অন্ধপ্রেম

অন্ধপ্রেম !! Part- 38+39

রাজের মাথায় রক্ত উঠে পড়েছে …সে কি করবে ভেবে পাচ্ছেনা।
ইচ্ছে করছে শীতলের পুরো পরিবারকে কেটে কিমা বানিয়ে কুকুরদের খাওয়াতে বাট সেটা করা যাবেনা …
শীতলের জন্য রাজ এই কাজ করতে পারবেনা…
শীতলের জন্য কিছু করতে পাচ্ছেনা রাজ এটাই রাজের সবচেয়ে বড় দুঃখ।
.
.
.
রাজ স্প্রিডে ড্রাইভ করেছে…
শা শা করে ড্রাইভ করে রাজ শীতলের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে…
শীতলের কাছে ফোন নেই যে রাজ ফোন করে তাকে জানাবে….
শীতল কি করে পারলো ডিবোর্স পেপারে সাইন করতে….
ওর হাত একটুও কাপেনি…
রাজ ভেবেছিলো শীতল আর যায় করুক কখনো একেবারে তাকে লাইফ থেকে বের করবেনা বাট রাজের ধারণা ভুল হলো…
.
.
.
রাজ সোজা গিয়ে গেইট ভেঙে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করলো….
কার থেকে নেমেই কারের দরজায় লাথি দিয়ে দরজা বন্ধ করলো….
রাজকে ইয়া মোটা মোটা দুটো জল্লাদ টাইপ লোকের সম্মখিন হতে হলো…
রাজ এই দুটোকে পিটিয়ে তক্তা বানাতে বেশি সময় নিলো না…
রাজ এই দুটোর পেটে যেই লাথি দিতে যাবে আবার তখন কারো গায়ের গন্ধ পেলো রাজ…
সামনে তাকিয়ে যাকে ভেবেছিলো তাকেই দেখতে পেলো রাজ…
.
.
.
রাজের মুখে কিছু ব্লিডিং লেগেছিলো…
কি রকম ভয়ংকর জানোয়ারের মতো দেখাচ্ছে…
.
.
.
রাজ উঠে দাড়িয়ে শার্টের হাতা ফ্লোড করলো….
তারপর শীতলের দিকে তাকালো… ..
শীতল ভয়ে নিচে তাকিয়ে আছে…
শীতল জানে রাজ প্রচন্ড রেগে আছে….
শীতলের ডিবোর্স পেপারে সাইন করার সময় বুক ফেটে কান্না আসছিলো…
সে তিনবার জ্ঞান হাড়িয়ে ছিলো….
তবুও রেহাই পাইনি সে…
রোদ একটা কাটারি দিয়ে নিজের গলা সহ বাবা মায়ের গলার সামনে ধরে রেখেছিলো….
শীতল বাবা মা ভাইয়ের মৃত্যুর কারণ হতে চায়না তাই সে বুকে এক সাগর পাথর রেখে সাইন দিয়ে তৃতীয় বারের মতো জ্ঞান হাড়ালো..
.
.
.
.
রাত অনেক হয়েছে …
রোদ সহ তার বাবা মা উপরের করিডরে দাড়িয়ে রাজের ভয়ানক রুপ দেখছিলো…
সাহস কুলোয়নি তাদের রাজের মুখোমুখি হওয়ার….
.
.
.
রোদ ময়মনসিংহের পুলিশ কমিশনার কে ফোন করে আসতে বলেছে …
সাথে কিছু পুলিশ গার্ড নিয়ে আসতে বলেছে রোদ যেনো রাজকে আটকিয়ে বাড়ি থেকে বের করা হয়…
.
.
.
পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য রোদ শীতলকে নিচে রাজের সামনে যেতে বলেছে….
রাজ শীতলকে দেখে রাগ ঝেরে কিছুটা শীতল হবে এর নিঃশ্চিয়তা থেকে রোদ শীতলকে রাজের সামনে তার কাছে পাঠিয়েছে….

রাজ একটা লাঠি নিয়ে শীতলের কাছে গেলো…
শীতল ভয়ে মাথা নিচু করে আছে…
সে ধরেই নিয়েছে রাজ তার মাথা ফাটাবে….
রাজ শীতলের মাথা ফাটিয়ে শীতলের দেহকে রক্তাক্ত করুক ….এটাই চায় শীতল…
সে আজ যা করেছে রাজের সাথে তাতে এটাই তার প্রাপ্য….
.
.
.
_তা ডার্লিং হঠাৎ আমার প্রতি এতো সদয় কেনো হলে??
শীতল ভয়ে ভয়ে বললো ..
_কেনো ??
_না মানে মেঘ না চাইতে জল পেলাম তো তাই…
এতোদিন তোমাকে কুকুর বিড়ালের মতো চিৎকার করে ডেকেছি তোমার মুখটুকু দেখার জন্য বাট তুমি আমার প্রতি একটুও সদয় হলেনা…
কিন্তু আজ দেখো আমি না ডাকতেই আমার শিকার ধরা দিয়েছে আমার জালে….
_দেখুন আপনি এখান থেকে যান …
কারণ এখনি কমিশনার আসবে…তখন আপনার বিপদ হবে কপালে…
সো বিপদ হওয়ার আগে এখান থেকে চলে যান….
.
.
.
_কি ব্যাপার কি ?? আজ বার বার মেঘ না চাইতে জল …
এতোদিন তো তোমার মুখ থেকে কোনো কথায় বের হতো না আর এখন তো দেখছি কথার বুলি ফুটেছে….
রাজ কথাটা বলেই শীতলকে উদ্দেশ্য করে হাতের লাঠিটা প্রয়োগ করলো..
শীতল ভেবেছে আজ তার দিন শেষ …
সে মনে হয় রাজের হাতে প্রাণ হাড়াবে…
অন্তত রাজের হাতে নিজের প্রাণ দিয়ে রাজের কোলে মৃত্যবরণ করতে পারবে সে ..এটা ভেবে নিজেকে শ্বান্তনা দিলো শীতল…
.
.
.
শীতল চোখ খুলে দেখলো তার পাশে থাকা মোটরে রাজ লাঠি দিয়ে আঘাত করেছে….
ঝন ঝন শব্দ হচ্ছে পানি আর শীতলের ভেতরেও এমন ঝণ ঝন শব্দ হচ্ছে ভয়ে….
রাজ অট্টো হাসিতে ভেঙে পড়লো শীতলের সিচুয়েশন দেখে….
সে হাসি থামিয়ে বললো…
_ভয় পেয়ে গেলে বউ ???
ভেবেছো তোমাকে আঘাত করবো ???
তোমাকে এখন আমি কি আর আঘাত করতে পারি ???
তোমাকে আঘাত করা মানে নিজেকে নিজে আঘাত করা….
.
.
.
রাজ গায়ের শার্ট খুলে পানি দিলো মুখে…
শার্টটা শীতলের হাতে দিলো রাজ…
পানি দিয়ে মুছে নিলো রাজ তার শরীর…
শীতল চুপচাপ রাজের বডি দেখছে…
রাজের বডি দেখে শীতলের চোখ আটকে গেলো..
ছেলেরা যে এতো সুন্দর আর ফর্সা হয় সেটা রাজকে না দেখলে বোঝা যেতো না…
.
.
.
.
রাজ শীতলের দিকে তাকিয়ে শীতলের উড়না দিয়ে নিজের হাত মুখ মুছলো…
তারপর বললো….
_এভাবে তাকিয়ে আছো কেনো ???
নিজের স্বামির বডির দিকে আড় চোখে তাকানোর কি হলো…??
মনে হচ্ছিলো তুমি কোনো অচেনা মেয়ে…
যাইহোক তোমার সাথে অনেক দিন ধরে বাসর করা হয়না তাইতো আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে ছিলে…
আচ্ছা ডার্লিং নো টেনশন বাসরের জন্য একটা ডেট ফিক্সড করছি…
শীতল কল্পনাও করেনি ডিবোর্স পেপারে সাইন করার পরও ঠান্ডা মাথায় এগুলো বলবে রাজ…
.
.
.
_আপনাকে আমার লাইফ থেকে বের করে দিয়েছি আমি…
ডিবোর্সের পেপার তো পেয়েই গিয়েছেন আপনি….
আমি আপনার বউ নই এখন তাই আমার সাথে আবারও নতুন করে বাসরের কথা ভুলে যান …
শীতল এই কথাগুলো বলেই ভেতরে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালো তখনি রাজ শীতলের লম্বা চুলের মুঠি ধরে নিজের খুব কাছে নিয়ে আসলো…
আচমকা এমন হওয়াতে শীতলের চোখ বন্ধ হয়ে গেলো আপনা আপনি…
রাজ শীতলের ঘাড়ে নাক ঘষে ঘষে দাতে দাত চেপে কঠিন গলায় বললো…
_এতো বড় আশপর্দা তোমার …তুমি আমায় ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবতে পারলে আর ছেড়েও দিলে কত সহজে…
আচ্ছা এই কাগজ কি আমাদের আলাদা করতে পারবে…
এই কাগজ কি তোমার উপর থেকে আমার অধিকার কেড়ে নিতে পারবে…??
তোমার সাথে আমার আত্মার আত্মার সম্পর্ক …মন থেকে মনের,হ্রদয় থেজে হ্রদয়ের সম্পর্ক…
মৃত্যু ছাড়া তোমার থেকে কেউ আমাকে আলাদা করতে পারবেনা….
কারণ স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা চান আমারা দুজন এক থাকি সদা সর্বদার জন্য…
শীতলের ভয়ে বুক কেপে উঠেছে…
রাজ আজ ভয়ংকর ভাবে রেগে আছে তার ব্যাবহারে….
রাজ মুখ নিঃশ্চয় ভয়ংকর রুপ নিয়েছে রাগে…
শীতলের রাজের মুখ দেখার সাহস নেই তাই চোখ বন্ধ করে আছে….
.
.
.
.
রাজ এবার শীতলের গলায় একটা হালকা কামড় দিলো…
_আহহহ,,,,কি করছেন কি ???
_একটু টেষ্ট দিলাম…
_কিসের ???
_আমাকে তো জানোয়ার ভাবো তুমি আর তোমার পুরো গোষ্ঠি তাই জানোয়ারের কামড় কেমন হয় তা তোমাকে বোঝালাম…
যদিও কামড়টা জাস্ট হালকা একটু শো ছিলো….
এর পর থেকে তোমার বাবা মা আর ভাইকেও কামর দেবো বাট এমন হালকা নয় অনেক জোরে….
শীতল এবার রাগি লুকে রাজের দিকে তাকালো….
.
.
.
_এভাবে তাকিয়ে থেকোনা গো…
আমার এখনি বাসর রুমে ঢুকতে ইচ্ছে করছে…
এরপর নিজেকে সামলানো দ্বায় হয়ে পড়বে …
রাজ একটা টেডি হাসি দিয়ে শীতলের গোলাপি ঠোটের দিকে এগুতো লাগলো ঠিক তখনি রাজের কানে কতগুলো জীপের হর্ণের আওয়াজ এলো…
আর সাথে সাথে কেউ শীলকে এক ঝটকা দিয়ে রাজের কাছ থেকে সরালো….
রাজ আচমকা চমকে গিয়ে নিচে পড়ে গেলো…
কেই রাজকে তোলার জন্য হাত বাড়ালো …
রাজ সাহায্য ছাড়াই উঠে দাড়ালো …
রাজ বেশ কয়েকজন পুলিশ গার্ডকে দেখতে পেলো….
তারমধ্যে একজন কমিশনার ছিলো….
তিনি রাজকে সালাম দিয়ে এখান থেকে চলে যেতো বললো….
রোদ বললো… শীতল সাইন করে দিয়েছে তাই রাজের সাথে শীতলের কোনো সম্পর্ক নেই আর…

রাজ হেসে বললো…. সে সাইন করেনি আর তাই শীতল এখনো রাজের প্রোপার্টি মানে ওয়াইফ…
তিন মাস পার হলেই ডিবোর্স সম্পন্ন হবে এই কথাটা রাজ জোরে জোরে সবাইকে বললো…
শীতল এখনো রাজের ওয়াইফ সেটাও রাজ চিৎকার করে বললো….
সবার কান ফেটে যাওয়ার উপক্রম হলো রাজের এমন চিৎকার শুনে….
.
.
.
.
#39
শীতল বিছানায় বসে আছে…
আর চোখ বন্ধ করে ভাবছে ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলোর কথা….
ঠিক মতো কাদতেও পাচ্ছেনা শীতল…
কাদলে শীতলের মন হালকা হতো বোধয়…
শীতলকে পাহাড়া দেওয়ার জন্য একটা কুড়ি বছরের কাজের মেয়ে রাখা হয়েছে…
সে শীতলের গায়ে সেটে সেটে থাকে…
শীতল যেনো কোনো ভাবেই রাজের সাথে যোগাযোগ না করতে পারে…
.
.
.
শীতলের বেডের পাশে রাজের শার্ট লুকানো ছিলো…
সে লুকিয়ে রেখেছে …যেই রুমের আলো অফ হবে অমনি শীতল রাজের গায়ের গন্ধ লেগে থাকা শার্ট নিজের বুকে নিয়ে ঘুমাবে …
.
.
.
রাজ তাড়াহুরো করে বেরিয়ে যাওয়াতে শীতলের কাছ থেকে শার্ট নিতে ভুলে গিয়েছে…
রাজ নিজের বাড়িতে গিয়ে রুমে ঢুকে চোখ বন্ধ করে ভাবতে লাগলো নেক্সট প্ল্যান কি হবে তার…
রাজ নিজের দিকে তাকিয়ে মিররের সামনে গেলো…
রাজের শরীরে এখনো শীতলের গায়ের ছোয়া আছে…
ওর গায়ের মিষ্টি সুভাস এখনো ফিল করছে রাজ…
.
.
.
রাজ দেখলো তার বুকে কতগুলো নখের দাগ…
নখের দাগ গুলো দেখে রাজ টেডি হাসি দিলো…
শীতলের ঠোটের স্বাদ নেওয়ার সময় হয়ত শীতল ‌রেগে বা শিহরীত হয়ে এই কান্ড গুলো ঘটিয়েছে…রাজ নিজের বুকে হাত নিয়ে চোখ বন্ধ করে ফিল করলো ….
কবে শীতল পার্মানেন্টলি রাজের বুকে সিফ্ট হবে…
রাজ বেডে উপর হয়ে শুয়ে পড়লো…
কারণ একদিন পর রাজ শীতলকে একটা সার্প্রাইজ দেবে…
শীতল হয়ত কল্পনাও করতে পারবেনা ….
.
.
.
রাতে কাজের মেয়ে ফ্লোরে একটা ক্যাম্প বেড বিছিয়ে ঘুমালো…(মাচার মতো চারটা খুটি যুক্ত আর মাঝখানে ঝালি থাকে,,,)
.
.
.
শীতল চুপচাপ রাজের শার্ট বুকে নিয়ে ঘুমালো…
শীতলের মনে হচ্ছে আজ সে শান্তিতে ঘুমাতে পারবে…
মনে হচ্ছে রাজ তার বুকের মধ্যে মাথা রেখে ঘুমিয়ে আছে….
শীতলের মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেলো….
সে ফিল করছে তার উপর কেউ ভর করে শুয়ে আছে…
গায়ের গন্ধ খুব চেনা চেনা…
বেশ ভারি কিছু…
শীতলের নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে…
শীতল অনেক কষ্টে তাকিয়ে দেখলো রাজ তাকে জরিয়ে ধরে শুয়ে আছে…
শীতল চমকে গিয়ে বার বার চোখ অন করছে আর অফ করছে…
রাজ এখানে কিভাবে আসতে পারে এটাই ভাবছে শীতল….
শীতল কে রাজ শক্ত করে আরো জোরে জরিয়ে ধরলো….
শীতল এবার চমকে চোখ খুললো…
সে দেখলো কোথাও রাজ নেই…
রাজের শার্ট এখনো সে বুকে জরিয়ে শুয়ে আছে…
তার মানে এটা সপ্ন…
যাকবাবা শীতল বেশ হাফ ছেড়ে বাচলো…
.
.
.
সে চুল গুলি সামনের দিকে এনে কাজের মেয়ের দিকে চোখ বুলালো…
শীতলের চোখ গুলো বরাবরের মতো ছানা বড়া হয়ে গেলো…
কারণ কাজের মেয়ে ঘুমালে তার কিছুই ঠিক থাকেনা….
শীতলের গা ঘিন ঘিন করছে এমন অবস্থা দেখে…
শীতলের এমন হয় তাই বলে এতো না…
শীতলের মনে হচ্ছে এর একটা শিক্ষা দিতে হবে…
_তুই খাবি দাবি পাহাড়া দিবি আমাকে…সারাদিন সব কাজ করিস গুছিয়ে আর ঘুমাতে পারিসনা গুছিয়ে….
ইশসসস সপ্ন না হয়ে যদি সত্যি সত্যি রাজ আসতো আর ওকে এই ভাবে ঘুমাতে দেখতো তাহলে কি যে হতো….

শীতলের ধৈর্যের বাধ ভেঙে গিয়েছে সে ওয়াস রুম থেকে গামলা ভর্তি পানি এনে সারা গায়ে ঢেলে দিলো বেহ্যায়া কাজের মেয়েটার উপর….
কাজের মেয়ে চিৎকার দিয়ে ঘুম থেকে উঠলো….
শীতল মেয়েটাকে কর্কশ গলায় বললো…বেরিয়ে যেতে রুম থেকে….
.
.
.
.
একদিন হয়ে গেলো শীতল রাজের কোনো খবর পাচ্ছেনা….
শীতল পরের দিন সকালে ছাদে গেলো হাটতে…
ছাদে অনেক ফুল গাছ আছে….
সেগুলো দেখলে শীতলের মন ভালো হবে কিছুটা…
কাজের মেয়েটাকে শীতল বুদ্ধি করে আটকে রেখেছে ওয়াস রুমে….
.
.
.
শীতল চোখ বন্ধ করে রাজের কথা ভাবলো…
তখনি কেউ কয়েকটা ফুল ছুরে মারলো শীতলের গায়ে…
শীতল তো রেগে আগুন হয়ে গেলো….
শীতল সামনে পেছনে কাউকে দেখতে পেলোনা…
শীতল বেশ সাহসি তাই সে জোর গলায় বললো….
_কে ??কে ??
কোন গর্দভ শয়তান ??
আমার গায়ে ফুল ছোড়া …
জানিস আমি কার ওয়াইফ ???
_তুমি মিসেস রাজের ওয়াইফ…
ওপাশের ছাদের থেকে কেউ বলে উঠলো….
শীতল তাকিয়ে দেখলো পাশের ছাদে রাজ দাড়িয়ে দাড়িয়ে টেডি হাসি দিচ্ছে…
.
.
.
_আপনি এখানে ??শীতল বেশ অবাক হলো …
_কেনো ??
অন্য কাউকে আশা করেছিলে নাকি ???
এমন কার বুকের পাঠা আছে যে আমার বউয়ের গায়ে ফুল ছুরে মারবে ???
_তাইতো ভাবি আপনি ছাড়া আর কেউ এমন গর্দভের মতো কাজ করবে কে….
তা এখানে কি করছেন অন্যের ছাদে ???
.
.
.
.
_অন্যের ছাদে মানে ??
নিজের ছাদ এটা …
আমি নগদ টাকা দিয়ে দিয়ে কিনেছি…
_মানে এই বাসা আপনি কিনেছেন ???
_জি হ্যাঁ
_আমার জানা মতে আপনার দাদা ঢাকার বাসা লোককে ঠকিয়ে কিনেছে…
আর আপনি বুঝি এই বাসা ঠকিয়ে কিনেছেন আরেক লোকের কাছ থেকে…
পুরো পরিবার লোক লোক ঠকানোর কাজ করেন তাইনা ???

রাজ শার্টের হাতা ফ্লোড করে টেডি হাসি দিয়ে বললো….
_আমি এখন এই বসায় থাকবো তাই এখন থেকে আমি তোমার প্রতিবেশি।
প্রতিবেশির একটু খেয়াল রাখতে শিখো…
রাজ কথা গুলো বলেই নিজের ছাদ থেকে শীতলদের ছাদে এসে পড়লো…
শীতল ছাদ থেকে চলে যেতে গেলেই রাজ শীতলকে এক টানে নিজের কাছে নিয়ে এসে কানে কানে বললো…
_আমার দাদা দাদিকে তোলে এনে চুরি করে বিয়ে করেছে…
আমার বাবা মাকে হাইজাক করে বিয়ে করেছে…
আর আমি তোমাকে ডাকাতি করে বিয়ে করেছি….
শীতল কিছু বোঝে উঠার আগেই রাজ শীতলের ঠোট নিজের আয়ত্তে নিয়ে এলো…
শীতল রেগে নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছে রাজের থেকে…
রাজ আরো জোরে শীতলকে নিজের আয়ত্তে নিয়ে এলো তখনি তারা কারও চিৎকার শুনতে পেলো….
রাজ আর শীতল তাকিয়ে দেখলো কাজের মেয়ে ললিপপ খাচ্ছে আর জোরে চিৎকার দিচ্ছে….
(বাকিটুকু পরের পার্টে)
.
.
.
.
চলবে…..