুর্ত….. ও ১টা fairy prince …. আমিও ১টা পরী। আমি পরীরাজ্য থেকে এসেছি…. আমার মা-বাবাও পরী। আমার বাবা পরীরাজ্যের রাজা……
মেরিনের কথা আজকে নীড়ের রাগ উঠাচ্ছে। নীড় ধপাস করে দরজা খুলল।
মেরিন: নীড়….
নীড়: আপনি পরী….
মেরিন: হামম….
নীড় মেরিনের হাত ধরে টেনে নিচে নিয়ে গেলো।

.

নীড়: শোনো সবাই… মিসেস নীল নাকি পরী…. সে জাদু জানে…..
তো পরী…. কিছু জাদু দেখাও। প্রমান করো যে তুমি পরী…..
মেরিন: এখনই দেখাচ্ছি…..
মেরিন জাদু করলো কিন্তু কাজ হলোনা। আবার চেষ্টা করলো তবুও লাভ হলোনা।
নীল মন মনে: সুন্দরী…. তোমার জাদুতো কাজ করবে না….. ১প্রহরের জন্য যে তোমার জাদুকে বন্ধ করে রেখেছি….
মেরিন নীলের দিকে তেরে গেলো।
মেরিন: তুই আমার শক্তির সাথে কি করেছিস….
নীল: শক্তি? কিসের শক্তি…..
কনিকা: তুই এগুলো কি বলছিস রে মা….. কিসের শক্তি? কিসের পরী?
নীল নীড়ের কাছে হাত জোর করে
বলল: আমার বউয়ের তরফ থেকে আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা চাইছি…. ক্ষমা করে দেবেন please …… চলো জান…
মেরিন: ছুবি না আমাকে….
মেরিন আবার নীড়ের কাছে গেলে নীড় হাত ধরে টেনে বাড়ির বাইরে বের করে দিলো।
নীড়: তোর ওই মুখ ২য় বার দেখার আগে যেন আমার মরন হয়….
বলেই নীড় দরজা লাগিয়ে দিলো।

.

মেরিনের কাছে সময়টা আটকে গেলো। ওর কানে বারবার নীড়ের কথাটাই বাজতে লাগলো। নীল যে ওকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে ওর কোনো খেয়ালই নেই….. আর যখনই খেয়াল হলো ১টা ঝারা দিয়ে নীলকে ফেলে দিলো। তারপর ও কবির-কনিকা-তারার দিকে তাকালো। প্রহরও প্রায় শেষ হতে চলল। মেরিনের শক্তিও ফিরে এলো। মেরিন চোখ দিয়ে ৩জনকে ভষ্ম করে দিলো। কারন ওরা আসলে নীলের মায়া ছিলো। মেরিন একের পর এক আক্রমন করতে লাগলো নীলের ওপর…. যা নীলকে কুপোকাত করে দিলো।
মেরিন: আজ আমি তোকে শেষ করে দিবো…..
নীল নিজেকে সুরক্ষা কবজে আবদ্ধ করে নিলো। আর অবাকও হলো। কারন মেরিনের সব জাদু ঠিক হচ্ছে।
মেরিন: আজকে তোকে ১টা শিক্ষা দিবো নীল…. কোনো কবজই তোকে রক্ষা করতে পারবেনা….
বলেই মেরিন নীলের সেই সুরক্ষা কবজ ধংব্স করে দিলো। নীল কোনো রকমে নিজেকে বাচিয়ে চলছে।
নীল: দারাও মেরিন….. তুমি যদি আরেকবার আমাকে আঘাত করার চেষ্টা করো তবে তোমার নীড়কে আমি শেষ করে দিবো।
মেরিন: হাহাহাহা…… ভুলে গেছিস নীল পরী জগতের নিয়ম? পরীরা কোনো মায়া প্রয়োগ করে কাউকে শেষ করতে পারেনা…. আর রইলো আমার নীড়ের কথা…. তুই ভুলে যাসনা যে নীড় কেবল ১টা মানুষই না… ও পরীরাজ্যের রাজকন্যা মেরিনের স্বামী…. ওর দিকে চোখ তুলে তাকানোর ক্ষমতাও তোর নেই। আর আমার শশুড় বাড়িতো আমি যাবোই।
নীল: হাহাহাহাহা….. সেগুরে বালি…. তুমি আর কখনোই চৌধুরী বাড়িতে ঢুকতে পারবেনা…. আমি ও বাড়ির চারপাশে অদৃশ্য দেয়াল দিয়ে রেখেছি। যেটা তুমি কখনোই পার করতে পারবেনা….. আর না তুমি কখনো নীড়ের সামনে জাদু করতে পারবে…
মেরিন: আমি তো
শাস্তি পেয়ে এই পৃথিবীতে এসেছি…. তোর যে কোথায় জায়গা হবে তা কেবল আল্লাহ ই জানেন।
নীল: যেখানেই হোক আমার সাথে কেবল তুমিই থাকবে…
মেরিন: কখখনো না…. আমাকে স্পর্শ করারও ক্ষমতা তোর নেই…. কারন আমি অন্যজনের স্ত্রী….
নীল: নেই তো হয়ে যাবে আর মাত্র ১পূর্নিমা….. এরপরই আমি নীল পরীরাজ্যের রাজা হবো। আমার শক্তি তখন অসীম হয়ে যাবে। হাহাহাহাহা…..
বলেই নীল চলে গেলো।

.

৫দিনপর…..
মেরিন চলে যাওয়ার পর নীড়কে আলাদা ভাবে react করতে দেখেনি কেউ….. ওর হাবভাব এমন যেন কিছুই হয়নি। যা পুরো পরিবারকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। আজকে নীড়ের fasion city দেশের সেরা ১টা fasion house এর সাথে deal sign করতে যাচ্ছে। যেটা নীড়ের জন্য অনেক কিছু….. deal final হলো। নীড় অবাক হলো কারন meeting টা করলো ওই company এর ম্যানেজার…. এমনকি পেপারে signও করালো ম্যানেজার।

.

পরদিন….
আজ কাজ শুরু হবে। তবুও MD এর দেখা নেই।
নীড়: excuse me…. আপনাদের company এর MD কোথায়? আপনিই সব করছেন….
তখন নীড় শুনতে
পেলো: MD is just behind on you….
নীড় সাথে সাথে পিছে ঘুরলো…. সাংঘাতিক অবাক হলো। কারন কালো office suit পরে মেরিন দারিয়ে আছে। hair style টা ভিন্ন। ঠোটে গাঢ়ো করে লাল লিপস্টিক। পায়ে হাই হিল। চোখে কালো goggles… ওকে দেখে মনে হচ্ছে #bang bang গানের ক্যাটরিনা কাইফ….😍😍। হাজার অবাক হলেও নীড় সেটা প্রকাশ করলো না…..

(আসলে মেরিন জাদু দিয়ে রাতারাতি এই companyটা কিনে নিয়েছে। )
নীড়: ms. লিলি…
(নীড়ের নতুন PA)

লিলি: yes sir…
নীড়: আমি এখনই এই contract টা cancel করতে চাই।
লিলি: কিন্তু স্যার এটাতো সম্ভব না।
নীড়: what?why? মেরিনের ম্যানেজার: স্যার আগামী ৬মাসের আগে আপনি চাইলেও এই contract ভাঙতে পারবেননা। otherwise …. আপনার ম্যাডামকে বিয়ে করতে হবে।
নীড়: what???
ম্যানেজার: yes sir…. আর এটা তো জানেনই যে ম্যামের আন্ডারে আপনার কাজ করতে হবে….
নীড় রেগে মেগে বেরিয়ে গেলো। গাড়িতে গিয়ে বসলো। আর বসে অবাক হয়ে গেলো। কারন মেরিন ওর পাশে বসে আছে। নীড় তবুও react করলো না।
ঠান্ডা মাথায় বলল: ম্যাম আপনি এখানে….
মেরিন:any doubt …. আপনি যেখানে আমি সেখানে….
বাধ্য হয়েই নীড়কে মেরিনের সাথে কাজ করতে হলো। কাজের নামে মেরিন জোর করে নীড়ের কোলে চরে বসে থাকে। কারন contract paper এ লেখা আছে যে মেরিনকে নীড়ের কোলে নিতে হবে, ওকে খাইয়ে দিতে হবে।😁😁। মেরিন অনেক অনেক জ্বালায় নীড়কে। কিন্তু নীড় ১টা কথাও বলেনা মেরিনের সাথে। এমনকি ফিরেও তাকায়না। মেরিনের চোখের দিকে তো একদমই না…. কারন নীড় জানে যে যদি ওই গোলাপী চোখের দিকে ১বার ও তাকায় তবে ওর নিজের ওপর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলবে।

.

১০দিনপর…
রাত এলো মেরিনের office এ…. এসেই নীড়কে জরিয়ে ধরলো।
রাত:জান জান জান…. এই দেখ আমাদের বিয়ের কার্ড।
কথাটা শুনেই মেরিনের মাথায় আগুন লাগলো। মেরিন রাতকে ঠাস করে থাপ্পর মারলো। এরপর রাতের চুল ধরে টানতে টানতে নিচে নিয়ে গেলো।
মেরিন: আর কোনোদিন যদি তোকে আমার নীড়ের সামনে দেখি তো কি করবো নিজেও জানিনা….
রাত: এই অপমানের বদলা আমি নিবোই।
বলেই রাত চলে গেলো। রাত যেতেই নীড় মেরিনকে ঘুরিয়ে ঠাস করে থাপ্পর মারলো।
নীড়: সাহস কি করে হয় আপনার ….. আমার রাতের গায়ে হাত দেয়ার….
মেরিন নীড়ের কলার ধরে চোখে চোখ রেখে
বলল: নীড়ের রাত না নীড়ের মেরিন…. এতোদিন যেটা থেকে নীড় নিজেকে বাচিয়ে রেখেছে সেটাই চোখে পরলো। মেরিনের গোলাপী চোখ….. কিন্তু না মেরিনের দেয়া আঘাত নীড় কখনোই ভুলতে পারবেনা। ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো।
নীড়: মেরিন নীড়ের কেন… কারোরই না। কি দেখাতে চাও ? আমাকে ভালোবাসো? তোমার মতো নারীদের জন্যই নারী জাতিদের বদনাম হয়……. আর কখনো আমার সামনে আসবেনা….. তোমার ওই মুখও আমি আর কখনো দেখতে চাইনা। যদি কখনো ওই মুখ আমাকে দেখাও তো আমার মরা মুখ দেখবে…
কথাটা বলতে দেরি আছে মেরিনের চোখ ভারী হতে দেরী হয়নি। যেই গোলাপী চোখে নীড় দুষ্টুমি-আনন্দ দেখেছে সে চোখে পানি দেখা নীড়ের পক্ষে সম্ভব না। তাই নীড় ওখান থেকে চলে গেলো।

.

মেরিনের কানে নীড়ের বলা কথা বাজতে লাগলো। মেরিন বসে বসে কাদতে লাগলো। আজ পরীরাজ্যের সবথেকে সুন্দর পরী কান্না করছে। যে কখনোই কারো ক্ষতি করেনি। মিথ্যা বলেনি। তাই আজকে মেরিনের কান্নায় আজকে আকাশ বাতাসও কাদছে। ঝড়ো বৃষ্টি শুরু হলো।

.

ওদিকে রাতের মাথা গরম….
আজকে মেরিন ওকে কতো অপমান করলো….. অন্যদিকে…. নীল আবার পৃথিবীতে এলো। তবে রাজা নীল….. নীল এসে মেরিনকে ছুতে গেলে ছুতে পারলো না। এরপর নীড়ের ক্ষতি করতে গেলো তাও পারলোনা।
নীল: নীড়ের ওপর আমার জাদু নাই বা effect করুক… আমি নাই বা নীড়কে মারতে পারি…. অন্য মানুষ তো পারবে।
নীল জাদু দিয়ে উপায় খুজতে লাগলো। উপায় পেয়েও গেলো। সেটা হলো রাত। নীল রাতের ১ ঘনিষ্ঠ বন্ধু সেজে ওকে idea দিলো যে ১জন shooter hire করে মেরিনকে মেরে ফেলার জন্য। রাত রাজিও হয়ে গেলো। আবার নীল নীড়কে ফোন করলো।
বলল: নীড় স্যার…. আপনার হবু বউ রাত মেরিনকে মেরে ফেলার জন্য ১জন shooter hire করেছে।
কথাটা শুনে নীড়ের মাথা ঘুরে গেলো। মেরিনকে বাচাতে বেরিয়ে পরলো।
নীল: 🤣🤣। যাও নীড় যাও… গিয়ে গুলিটা খাও…. মেরিন তো আর গুলিতে মরবেনা… ও যে পরী….. আমি তো জানি যে মেরিনকে গুলি করে মেরে ফেলার কথা শুনে তুমি এক মিনিটও দেরি না করে মেরিনকে বাচাতে বেরিয়ে পরবে…. এমনকি সেই গুলিটাও খাবে ….

.

ওদিকে নীড় গাড়ি করে সব জায়গায় মেরিনকে খুজছে। ও মেরিনকে ফোন করতে লাগলো।
নীড়: pick up the phone জান… pick up the phone .. আল্লাহ আমার মেরিনের যেন কিছু না হয়…. কোথায় পাবো ওকে…. মেরিন ওখানেই নেই তো …..
নীড় গাড়ি ঘুরিয়ে ওখানে গেলো যেখানে মেরিনকে থাপ্পর মেরেছিলো। মেরিন বসে বসে কাদছে। হঠাৎ কিছু ১টার বিকট শব্দ পেলো। চোখ তুলে তাকিয়ে দেখলো নীড় দারিয়ে আছে…. চোখ ২টা বড় বড় করে তাকিয়ে…. মুখে যন্ত্রনার ছাপ…. মেরিন উঠে দারালো। নীড় মেরিনের বুকের ওপর পরলো। মেরিন নীড়ের পিঠে হাত রাখতেই ওর হাত রক্তে ভিজে উঠলো……

.

{ আমার ঘরে ঝাড়ু আর কি যেন নাম ওইটাও আছে। ভুল করে অন্ধকারে হাতটা কেটেছে। আর medicine নিয়েছি। ঘরেই doctor আছে। এখনো একটু ব্যাথা আছে। তাই type করতে ঝামেলা হচ্ছে। দিতে দিতে late হয়েছে। sorry.. }

.

চলবে….

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *