1. নতুন গল্পঃ3. রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প গুলোঃঅপ্রিয় হলেও সত্যিলেখাঃ মেঘ লা (পিচ্চি)

অপ্রিয় হলেও সত্যি !! সিজেন- ২ লেখাঃ মেঘ লা (পিচ্চি)

অপ্রিয় হলেও সত্যি সিজেন ২

(যারা সিজেন ১ পরেন নি তারাও ২ পরবেন)
একটা মেয়ের জীবনে বিয়ে মানে একটা আনন্দের মূহুর্ত তাই না। সব মেয়ের স্বপ্ন থাকে তার বিয়ে নিয়ে। মেয়ে হয়ে জন্মেছি বিয়ে তো করতেই হবে এক দিন না এক দিন। বিয়ে করতে তেমন কোন আপত্তি নাই আমার। কিন্তু যেনে শুনে একজন পাগলকে বিয়ে করতে কে চায়। । তার পাগলামি কেউ ধরতে পারে না। এক কথায় সে এক জন শিক্ষিত পাগল। আচ্ছা আপনারাই বলুন না আমি কি দেখতে এতটাই খারাপ যে মা আমাকে এক জন পাগল লোকের হাতে তুলে দিলেন।এটা আমার জীবনের #অপ্রিয়-সত্যি। আমিতো আমার পরিচয় টাই বললাম না।

(বিঃ দ্রঃ “ অপ্রিয় হলেও- সত্যি সিজেন- 1 & 2  !! লেখাঃ মেঘ লা (পিচ্চি)” গল্পের সবগুলো পর্ব একসাথে পেতে এখানে ক্লিক করুন)
আমি হলাম,জান্নাতুল মেঘ। মা বাবর ছোট মেয়ে আমার বড়ো একটা আপু আছে আমাকে খুব আদর করে। বর্ষা নাম তার৷ আজ ওর ও বিয়ে হইছে৷ আমার উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি । গয়ের রং মন্দ নয় বেশ ফর্সা । আপু বলে আমি নাকি পরির মতো দেখতে। বাবা আমার চৌধুরী গ্রুপ এর একটা ছোট স্টাফ। মাসে ১০০০০ টাকা বেতন। এতো সল্প আয়ে বেশ ভালো ভাবে না চললেও হালকা পাতলা সংসার চলে আর কি। আমি এবার ইন্টার ১ম বর্ষের ছাত্রী নিজের বিত্তির টাকায় পরাশুনা করেছি এতো দিন। কিন্তু আমার আপুর বিয়ে তে তারা ৩ লাখ টাকা চেয়েছে পাত্র পক্ষ টাকা না দিলে নাকি আপুকে বিয়ে করবে না ছেলে এ কথা তারা বিয়ের দিন বললেন। আগে কখনো বললে হয়তো বাবা রাজি হগেন না এ বিয়েতে ৷ আমার বাবা খুব কষ্টে ১ লাখ টাকা ম্যানেজ করলেও আর ২ লাখ পারে নি৷ তাই আমার মা আমাকে টাকার বিনিময়ে বেচে দিলেন। আসফি চৌধুরীর কাছে। যে কিনা একজন শিক্ষিত পাগল। আসফি চৌধুরী, আরাব

 

চৌধুরীর এক মাত্র ছেলে। চৌধুরী গ্রুপ এর এক মাত্র ওনার৷ সে মানষিক রুগি হলেও তার কম্পান্নি সে খুব ভালে করে চালিয়েছে। অবাক করে দিয়ে সবাইকে সে তার কম্পান্নি নাম্বার ১ দাড় করিয়েছে। বাইরের কেউ তাকে দেখলে বলবে না সে এক জন মানষিক রুগি অবশ্য কেউ যানেও না। সবাই এটা জানে তিনি খুব রাগি তাই মাঝে মাঝে অস্ভাবিক আচরন করে। ৷ এবাড়ির সাথে আমাদের সম্পর্ক আলাদা৷ বাবা মা অনেক বারই এসেছে৷ কন্তু আমি আসছি এক বার। সেই এক বারই আমার জীবনের সরনিয় দিন৷ সেদিন আমি প্রথম দেখেছিলাম আসফি চৌধুরী কে৷ সে অনেক সুদর্শন একটি পুরুষ৷ অনেক সুন্দর তিনি। আমি তাকে দেখতে হটাৎ থমকে যাই৷ উনি হটাৎ আমাকে ডাক দেন,
-এই মেয়ে এদিকে এসো।
আমি এগিয়ে গেলাম।
-জী।
-এক গ্লাস পানি নিয়ে এসো৷
২ মিনিট টাইম।
আমি ভাবলাম কিরে কি বলে ২ মিনিট মানে। তাও গেলাম যেয়ে পানি নিয়ে ওনাকে দিতে পানির গ্লাস ধরে নিচে ফেলে দওলেন। আর আমাকে ধাক্কা দিয়ে সেই কাচের টুকরোর উপর ফেলে দিলেন৷ আমার হাত কেটে রক্তের বন্যা বইছে৷
এই সময়ে এই কাজ আমি হতভাগ হয়ে গেছি। কি হলো এটা৷
-এই মেয়ে এই বলেছিলাম না ২ মিনিট এ নিয়ে আসবি।
বলতে বলতে আমার চুলের মুঠি ধরে বসলেন৷
-আ..আমি।

ঠিক তখনি আসফির আম্মু চলে এলেন তিনি আমাকে খুব ভালোবাসেন।
-আসফি এটা কি করছিস ছাড় ওকে৷
-না মা।
-আসফি। ওকে ছাড়। ।
আন্টির কথা আমাকে ছেড়ে দিলেন তিনি। আমার অনেক ব্যাথা করছে হাতে৷
-আসফি ভেতরে যা।
তিনি চলে গেলেন। প্রচুর রেগে চোখ তার লাল হয়ে আছে।
আন্টি আমাকে নিয়ে ওনার রুমে এসে হাতে ব্যান্ডেজ করিয়ে দিলেন৷
-মারে ক্ষমা কর সোনা। আসলে ওর মানষিকতায় একটু সমস্যা আছে। ওর কথার একটু উনিশ বিশ হলে রেগে যায়৷
সেদিন আমাকে আন্টি বলে ছিলেন আর ওনার সমনে না আসতে। কিন্তু আজ আন্টি ই আমার কাছে আচল পেতে ভিক্ষা চাইছেন তার ছেলের জীবন।
আসফি চৌধুরীর সমস্ত অমানবিক অত্যাচার সহ্য করে তার সাথে থেকে তার চিকিৎসায় সাহায্য করতে। কারন তার পাগলামি দিন দিন বেড়ে চলেছে এভাবে চলতে থাকলে তাকে পাগলা গারতে রোখে আসা ছাড়া উপায় থাকবে না। তার রাগ নিয়ন্ত্রণ এর বাইরে চলে যাচ্ছে।
তাকে বিয়ে করার বদলে আমার পরিবারের দায়িত্ব নিবে তারা আর আপুর বিয়ে টা ও করিয়ে দিবেন।
আমার কাছে দ্বিতীয় কোন উপায় ছিলো না৷ আপুর বিয়ে না হলে লোকে ছি ছি করতো। মা বলেন তার মরা মুখ দেখবো আমি।জি এই বিয়ে না করি। সব ছেড়ে বিয়ে করে নিলাম।
এসব ভাবতে হটাৎ দরজায় শব্দ হলো আমি ফিরে দেখি আন্টি এসেছে।

 

আন্টি আমার কাছে এসে বললেন৷ আমাট হাতটা ধরলেন,
-মারে আমি জানি তোর কাছে অনেক বড়ো কিছু চেয়ে ফেলেছি আমি। কিন্তু কি রবো বল। আমার ছেলেটাকে বাঁচানোর জন্য যে আর কোন উপায় নেই। আমাকে তুই মাফ করে দে। (আন্টি কান্নায় ভেঙে পরলেন)
-কাদবেন না আন্টি আমি নিজের সব চেষ্টা করবো। (কিন্তু আমি জানি না এটা আমি কি করে করবো)
আন্টি আমাকে জরিয়ে ধরে বসে থাকলেন কিছু সময় তার পর৷ আমাকে একটা সারি পরিয়ে হালকা সজিয়ে দিয়ে আসলেন আসফির রুমে।
ভয়ে আমার হাত পা অবশ হয়ে আসছে৷ বার বার শুধু সেই দিনের কথা মনে পরছে৷ আর আমার শরীরে বিদুৎের মতো চমক দিয়ে উঠছে। কিছু সময় পর আসফি ভেতরে এলেন। একপা একপা করে আমার দিকে এগোতে লাগলেন৷ আমি পেছনে সরবো তার শক্তি হারিয়ে ফেলেছি।
রিতি মতো কাঁপছি আমি৷
হাটাৎ করে উনি আমার হাত ধরে বিছনায় ফেলে দিলেন।
আমি তো অবাক কি করতে চাচ্ছে সে বুঝতে পারছি না কিছু।
এর পর যা ঘটলো তার জন্য মটেও প্রস্তুস ছিলাম না।
চলবে,

বিঃ দ্রঃ নিচে ভালো করে লক্ষ্য করুন পরবর্তী পর্বে দেওয়া আছে

বিঃ দ্রঃ “ লেখাঃ মেঘ লা (পিচ্চি)” লেখকের লেখা অন্য গল্প গুলো পড়তে এখানে ক্লিক করুন !!

👉আমাদের ফেসবুক পেজ