অজানা সম্পর্ক !! Part- 03
পৃথাঃএই ছেলে কে তোর মা? যাকে তাকে মা মা বলে।।কাল থেকে দেখছি মাম্মাম মাম্মাম করছিস।।আমি তোর মা নই।।তোর মার কাছে যা আমাকে কেন জ্বালাছিস।।
পৃথার কথায় আয়ানের চোখ মুখ লাল হয়ে আসছে যেন এখনই চোখের সব পানি ঝরবে..
আয়ান হঠাৎ কান্নাভরা চোখেই হেসে পৃথাকে জড়িয়ে বলে..
আয়ানঃমাম্মাম তুমি লাগ কলছ কেন?আমি তো তোমাল বাবু, তুমি ই তো আমাল মাম্মাম।। আমাল তো আল মাম্মাম নেই সবাল তো একটাই মাম্মাম থাকে।।পাপ্পা তো বলে আমি নাতি ভালু তেলে।।আমি তো দুততুমি কলি না।।আমি সবাল কথা তুনি।।তুমি পাপ্পা কে জিগতাত কল।।পাপ্পা তুমি মাম্মামকে বলো না আমি ভালু তেলে কাউকে জালাই না।।বলো না পাপ্পা(পৃথাকে ছেড়ে আকাশের কাছে গিয়ে)
আকাশ অসহায় হয়ে আয়ানের সামনে হাঁটু গেড়ে বসে বলে..
আকাশঃহ্যা বাবাই তুমি অনেক ভালো ছেলে।তুমি পাপ্পার গুড বয়।।সবার কথা শোনো তুমি।।
আয়ান আকাশের কথা শুনে খুশে হয়ে পৃথার কাছে গিয়ে বলে..
আয়ানঃদেখত মাম্মাম পাপ্পাও বলতে আমি গুত বয়।।এখনত আমাল কাতে আত।।আমাকে আদল কল না মাম্মাম(পৃথার হাত ধরে)
পৃথারও আয়ানের কথাগুলো শুনে কষ্ট হয় কিন্তু না আকাশের সামনে কোনোভাবেই নিজেকে দুর্বল করা যাবেনা।।আয়ান পৃথার ছেলে না।কেন তাকে কাছে টেনে নিবে।।আকাশের ছেলে জানার পর তো প্রশ্ন আসে না।।আগে না হয় অনুভূতিতে জড়িয়ে ছিল।।এখন আর না।।নিজেকে শক্ত করে আয়ানের কাছ থেকে নিজের হাতটা ছাড়িয়ে।।আয়ানের ছোট্ট মনে যে আশা জন্মে ছিল তা নিমিষে মলিন হয়ে গেল।।আবার কান্না মুখে আকাশের কাছে গেল..
আয়ানঃপাপ্পা মাম্মামকে বলো না তুমি। পাপ্পা মাম্মাম আমার মাম্মাম না বলো?পাপ্পা তুমি না বলত মাম্মাম একদিন তলে আতবে।।তো মাম্মামকে বলো না আমাল কাতে আততে।।তুমি বললে টিক আতবে। বলো না পিলিজ বলো।(কান্না করতে করতে হাত ঝাকিয়ে)
আকাশ কি বলবে তা বুঝতে না পেরে..আমতা আমতা করে করে..
আকাশঃপৃথা..আ..আসলে তুমি একটু প্লিজ…..
আকাশকে বলতে না দিয়ে পৃথা..
পৃথাঃআসলে কি আমি হ্যা।।নিজের ছেলেকে এটাও শিখাতে পারলে না যে কাকে মা বলতে হয় আর কাকে না।।রাস্তায় যেকোনো কাউকে মা বলে জড়িয়ে ধরবে।।ওর মাও বা কেমন নিজের ছেলেকে সামলে রাখতে পারে না।।এই আপনার ওই ছেলেকে বলে দিবেন যেন আনার কাছে না আসে বুঝেছেন? আপনি তো ভালো করেই জানেন যে আমি ওর মা নই তো কেন আমার পিছনে পিছনে মাম্মাম মাম্মাম করবে?আমার কোনো বাচ্চা নেই আর নাহ আমি কারও মা(অনেক কষ্টে নিজেকে শক্ত করে কথাগুলো বললো।আয়ানের জন্য বুকে কেন যেন ব্যথাও করছে।।কেন হয় এমন?শুধু কি আকাশের ছেলে বলে??নাকি নিজের সন্তানকে হারিয়ে??কোন অজানা সম্পর্ক এটা?? )
আকাশকে কথাগুলো বলে আয়ানের দিকে তাকিয়ে দেখি ছোট্ট বাচ্চাটা নাক মুখ ফুলিয়ে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না করছে।।নাহ এখানে আর থাকা যাবে না।এই বাচ্চাটাকে দেখলে নিজেকে আর সামলাতে পারবে না।।শুধু শুধু ওর আর আকাশের ঝগড়ায় বাচ্চাটা কেন কষ্ট পাবে??কিন্তু আজব ওর মা কোথায়?? নিজের ছেলেকে সামলে রাখতে পারে না??আর আয়ান আমাকেই বা কেন তার মা ভাবছে??আমাকে ও কিভাবে চিনে??নাহ এসব আর ভাবতে চাই না।।আকাশের সাথে না আছে সম্পর্ক আর নাহ আমি রাখতে চাই।।যেহেতু আকাশের সাথে সম্পর্ক নেই তো কেন কোনো অনুভূতি থাকবে ওর ছেলের সাথে??হঠাৎ রাজের ডাকে ভাবনায় ছেদ পড়ল।
রাজঃপৃথা শোন না আসলে…(আকাশকে দেখে থেমে গিয়ে।।রাজও মাত্রই জানল যে এটা আকাশের পার্টি আর আকাশই হসপিটালের নতুন মালিক।।তাই ও তা পৃথাকে বলতে এসেছিল যেন ওদের আকাশের সাথে দেখা না হয় কিন্ত এখানে তো ওদের কথাও হয়েছে)
আকাশঃআরে রাজ?কেমন আছো?
রাজঃ(নিজেকে সমালে)এই তো ভালোই।এই পৃথু চল কথা আছে।।
আকাশঃএত তাড়া কেন?পার্টি তো মাত্র শুরু হবে।।
পৃথা রাজের হাত ধরে বলল..
পৃথাঃরাজ আমি বাসায় যাব রাইট নাও।।তুমি চাইলে থাকতে পারো।।(আকাশের দিকে তাকিয়ে)
রাজঃনাহ নাহ আমিও যাব।।আচ্ছা স্যার আসি।।।ওকে চল।।
রাজের হাত ধরে যাওয়া ধরলে আয়ান পিছনে পিছনে কান্না করতে করতে আসা ধরে…
আয়ানঃমাম্মাম মাম.. মাম্মাম।।তুমি আমাল কাতে তাক না।।আমাকে তেরে যেয় না।।মাম্মাম..
পৃথা সেদিকে ফিরে তাকায় না।।আয়ান পিছনে পিছনে আসতে থাকলে আকাশ আয়ানকে গিয়ে ধরে।।আয়ান অনেক ছোটাছুটি করতে থাকে।।মাম্মাম মাম্মাম করে কান্নাকাটি করতে থাকে।।আকাশ আয়ানকে কোলে নিয়ে উপরে চলে গেল।। আয়ান কান্না করতে করতে বলে..
আয়ানঃপাপ্পা মাম্মাম কে নিয়ে আত।।আমাল মাম্মাম তাই তাই।।(কান্না করতে করতে রুমের মালামাল ভাঙতে থাকে।।সব কিছু নিচে ফেলতে থাকে।।ক্লান্ত হয়ে নিচে হাত-পা ছুড়ে কান্না করতে করতে গলায় ঝুলানো লকেটটা খুলে যেখানে পৃথার আর আকাশের ছবি লাগানো।। ছবিটা দেখে তাতে একটা চুমু দিয়ে সামনে তানানো বড় ছবিটার কাছে যায়।পৃথার হাস্যোজ্বল একটা ছবি তানানো।।ছবিটায় হাত বুলিয়ে বলতে থাকে)মাম্মাম কেন আমাল কাতে আত না৷। আমাকে কি তুমি ভালুবাত না?আমি না তুমাল বাবু? তুমি তো জাননা আমি লোজ তুমাল তবির সাতে কতা বলি।।হাত বুলিয়ে আদল কলি।।কত চুমু দেই।।তাও তুমি কেন আমাকে ভালুবাত না?আমি কি তত্তি পঁচা তেলে?
আকাশ দাড়িয়ে দাড়িয়ে ছেলের কষ্টগুলো দেখছে।।আজ ওর ভুলের কারণে ওর ছেলের মা নেই।।ওর জন্য আজ ওর ছেলের এ অবস্থা..ও আয়ানের পাশে গিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে বলে
আকাশঃনাহ বাবা।। আমার আয়ান অনেক ভালো আর তার মাম্মামও তাকে ভালোবাসবে দেখো।।ততদিন আয়ানকে গুড বয় হয়ে থাকতে হবে।।ভাঙাচুড়া করা যাবে না।।ভালোমতো খাওয়া দাওয়া করতে হবে।।নাহলে কিন্তু মাম্মাম আসবে না।।
আয়ানঃনাহ।।আমি সব কতা তুনব।।সলি।।আমি খাবাল খাব।।তাইলে মাম্মাম তলে আসবে তাইনা পাপ্পা??(অনেক আশাভরা চোখে আকাশের দিকে তাকিয়ে)
আকাশঃ(অনেক কষ্টে ছেলের চোখের আশা দেখে অসহায়ের সাথে বলল)নিশ্চয়ই আসবে।।চল তোমাকে খাইয়ে নিয়ে আসি।।
আকাশ আয়ানকে নিয়ে নিচে গেল।।এতক্ষনে পার্টি ও শেষ হয়ে গেল।।
।।
।।
পৃথাও সারাপথ রাজের সাথে কথা বলল না।।রাজও বুঝতে পারছে পৃথার মনে কি চলছে তাই ও কিছু বলল না।।পৃথার প্রচন্ড কান্না পাচ্ছিল।।আয়ানের কান্নাভরা ডাক বার বার কানে বাজাচ্ছিল।। কত বার ডাকল কিন্তু পৃথা পাষাণের মতো চলে এলো।। ফিরে যেতই বা কীভাবে? কি সম্পর্কের দোহাইয়ে যেত?কোনো তো সম্পর্ক নেই ওর আয়ানের সাথে।।বাসায় ফিরে রুমের দরজা আটকিয়ে কান্না করল।।এই কান্নাই যেন ওর জীবনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে।।
।।
।।
আকাশ আয়ান খাইয়ে ঘুম পারিয়ে দিল।।আয়ানও মাম্মামকে ফিরে পাওয়ার লোভে আকাশের সব কথা শুনে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ল।।পৃথার একটা ছবি বুকে জড়িয়ে।।আকাশ ফ্রেশ হয়ে পৃথার ছবিটার সামনে এসে দাঁড়িয়ে হাত বুলিয়ে দিত লাগল।।হঠাৎ আকাশের ফোনটা বেজে উঠল।। অচেনা নাম্বার।।আকাশ ফোনটা ধরে হ্যালো বলার আগেই ওপাশ থেকে কেউ হ্যালো বলে উঠে..
আকাশের মুখ থেকে বের হয়ে যায়.. ড..ডা..ডায়না…??????????
।।।হঠাৎ আকাশের ফোনটা বেজে উঠল।। অচেনা নাম্বার।।আকাশ ফোনটা ধরে হ্যালো বলার আগেই ওপাশ থেকে কেউ হ্যালো বলে উঠে..
আকাশের মুখ থেকে বের হয়ে যায়.. ড..ডা..ডায়না…??????????
ডায়নাঃওলে বাবা আমার কন্ঠেই চিনে গেলে?তোহ কেমন আছো শুনি?আমার বাবুটা কেমন আছে?
আকাশঃওই কিসের জন্য ফোন দিয়েছিস হ্যা?? আমাদের তো খবর নিতে ফোন দিসনি তা তো আমি জানি।।আর আয়ান তোর বাচ্চা না গট ইট??(রেগে)
ডায়নাঃওহহো এত রাগ কেন করছ? তুমি যান আমার উপর রাগের পরিমাণ ভালো হবে না।। আর আয়নের মা কে তা তোমার আমাকে বলতে হবে না।। আমার কিছু টাকা প্রয়োজন তাই ফোন দিয়েছি ওই বাচ্চার উপর আমার কোনো ইনট্রেস্ট নাই আর নাহ ছিল।।ও তো জাস্ট তোর সম্পত্তিতে ভাগ পাবার মাধ্যম ছিল।।তোমার আর তোমার ছেলের প্রতি আমার কোনো আগ্রহ নেই জাস্ট আমার টাকা গুলো পাঠিয়ে দেও আমি আমার বিএফকে নিয়ে ভালোই আছি।।তোর সো কল্ড বউ হয়ে থাকার ইচ্ছা নেই আমার আর না তোর বাচ্চার মা হয়ে।।
আকাশঃতোর মতো মেয়ে কারো মা হতো পারে না।।না তুমি আমার আয়ানের মা।।আমার আয়ানের মা পৃথা।। ছোটো বেলা থেকে আমি ওর ধ্যান মন সবকিছুতে পৃথার স্মৃতিতে সাজিয়েছি।।আমার অবুঝ শিশুটা তার মা বলতে পৃথাকেই বুঝে তোমাকে না।।তুমি ওর জীবনের কোনো অংশেও নেই।।আমাকে আয়ানকে দিয়ে সব হাসিল করতে চেয়ে নিজের ছেলেকে হারালে।।হাহ শুধু টাকা চাই তোমার দেখবে একদিন তোমার কাছে কিছু থাকবে না।।আমাদের ডিভোর্স হয়ে গেছে তো এখন কেন টাকা চাইতে ফোন দিছ।।তোমার নামে আমি আমার অনেক সম্পদ দিয়েছি আর না।। নেক্সট টাইম ফোন দিবে না।।
ডায়নাকে কিছু বলতে না দিয়ে আকাশ ফোন কেটে দেয়..
ডায়নাঃতোমাকে আমি দেখে নিব।।এখনও ওই পৃথা পৃথা কর।।ওয়েট করতে থাক এখনও অনেক কিছু বাকি আছে।। আয়ান আছে না।।বাঁকা হাসি দিয়ে… (রাগে মোবাইলটা ছুড়ে ফেলে)
পাশ থাকে ডায়নার বিএফ ওকে জড়িয়ে ধরল।।ডায়নাও রাগ ভেঙে তাদের রঙলীলায় মেতে উঠলো…..
।।
।।
আকাশ ফোন রেখে পৃথার ছবির সামনে দাঁড়িয়ে আবার বলতে লাগল……
আকাশঃজানো পৃথা।।কথায় আছে না যখন অধিক সুখ হয় তখন কপালে সয় না।।আমরা তো ভালোই ছিলাম কিন্তু আমাদের সুখের সংসারে কাল হয়ে দাঁড়াল ডায়না।।কাজিন হওয়ার সুবাদে ওর সাথে ভালো সম্পর্ক ছিল।।একই বয়সী ছিল।।আমরা একসাথে মেডিকেলে পড়তাম।।তোমার সাথে সম্পর্ক জানার পর ও আমাকে প্রপোজ করে আমি ফিরিয়ে দেই।।ওকে বোঝাই অনেক।।দেন ও হেসে তা মেনে নেয়।। আমিও নিশ্চিন্ত হই।।কিন্তু হঠাৎ ও তোমাকে বিয়ে করায় ও তা মেনে নিতে পারেনি।। একদিন আউটডোরে যাই তখন ও আমাকে অনেক নেশা করায়।।আমার কিছু মনে নেই।।সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজেকে এক হোটেলে পাই।।কেউ ছিলো না।।কিছু ভেবে না পেয়ে বাসায় চলে আসি।।দিনগুলো ভালোই কাটছিলো।। তোমার ডেলিভারি ডেটের দিন ফোন আসে ইমারজেন্সি।। তোমাকে ছেড়েই আমাকে যেতে হয়।।মাঝপথে গাড়ির এক্সিডেন্ট হয়।। যখন আমার হুঁশ হয় তখন নিজেকে এক হসপিটালের বেডে পাই।।জানতে পারি দুদিন হয়ে গেছে।। আমাকে ওখানে কে আনে জিগ্যাসা করলে ডায়না সামনে আসে আর কোলে ছিল বাচ্চা।।আমার আয়ান।।আমি কিছু বুঝতে পারছি না।। ডায়নার কাছ থেকে জানতে পারলাম আয়ান আমার আর ডায়নার ছেলে কিন্তু কিভাবে সম্ভব।। তখন আমাকে সেই আউটডোরের কথা বলল সে রাতে নাকি ডায়নার সাথে নেশার ঘোরে ডায়নার অনেক কাছে চলে গেছিলাম।। ছিহ নিজের উপর ঘেন্ন হচ্ছে।। কি করব কিছু ভেবে পাচ্ছি না।।শত হোক ডায়নার সাথে সম্পর্ক না থাকলেও আয়ানের সাথে আছে।।কিন্তু মের সন্দেহ মেটাতে ডিএনএ টেস্ট করাই যা ম্যাচ হয়।। তাই সিদ্ধান্ত নেই যে সব তোমার উপর ছেড়ে দিব তাই ওদের নিয়ে তোমার কাছে রওনা দিলাম কিন্তু যেয়ে জানতে পারলাম আমাদের সন্তান আর নেই।।নিজেকে কি হতভাগা মনে হচ্ছে নিজের সন্তানকেও দেখতে পারলাম না শেষ দেখা।।যখন তোমার আমাকে প্রয়োজন ছিল আমি ছিলাম না।।আমি তোমার কাছে যাওয়ার আগেই রাজের সাথে দেখা।। ওকে আমি সব বললে ও আমাকে বাঁধা দেয় বলে এখন কেন এসেছি যখন প্রয়োজন ছিল তখন যাইনি।।রঙলীলা করে কি মুখ দেখাব তোমাকে।।ওর কথাগুলো সত্যি ছিল এক তোমার বাচ্চা হারিয়েছো তখন যদি জানতে আমার ডায়নার বাচ্চা আছে তুমি তো ভেঙে পরবে।।তাই আর যাওয়া হয়নি তোমার কাছে।।কি মুখে যেতাম।।তাই চলে আসি।।আয়ানকে নিয়ে ডায়না অনেক ইমোশনাল ব্যাক মেইল করে তাই বাধ্য হয়ে তোমাকে ডিভোর্স পেপার দিয়ে ডায়নাকে বিয়ে করি।।পরিবার নিয়ে লন্ডন চলে যাই কিন্তু জানো আমি কখনও তোমাকে ভুলি নি নাহ ডায়নাকে মেনে নিয়েছি।। কিন্তু আমায় বাচ্চাটার কপালে মায়ের আদর সইল না।।ডায়না একটা দিনও বাচ্চাটাকে বুকের দুধ খাওয়ায় ন।। বাজারের দুধ খেতে খেতে বাচ্চাটা অসুস্থ হয়ে পড়ে।।হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।।কত অসহায় লাগত যদি তুমি আমার পাশে থাকতে।।কত রাত আয়ানকে বুকে নিয়ে কানতাম।।নিজের পাপের শাস্তি পাচ্ছি।। তোমাকে কষ্ট দপয়ার ফল।।ডায়না কখনো আদর করেনি আমার ছেলেকে।।আয়ান ছোট থেকেই মা বিহীন জীবন পার করছে।। ডায়না সবসময় পার্টি আর বিএফে মত্ত থাকত।।কখনো আয়ানের মুখ পর্যন্ত দেখত না।।ছয় মাসের মাথায় ডায়না বাসা ছেড়ে চলে যায় এক বড়লোককে ধরে…..আমি ছোটো থেকে আয়ানকে তোমার ছবি দেখিয়ে এসেছি।। ওর মা বলতে তোমাকে বুঝিয়েছি।।জানো আয়ান তোমাকে কত ভালোবাসে।।তোমার ছবি দেখে তাতে অসংখ্য চুমু খেয়েছে।।তোমার পুরোনো ওড়না ওকে দিতাম যেন মায়ের গায়ের গন্ধ পায়।।বাচ্চাটা তোমার ছবি বুকে নিয়েই এতগুলো দিনপার করেছে।।আজও তোমার ছবি বুকে না নিয়ে ঘুমায় না।।তুমি কি আমার ছোট্ট আয়ানটাকে একটু ভালোবাসা দিবা?????আদর করে একটু বুকে টেনে নিবা???আমার ছেলেটা যে কখনো মায়ের ভালোবাসা পাইনি।।।কত আশা বেধে আছে ওর ছোট্ট বুকটায়।।।
আকাশ আয়ানের পাশে গিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে আছে কি মাসুম ওর চেহারাটা।।সারাদিন মাম্মাম করে ।। কবে পাবে ওর মাম্মামকে।। চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়ে।। ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে পাশে শুয়ে পরে বুকে টেনে ।।।
।।
।।
চলবে।।।।।। 🥺🥺🥺