অদ্ভুত ভালোবাসা

অদ্ভুত ভালোবাসা ! পর্ব- ১৬

গল্প বিলাসী (Nishe)

খুব খারাপ লাগছে আজ যাকে এতো ভালোবাসলাম তাকে
নিয়ে সংসার করার কপাল আমার হলোনা।

দুর আগেই ঠিক ছিলাম কেনো যে এই রিলেশন করতে
গিয়েছিলাম

আজ বড্ড অপরাধী মনেহচ্ছে নিজেকে নীলকে কি একবার কল
করবো?

কিন্তু আমাকে সেদিনের কথাগুলো আজও বাধা দেয়

ভাবলাম দিবো কিন্তু তা আর দেয়া হলোনা সিয়াম ভাইয়ার
কথা শুনে

নীল কোথায় তুই তোর কথামতো সব হচ্ছে আর এখন? এখনো তোর
২টা বাজেনি? না?

আমার আর বুঝতে বাকি রইলোনা বিয়েটা কার সাথে হচ্ছে

আমি দৌড়ে আন্টির কাছে গেলাম গিয়ে দেখি আন্টি বসে
আছে

কিরে মন খারাপ?

আন্টি আমি বিয়েটা করবো না প্লিজ তুমি ওদের মানা করে
দাও আমি আমি ওই ছেলেকে বিয়ে করবো না বলেই কাঁদতে
লাগলাম

একি বলছিস তুই? এই তুই আমার কথা রাখছিস?
তুই কালকে আমায় কথা দিয়েছিস বলেই আমি ওদের জানিয়েছি
( একপ্রকার চেঁচিয়ে কথা গুলো বললো)

আন্টি আমিতো তখন কিছু জানতাম না

এইদিকে সিয়াম সব শুনে নীলকে তারাতাড়ি আসতে বলে।

আন্টি আমার নিশির সাথে কিছু কথা আছে যদি আপনি কিছু
মনে না করেন

আমি আপনার কোনো কথা শুনতে চাইনা আর বিয়েতো দুরের
কথা।

নিশি তুমি আমার কথাটা শুনো প্লিজ

যা বলার এইখানেই বলেন

না ভিতরে চল

আপনি কি ভেবেছেন আমাকে জোড় করে রাজি করাবেন?
কিন্তু তা সম্ভব না

নিশি একটা বার আমায় সুযোগ দাও প্লিজ

নাহ কিসের সুযোগ? হ্যা কিসের সুযোগ দিবো আপনাকে? ভুলে
গেছেন সেইদিনের ব্যবহার?

আমি ভূলিনি নিশি আমাকে একটা বার সুযোগ দাও প্লিজ আমি
সব ঠিক করে দিবো প্লিজ আমাকে একটা বার সুযোগ দাও

আপনি ভাবলেন কি করে আমি আপনাকে বিয়ে করবো?
আমি বেচে থাকতে আপনাকে বিয়ে করবো না

এইদিকেসব মানুষ একসাথে জড়ো হয়ে যাচ্ছে তাই সসব কিছু
ঠিক করার জন্য

নিশি তুই যদি আজ এই বিয়েটা না করিস তাহলে আমার আমার
মরা মুখ দেখবি।

আন্টি? কি বলছো তুমি এইগুলো আমি আমি পারবোনা এই বিয়ে
করতে

আন্টি তুমি ওকে চিনোনা ও ও ( ( নিশি কান্না করতে করতে
বললো)

আমি চিনি আর আমি সব শুনেছি রিমির কাছ থেকে আর তাই
বলছি বিয়েটা করে নিতে

আন্টি তারপরও এই কথা বলছো তুমি?

হ্যা বলছি ( তোর ভালোর জন্যই বলছি রে পাগলি)

ওকে তোমার জন্য আমি মৃত্যু কেও হাসি মুখে বরন করতে রাজি

বলেই রুমে চলে গেলো

নিশি শাড়িটা পড়ে নিতে হবে চল

শাড়ি আমি পরবোনা। যদি এইভাবে বিয়ে করতে পারে তাহলে
বিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করো নয়তো চলে যাও সব

আমাদের ভুল বুঝিস না তোর ভালোর জন্যই করছি

হ্যা তাতো দেখতেই পাচ্ছি হাসি মুখে মরন কে বরন করছি

খুব সাধারণ ভাবেই বিয়েটা হয়ে গেলো

ওকে আন্টি আজ তাহলে আমরা আসি বলেই সবাই বেড়িয়ে
আসলো

যখনি গাড়িতে উঠতে যাবে শক খেয়ে দাড়িয়ে আছে নীল

কি ব্যাপার তুমি গাড়িতে? কোথায় যাবে?

বিয়ের পর কোথায় যায় সেটা নিশ্চয়ই আপনার অজানা নয়?

নিশির এই ধরনের কথায় ই বুঝা যাচ্ছে খুব বড় ধরনের ঝড় আসছে

নীল খুব ভালোভাবেই জানে এখন নিশিকে নামতে বললে আরো
কান্ড ঘটিয়ে বসে থাকবে তাই ভিতরে গিয়ে আন্টিকে বলে
এসে গাড়ির ভেতরে বসলো।
। ।
আমাকে কি তোমার ড্রাইভার মনেহয়?

যে ড্রাইভ করে তাকে র কিছু বলা হয় নাকি আর যদিও বলা হয়
আমার এই মুহুর্তে জানা নেই

নিশির কথা শুনে হাসি পেলেও প্রকাশ করলো না
কোথায় যাবো এখন?

নিরবতা যে আমাকে আবার কোন ঝড়ের সংকেত দিচ্ছে
আল্লাহ এ জানে তাই ঢাকাই চলে আসার জন্য প্রস্তুতি নিলাম

বাসায় আসতেই নিশি নেমে ভিতরে গেলো জেন্সতো অবাক
হয়ে তাকিয়ে আছে নিশি মেম?

কিভাবে কোথায় পেলো স্যার?
অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো

নিশি কেমন আছো?

হুম। খুব ভালো আছি তুমি?

হ্যা ভালো তোমাকে দেখে আরো ভালো হয়ে গেছি
বলেই নিশিকে জড়িয়ে ধরলেন

জানো নিশি কত খুজেছে স্যার তোমাকে?

জেন্স নিশি অনেক জার্নি করে এসেছে এখন রেস্ট নেয়া
প্রয়োজন পরে কথা বলো

ইয়াহ স্যার

নীলের দিকে তাকিয়ে উপরে চলে গেলাম

উপরে এসে ভাবছি নীলের রুমে যাবো নাকি গেস্ট রুমে? নাহ
নীলের রুমেই যাই নয়তো আবার ওখান থেকে জোড়াজোড়ি করে
আনতে যাবে নীলকে খুব ভালোভাবে চিহে সে

এসে ফ্রেশ হয়ে খাটেই শুয়ে পরলো আলাদা শুয়ে থাকলে
নীলের জোড়াজোড়ি শুরু হবে আর আমি কিছুতেই ওর সাথে কথা
বলতে চাইনা শুধু আন্টির জন্য এই বিয়েটা করতে হলো

স্যার দেখবেন আর যেনো কোনো ভুল নাহয়

হুম।
তুমি পাশে থেকো তাহলে সব ঠিক থাকবে

স্যার আমি সবসময় পাশে আছি

নিন্স এর মতো বেইমান আমি নই

এসে দেখলাম নিশি ঘুমিয়ে গেছে। আসলে কি ঘুমিয়ে গেছে?

আগে ফ্রেশ হয়ে নিই তারপর যা করার করবো

ফ্রেশ হয়ে এসে দেখি নিশি কাঁদছে কিন্তু আমার আসার শব্দ
শুনে ঘুমের ভাব ধরেছে

কেনো জানি নিজের খুব খারাপ লাগছে আমার এই ভুলের জন্য
মেয়েটা কতোবার আঘাত খেলো আর আঘাত নয় ভালোবাসা
দিয়ে আগলিয়ে রাখবো এবার।

জেন্সকে দিয়ে রুমে খাবার আনালাম

নিশি! এই নিশি
খাবারটা খেতে হবে ওঠো

ঘুমে তলিয়ে গেছে মনে হয় কিন্তু এইটা যে তোমার নাটক আমি
ভালোভাবেই জানি

সারাদিন কিছুই খায়নি আর এখন না খেলে নির্ঘাত অসুস্থ হয়ে
পরবে

ওকে ওঠবেনা তো আমি ও খাবোনা বলেই খাবারটা পাশের
টেবিলে রেখে শুয়ে পরলাম

কিন্তু কোনো রিয়েক্ট নেই আগে যখন বলতাম আমি খাবোনা
কি পরিমান রেগে যেতো আর এখন?

হওয়াটাই স্বাভাবিক। যেই আঘাত আমার জন্য পেয়েছে
কিছুতেই মন ঠিক রাখার কথা নয়

কিছুক্ষন এদিক ওদিক করেও ঘুম আসছেনা নিজেকে অপরাধি
মনে হচ্ছে

নাহ রাগের বিপরীতে রাগ করলে হবেনা ওকে খাওয়াতে হবে
ভালোভাবে বুঝাতে হবে আমারি কষ্ট করতে হবে

হাতটা ধুয়ে খাবারটা পাশে নিয়ে নিশিকে ধরে আমার দিকে
ঘুরালাম

কেঁদে মুখ ফুলিয়ে ফেলেছে

ওঠো খেয়ে নিতে হবে

নিশ্চুপ হয়ে বসে আছে কোনো কথাই বলেনা মেয়েটা যে মেয়ে
কথা বলে আমার মাথা শেষ করে দিতো আর আজ এইমেয়ে
কিভাবে চুপচাপ হয়ে আছে

হা করো।

কি হলো করবে না তো ওকে দেখো আমি কি করি একপ্রকার
জোড় করেই খাবারটা খাওয়ালাম নিজে আর খেলাম না

নিশিকে শুইয়ে দিয়ে হাত ধুয়ে এসে শুয়ে পরলাম

নিশিকে একটানে বুকে নিয়ে নিলাম

(এমন করছে কেনো এই ছেলে ? তোমাকে শাস্তি আমি এভাবেই
দিবো কথা না বলে দেখি কতোদিন তুমি থাকতে পারো আমার
সাথে)

কোনো লাভ হবেনা এইভাবে জোড়াজোড়ি করে

সো এইভাবেই শুয়ে থাকো

(আল্লাহ এইগুলা কিসের হাড্ডি মানুষের? এতো শক্ত এতো
চেষ্টার পরও ছাড়াতে পারছেনা)

নাহ এতো সোজা কথায় কাজ হবেনা টান মেরে নিজের দিকে
ফিরিয়ে জরিয়ে ধরলাম

(আরে এতো আরো অবস্থা খারাপ করে দিচ্ছে এতো নড়েচড়ে ও
লাভ হলোনা ছাড়াতে পারলাম না)

কখন যেনো ঘুমিয়ে পরেছি মনেনেই

পাগলি আমি জানি খুব কষ্ট পেয়েছো আর কষ্ট না সব দুর করে
দিবো এবার বলেই কপালে একটা চুমু দিয়ে ঘুমিয়ে পরলাম

সকাল বেলা

ঘুম থেকে জাগার পর দেখি নীলের বুকে শুয়ে আছি

আমি এমন কোনো সকাল চাইনি নীল। ভালোবেসে তোমার
আবেশে থাকতে চেয়েছিলাম নীল আর আজ?

হাতটা ছাড়িয়ে চলে আসলাম

ঘুম থেকে ওঠে দেখি নিশি নেই হয়তো নিচে গেছে ফ্রেশ হয়ে
বের হলাম

এসে দেখি সোফায় শুয়ে আছে
মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেলো

তারপরও নিজের মেজাজ ঠান্ডা রেখে বললাম

এখানে শুয়ে আছো যে?

কথা শুনে তাকালাম কিছু না বলে চলে আসছিলাম

কথা বলবেনা আমার সাথে? এতোটাও খারাপ আমি? একটা
সুযোগ দাওনা নিশি?

কিছুনা বলেই রুমে চলে এলাম এসে দেখি খাটেরর ওপরে শাড়ি
দেয়া গোসল ও করা দরকার

কিন্তু শাড়ি তো আমি পরতেই পারিনা তাহলে?

continue…..
.বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *