বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -3 !! Part- 34
বিয়ের কাবিন নামায় আবির সাইন করে তারপর তিথি,,,ইসলাম অনুযায়ী আইন অনুযায়ী আবির আর তিথি স্বামী স্ত্রী,,,আবির তিথির দিকে মুচকি হেসে ইশারা করে ফ্লাই কিস দেয়,,,তিথি ভেংচি দিয়ে অন্য পাশে তাকায়,,
সবাই কিছু টা আনন্দ করে,,,মামানি আর আবিরের মা মেহমানদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে,,,আবির শুধু তিথির দিকে তাকায়,,,,তিথি নাক ফুলিয়ে নিজের রুমে চলে যায়,,,,মেহমানরা আস্তে আস্তে চলে যেতে লাগে,,,
আবিরের মাঃ এখন আমাদের ও যাওয়া উচিত বাসায়,,,আবির তিথিকে নিয়ে আসো
আবির তিথির রুমে গিয়ে দেখে তিথি বসে বসে কি যেন ভাবছে,,,
আবিরঃ মিসেস আবির রহমান চলুন আপনার ঘরে
তিথিঃ যাবো না আমি,,
আবিরঃ ওহ আচ্ছা,,, ওকে যেও না
তিথি কিছু টা অবাক হয়,,আবির তিথির কাছে এসে কোলে নিয়ে বাহিরে এসে যায়,,তিথি নামার অনেক চেস্টা করছে কিন্তু পারছে না,,,সবাই মুচকি হাসছে ওদের এভাবে দেখে,,,আবির তিথিকে চোখ মেরে মামানিকে বলে
আবিরঃ মামানি তিথির নাকি হেঁটে হেঁটে ওর শশুড়বাড়ি যেতে ইচ্ছে করছে না,,,তার আবদার তাকে নাকি কোলে করে নিয়ে যেতাম,,
তিথিঃ (আমি কখন বললাম কি মিথুক রে বাবা)
সবাই মিটমিট করে হাসছে,,,তিথির প্রচুর রাগ উঠে আবিরের কথা শুনে,,,আবির তিথিকে নিয়ে তাদের বাসায় চলে যায়,,,আবির তিথিকে নিজের রুমে নিয়ে যায়,,,আবির রুম টা পুরো ফুল দিয়ে সাজানো,,,তিথি অনেক অবাক হয়,,,
তিথিঃ নামান আমাকে
আবির কোল থেকে নামিয়ে দেয়,,,তখন তিথি সব দিকে তাকিয়ে দেখে আজ রুম টা অনেক সুন্দর করে সাজিয়েছে,,
তিথিঃ আপনার রুম এইভাবে সাজানো কেন?
আবিরঃ আজ আমার বিয়ে হয়ছে রুম সাজানো হবে না আজিব,,,আর ম্যাডাম আমার রুম না আমাদের রুম ওকে
তিথিঃ আজ আপনার সাথে আমার বিয়ে হবে এমন তো কথা ছিলো না তাহলে আগে থেকে রুম সাজানো কেন,,,
আবির তার হাতের ঘড়ি টা খুলছে আর মুচকি হাসছে,,তিথি আবিরের সামনে গিয়ে বলে
তিথিঃ নিরবের সাথে কি করেছেন?
আবিরঃ চেঞ্চ করে নাও যাও
তিথিঃ কিছু জিজ্ঞেস করছি কি করেছেন,,,
আবিরঃ যা করার তা,,এতো কিছু বুজতে হবে না,,
তিথিঃ এই সব কিছু আপনার প্লেন ছিলো তাই না?
আবিরঃ কি সব?
তিথিঃ নিরব বিয়ের কিছু সময় আগে গায়েব হয়ে গেছে,,,আপনি দুইদিন ধরে বাসায় ছিলেন না,,,নিরব গায়েব শুনে আপনি বিয়ের জন্য এগিয়ে আসেন এই সব আপনার প্লেন আমি সিউর
আবিরঃ হ্যাঁ তো কি করবে?
তিথিঃ মানে আপনি সব প্লেন করছেন?
আবিরঃ হ্যাঁ সব আমার প্লেন,,আমি নিরবকে কিডন্যাপ করছি কারণ তাকে আমি বুজিয়েছি এই বিয়ে না করতে সে বুজে নাই উল্টো আমাকে বলছে সে তোমাকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিবে,,,, তাই আমি তাকে কিডন্যাপ করিয়েছি,,আর
তিথিঃ আর কি করেছেন?আপনি উনার সাথে কি করেছেন?
আবিরঃআর ইচ্ছে মত ধুলাই দিচ্ছি যাতে তোমার আশেপাশে ও আর না দেখি,,,
তিথিঃ মানে কি এই সব এর?
আবিরঃ তুমি ভাবলে কি ভাবে হুম,,,তিন বছর ধরে তোমায় পাগলের মত খুজেছি,,আর যখন পেয়েছি তখন তুমি অন্য কাউকে বিয়ে করবে আর আমি হাত তালি দিবো কখনো না ওকে,,,তোমার জন্য সব পারবো,,, ওর ভাগ্য ভালো ছিলো যে শুধু দুদিন পিঠাইছি ইচ্ছে তো ছিলো এক মাস ইচ্ছে মত ধুলাই করবো,,,
তিথি রেগে আবিরকে ধাক্কা দিয়ে বলে
তিথিঃ আপনার সাহস হয় কি করে এই সব করার,,,
আবিরঃ সাহসের এখনও দেখেছো কি,,,,আমার প্রিয় জিনিস কেউ আমার সামনে কেড়ে নিবে আর আমি বসে বসে দেখবো কখনো না,,,
তিথি কান্না সুরে বলে
তিথিঃ আপনি অনেক খারাপ অনেক,,, সব সময় নিজের মত করে চলেন সব সময়,,,আমার সাথে কেন এমন করেন কেন?
আবির তিথির হাত চেপে ধরে নিজের কাছে টেনে বলে
আবিরঃ আমি খারাপ হতে রাজি হাজার বার শুধু তোমায় পাওয়ার জন্য,,,ভালোবাসি অনেক তাই চাই না অন্য কারো হও,,,আর কথা আসছে এই বিয়ে তাহলে শুনে রাখো আমি অই দিন বলেছিলাম যে তুমি বউ সাজবে সেম দিনে কিন্তু বিয়ে আমার সাথে হবে আমার বউ সাজবে ব্যস,,,
তিথিঃ আমি কখনো আপনাকে স্বামী বলে মানবো না বুজলেন আপনি কখনো না,,,
আবিরঃ মানতে বাধ্য হবে তুমি,,,, জোর করে কিছু আমি করবো না,,,স্বামীর অধিকার ও আমি চাইবো না তোত দিন যতদিন না তুমি নিজে থেকে আমার কাছে আসো,,,কিন্তু হ্যাঁ সব সময় তোমার বিএফ হয়ে থাকবো বুজলে
তিথিঃ আপনি আসলে,,,,,,
আবিরঃ আমি যাই হই না কেন ম্যাডাম এই ভেবে রাখো যে আইন অনুযায়ী তোমার স্বামী,,, তুমি মানো আর না মানো,,আর হ্যাঁ মিস বকবক উফস সরি মিসেস বকবক অনেক যলদি তুমি আমার কাছে আসবে স্ত্রীর অধিকার টুকু চাইতে ওকে,,,
তিথিঃ কখনো না ওকে,,,কখনো আপনার কাছে স্ত্রীর সম্মান চাইবো না,,আর না আপনার কাছে স্ত্রীর অধিকার চাইবো,,,,
আবিরঃ সময় বলে দিবে ম্যাডাম,,,, আর শুনো আমরা ২-৩ দিন এর মধ্যে ঢাকা চলে যাবো,,,,
তিথিঃ আমি যাবো না,,আপনি আপনার সাথে কোথাও যাবো না,,,বুজলেন আপনি
আবিরঃ দেখা যাবে তা,,,,তুমি যাবে তোমার ঘাড় ও,,দরকার হলে তুলে নিয়ে যাবো কারো অধিকার নাই আমাকে আটকানোর কারণ তুমি আমার বিয়ে করা বউ বুজলে,,,
তিথি কিছু বলতে যাবে এর আগে আবির বলে
আবিরঃ বেশি বকবক করো যাও ফ্রেশ হয়ে ঘুমিয়ে পড়ো,,,,ঝগড়াটি এলিয়েন
তিথি বিরক্তি ফিল নিয়ে আয়নার সামনে গিয়ে গহনা গুলো খুলে,,আবিরের দিকে রাগী লুকে বারবার তাকায়,,আবির ইশারা করে বলে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে ঘুমাতে,,, তিথি গহনা খুলে একটা থ্রি পিছ নিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায়,,,,ফ্রেশ হয়ে এসে দেখে আবির বিছানা থেকে ফুল গুলো সরিয়ে নিচ্ছে,,,
তিথিঃ কি করছেন আপনি
আবিরঃ ফুল গুলো সরাচ্ছি তুমি তো আর আমার সাথে বাসর করবে না যে ফুল গুলো সাজিয়ে রাখবো,,,তুমি বললে ফুল গুলো আবার সাজাতে পারি যদি তুমি বলো যে আজ আমাদের বাসর হবে,, আই মিন তুমি চাইলে আর কি(ফাজলামি এর চান করে)
তিথিঃ (লুচ্চা হারামি একটা)হু বয়ে গেছে আপনার সাথে বাসর করতে হু,,,সরেন ঘুমাবো
আবির মুচকি হেসে তাওয়াল নিয়ে ওয়াশরুমে যাওয়ার সময় বলে
আবিরঃ শুয়ে পড়ো,,,
আবির ফ্রেশ হয়ে দেখে তিথি এক পাশে শুয়ে আছে,,আবির অন্য পাশে শুয়ে পড়ে,, তিথি আবিরকে তার পাশে শুতে দেখে বলে
তিথিঃ আপনার সাথে ঘুমাবো?
আবিরঃ হুম সমস্যা কই?আমি তোমার বিয়ে করা স্বামী আমার সাথে ঘুমাবে না তো কার সাথে ঘুমাবে হুম
তিথিঃ কার সাথে কথা বলছি আমি,,,বলাটা বেকার একটা বলবো হাজার টা শুনাবে হু,,,,
একপাশে শুয়ে পড়ে,,আবির তিথিকে জড়িয়ে ধরে তিথি হাত সরিয়ে বলে
তিথিঃ কি হচ্ছে কি এই সব
আবিরঃ একটু আগে তো বললাম যে আমি আগের মত থাকবো,,বিয়ে করা বউ আমার জড়িয়ে তো ধরতেই পারি তাই না,,,
তিথিঃ দেখুন বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না ওকে,,,
আবিরঃ ওকে তাহলে আমার কিছু শর্ত আছে,,,
তিথিঃ কিসের শর্ত আর কেন?
আবিরঃ বেশি বাড়াবাড়ি করবো না শর্ত আছে রাজি,,,
তিথিঃ ওকে বলুন,,,
আবিরঃ প্রতি দিন আমার বুকে ঘুমাতে হবে,,আমার কপালে প্রতি দিন সকালে অফিসে যাওয়ার আগে কিস করতে হবে,,,আমাকে নিজের হাতে খাইয়ে দিতে হবে রাজি,,,
তিথিঃ কিইই?মাথা ঠিক আছে আপনার,,, যা ইচ্ছে আপনি করুন আমি কিছু করবো না ওকে,,,কোনো শর্তে রাজি না আমি,,,
আবিরঃ ওকে তাহলে আমি কি কি করবো নিজে ও জানি না বলে দিচ্ছি,,
তিথির পেটে হাত রেখে,, তিথি ঘাবড়ে যায় যে ছেলে বিশ্বাস নাই এই ভেবে,,
তিথিঃ ওকে ওকে রাজি আমি,,,
আবির তিথির বালিশটা সোফায় ছুড়ে মারে,,,
আবিরঃ আমার বুক থাকতে তোমার জন্য বালিশ কেন তাই না বউ
তিথিঃ আমাকে বউ বলবেন না,,
আবিরঃ হাজার বার বলবো এতে তোমার কি,,,আমি আমার বিয়ে করা বউকে ডাকছি এতে তোমার কি হুম,,,
তিথি বিরক্তি ভাব নিয়ে আবিরের বুকে মাথা রাখে,,,আবিরের বুকে মাথা রাখার সাথে সাথে যেন এক শান্তি অনুভব করে,,,আবিরের শরীরের সে ঘ্রাণ যা তিথিকে মুগ্ধ করে,,,হার্ট বিট পুরো শুনা যাচ্ছে,,,,আবির তিথিকে জড়িয়ে ধরে,,,আবিরের বুক যেন আজ ভরে যায় খুশিতে,,,তার ভালোবাসার মানুষটিকে পাওয়ায়,,,
পৃথিবীতে সব চেয়ে খুশির দিন তো তখনই যখন ভালোবাসার মানুষকে আজীবন এর জন্য নিজের করে পাওয়া,,,,তিথি আবির থেকে যত দূরে যেতে চাচ্ছে তোতটা কাছে আসছে আরো,,,,আবিরের ভালোবাসার কাছে বারবার হার মানছে তিথির রাগ,অভিমান,, ঘৃনা,,,
সকালে,,,,,
সকালে আবিরের ঘুম ভাঙ্গে আগে,,, তার বুকে তিথিকে দেখে প্রান যেন জুড়ে যায়,,,,তিথিকে জড়িয়ে ধরে কপালে আলতো করে চুমু দেয়,,,,
আবিরঃ সরি তিথি আমি চাই নাই আমাদের বিয়ে এই ভাবে হোক কিন্তু কি করবো তুমি বাধ্য করলে আমায়,,,অনেক জলদি তুমি আমার আগের তিথি হয়ে যাবে,,,তোমার সব রাগ ভাঙ্গিয়ে নিবো,,,প্রথম প্রেমের ছোঁয়া তুমি সব মান অভিমান ভেঙ্গে দিবো,,,,তুমি আমার মনের রাজরানী এতো সহজে তো আর তুমি মানবে না জানি,,কিন্তু তোমায় মানিয়ে ছাড়বো আমি,,,লাভ ইউ তোতাপাখি,,,
আবির তিথিকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে যায়,,,তিথি আজ অনেক টা দেরিতে উঠে,,,আবিরের বুকে যেন আজ তার ঘুমটা ভালোই হয়েছে,,,তিথি ঘুম থেকে উঠে দেখে আবির ঘুম,, আবিরের মায়াভরা মুখ খানি দেখে তিথির কাছে ভালো লাগে,,,,আবির অনেক টা মায়াবী ছেলে,,,,খোচা খোচা দাঁড়ি গুলো যেন তিথির কাছে খুব ভালো লাগে,,,,আবিরের গালে হাত বুলিয়ে দেয়,,,,খুব ইচ্ছে করছে আবিরের কপালে চুমু খেতে কিন্তু অই যে রাগটা যা তাকে সব কিছু করতে বাধ্য দেয়,,,,
তিথি উঠে শাওয়ার নিয়ে আসে,,,,আবির এখনও ঘুম দেখে আয়নার সামনে গিয়ে রেডি হতে থাকে,,,
তিথিঃ ইচ্ছে তো করছে এই বজ্জাতকে উষ্টা মেরে আফ্রিকায় পাঠিয়ে দেই,,,,এমন কেন এই ছেলে সব সময় তার ইচ্ছে মত করে,,,এই ছেলের চেহারা দেখে কেউ বলবে এমন শয়তান এর বাপ,,,,চেহারা দেখে বলবে ভাজা মাছ ও উল্টোয় খেতে জানে না,,কিন্তু এই ছেলে যে মাছের কাটাও চিবিয়ে খায় হু,,
আবির চোখ মেলে দেখে তিথি আয়নার সামনে বসে সাজগোজ করছে,,,তার চোখ যেন আটকে যায়,,,তিথির চেহারার যেন উজ্জ্বলতা বেরে যায়,,, বিয়ের পর মেয়েদের আরো সুন্দর লাগে,,,তিথির সে লম্বা চুল থেকে টপটপ করে পানি গড়িয়ে পড়ছে,,,আবিরের কাছে মুহূর্তটা অনেক সুন্দর,,, তিথির কাছে আসে,,,তাওয়াল টা নিয়ে তিথির চুল গুলো মুছে দিচ্ছে আর বলছে,,,
আবিরঃ বাহা আমার বউকে তো আজ অনেক সুন্দর লাগছে,,,কিন্তু তুমি শাড়ি কেন পড়লে না,,
তিথিঃ আমি শাড়ি পড়তে জানি না,,
আবিরঃ আমি কেন আছি তাহলে হুম
তিথিঃ দরকার নাই,,,,আর ছাড়েন আমার চুল আমি মুছে নিতে পারবো হুম
আবিরঃ হুম কত পারেন তা আমার জানা আছে,,,,আচ্ছা আমি ফ্রেশ হয়ে আসি তারপর এক সাথে আম্মুর কাছে যাবো
তিথিঃ জ্বি না,,,আমি এখন যাচ্ছি
আবির কিছু বলার আগে তিথি রুম থেকে বের হয়ে যায়,,,আবির কিছু বলে না আর হাসতে থাকে এই ভেবে যে তার বউ রাগলে এতো কিউট লাগে কেন,,,
তিথি গিয়ে দেখে আবিরের মা কিচেনে নাস্তা বানাছে,,,
তিথিঃ আন্টি আমিও সাহায্য করি,,
আবিরের মা রাগী কুক নিয়ে ধমক দিয়ে বলে
আবিরের মাঃ কষে এক থাপ্পর লাগামু মাইয়া,,,নিজের মাকে কেউ আন্টি ডাকে হুম,,
তিথির চোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে,,,মা আজ পর্যন্ত সে কাউকে ডাকে নাই,,,আবিরের মায়ের শাসন আর কথা শুনে কেঁদে দেওয়ার অবস্থা,,
আবিরের মাঃ চোখ দিয়ে এক ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়লে এইবার সত্যি থাপ্পর খাবে,,
তিথি আবিরের মাকে জড়িয়ে ধরে,,,,
তিথিঃ সরি আম্মু,,,
আবিরের মাঃ আম্মু ও ডাকলে আবার সরি ও
তিথিকে তুলে তিথির চোখের পানি মুছে বলে
মাঃ তুমি আমার আবিরের বউ না আমার কাছে,,, আমার কাছে তুমি আমার মেয়ে,,আমার মেয়ে হয়ে থাকবে আজীবন,,,
তিথিঃ হুম,,আমার ভুল গুলো ধরিয়ে দিবেন প্লিজ
মাঃ হুম আমাকে আপনি করে না তুমি করে ডাকবে,,,আর একটা কথা
তিথিঃ কি আম্মু
মাঃ আমার ছেলেটাকে আর কষ্ট দিয়ো না,,অনেক কষ্ট সহ্য করেছে এই তিন বছরে,,,
তিথি কিছু না বলে আবিরের মাকে জড়িয়ে ধরে,,,অনেক ক্ষন তারা গল্প করে আর নাস্তা বানায়,,,নাস্তা বানিয়ে টেবিলে দেয়,,আবিরের বাবা এসে বলে
আবিরের বাবাঃ আবির কই ওর সাথে কথা আছে এখন,, তাড়াতাড়ি ডাকো
মাঃ কেন কি হয়ছে,,,?
তখন আবির রুম থেকে বের হয়ে আসে,,টেবিলে বসতে বসতে বলে
আবিরঃ গুড মর্নিং
বাবাঃ আবির আমাদের আজকেই ঢাকা যেতে হবে,,,কোম্পানিতে প্রবলেম হয়ছে,,,আজকে বিকালে তোমাকে আর আমাকে মিটিংএ থাকতে হবে,,,
মাঃ কালকেই তো মাত্র ছেলেটার বিয়ে হয়ছে আর আজকেই আমাদের যেতে হবে,,
বাবাঃ আবিরের বিয়ে হবে তা তো আর সবাই জানতো না,,,আর ঢাকা গিয়ে একটা পার্টি দিয়ে আবিরের বিয়ের কথা জানিয়ে দিবো,,,নাস্তা করে সবাই ব্যাগ গুছিয়ে নাও,,আমরা একটু পরে বের হয়ে যাবো
তিথির মনটা ছোট হয়ে যায় এই ভেবে যে মামা মামানিকে ছেড়ে চলে যেতে হবে,,,আবির তিথির দিকে তাকিয়ে দেখে মুখটা মলিন করে রেখেছে বুজতে পেরেছে কেন করেছে,,,আবির কিছু বলে না,,সবাই নাস্তা করর ব্যাগ গুছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে,,,
কিছু ক্ষন পর বাবা এসে সবাই কে ডাকে,,সবাই আছে আবির নাই,,
বাবাঃ আবির কই?
মাঃ আমি তো জানি না,,তিথি আবির কই গেলো বলেছে তোমায়,,,
তিথি কিছু বলতে যাবেই তখনই আবির আসে,,
বাবাঃ কি ব্যাপার আবির কই ছিলে?লেট হচ্ছে এমনি তার মধ্যে তুমি গায়েব
আবিরঃ একটা ইম্পর্টেন্ট কাজ ছিলো বাবা,,
আবির তিথির দিকে তাকিয়ে বলে
আবিরঃ আমাদের সাথে আরো দুইজন যাবে,,,
মাঃ কে আবির?
আবির সরে দাঁড়ায়,,মামানি মামাকে উয়েলচেয়ারে নিয়ে আসে,পিছনে তাদের ব্যাগ,,তিথি মামানিকে দেখে এসে জড়িয়ে ধরে আবির তখন বলে
আবিরঃ বাবা,,আম্মু আজ থেকে মামা-মামানি আমাদের সাথে থাকবে,,,এদের এখানে একা রেখে যাওয়া ঠিক না মামা এমনি অসুস্থ
বাবাঃ ঠিক করেছো আবির,,,,এরা আমাদের পরিবারের সদস্য এখন এরা এখানে থাকবে এতে চিন্তা হবে,,আর তিথির ও মন এখানে পড়ে থাকবে এখানে,,, ভালোই করেছো,,সবাই এক সাথে থাকবো এতে আমরা সবাই হেপ্পি থাকবো,,
মাঃ আচ্ছা আচ্ছা এখন চোখের পানি না ফেলে চলেন চলেন সবাই,,
আজ তিথির মনে আবিরের জন্য অনেক টা সম্মান আসে,,,আবির তার ফ্যামিলি কে নিজের ফ্যামিলি করে সাথে নিয়ে যাচ্ছে,,, আবিরের প্রতি আজ যেন তিথির মনে অনেক সম্মান,,, শ্রদ্ধা বেরে যায়,,
চলবে,,,,,,