অন্ধপ্রেম

অন্ধপ্রেম !! Part- 24

রাজ ড্রাইভ করছে শীতল যার সাথে করে বসে আছে তার সাথে পাল্লা দিয়ে ….
রাজের ইচ্ছে করছে লোকের গাড়িটাকে ধাক্কা মেরে খাদে ফেলে দিতে বাট সেটা সে করতে পারছেনা..
কারন লোকের সাথে তার শীতলও যে আছে …
রাজ কিছুই করতে পারছেনা শীতলের জন্য …
রাজের সামনে কেউ তার ওয়াইফকে কারে বসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সেটা তার সহ্য হচ্ছেনা ….
.
.
.
লোকের কার একটা কমপ্লেক্সের সামনে থামলো..
শীতল কার থেকে নামা মাত্রই লোকটা শীতলকে একটা কিসের যেনো কার্ড দিলো ….
শীতল নাচতে নাচতে সিরি বেয়ে কমপ্লেক্সের ভেতর চলে গেলো …
একবারও তাকালোনা পর্যন্ত পেছনে ফিরে ….
লোকটা গাড়ি নিয়ে কত ক্ষন তাকিয়ে থাকলো শীতলের যাওয়ার পথে …
দূর থেকে রাজ লোকটার মুখও দেখতে পাচ্ছেনা রাজ ..
লোকটা যেই ড্রাইভ করে সামনে থেকে চলে গেলো ঠিক তখনই রাজও লোকের পেছনে পেছনে ড্রাইভ শুরু করলো …

শীতলের জন্য লোকটাকে কিছু করতে পারছিলোনা রাজ ..
এখন তো শীতল নেই এটাই উওম সময় লোকটাকে শাস্তি দেওয়ার …
.
লোকটা ড্রাইভ করছে আর রাজও ফুল স্প্রিডে ড্রাইভ করছে …
রাজ লোকের গাড়ির কাছাকাছি এসেই পাশে থাকা ছোট একটা খাদে ধাক্কা মেরে ফেলে দিলো লোক সহ লোকের গাড়িকে ।
রাজ একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো …
রাজ অনেক কক্ষন যাবৎ দাড়িয়ে আছে শীতলের অপেক্ষায় …
হঠাৎ রাজ দেখতে পেলো রাস্তার পাশে থাকা একটা কপোত কপোতিকে …
দুজন মিলে হাত ধরে রোডের পাশ দিয়ে হেটে যাচ্ছে …
রাজের মনে পড়লো কক্সবাজারে শীতলও ওদের মতো রাজের হাত ধরে সমুদ্রের পার ঘেষে হাটতে চেয়েছিলো …
রাজ তখন শীতলকে একটা ধমক দিয়ে ছিলো ..
নিমিষেই শীতলের হাসি মুখটা একেবারে বিষন্নতায় ঢেকে গিয়ে ছিলো ….

শীতল কে রাজ বের হতে দেখেই শীতলের সামনে গাড়ি নিয়ে দাড়ালো রাজ …
রাজ গাড়ি থেকে নেমেই শীতল কে বললো …
_তুমি এখানে কি করতে এসেছিলে ???
আর তোমার হাতে কিসের পেপার ???
শীতল জবাব না দিয়ে হেটে যেতে লাগলো ,,,,,
_তোমায় কিছু জিজ্ঞাস করেছি শীতল …
শীতল পেছনে তাকিয়ে বললো …..
_আমার খেয়ে পড়ে চলতে হবেতো ।
তাই এখানে এসেছিলাম কাজের জন্য …
রাজের মাথা আউট হয়ে গেলো …
কি বলছে শীতল …
রাজের বাংলাদেশে কয়েকটা Business আছে ।
কত কত শ্রমিক তার এখানে কাজ করে আর শীতল তার বউ হয়ে অন্যের এখানে জব করবে …
রাজের ইচ্ছে করছে শীতলের দু গালে দুটো থাপ্পর মারতে ….
রাজ নিজেকে কন্ট্রোল করে বললো …
_ডার্লিং এখন বাসায় চলো ।
এ বিষয় নিয়ে পরে কথা হবে …
শীতল কে কিছু বলতে সুযোগ না দিয়েই রাজ তাকে কোলে তোলে নিয়ে গাড়িতে বসালো …
.
.
.
_আরে আরে কি করছেন আপনি ??
এটা রোড ..
মিনিমাম লজ্জা বোধটুকুও‌ নেই ।
শীতল কে সিটে বসিয়ে সিট বেল্ট বাধতে বাধতে বললো ..
_নিজের বউকে কোলে নিয়েছি ‌..
কে কি বলবে ??
কার ঘারে কটা মাথা যে রাজের কাজে বাধা দেবে ।
আর তোমাকে কোলে নেওয়াতে লজ্জার কি হলো ???
.
.
.
শীতল আর কথা বাড়ালো না …
রাজ ড্রাইভ করে খালা মনির বাসায় নিয়ে আসলো শীতলকে ..
গেস্ট রুমে বসে শীতল চুল চিরনি করছে …
এমন সময় একটা ফোন এলো শীতলের ফোনে …
রাজ বেডে বসে বসে শীতলকে দেখছিলো …
শীতল কে যে ফোন করেছে সে শীতলের হবু বর …
রাজের সাথে শীতলের বিয়ের আগে শীতলের বাবা শীতলের বিয়ে ঠিক করে ছিলো …
.
.
.
শীতল ফোন ধরার সাহস পাচ্ছেনা ..
রাজ জানতে পারলে ঝামেলা করবে …
রাজ লক্ষ্য করছে শীতলের ফোনে রিংটন বাজছে …
_কি হলো ডার্লিং ??
ফোন ধরছোনা কেনো ???
_আমার ইচ্ছে তাই ধরছিনা ।
_তাহলে আমি রিসিভ করবো ???
_আপনি কে ??
আমার ফোন আপনি ধরবেন কেনো ???
.
.
.
_আমি কে তোমার তাইনা ??
রাজ কথাটা বলেই শীতলের দিকে এগুতে লাগলো …
_খবরদার আমার কাছে আসার চেষ্টা করবেন না ..
_আসলে কি করবে শুনি ??
_আমি আপনাকে …
হাতে থাকা চিরনি নিয়ে শীতল রাজের দিকে এগিয়ে দিলো ….
_কি করবে তুমি ??
_এই চিরনি দিয়ে আপনার মাথা ফাটাবো …
রাজ শীতলের কাছে এসে শীতলের থেকে চিরনিটা কেড়ে নিলো আর দূরে ছূরে মারলো …
রাজ শীতলকে পেছন থেকে জরিয়ে ধরে কানে কানে বললো …
_আমাকে আর দূরে রেখোনা প্লিজজ ..
আমাকে মাফ করে দাও ..
চলো আমরা আমাদের বাসায় চলে যায় ….
শীতল শান্ত গলায় বললো…
_আমি যাবো না ।
আপনার সাথে থাকবোনা…
আপনি একা চলে যান ।
আমার বর্তমানে কোনো বাড়ি নেই … …
.
.
.
শীতলের এমন কথা শুনে রাজ অসহায় দৃষ্টিতে তাকালো শীতলের দিকে ..
শীতল দৃষ্টি নামিয়ে নিলো …
কারণ রাজের চোখের দিকে তাকালে শীতলের মত পাল্টে যাবে ..
রাজের মায়ায় পড়ে যাবে ..
.
.
.
শীতল নিচে তাকিয়ে আছে …
রাজ কিছু ক্ষন চুপচাপ শীতল কে দেখলো তারপর শীতল কে জরিয়ে ধরলো …
শীতল রাজকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলো …
রাজ শীতলকে ছাড়া তো দূরের কথা আরো জোরে জরিয়ে ধরলো …
.
.
_কি করছেন কি ??
ছাড়ুন আমায় ।
_না ছাড়বোনা তোমাকে ।
পারলে তুমি তোমার থেকে ছাড়িয়র দেখাও ..
শীতল চেষ্টা করেও পারলো না নিজেকে রাজের কাছ থেকে ছাড়াতে …
রাজ শীতলকে বেডে নিয়ে গেলো …
রাজ শীতলের গালে কপালে ঠোটে ইচ্ছে মতো কিস করতে শুরু করলো …
শীতল রাজকে থামাতে পারছেনা ..
এক সময় শীতল রাজকে আটকালো না ..
শীতল এক হাত দিয়ে রাজের চুল আকড়ে ধরলো আর অন্য হাত দিয়ে বিছানার চাদর আকড়ে ধরলো …
শীতলের চোখ বেয়ে পানি পড়ছে …
সুখের পানি না দুঃখের পানি সেটা শীতল বুঝতে পারছেনা ….
.
.
.
শীতল আর কোনো মায়ায় জড়াতে চায়না …
শীতল বাকিটা জিবন একা কাটিয়ে দিতে চায় …
শীতলের জিবনে যা হয়েছে তা ভাবলে শীতলের শরীর কেপে উঠে …
দুনিয়াতে সে নরক যন্ত্রনা সহ্য করেছে বিনা দোষে …
জিবনের প্রতি তার ঘৃনা এসে গেছে …
.
.
.
রাজ নিজের শার্ট খুলে ফেললো ..
এবার রাজ শীতলের উড়নাটা ফ্লোরে ফেলে দিলো ….
রাজ শীতলের জামাতে হাত দিতেই শীতল বললো …
_আপনার মনের শখ মিটেছে তো ??
এগুলোর জন্যই আপনি আমাকে ছাড়তে চাচ্ছেন না তাইনা ???
রাজ ভাবতে পারেনি শীতল এই মূহুর্তে এমন কথা বলবে ..
_শীতল তুমি ভুল ভাবছো ।
আমি তোমার স্বামি ।
তোমাকে ছোয়ার অধিকার আমার আছে …
_আপনি আমার স্বামি এটাই আমার জিবনের সবচেয়ে বড় কষ্ট …
শীতল বেড থেকে উঠে ফ্লোর থেকে উড়না নিয়ে ওয়াস রুমে চলে গেলো …
.
.
.
শীতল পানি দিয়ে মুখ ধচ্ছে আর মিররে তাকিয়ে কান্না করছে …
রাজ ওয়াস রুমের ডোরে নক দিয়ে ডাকছে শীতলকে ..
_শীতল ডোর ওপেন করো ..
তুমি কাদছোঁ কেনো ??
আর কেদোঁনা প্লিজজজ ।
আমাকে মাফ করে দাও প্লিজজ ..
ফিরে চলো তোমার বাড়িতে ,তোমার সংসারে …
.
.
.
রাতে শীতল অপাশ ফিরে ঘুমাচ্ছো …
রাজ এদিকে ছট ফট করেছে শীতলের জন্য ..
শীতল এটা বুঝতে পারছেনা …
সে ভিবোর ঘুমে আচ্ছন্ন ..
সকালে শীতল চোখ খুলে দেখে রাজ তাকে আষ্টে পিষ্টে জরিয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে ….
শীতল ভেবেছিলো রাজকে তখন অভাবে বলাতে রাজ কখনো তাকে ছোবেনা …
শীতল বুঝতে পারলো ছেলেদের অপমান বোধটুকুও নেই …
ছেলেদের বিশ্বাস তো করায় যায়না …

নাস্তা খেয়ে শীতল আর তার খালাতো ভাই শাওনকে নিয়ে শপিংয়ে গেলো …
রাজও তাদেত সঙ্গে গেলো ..
শীতল নিতে চায়নি রাজকে বাট খালামনির পিরাপিরিতে রাজকে নিতে হলো …
.
.
.
শপিং মলে যেতেই শীতলকে কেউ ডেকে উঠলো ….
কালো রংয়ের শার্টে বেশ ফর্সা একটা ছেলে ..
রাজের থেকেও ইয়াং …
শাওন হঠাৎ রাজকে বললো….
_জিজু জিজু এটা তোমার সতিন …
শীতল আপুর সাথে বিয়ে হবার কথা ছিলো …
এই লোককে আমি জিজু বলে ডাকতাম ..
এখন যেমন তোমাকে ডাকি জিজু …
শাওন কথা গুলো বলেই বাকা হাসি দিলো …
.
.
.
চলবে,,,,,❤❤❤❤❤