বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -4 !! Part- 30

মেয়েরা হাশেম এর গাল চেপে ধরে আর তিথি জুস গুলো পুরো গালে ঢেলে দেয়,,,বেচারা হাশেম পুরো বমি করে তবুও তিথি জোর করে আরো খাওয়ায়,,,
তিশাঃ তিথি প্লিজ এমন করিও না,,পরে ওরা মরে গেলে আমরা কেস খেয়ে যাবো প্লিজ বুজার ট্রাই করো,,,,
তিথি তিশার দিকে তাকিয়ে বলে
তিথিঃ হ্যাঁ তাই তো,,, যদি কেস খাই তাহলে আমার স্বপ্নের কি হবে???
তিশাঃ মানে?কিসের স্বপ্ন আবার?
তিথিঃ অনেক গুলা বাচ্চা নেওয়া,,,বাচ্চা গুলো বড় করে বিয়ে দেওয়া আবার তাদের বাচ্চা মানে আমার নাতনিদের সাথে হানিমুনে যাওয়া,,,বুড়ো বয়সে জামাই এর সাথে সমুদ্র পাড়ে বসে বসে গরম চা খাওয়া আর হ্যাঁ রাতে ঘুরতে যাওয়া,,,আরো যে কত স্বপ্ন আছে আমার,,,
তিথি এতো আনন্দের সাথে এইসব বলছে যে মনে হচ্ছে সে এখন এইসব পূরন করবে,,,
এইদিকে তিশা পুরো বেক্কল তিথির কথা শুনে,,,সাভাবিক হয়ে বলে
তিশাঃ আচ্ছা বুজলাম কিন্তু প্লিজ এইবার এইসব বন্ধ করো আমাদের পালাতে হবে,,,আমরা এখানে যদি আর কিছু ক্ষন থাকি তাহলে আমাদের জন্য মহা বিপদ হবে,,,,ওদের আমরা এতো সহজেই বিশ্বাস করতে পারিবনা,,হয়তো আরো কয়েকজন আসবে তখন বিপদে পড়ে যাবো প্লিজ তিতজি,,,
তিথিঃ আরে দূর আমি থাকতে ভয় কিসের,,,আমি হলাম তিথি যে ভয় পায় না উল্টো ভয় লাগায়,,,
তিশাঃ তুমি যাই হও না কেন প্লিজ এখন চলো,,,,

তিশার খুবই বিরক্তি লাগে তিথির উপর যে তিথি কিছু শুনছে না,,,
তিশাঃ(উফফ তিথির এই ওভার স্মার্ট এর কারনে আজ না ফেসে যাই আবার)
তিথিঃ আরে তিশা আমি আছি ভয় নাই ওকে,,,
তিশাঃ তিথি প্লিজ আমি তুমি একা না এখানে আরো অনেক মেয়ে আছে ওদের লাইফ রিস্কিতে প্লিজ,,,
তিথিঃ ওকে ওকে আমরা এখনই পালাবো,,,,
তিশাঃ কিন্তু কিভাবে তা তো এখন বের করতে হবে,,এক তো রাত আর আমরা কই আছি নিজেরা ও জানি না,,,
তিথিঃ আমরা জঙ্গলে এই সিউর,,,
তিশাঃ মানে?
তিথিঃ হুম আমি যা দেখেছি এই দেখে তা বুজলাম,,আর হ্যাঁ রাত হলে কি হইছে এইটায় বেস্ট সুযোগ এখান থেকে পালানোর,,,
তিশাঃ তুমি তো ওদের মারতে ব্যস্ত পালানোর কথা কি মাথায় আছে তোমার???
তিথিঃ সরি সরি,,,
আসমাঃ আপ্পা ওদের তো কাম দাম সব হইছে এহন কিয়া করতে হবে,,
তিথিঃ অই হাশেম এর পকেট থেকে ফোন নিয়ে নাও সবার সব ফোন নিয়ে নাও,,,
সব গুলো গুন্ডার ফোন নিয়ে নেয়,,,তারপর তারা দরজার কাছে গিয়ে খুলার চেস্টা করে কিন্তু বাহির থেকে তালা লাগানোর কারনে খুলতে পারছে না,,,
নাজমাঃ মনে হয় বাহির থেকে লাগাই রাখছে,,,,
আসমাঃ এখন কি হবে??আমরা কিভাবে যাবো???
তিশাঃ তাই বলেছি এইসব পাগলামি না করে পালানোর কথা ভাবি কিন্তু না তোমরা তো তোমরা,,,
তিথিঃ উফফ বাদ দাও তো,,,আচ্ছা শুনো দরজা দিয়ে পালাতে পারি নাই তো কি হইছে জানালা দিয়ে পালাবো আমরা,,,
তিশাঃ জানালা???পাগল নাকি???
তিথিঃ এই সময়ে এইটাই বেস্ট আরে মুভিতে দেখো না কিডন্যাপ হলে জানালা দিয়ে পালায় তা করবো আর কি হিহি
তিশাঃ তিথি এইটা মুভি না এইটা রিয়েল লাইফ,,,প্লিজ প্রথমে তোমার এই বাচ্চামি অফ করো,,,আমাদের বুদ্ধি দিয়ে কাজ করতে হবে প্লিজ
তিথিঃ তিশা আমি বাচ্চামি করছি না,,এখন এই ছাড়া উপায় নাই,,,
তিথি আর কথা না বলে চারপাশে খুজতে থাকে কিছু পায় কি না,,তারপর সে একটা চেয়ার নিয়ে আসে সাথে মোটা লাঠি তা দিয়ে জানালায় জোরে জোরে বারি দিয়ে গ্লাস গুলো ভাঙ্গতে থাকে,,,
নাজমা আর আসমা গিয়ে কিচেন থেকে বটি ছুড়ি যা যা পায় নিয়ে আসে,,,
তিশাঃ এইটা আসলেই জঙ্গল???
তিথিঃ কেন???
তিশাঃ না মানে এতো বড় বাড়ি অনেক গুলো রুম,,,, আবার কিচেন তার মধ্যে সব প্রয়োজনিয় এর জিনিস,,,আর এইসব আনে কে???
তিথিঃ ওরা নারী পাচার করে এতো কাচা গুন্ডা তো নয়,,ওরা জঙ্গলে এমন একটা বাড়ি করে রেখেছে যে কেউ টের ও পাবে না,,,(তিথি জানালায় বারি দিচ্ছে আর কথা বলছে)
তিশাঃ তিথি সাবধানে কাচের টুকরো গুলো হাতে লাগবে,,,
তিথিঃ আরে চিন্তা করিও না আমি ঠিক আছি তুমি গিয়ে দেখো গুন্ডা গুলোর কি অবস্থা
তিথি এই দিকে জানালার গ্লাস ভাঙ্গতে ব্যস্ত আর তিশা দেখে আসে সব গুলো গুন্ডা বেঁহুশ শুধু হাশেম ছাড়া সে প্রচুর রেগে তাকিয়ে আছে তিশা ভয় পেয়ে তাড়াতাড়ি তিথির কাছে এসে যায়,,,
তিথিঃ ভাঙ্গা শেষ,,,,
তিশাঃ এখন??
তিথিঃ আর কি সবাই পালাবে,,,একজন একজন উঠবে আর হ্যাঁ সব গুলো ফোন তো আছেই অইটা দিয়ে লাইট দাও আর দেখে নামবে কেমন
নাজমাঃ আপ্পা আপনি আগে যান তারপর আমরা
তিথিঃ না আমি আগে না সবাই কে আগে নামিয়ে তারপর আমি,,,কারণ আমি ভয় পাই না,,,
তিথি সবাই কে একজন একজন করে জানালা দিয়ে নামায় নিচে,,অনেক কষ্ট হচ্ছে কাচের টুকরো আবার জঙ্গলের মধ্যে কিছু আছে কি না অই ভয়ে,,,
এইদিকে চান্দু হাশেমকে অনেক কল দিচ্ছে ধরে না,,,চান্দুকে বস কল দিয়ে বলে তারা আসছে সে ভয়ে চান্দু তাড়াতাড়ি আসে,,,,তালা খুলে ভিতরে ডুকে দেখে কেমন ভাবে যেন সব এলো মেলো তার সন্দেহ লাগে,,,কিছু টা পথ হেঁটে যাওয়ার পর দেখে সব গুলো গুন্ডাকে বেঁধে রেখেছে,,,
চান্দুঃ ভাই আপনাদের এমন অবস্থা কেডা করছে??
হাশেমঃ অইই মাইয়া,,,,,
চান্দুঃ আমি আগেই কইছি অই মাইয়া ভালা না দুনিয়ার চালাক হেতি,,কেউ আমার কথা শুনে নাই,,,,
হাশেমঃ তাদের ধর গিয়া,,,পালাতে যেন না পারে,,,
চান্দু সব গুলো গুন্ডার হাত পা খুলে দেয়,,,,একটা বন্দুক নিয়ে যায়৷
এইদিকে তিথি সবাইকে পাড় করায় দেয়,,,
তিথিঃ তিশা এইবার তুমি,,,
তিশাঃ তুমি আগে আসো তারপর আমি,,,
তিথিঃ না আমি তোমার পরে,,,

তিশা আর তিথি কথা বলে তিশাকে জানালার উপর উঠায় অই সময় চান্দু আসে বন্দুক নিয়ে,,,তাদের দিকে ধরে বলে
চান্দুঃ যে লড়বি সোজা উড়াই দিমু,,,,
তিথিঃ আবাল মার্কা কালু যে???কি রে কি অবস্থা তোর,,,
চান্দুঃ রাখ তোর অইসব,,,বেশি কথা বলবি গুলি করে খুলি উড়াই দিমু,,,বহুত চালাক তুই তাই না আজ তোরে আমি উপরে পাঠাই দিমু,,,
তিথিঃ থাপ্পড় গুলো মনে হয় ভুলে গেলি আবাল মার্কা কালু,,,আচ্ছা আমি দিমু নি,,,
তিশাঃএখন হবে তিথি(আস্তে আস্ত)
তিথিঃ যা হওয়ার হবে তুমি তাড়াতাড়ি ওদের নিয়ে যাও প্লিজ
তিশাঃ না আমি তোমাকে একা ছেড়ে যাবো না,,,
তিথিঃ প্লিজ বুজার ট্রাই করো৷, আমার একার জন্য তোমার আর বাকিদের জীবন রিস্কে ফেলিও না প্লিজ
তিশাঃ আর তুমি???
তিথিঃ হাহা আমার চিন্তা করিও না আমি ঠিক এসে যাবো,,,
চান্দুঃ অই তোরা ফুশফুশ গুশগুশ বন্ধ কর,,,চুপ করে দাঁড়া না হলে দেখবি কি করি,,,
তিথিঃ অই চুপ আমি কথা বলছি দেখিস না এক চড় লাগাবো যে সামনের দাঁত গুলো সব ফেলে দিবো বেয়াদব,,,
চান্দুঃ তোরে আমি,,,
তিথি যে লাঠি ছিলো পাশে তা মেরে দেয় চান্দুর গায়ে আর তিশাকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেয় জানালার,,,
তিশা উঠে তিথির দিকে তাকায় সাথে বাকি মেয়েরা ও,,,
তিথিঃ আমার কথা ভাবতে হবে না আমি ঠিক এসে যাবো তোমরা প্লিজ পালাও এখান থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব,,,
তিশাঃ কখনো না তোমাকে ছাড়া কখনো যাবো না আমরা
আসমাঃ হ্যাঁ যামু না
নাজমাঃ আপ্পা আপনি ও আসেন
তিথিঃ প্লিজ বুজার চেস্টা করো প্লিজ,, তিশা আমানের কসম লাগে প্লিজ যাও ওদের নিয়ে প্লিজ
তিশা অনেক চেস্টা করে কিন্তু তিথির জিদের কাছে হেরে যায়,,,,
তিশা সবাই কে নিয়ে পালিয়ে যায় থেকে যায় তিথি,,,
চান্দু বন্দুক টা নিয়ে গুলি করে দেয়,,,
গুলির শব্দ পেয়ে তিশা আর বাকি মেয়েরা ভয় পেয়ে যায়,,,
আসমাঃ তিথি আপ্পার কিছু হয় নাই তো,,,
তিশাঃ আমাদের যেতে হবে এখনই
তিশা আর বাকি মেয়েরা আবার বেক করে কিন্তু তিথি জানালার দিকে একটু তাকিয়ে চিৎকার করে বলে
তিথিঃ আমার কসম লাগে সবাই যাও,,,কেউ এখানে আসবে না,,, তোমাদের ফোন দিয়ে কল দাও পুলিশ কে খবর জানাও
তিশাঃ তিথি ঠিক আছো তুমি?
তিথিঃ হ্যাঁ ঠিক আছি প্লিজ যাও প্লিজ
সবাই আবার চলে যায়,,,
তিথির ডান হাত থেকে রক্ত পড়ছে,,চান্দু গুলি করে যেটা সেটা এসে তিথির ডান হাতের বাহুতে লাগে,,,তবুও সে শক্ত হয়ে জানালার দিকে তাকিয়ে বলে সে ঠিক আছে যাতে সবাই না আসে আর,,,
চান্দুর গায়ের উপর লাঠি মেরে দেয়,,কাছে গিয়ে মারতে থাকে তিথি ইচ্ছে মত
তিথিঃ কালুর বাচ্চা কালু সাহস হয় কি করে আমাকে গুলি করার আজ আমি তোকে মেরেই ফেলবো,,,
তিথি ইচ্ছে মত মারে কিন্তু হাত থেকে রক্ত পড়ায় কিছু টা দূর্বল লাগা শুরু হয়ে যায়,,,এইদিকে হাশেম আর বাকি গুন্ডা গুলো ও এসে যায়,,,
সবাই তিথিকে ঘিরে ধরে,,,
তিথিঃ সব গুলো মাইর খাবি আমার বুজা গেছে,,,,কেন যে আমার রাগ তুলিস উফফফ
তিথি এই বলে ইচ্ছে মত সব গুলো কে লাঠি দিয়ে পিঠানি শুরু করে,,সবাই আগে থেকে দূর্বল বমি করায় তাই তারা ও তেমন পারে নাই,,চান্দুর শক্তি ছিলো সে তিথির রক্তাক্ত হাতে একটা বারি দেয় লাঠি দেয়,,,ব্যাথায় যেন তিথি শেষ তবুও সাহস করে সে চান্দুর প্রাইভেট জায়গায় এক লাথি মারে যে বেচারা অইখানে শুয়ে পড়ে,,,
ইচ্ছে মত লাঠি দিয়ে পিঠাতে থাকে,,
এইদিকে
পুলিশ আমান আবির ওরা জঙ্গলের মধ্যে এসে যায় অল্প একটু খানি বাকি তাদের,,,
আমানঃ আবির আমরা ওদের পাবো তো?
আবিরঃ অবশ্যই,,,
আমানঃ আল্লাহ ওরা সবাই যেন সুস্থ থাকে ঠিক থাকে,,,
আবিরঃ আমার কেমন যেন বুকে অন্য রকম লাগছে মনে হচ্ছে কিছু হয়েছে,,
আমানঃ কি?
আবিরঃ জানি না আমান কিন্তু কেন জানি বুকে এক অজানা ভয় কাজ করছে কি হবে জানি না,,,,
অইদিকে,,

তিশা আর বাকি মেয়েরা ফোনের লাইট অন করে তারা হাঁটে,,তাদের মধ্যে এক ভয় কাজ করছে কি হইছে তিথির গুলি কে খেয়েছে আর তারা কি যেতে পারবে,,
নাজমাঃ তিথি আপ্পা থাকলে হয়তো এই রাতে জঙ্গলে ভয় লাগতো না,,,
আসমাঃ হাছা কইছিস রে আপ্পা আমাদের তো পাড় করিয়েছে কিন্তু উনি নিজে,,,,,
তিশা চুপ করে আছে ভয়ে তার অবস্থা খারাপ,,,বারবার মনে হচ্ছে সে অন্যায় করেছে তিথিকে একা ফেলে এসে কিন্তু তিথি যে তাকে বাধ্য করেছে,,,,
হুট করে মনে হলো আমানের কথা,,আমানকে কল দেয় তিশা
আমানের ফোনে কল আসায় আমান পাত্তা দেয় না ভাবে এখন কথা বলা উচিত না,,,অনেক বার কল আসে কিন্তু আমান ধরে না
আমানঃ উফফ এতো রাতে আবার কে কল দেয়,,,
আবির কিছু হেঁটে আমানের কথা শুনেই বলে
আবিরঃ তিথি নয়তো???
আমানঃ জানি না নাম্বার অচেনা,,,
আবিরঃ উফফফ রিসিভ কর তাড়াতাড়ি
আমান কল রিসিভ করার আগে কেটে যায়,,সে বেক দেয়,
আমানের কল পেয়ে তিশা তাড়াতাড়ি রিসিভ করে বলে উঠে
তিশাঃ আমান আমি তিশা,,
তিশার আওয়াজ পেয়ে আমান খুশিতে আত্নহারা হয়ে যায়,,,
আমানঃ কই আছো তুমি??তিশা কোথায় তুমি??
তিশাঃ আমরা জঙ্গলের ভিতরে আছি,,,প্লিজ আমাদের বাঁচাও আমান
আমানঃ জঙ্গলের ভিতর আমরা ও আছি,,তোমরা কি অই গুন্ডাদের কাছে??
তিশাঃ না আমরা পালিয়ে এসেছি,,জঙ্গলের ভিতরে অনেক,,
আমান ঃ আবির ওরা জঙ্গলের ভিতর পালিয়ে এসেছে,,
পুলিশ তাড়াতাড়ি বলে
অফিসারঃ কোন দিকে জিজ্ঞেস করো,,কোনো কিছু এমন বলতে বলো যাতে আমরা পৌছাতে পারি,
আমানঃ তিশা অইখানে কি আছে?
তিশাঃ সব গাছ আর গাছ,,,
আবির খেয়াল করে এক পাশ থেকে কিছু টা আলো আসে,,,
আবিরঃ আমান অই দিক দিয়ে কেমন আলো মনে হচ্ছে কেউ আছে অইখানে,,,
আমানঃ তিশা আলো কি তোমরা জ্বালালে???
তিশাঃ হ্যাঁ তোমরা কি আমাদের দেখতে পাচ্ছো??
আমানঃ আলো দেখতে পাচ্ছি,,,তোমরা অইখানেই থাকো আমরা এখনই আসছি,,,
আমান আবির আর পুলিশ রা সবাই তাড়াতাড়ি অইদিকে যায় যেদিকে আলো আছে,,,
কিছু টা পথ যাওয়ার পর দেখে অনেক গুলো মেয়ে,,তিশা আমানকে দেখে দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরে,,,
আমান তিশাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে,,,তিশা পুরো কেঁদে দেয়,,,
তিশাঃ আমি ভেবেছি আর কখনো তোমায় দেখবো না,,,
আমানঃ আমি থাকতে তোমার কিছু হবে না ওকে,,,
তিশাঃ ওরা আমাদের পাচার করে দিতো,,,(তিশা প্রচুর কান্না করে দেয়)
পুলিশ কল দিয়ে তার টিম দের আনায় যাতে সবাইকে নিয়ে যেতে পারে,,,,
সবাই আছে কিন্তু তিথিকে দেখছে না আবির,,,
আবিরঃ তিথি কোথায়???
আমান তিশাকে সরিয়ে বলে
আমানঃ তিথি কি তোমাদের সাথে ছিলো???
তিশাঃ হ্যাঁ আমাদের পালানোর জন্য সাহায্য সে করেছে,,,তার জন্য আমরা সবাই পালাতে পেরেছি,,,
আবিরঃ তার জন্য মানে??সে কই সে আসে নাই কেন???
তিশা সব বলা শুরু করে সবাই বলতে থাকে একে একে,,,সব শুন আমান আর আবির হা করে আছে,,
আবিরঃ এই মেয়ে যে গুন্ডি আমি জানি,,,এতো সাহস পায় কই আল্লাহ জানে,,,
আমানঃ তোর বউ তাই এমন,,,
তিশাঃ তিথি আবির ভাইয়ার বউ…?
আমানঃ হ্যাঁ
তিশাঃ কখন হলো বিয়ে?
আমানঃ অনেক লম্বা কাহিনী,,,
আবিরঃ তিশা এখন বলো তিথি কই,,,
তিশাঃ ভাইয়া আমাদের সে নামিয়ে দেয় কিন্তু তখন একজন গুন্ডা বাহিরে থাকে সে আসে তার হাতে বন্দুক ছিলো আর তিথি আমাকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দিয়ে কসম দেয় যাতে আমি সবাই কে নিয়ে পালাই সে এসে যাবে পরে,,,
আবিরঃ এই মেয়ে সব জায়গায় হিরো গিরি করতে কেন যায় আল্লাহ জানে,,ইচ্ছে তো করে কানের নিচে লাগাই তার,,,
আমানঃ তার মানে তিথি অইখানে??

তিশাঃ আমান আমরা যখন অনেক টুকু আসি তখন গুলির আওয়াজ পাই,
আবিরঃ মানে??(অনেক ভয় পেয়ে)
তিশাঃ হ্যাঁ ভাইয়া আমরা যাই ও কিন্তু জানালা দিয়ে তিথি আমাদের বলে চলে যাওয়ার জন্য,,অনেক কসম দেয় বাধ্য করে যে আমাদের অইখান থেকে পালাতে,,,
আবির কথাটা শুনে খুব ভয় পায়,,,
পুলিশ সব গুলো মেয়েকে সেভ ভাবে নিয়ে যায়,,আমান আবির আর কিছু পুলিশ তিশা ওরা আছে,,
আমানঃ তিশা প্লিজ তুমি ওদের সাথে যাও,,,
তিশাঃ না আমি তোমাদের সাথে যাবো প্লিজ আমান,,আমি একবার তিথিকে একা ফেলে আসছি আর না,,
পুলিশঃ আমরা আছি সমস্যা নাই,,উনি আমাদের অই জায়গায় নিয়ে যেতে পারবে যেখানে তিথি ম্যাডাম আর গুন্ডারা আছে,,,,
সবাই যেতে লাগে অই জায়গায়,,,
কিছু ক্ষন পর আবির আমান তিশা পুলিশ অই জায়গায় আসে যে খান থেকে তারা পালিয়েছে,,,
তিশাঃ এইটা,,
পুলিশ প্রথমে ভিতরে যায়,,আবির আমান তিশা ওরা ও গিয়ে দেখে সব গুলো গুন্ডার অবস্থা খারাপ সবাই নিচে পড়ে আছে,, অনেক গুলো তো বেহুঁশ ও আছে,,,
চারপাশে তাকিয়ে দেখে তিথি নাই,,,তিশা জানালার নিচে তাকিয়ে দেখে রক্ত,,,
তিশাঃ আমান রক্ত???
আবির ও তাকায় অইদিকে দেখে রক্ত পড়ে আছে,,,
চান্দুর দিকে যায় আমান চান্দুর অবস্থা খুব খারাপ কিন্তু হুশ আছে তার,,,
আবির কলার চেপে ধরে বলে
আবিরঃ এইটা কার রক্ত বল,
চান্দু আরো ভয় পায়,,,
চান্দুঃ অই মেয়ের তিথি না কি যেন নাম,,
তিথির রক্ত শুনেই আবিরের বুকটা কেঁপে ওঠে ভয়ে,,,পুলিশ গুলো অনেক খুজে কিন্তু তিথিকে পায় নাই,,,এই ভয়ে আবির আরো ভয় পেয়ে যায় যে তিথি কই,,,,
চলবে,,,,,,,,,