বস বয়ফ্রেন্ড ! season-3 পর্ব- ২২
তারা- এত মানুষ দেখে আমার মাথা ঘুড়ায়
গেল।
ভাইয়া কি হচ্ছে এইইখানে।
।
সপ্ন- আরে আমার বনের বিয়ে হচ্ছে। তাই
সবাই বাসায় এসেছে।
।
মিনু – কিরে এসে গেছিস? তোর সাথে এ কে?
।
সপ্ন- তারার বন্ধু।
।
মিনু – ওহ আচ্ছা।
আসুন ভাইয়া ভিতরে আসুন।
সপ্ন – তুমি ওকে গেস্ট রুমে নিয়ে যাও।
আমি তারাকে আমার রুমে নিয়ে যাচ্ছি।
।
মিনু – তোকে এমন দেখাচ্ছে কেন রে?তোর
জামা কাপড় এর ব্যাগ কই?
তারা – সব খুলে বললাম।
।
মিনু – ভাগ্যিস মেঘ ভাই ছিল সাথে।
।
তারা- ( ওর জন্যি হইছে এইসব)
।
মিনু – কিছু বললি?
।
তারা – না।
।
মিনু – ফ্রেশ হ খেতে দেই।
।
তারা- খাওয়া শেষ করে শুতে যাচ্ছিলাম।
।
সপ্ন – তারা। মেঘ তোমাকে ডাকছে
।
তারা- আল্লাহ জানে কি হয়।
।
কোথায় উনি? ? নামানে ও।
।
সপ্ন – ছাদে যাও।
।
তারা- এত রাতে!??
।
সপ্ন – ভয় নেই বিয়ে বাড়ি সবাই অনেক লেট
করে ঘুমায়।
।
তারা- ছাদে গেলাম।
কি হয়েছে বলুন?
।
মেঘ – তুমি কি ছোট খুকি? ?
কিছু বুঝনা? ?
এইটা কি করছ তুমি? ?
আজ কিছু হয়ে তেলে কি হত একবার ভেবেছ??
।
তারা – আপনাকে কে ভাবতে বলছে।
।
মেঘ – চুপ মেয়ে।
থাপ্পড় দিয়ে সব দাত ফেলে দিব।
আবার মুখে মুখে কথা? ??
।
তারা – ঠোট ফুলিয়ে রাখলাম।
।
মেঘ – আবার ঠোট ফুলানো হচ্ছে।
।
তারা- আপনি এইখানে কি করেন?
আমি এইখানে জানলেন কি করে।
।
মেঘ – সেটা তোমাকে জানতে হবেনা।
আমার শরীর রাগে পুড়ে যাচ্ছে।
ও মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে।
হাত ধরে কাছে টেনে নিলাম।
।
তারা- কি করেন কেউ দেখে ফেলবে।
।
মেঘ – চুপ থাকতে পারো না?
চুপ থাকতে ট্যাক্স লাগেনা। বুঝলা
.
তারা- আমি মনে মনে ভাবছিলাম উনি যদি
না আসত তাহলে আমার কি হত।
আমি বেচে ফিরতে পারতাম বাসায়
।
মেঘ – তারার দিকে তাকিয়ে দেখলাম কি
যেন ভাবছে।
আর আমি এইদিকে বক বক করছি তার কোন হুশ
নেই।
এই যে মিস!!!
।
তারা- কি কি?
।
মেঘ – কি ভাবছ।
।
তারা- নিশ্চয় আপনার কথা না।
।
মেঘ – আমি কি তাই বলেছি
??
।
হঠাত কারো ছাদে উঠার শব্দ পেলাম।
তারাকে ছেড়ে দাঁড়ালাম কত গুলা মেয়ে
ছাদে উঠেছে।
আমি নিচে নেমে গেলাম।
।
তারা- আমি পিছন ফিরে দেখি ৫-৬ মেয়ে
উঠেছে ছাদে আর বলছে- ইশ ছেলেটা কি
হ্যান্ডসাম রে।
উফফ কি বডি!!!!
।
তারা- কথা গুলা শুনতে মোটেও ভাল লাগছিল
না
আমার।
এর মাঝেই একজন বলে উঠল –
আরে তারা আপি ভালো আছ???
।
তারা- কে গো তুমি! !?
।
দিয়া-আরে আপি আমি দিয়া। আমাকে
চিনতে পারছ না।
আরে মিনু তো আমার বড় বোন।
।
তারা- ও আচ্ছা।
আসলে আমি আধারে বুঝতে পারিনি।
।
আমি ভাল আছি।
তুমি?
আর এরা কি সব তোমার বান্ধবী? ?
।
দিয়া- হ্যা।
আপু।
আচ্ছা এই ছেলেটা কে?
।
তারা- কান টেনে দিয়ার
– কেন? ? কি হবে।
।
দিয়া- না আরকি পরিচিত হতাম।
।
তারা- এত পরিচিত হতে হবেনা।
।
দিয়া- বল না বল না।
।
তারা- উনি মানে ও হচ্ছে ও হচ্ছে আরকি।
।
দিয়া- কি বলতেছ এইসব?
।
তারা – ও আমার বন্ধু।
বলে নিচে নেমে এলাম।
পিছন থেকে ওরা ডাকছিল শুনেও না শুনার
ভান করে চলে এলাম।
নিচে নেমেই দেখি উনি দাড়িয়ে- হাসছেন।
।
কি হইছে হাসেন কেন?
।
মেঘ – উফফ তুমি করে বল না হলে সন্দেহ
করবে?
তারা- কেন সন্দেহ করবে?
।
মেঘ – আমি তোমার ফ্রেন্ড এর পরিচয়ে আছি
আর ফ্রেন্ড রে কেউ আপনি বলেনা।তুমি / তুই
বলে।
বুঝলা।
কেন যে এত কম বুঝ।
।
তারা- আর আপনি বেশি বুঝেন।
।
মেঘ – ওই মেয়ে গুলা কি বলছিলল আমার
কথা।
।
তারা- ওদের থেকেই শুনে আসুন।
।
মেঘ – great idea.
আচ্ছা শুনে আসি।
।
তারা- উপরে চলে গেল।
আমার কন চাচ্ছিল ওনারে…..
রুমে গিয়ে শুয়ে পরলাম।
ক্লান্ত ছিলাম।
তাই খুব ঘুম পাচ্ছিল।
ঘুমিয়ে গেলাম।
ঘুম ভেংগে দেখি ১০ টা আল্লাহ! !!!
জলদি করে উঠললাম।
।
মিনু – কিরে ঘুম ভাংল?
।
তারা- ডাক দিস নি কেন? ??
।
মিনু – এত রাতে ঘুমিয়েছিস তাই।
আচভহা ফ্রেশ হয়ে নে।
।
তারা- কিন্তু জামা! !!!!
।
মিনু – চিন্তা নেই।
আমি আছি তো।
নে ধর।
।
তারা- দোস্ত আমি শাড়ি পরতে পারিনা।
।
মিনু – এত বড় হয়েও শাড়ি পরতে পারিস
না? ??
উফফ তুই না।
আচ্ছা শাওয়ার নিয়ে আয় আমি পরিয়ে
দিচ্ছি।
তারা-
শাওয়ার নিলাম।
মিনু শাড়ি পড়িয়ে দিল।
চল নাস্তা করবি।
আর চুল টা ভাল করে।মুছ।
পানি পরছে।
।
তারা- উনি কি নাস্তা করেছেন?
।
মিনু – উনি টা কেরে?
।
তারা- না মানে ও ও মেঘ মেঘ।
।( ধরা এখনি খেতাম)
।
মিনু – ছাদে যেয়ে দেখ জামাই আদর পাচ্ছে।
।
তারা- কিহ।
ছাদের দিকে রৌনা দিলাম।
।
মিনু – আরে টাওয়াল নিয়ে যা।
চুল তো ভিজে আছে।
।
তারা- ছাদের দরজার সামনে দাড়ালাম।
দিয়া আর ওর বান্ধবী রা মিলে খাওয়াচ্ছে
ওকে।
ইশ মনে হচ্ছে এই বাড়ির জামাই।
আর মেয়ে গুলাও।
পারলে উপরে যেয়ে পরে থাক আমার কি।
হুহ।
।
দিয়া- আরে আপি।
তুমি ওইখানে কেন এইখানে আসো।
।
তারা- মেঘের চোখে চোখ পরল।
আমি নিচে নেমে আসলাম।
।
নিচে এসে চুল মুছতে লাগলাম।
হুহ মনে হচ্ছে কোন হিরো।
মেয়ে গুলাও বাপু কাউকে পাইলেই হইছে
হামলা দিয়ে বসে।
।
মেঘ – কে কারে হামলা করল?
।
তারা- আপনি এইখানে কি করেন?
খাওয়া হয়ে গেল এত তাড়াতাড়ি?
।
মেঘ – নাহ হয়নি তো।
।
তারা- তা যান না ওদের কাছে।ওরা আরো
বেশি করে খাওয়াক।
।
মেঘ – হ্যা তা তো যাবই।
তুমি তো আর আমার খেয়াল রাখবেনা।
ওরাই রাখবে।
।
তারা- কথা শুনে রাগে গায়ে আগুন লেগে
যাচ্ছিল।
।
মেঘ – ওমন ফোস ফোস করছ কেন।
।
তারা- দুর।
চলে আসছিলাম।
।
মিনু- কিরে তারা!! আরে ভাইয়া আপনার
খাওয়া শেষ।
।
মেঘ – হুম।
।
মিনু – আয় তারা তূই খেয়ে নে।
।
মেঘ – হ্যা হ্যা খাওয়াও ওকে।
দেখছ না কি বডি।
ফু দিলেই উড়ে যাবে।
।
তারা- রাগে দু:খে লাল হয়ে উনার দিকে
তাকালাম।
কিছু বললাম না।
উনি চোখ টিপ দিলেন।
আমার আরও রাগ হচ্ছে।
মিনু চল ত।
খাওয়া দাওয়া শেষ করলাম।
.
অনেক ক্ষন ধরে ওকে দেখতে পারছিনা। ।
মিনু- কিছু খুজছিস?
।
তারা- কই না ত
।
মিনু – মেঘ ছাদে আছে।
।
তারা- আমি কি জানতে চাইছি।
।
মিনু- হেহেহে
তাতে কি আমি বলে দিলাম।
।
তারা- ছাদে গেলাম।
উনি সবাইকে কাজ বুঝিয়ে দিচ্ছেন। পরশু
মেহেদি অনুষ্ঠান রিয়ার।( সপ্ন এর বোন) ।
ঘেমে একাকার অবস্থা।
মনে হচ্ছিল আচল দিয়ে ঘাম টা মুছে দেই। দুর
দুর কি ভাবছি আমি। আচ্ছা পানি তো দিয়ে
আসতেই পারি। এত রোদে কাজ করছেন।
যাই নিচে যাই।
তখনি দেখলাম দিয়া পানি নিয়ে উপরে উঠে
গেল। মেঘের হাতে দিল।
মেঘ হাসি দিয়ে পানি টা ঢক ঢক করে গিলে
ফেলল। ইশ! কি দরদ।
হুহ।
।
দিয়া- আরে আপি তুমি আজ ও অইখানে
দাড়িয়ে- আছ? ? ভিতরে আসো।
।তারা- না থাক।আমি নিচে যাই। উনার দিকে
তাকিয়ে নিচে চলে আসলাম। ।
মিনু – কিরে মুখ ভার করে আছিস কেন? ।
তারা- কিছুনা।
শুন বিকালে আমার সাথে বের হবি। আমি
জামা কাপড় কিনব। ।
মিনু – আচ্ছা। ঠিক আছে।
।
মেঘ – কি ঠিক আছে? ?
।
মিনু – ওই ত আমরা শপিং এ যাব। ।
মেঘ – তোমরা মেয়েরাও পারো বটে। ।
মিনু – আরে ভাইয়া ওর তো জামা নাই বুঝেন
না। ।
তারা- ওর বুঝা লাগবেনা।
তুই বুঝলেই হবে।
চল এখন রুমে আমার সাথে।
।
মেঘ – যাহ মহারানি ত রেগে গেছে।
বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!