বস বয়ফ্রেন্ড ! season-3

বস বয়ফ্রেন্ড ! season-3 পর্ব- ২৭&শেষ

– আপনার ফোন টা একটু দিন ত।

মেঘ – নেও।আচ্ছা আমি ওই দিকে যাচ্ছি।
কাজ শেষ এ ফোন দিয়ে যেও।

তারা- ফোনে photo gallery তে যেয়ে দেখলাম
আমার অনেক ছবি।
কবে কখন তুলেছে কে যানে।?

দেখতে দেখতে কয়েক্টা ছবিতে চোখ
আটকে গেল।
আরে এটা তো সেই পিচ্চিটা যে ট্রেন এ
আমার সাথে ছিল তার মানে উনি ওকে
আমার কাছে পাঠিয়ে ছিল? ? উনি ওই ট্রেন
এ ছিল? ??
কিন্তু কিভাবে? ?

পরে জিজ্ঞেস করব। এখন থাক।

এই নিন আপনার ফোন।

মেঘ – হেসে ফোন টা নিলাম।

সন্ধা –

উফফ কোনো মত ত শাড়ি পরে নিলাম।রেড
রং এর শাড়ি। ব্লাক স্টোন এর কাজ আছে
এতে।
কিন্তু কুচির নিচের দিক টা কিভাবে ঠিক
করব।? মিনু/ দিয়া কই ওরা।

মেঘ – ওর পায়ের সামনে বসলাম।
কুচি ঠিক করে দিলাম।

কি হয়েছে। ?

তারা- হুম।
আমাকে আয়নার সামনে দাড় করালেন।

মেঘ – একটা চেইন ওর সামনে ধরলাম আমি
পিছনে দাড়িয়ে।

তারা- আরে এটা ত আমার চেইন আপনার
কাছে? ??

মেঘ – হুম।
ওই দিন রাস্তায় পরে গিয়েছিল। তুমি খেয়াল
করনি এতদিন।

তারা- তাহলে এখন পরিয়ে দিন।

মেঘ – তা ত দিবই।পরিয়ে ঘাড়ে চুমু দিলাম।

আচ্ছা বাইরে যাচ্ছি রেডি হয়ে আসো।

তারা- উনার হাত ধরলাম।
পা উচু করে কপালে আলত ঠোটের ছোয়া
দিলাম।

মেঘ – এত আদর “!””” হায় মে মার গায়া।

তারা- যান এখন।

মেঘ – আচ্ছা।

বিয়ে হয়ে গেল।
মেয়ের বিদাই হল।
আস্তে আস্তে অনেকেই রাতের ট্রেন বাসে
নিজের বাসার উদ্দেশ্যে রৌনা দিল।

মিনু – কিরে তোরা আরো কয়দিন থাক।

তারা- নারে বাসায় যেতে হবে।

মিনু – হ্যা এখন ত বিয়ের জন্য পাগল হয়ে
গেছেন আপনি।

তারা- দুর কি যে বলিস না।

নে তোর জামা হুলার জন্য থ্যক্স।

মিনু- আমার না তোর ই।

তারা- মানে?

মিনু – এইসব জামা কাপড় মেঘ তোর জন্য
কিনে আমার হাত দিয়ে তোকে দিয়েছে।
বুঝলা মনু? ??

দেখ তোকে কত ভালবাসে। তোর কি খেয়াল
টা রাখছে।
তাই ত বাইরে যেয়ে এত এত শপিং করছে
তোর জন্য।
ছেলের পছন্দ আছে বলতে হবে।

তারা- ( আর কি করলাম। কত কস্ট দিলাম
তাকে। )

সকালে –
ঢাকার উদ্দেশ্যে বের হলাম সবার থেকে
বিদায় নিয়ে।

ট্রেনে –
তারা – এই কি করছ?( উনার কাধেই মাথা
ছিল)

মেঘ – এত দিন অফিসে ছিলাম না কাজের ২৩
টা বেজে গেছে। তাই চেক করছি।
.
তারা- এত কাজ করতে হবেনা দেও ফোন
দেও। ফোন নিয়ে রেখে দিলাম।

মেঘ – আচ্ছা কাজ করব না।
তোমাকে দেখব।

তারা- না আমার লজ্জা লাগে।
মেঘ- তাহলে কি করব? ?

তারা- চুপ করে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে
দেও।

মেঘ – আচ্ছা।
দেখতে দেখতে তারা ঘুমিয়ে গেল ওইভাবেই।
আমি বসে বসে ওকে দেখছি।

এই যে ম্যাম

তারা- উফফ ঘুমাতে দেও।

মেঘ – ঢাকা ত চলে এসেছি।
তাহলে তুমি ঘুমাও আমি যাই।

তারা – কিহ! ! বজ্জাত ১ টা।

মেঘ – হেহে চল।

তারা- আমার না খুব ভয় করছে।

মেঘ – যাওয়ার আগে মনে ছিল না? ?

তারা- তোমার জন্য ই তো।

মেঘ – আচ্ছা হইছে চল এখন বাসায়।

তারা আমার পিছে মুখ লুকিয়ে দাড়িয়ে
আছে।
স্যার দরজার খুলল।
আমি হাত ধরে তারাকে সামনে আনলাম।

তারা – বাবাকে যেয়ে জরিয়ে ধরলাম আমি
ভুল করেছি বাবা im sorry। আমাকে মাফ করে
দেও।
প্লিজ।
সরি।

বাবা- থাক থাক হইছে আর কাদতে হবেনা।
মেঘ ভিতরে আসো।

মেঘ – না স্যার এখন যাই।
তারার দিকে তাকিয়ে চলে আসলাম।

রাতে ফোন দিলাম-
কি ম্যাম কি করছেন।

তারা- তোমাকে ভাবছি।
এই কয়দিন খুব জ্বালিয়েছছ।

মেঘ – আপনি মনে হয় জ্বালান নি?

তারা- আচ্ছা ১ টা কথা বল তুমি জানলে
কিভাবে আমি কই যাচ্ছি।

মেঘ – কাল কে সব জানতে পারবে।
মা কে নিয়ে কাল কে আসছি।
মা তার ছেলের বউ কে দেখতে চাইছে।

তারা- ও আল্লাহ।
মামনি কে কিভাবে মুখ দেখাব আমি??

মেঘ – সেটা তুমি জানো এখন ঘুমাও।

পরেরদিন-

বাসায় হাজির মেঘ আর তার মা।

মা- কিরে তারা কেমন আছিস?? বিয়ে কেমন
খালি।
।তারা- ভাল।
মামনি।
( মামনি কি জানেনা আমি ভেগেছিলাম? ??)

তারা- তুমি বসো আমি চা আনছি।

মেঘ – আমিও তারার পিছন পিছন গেলাম।
জরিয়ে ধরলাম ওকে পিছন থেকে।

তারা- কি করছ? ?

মেঘ – আমার বউ কে আদর করছি।

তারা- মামনির কথা শুনে আমি কিছুই বুঝলাম
নআআ।
মামনি জানেনা আমি ভেগেছিলাম? ?

মেঘ – নাহ।
তারা- কিভাবে? ?আর তুমি জানলা কিভাবে
আমি সিলেট?
মেঘ – তোমার পায়ে যে পায়েল টা আছে
..

তারা- ওটা তুমি পড়িয়েছ

মেঘ – আজ্ঞে হ্যা।
এটা দিতেই আগের দিন বাদায়বেসে সিলেট
এর টিকিট টা পেলাম।
তারপর তোমার বাবাকে বললাম।
সব বুঝিয়ে

আর মা কে বলেছি তুমি আর আমি বিয়ের
দাওয়াত খেতে সিলেট যাচ্ছি
কিন্তু আমি তখন জানতাম না ওইখানে
আসলেই বিয়ে হচ্ছে।
হেহেহে।
তাই নিশ্চিন্ত হয়ে থাকা গেছে।

তারা- এত বুদ্ধি কই রাখো।

মেঘ – মাথায়।
হেহেহে।

তারা- আচ্ছা হইছে এবার সরো।
মা- এবার কিন্তু আর দেরি করব না
তারা কে বাড়ির বউ করে এবার নিয়ে যাব।

তারার বাবা- আমিও তাই চাই।

১ সপ্তাহ এর মধ্যে স্পব রেডি।
আজ বিয়ে টাও হয়ে গেল।

মেঘ -বউ আমার বিছানা তে ফুলের মধ্যে বসে
আছে।
সামনে যেয়ে হাত বারিয়ে দিলাম।
তারা হাতে হাত রাখল।

তারা- বিছানা থেকে নেমে দাড়ালাম।
কোথায় নিয়ে যাচ্ছ

মেঘ – ছাদে চল।

তারা- ছাদে যেয়ে আমি অবাক।
সারা ছাদে ফুল ছিটানো।
হঠাত ও আমাকে কোলে তুলে নিল।

ওর বুকে মাথা গুজলাম।

মেঘ – দেখো তারা।
মেঘ কিভাবে তারাদের সাথে খেলা করছে।

তারা – সবাই মেঘ আর চাদের খেলা দেখে
আর তুমি?…

মেঘ – আর আমি শুধু তারাকে দেখি।

ভালবাসি খুব।

তারা- ভালবাসি আমিও খুব।

২ বছর পর-
আয়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া

মেঘ – ওর চিতকার এ আমার কান ধরে যাচ্ছে।
কানে আংগুল গুজে বসে আছি।

মা আর কতক্ষন

মা- তুই চুপ করবি? ?
বাবা হতে চলেছিস তাও এখন ও ছোট দের মত
করছিস।

মেঘ –
কিছুক্ষন পর নার্স ছোট ১ টা তুলতুলে সোনা
বাবু মায়ের কোলে দিয়ে গেল।
আমার ছোট ১ টা প্রিন্স হইছে।
.
নার্স তারা কেমন আছে।

নার্স – আসলে উনি? ?… আসলে আমরা
উনাকে??

মেঘ – কি বলছ ভাল ভাবে বল।

ডাক্তার – সরি।
আমরা বাচ্চাটাকেই শুধু বাচাতে পারলাম।

মেঘ – মজা করা হচ্ছে আমার সাথে তাইনা।
আমি একটু আগে ওর গলা শুনলাম।

মা দেখোনা কি বলছে।
বাবা দেখেন না? ?

দোড়ে গেলাম তারার কাছে।
তারা!এই তারা! কথা বল আমার সাথে।
এই দেখ আমাদের ছোট বেবি একটা প্রিন্স
হইছে।
তুমি না বলেছিলে আমার ছোট মেঘ চাই দেখ
সেটাই হইছে।
এই কথা বল।
প্লিজ।
চিতকার দিয়ে উঠলাম।
তারার কোনো সাড়া শব্দ নেই আজ।

৫ বছর পর-

মেঘ – কবর স্থানের সামনে গাড়ি টা থামল।

নাহিয়ান- ( মেঘ ও তারার ছেলে)
পাপা পাপা এতা কোন জায়গা।

মেঘ – মানুষ মারা গেলে এখানে রাখা হয়।

নাহিয়ান- আমরা কাকে দেকতে আত্তি
( দেখতে আসছি)

মেঘ – ভেতরে চল। গেলেই দেখবা।

কবর টার সামনে দাড়িয়ে আছি।

নাহিয়ান- পাপা এতা কাল কবল ( কার কবর)

: পিছন থেকে এটা তোমার নানার কবর

মেঘ – এত দেরি হল কেন তারা।

তারা- মামনির চেকাপ করিয়ে আসতে দেরি
হয়ে গেল।
( কি ভাবছিলেন ত তারা মরছে।
হেহে তা কি করে হয়।
নাইকা মরলে কি হয়? তাহলে ওই দিন এমন হল
কেন তাই ভাবছেন? ? চলে ফ্লাশ বেক টা
দেখে আসি)

মামনি –
মেঘ তুই পাগলামি বন্ধ কর।
তোকে এখন শক্ত হতে হবে।
তোদের ভালবাসার চিহ্ন কে এখন তোকেই
দেখতে হবে।

মেঘ – না মা আমি তারার কাছে যাব।
তারা! ! তারা! !!আসছি তোমার কাছে বলতেই
গালে মনে হল কে যেন ঠাস করে থাপ্পড়
লাগায় দিল।
চেয়ে দেখি তারা।

তারা- পাগল ১ টা।
এত পাগলামি করবা তা তো ভাবি ই নাই।
আরে ভাই একটু নাটক করছিলাম।

মেঘ – গলা জোরে করে ধরলাম।

মামনি – আরে কি করছিস।

মেঘ – ওর তো মরার শখ তাই মারছি।

তারা- আমি তাতেও রাজি।

মেঘ – বাবুকে নিয়ে বাসায় চলে আসলাম।
সন্ধা তে তারা আসল বাসায়।
২ দিন কথা বলিনি ওর সাথে।
ও রাগ ভাংগানোর যথা সাধ্য চেস্টা করছে।

তারা- কি কথা বলবে না তো??
ঠিক আছে আমি নাহিয়ান কে নিয়ে চলে
গেলাম।

মেঘ – হাত টেনে ওকে বিছানায় ফেললাম।
ওর উপর উঠে আবার যদি যাওয়ার কথা
বলেছনা মেরে ফেলব একেবারে।

তারা- কলার টেনে ধরে নিজের কাছে
আনলাম তাই নাকি??
মাফ করেছ?

মেঘ – উঠে বসলাম।
আর এমন করবেনা।
আমি বাচবনা তোমাকে ছাড়া।

তারা- আমিও না।

খুব ভালবাসি মেঘ তোমাকে।

বর্তমানে তারা, মেঘ, নাহিয়ান- আর মামনি
সবাই খুব ভাল আছে।
ওরা এইভাবেই যেন ভাল থাকে।
দোয়া করবেন।
ভাল থাক সব ভালবাসার মানুষ গুলা । পূর্ণতা
পাক তাদের ভালবাসা।
বেচে থাক ভালবাসা নিয়ে।

শেষ।

কেমন হইছে জানিনা।
বাট খুব চেস্টা করছি তোমাদের খুশি করার।
কত টুকু পারলাম জানিনা।
তোমাদের ভাল লাগলে আমি সার্থক।
গল্প পড়ে তোমরা মজা পেলে কিনা
জানিনা। কিন্তু এই গল্পের মাধ্যমে আমি
অনেক মানুষ এর সাথে পরিচিত হতে পারলাম।
ছোট ছোট অনেক আপি, বড়, সমবয়সী অনেক
এর সাথেই পরিচিত হতে পেরে আমি আসলেই
খুব খুশি।
ভাল থাকো তোমরা।
তোমাদের ভালবাসায় আসলেই আমি মুগ্ধ।
গল্প টা কেমন হয়েছে মেসেজে অথবা কমেন্টে জানিয়েন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *