বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -3 !! Part- 38
আবির গাড়ি নিয়ে বের হয়ে যায় তিথিকে খুজতে,,,তিথিকে চারপাশে অনেক খুজে কোথায় তাকে পাচ্ছে না,,ভয় ও করছে মেয়েটা রাতের বেলায় গিয়েছে কই,,,
তিথি মাটিতে বসে পড়ে,,,চিৎকার করে উঠে
তিথিঃ কেন কেন হলো আমার সাথে কেন আল্লাহ,,,কি দোষ ছিলো আমার ভালোবাসাটা???আমি তো শুধু ভালোবেসেছিলাম এইটা দোষ ছিলো,,, আর এমন কেন হলো আমার সাথে কেন???আজ আমার সাথে যা হচ্ছে সব কিছুর জন্য আবির দায়ি,,,
কান্নায় যেন আজ ভেঙ্গে পড়ে সে,,,,বুক ফেটে যাচ্ছে তার,,,,
এইদিকে আবির চারপাশে খুজছে কোথায়ও তিথি নাই,,,প্রচুর ঘাবড়ে যায় তিথি কোথায় গেলে এই ভেবে,,,গাড়ি থেকে নেমে কয়েকটা দোকানে জিজ্ঞেস করে তিথির পিক দিয়ে,,, কেউ কিছু বলতে পারে না ,,,,, আবির অনেক খুজে তিথিকে কোথাও পায় না,,,কিছু ক্ষন পর গাড়ি থামায় একটা পার্কের সামনে,,,,কেন জানি হার্ট বিট বেরে যাচ্ছে আবিরের এখানে,,,,, দাড়োয়ান থেকে তিথির পিক দেখিয়ে জিজ্ঞেস করে
আবিরঃ এই মেয়েকে দেখেছেন চাচা,,
দাড়োয়ানঃ হ্যাঁ এই মাইয়া তো সে কখন আইছে আমি গিয়ে দেখি কান্না করে কিছু কইতে গেলাম আর কইলাম নাহয়তো একা থাকতে চায় তাই
আবির দৌড়ে যায় গিয়ে দেখে মাটিতে বসানো তিথিফ,,,আবির দৌড়ে যায় তিথির কাছে,,,,,
তিথির সামনে গিয়ে বসে পড়ে,,,তিহি আবিরকে দেখে চমকে যায়,,,আবির তিথির গাল ধরে বলে
আবিরঃ তুমি এখানে কি করছো?তোমাকে খুজতে খুজতে সবাই শেষ,,,কত চিন্তা হচ্ছিলো জানো তুমি,,এতো কেয়ারলেস কেউ কি ভাবে হয়,,
তিথি চুপ করে আছে,,,,চোখের পানি পড়তেই আছে,,,আবির তিথিকে মাটি থেকে তুলে দাঁড় করায়,,,চোখ লাল দেখায় আবির তিথির গালে হাত রেখে জিজ্ঞেস করে
আবিরঃ কি হয়ছে তিথি?তোমায় এমন দেখাচ্ছে কেন?এই ভাবে পার্টি থেকে কেন আসলে?কি হলো কিছু বলো চুপ কেন তুমি
তিথি শুধু তাকিয়ে আছে আবিরের দিকে,,,,আবিরকে সে যত বার বুজতে যায় যতবার আবিরকে ভালোবাসতে যায় এমন টা হয়,,,তিথি আবিরের হাত সরিয়ে দেয়,,
আবিরঃ তিথি কি হয়েছে প্লিজ কিছু তো বলো,,,তুমি এতো রাতে এতো বৃষ্টিতে এখানে কেন?
আবির তিথির গালে আবার হাত রাখতে যাবে তিথি পিছনে সরে যায়,,,
আবিরকে দেখে ওই দিনের কথা গুলো সব কিছু চোখে ভাসছে,,,তিথি কিছু টা রেগে বলে
তিথিঃ চলে যান
আবিরঃ আমার বউকে ছাড়া আমি কোথাও যাবো না ওকে,,,চলো আমার সাথে
আবির তিথির হাত ধরে যেতে লাগে তিথি আবিরের হাতটা ঝাড়া দিয়ে রাগী সুরে বলে,,,
তিথিঃ আমার লাইফ থেকে চলে যান আপনি জাস্ট গো (চিৎকার করে) আপনার ছায়া ও আমি আমার লাইফে চাই না আর
তিথির এমন কথা শুনে আবির কিছু টা অবাক হয়,,,,,তিথির চোখের পানি আবির ঠিক বুজতে পারছে কিছু হয়েছে এমন যার জন্য আবিরকে এই সব বলছে,,,,,,আবির তিথিকে স্বাভাবিক ভাবে জিজ্ঞেস করে
আবিরঃ কি হয়েছে তিথি বলবে প্লিজ
তিথিঃ কেন নাটক করছেন আবির কেন?আজও নাটক করছেন,,এতো নাটক কেন করছেন আমাকে নিয়ে কি করেছি আমি কি আমার কি দোষ বলবেন প্লিজ
আবিরঃ কিসের নাটক? কি বলতে চাও সরাসরি বলো,,কথা না ঘুরিয়ে পয়েন্ট এ আসো,,,,
তিথিঃ ওহ এখন তো ন্যাকামি করবেন যে আপনি কিছু জানেন না,,,আপনার প্রবলেম কি জানেন আবির আপনি মনে করেন টাকা দিয়ে সব কিনা যায় কিন্তু মিস্টার আবির রহমান আমি ওই টাইপের মেয়ে না যে আপনার টাকার কাছে বিক্রি হবো,,,,আপনার কাছে সবাই হইতো টাইমপাস কিন্তু আমি টাইম পাসের মেয়ে না,,,
তিথির এমন কথা শুনে আবির রেগে যায়,,
আবিরঃ মুখ সামলে কথা বলবে তিথি,,,যা না তা বলেই যাচ্ছো,,,,,ভুলে যেও না আমার ওয়াইফ তুমি ওকে সো অন্য মেয়েদের সাথে নিজের তুলনা কম করবে না হলে খুব খারাপ হবে
তিথিঃ আর কি খারাপ হবে আবির আর কি হবে (কান্না করতে করতে)
আবিরঃ তিথি শুনো আমি জানি না কেন তুমি এমন করছো প্লিজ বাসায় চলো ওই খানে কথা হবে,,, অসুস্থ হয়ে যাবে এতো ভিজলে প্লিজ
তিথি রেগে বলে
তিথিঃ কোথাও যাবো না আমি ওকে,,,এখানে সব বলবো এখানে
আবিরঃ ওকে বলো শুনছি আমি,,,কিন্ত আমার কথা আগে শুনো
আবির তিথির হাত ধরতে যায় তিথি পিছনে যায় আর ধমক এর সুরে বলে
তিথিঃ শুধু আপনার জন্য আবির শুধু আপনার জন্য আজ আমাকে শূন্য হতে হয়,,,আপনার জন্য আজ আমি আমার প্রিয় মানুষ গুলো কে হারাই,,,কেন এসেছেন আমার লাইফে,,আপনি যদি আমার লাইফে না আসতেন না তাহলে আমার লাইফ আজ এমন হতো না,,,তিন বছর ধরে সব ছেড়ে অজানা শহরে যেতে হতো না,,,,আমার বেস্ট ফ্রেন্ড আমাকে ছেড়ে কখনো যেতো না,,আমার মামার আজ এমন অবস্থা হতো না,,সব আপনার জন্য হয়েছে,,,
আবিরের কলার চেপে ধরে তিথি এই সব বলে,,,আবির কিছু বুজতে পারে না,,,
তিথিঃ আমার জীবনের সব চেয়ে বড় ভুল আপনি আবির শুনেছেন আপনি,,,আমার জীবনের সব চেয়ে বড় ভুল আপনি মিস্টার আবির রহমান
আবিরঃ তোমার জীবনের ভুল আমি???তোমার সব কিছু আমি কেড়ে নিয়েছে??
তিথিঃ হ্যাঁ আপনি আপনি আপনি
আবিরঃ ভেবে বলছো এই সব তিথি
তিথিঃ আমি ভেবেই বলছি ওকে,,,
আবিরঃ ওহ আচ্ছা তো বলবে আমি কি ভাবে?আমি এমন কি করেছি যে আজ আমাকে সব কিছুর জন্য দায়ী করা হচ্ছে,,,আমার দোষটা কই?আমি কি এমন ভুল করেছি যে আজ আমি তোমার জীবনের ভুল হলাম,,,
তিথি আবিরকে চিৎকার করে বলে
তিথিঃ কেন নাটক করছেন এখন কেন আবির কেন
আবির তিথির হাত শক্ত করে ধরে বলে
আবিরঃ আমি নাটক করছি কি না তা পরে দেখা যাবে এখন এই বলো যে কি হয়েছে তিন বছর আগে কেন ছেড়ে এলে আমাকে,, সব কিছুর জন্য আমি কে দায়ী কেন
তিথিঃ আপনি নিয়াকে ভালোবাসেন,,,তাহলে কেন ওই দিন আমাকে ডাকছিলেন কেন?আপনাদের রোমেঞ্চ,,আপনাদের অই সব পিক,,নাটক এই গুলো দেখার জন্য
আবিরঃ কিই আমি নিয়াকে ভালোবাসি?মাথা ঠিক আছে তোমার কি যা তা বলেই যাচ্ছো,,,আর কিসের পিক হুম
তিথি আবিরকে সব বলে আবির পিছনে যায়,,,,তিথির দিকে তাকিয়ে বলে
আবিরঃ একটা বার কি আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলে সত্তিটা কি আসলে?সত্যিটা একবার আমার কাছে জিজ্ঞেস করতে তাহলে আজ দুইজনে এতো কষ্ট পেতে হতো না,,,
তিথিঃ আমার চোখে আমি অই দিন সব সত্যি দেখেছিলাম ওকে,,,ওই দিন আপনি নিয়াকে প্রোপজ করেছিলেন রিং পড়িয়ে দিয়েছিলেন,,,আর তো ওই পিক ছি
আবিরঃ জাস্ট সেটাপ তিথি,,,সব সময় তা সত্যি হয় না যা দেখা যায়,,,যখন এতো কিছু দেখলে তাহলে তারপরে যা হয়েছে তা কেন দেখো নাই,,,কেন দেখো নাই পিছনে ফুল দিয়ে লেখা ছিলো আই লাভ ইউ তিথিটা,,,,কিন্তু তুমি তো দেখতেই চাও নাই,,,তুমি যা যা দেখতে চাইলে তা দেখেই চলে গেলে,,,,
তিথিঃ প্লিজ আপনার বাহানা গুলো বন্ধ করেন ওকে,,,,এখন আর ওই সব বাহান করে লাভ নাই
আবিরঃ সত্যি কি জানো তিথি তুমি আমায় বিশ্বাসটায় করতে পারো নাই,,,একবার আমাকে সত্তিটা জিজ্ঞেস করতে ওই দিন আসলে কি হয়েছে কিন্তু তুমি তো তুমি ,,,,,
খুব ভালোই বললে তিথি,,,,তুমি আমায় বিশ্বাস না করে ওই সব বিশ্বাস করলে ওয়াও,,,,
তিথিঃ নিজের চোখে যা দেখেছি তারপর বিশ্বাস কখনো না,,,
আবিরঃ অনেক জলদি তোমার ভুল ভাঙ্গবে অই দিন হয়তো অনেক দেরি হয়ে যাবে,,ভালোবাসলে হয় না তিথি বিশ্বাস ও করতে হয়,,,কিন্তু থাক তোমায় আমি জোর করবো না আমায় বিশ্বাস করতে,,,,অনেক জলদি তোমার ভুল গুলো ভাঙ্গবে অই দিন বুজবে তুমি কি ভুল করেছো,,,আর হ্যাঁ আমি যেহেতু তোমার ভুল তাহলে চিন্তা করিও না এই ভুলটা শুধরে দিবো,,
তিথি কিছুই বলে না চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে,,,,আবিরের চোখের কোণায় ও আজ পানি জমে কিন্তু পড়তে দেয় না,,আবিরের বুকটা আজ ফেটে যাচ্ছে যে তিথি তাকে একবার জিজ্ঞেস তো করতে পারতো তাহলে এতো বছর তাদের আলাদা হতে হতো না,,,
আবিরঃ যদি তোমার অভিযোগ আমার প্রতি শেষ হয় তাহলে কি বাসায় যাবে,,সবাই হয়তো চিন্তা করছে,,,
তিথি গাড়িতে উঠে বসে,,আবির এখনও দাঁড়িয়ে আছে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছিল বাহিরে আর আজ আবিরের ভিতরে ও কষ্টের তুফান,,,আবির গাড়িতে উঠে বসে,,,তিথি আবির দিকে একটু ও তাকায় না,,,,তিথি অন্য পাশে তাকিয়ে আছে আবির ড্রাইভ করছে আর তিথির দিকে আড় চোখে তাকাচ্ছে,,,,কেউ কারো সাথে একটু ও কথা বলছে না,,,
দুইজনে বাসায় আসে,,,তিথি কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায় চেঞ্চ করতে,,আবির এখনও দাঁড়িয়ে আছে তিথির প্রত্যেক কথা গুলো যেন তার কানে বাজছে,,,কারণটা আজ আবিরকে ভিতর থেকে ভেঙ্গে দেয়,,,,আবির ফোন করে জানিয়ে দেয় বাবাকে যে তারা বাসায়,,তিথির খারাপ লাগছে তাই তারা চলে আসে,,,
ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে এসে দেখে আবির ভিজা শার্ট পড়ে আছে কোট টা খুলে,,,
তিথিঃ চেঞ্চ করে আসুন,,
আবির কিছু না বলে চলে যায় চেঞ্চ করতে,,,তিথি এক পাশে শুয়ে যায়,,,আবির ও এসে শুয়ে পড়ে দুইজনে চুপ,, কেউ কিছু বলছে না,,,অনেক সময় হয়ে যায় কারো চোখে ঘুম নেয়,,,আবিরের এই ভেবে কষ্ট হচ্ছে তিথি তাকে বিশ্বাস পর্যন্ত করতে পারে নাই ওই সময়,,,,একটা ভুল বুজে সে তাকে ছেড়ে এসেছে, আর তিথি ভাবছে আবির তার সাথে এমন কেন করেছে,,,
তিথি আবিরের দিকে ফিরে,,,আবিরের হাতটা টেনে বুকে শুয়ে পড়ে,,,
আবিরঃ কি হলো?
তিথিঃ প্রমেস করেছিলাম যে আপনার বুকে প্রতি রাতে ঘুমাবো তাই,,,,
আবির কিছুটা মুচকি হাসে,,,আবিরও জড়িয়ে ধরে
আবিরঃ(অনেক জলদি সব ঠিক করে দিবো,,,,আমি জানি তুমি যা করেছিলে সব তোমার নজরে ঠিক,,,,তোমার দোষ নেই কিন্তু রিতু কেন এমন করলো আমাদের সাথে,,, অনেক জলদি তিথির সব ভুল আমি ভাঙ্গিয়ে দিবো,,আমার তোতাপাখিকে আমার করে নিবো,,,,এই ভেবেও না তিথি আজকের সব কথা শুনার পর তোমার উপর রাগ করবো,,,তোমায় বুজাবো আমার ভালোবাসা দিয়ে,,,সব কিছু আমি ঠিক করে দিবো তোতাপাখি একটু অপেক্ষা কর এর পিছনে আসল কাহিনী কি তা আমি বের করবো,,,)
তিথি আবিরের বুকে ঘুমিয়ে পড়ে,,,আবির বুকটা যে তিথির জন্য খুবই শান্তির জায়গা,,,স্বামীর বুকে ঘুমাতে যে সব স্ত্রীর ভালো লাগে সেম তিথির ও,,,,হয়তো প্রকাশ করে না কিন্তু আবিরকে সে আজও ভালোবাসে,,,,,
আবির তিথির মাথায় আলতো করে চুমু দিয়ে ঘুমিয়ে যায়,,,,সব রাগ অভিমান সব কিছু আবির ভুলে যায় যখন তিথি তার বুকে এসে মাথা রাখে,,,
সকালে তিথি আজানের মিষ্টি সুর শুনে নামাজ পড়ে নেয়,৷ আবিরও তিথির পাশে আজ নামাজ পড়ে,,,
নামাজ শেষ করে তিথি যেতে লাগে আবির তিথিকে টেনে নেয় বুকে,,
তিথিঃ সকাল সকাল কি হচ্ছে
আবিরঃ আমি আমার বউকে জড়িয়ে ধরেছি এতে তোমার কি হুম
তিথিঃ কাল এতো কিছু হওয়ার পর ও?
আবিরঃ আমি যা করি নাই অই জন্য আমি কেন আফসোস করবো তিথি উল্টো তুমি আফসোস করবে আমাকে কেন ছেড়ে গেলে অই দিন,,,যাই হোক তোমার যা ভাবার আর যা করার তুমি করেছো এইবার আমি যা করার তা করবো অনেক জলদি
তিথিঃ মানে
আবির তিথির কপালে আলতো করে চুমু দেয়,,,
তিথি ভাবে
তিথিঃ (কাল এতো কিছু বলার পর কি ভাবে সাভাবিক থাকে কেউ)
আবিরঃ ম্যাম আমি ঘুমাই আপনি ও আসেন চুপচাপ
তিথিঃ আমি ঘুমাবো না
আবিরঃ কানের নিচে এখন কষে চড় দিবো,,যা বলছি চুপচাপ করবে ওকে
তিথিঃ(গুন্ডা একটা হু)
আবির তিথিকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে যায়,,অনেক টা বেলা করে তারাই উঠে
আবির আজ অফিস যায় না,,,তিথি মায়ের সাথে নাস্তা বানাতে থাকে,,,অই সময় নিয়া আসে
নিয়াঃ গুড মর্নিং আন্টি
মাঃ তুমি এই সময়
নিয়াঃ আসলে আবিরের সাথে দেখা করতে আসছি কই আবির
তিথি নাক ফুলিয়ে চা বানাতে থাকে,,,,,নিয়া তিথিকে দেখে বলে
নিয়াঃ জানেন আন্টি আমি না আবিরকে অনেক মিস করছি,,ব্রেকফাস্ট ও করি নাই ওর সাথে দেখা করার জন্য
মাঃ ভালোই করেছো আমাদের সাথে ব্রেকফাস্ট করবে আর কি
তিথিঃ(এই শাঁতচুন্নিকে ইচ্ছে করছে ইঁদুরের মাংস ভুনা খাবাই,,,নালায় চুবাই মারতে পারতাম কলিজা শান্তি হতো আমার)
নিয়াঃ আন্টি আমি যাই আবিরের রুমে
মাঃ নিয়া এক মিনিট
নিয়াঃ জ্বি আন্টি
মাঃ তুমি আবিরের রুমে যাবে না,,আবির এখন বিবাহিত এইটা মনে থাকা উচিত তোমার,,,তিথি যা আবিরকে ডেকে নিয়ে আয়
তিথি চুলটা এক পাশ থেকে অন্য পাশে ঘুরিয়ে যায়,,,নিয়া নাক ফুলিয়ে সোফায় বসে
তিথি রুমে গিয়ে দেখে আবির শার্টের বুতাম লাগাছে
তিথিঃ নিচে শাঁতচুন্নি আসছে
আবিরঃ শাঁতচুন্নি কে?
তিথিঃ আপনার জিএফ
আবির তিথির কাছে এসে কোমড় ধরে জড়িয়ে ধরে নিজের কাছে টানে কানের কাছে মুখ নিয়ে বলে
আবিরঃ আমার জিএফ,,,বউ সব কিছু তুমি বুজলে ম্যাম
তিথিঃ আমিও কার সাথে কথা বলছি আসলে
আবিরঃ কেন তোমার হাজবেন্ড আর কি
তিথিঃ ওহ আমি মনে করছি কিসমিস বাদাম
আবিরঃ কিইইইইই
তিথিঃ কিছু না নিয়া আসছে আপনাকে এতো মিস করছে যে ব্রেকফাস্ট ও করে আসে নাই,,,
আবিরঃ(এই ডাইনী টা আসার সময় পায় নাই,,বউয়ের সাথে রোমেঞ্চ ও করতে দেয় না,,,এই মেয়েকে তো আজ আমি কাঁচা খাবো)
তিথিঃ কি ভাবছেন
আবিরঃ কিছু না,,,চলো
আবির নিচে যায়,,,গিয়ে দেখে নিয়া বসে আছে,,,,আবিরকে দেখে জড়িয়ে ধরতে আসে
আবিরঃ তেলাপোকা
নিয়া যে জোরে চিৎকার দিতে থাকে,,,
নিয়াঃ আন্নুউইউইউইইউ কই কই তেলাপোকা
আবির হাসতে হাসতে শেষ
নিয়াঃ কই আবির কই
আবিরঃ তুমি তো তেলাপোকা
নিয়াঃ ওয়াট?
নিয়া দাঁড়িয়ে যায় আবিরের কথা
আবিরঃ হ্যাঁ আমি তো তোমাকে তেলাপোকা বললাম,,না মানে আজ যা ড্রেস পড়েছো না পুরো তেলাপোকার মত লাগছে,,
আবিরের এমন কান্ডতে তিথি হাসছে,,
নিয়াঃ এই সব কি মজা আবির
আবিরঃ তোমার সাথে মজা না করলে কার সাথে করবো বলো
নিয়া নাক ফুলিয়ে চলে যেতে লাগে
আবিরঃ ব্রেকফাস্ট করবে না,,,তুমি তো নিজের বাসার ব্রেকফাস্ট বাঁচিয়ে আমার বাসায় আসলে খেতে তো খেয়ে যাও
নিয়াঃ তোমার কথায় পেট ভরে গেছে আবির,,ইচ্ছে নাই খাওয়ার
নিয়া চলে যায়,,তিথি কিছুটা অবাক নিয়ার সাথে এই ভাবে আবির ব্যবহার করলো,,,
মাঃ কি আবির সব সময় তুই ওর সাথে এমন করিস,,আসলেই বের করে দিস এই ভাবে,,ঠিক না এই গুলো
আবিরঃ ডাইনি একটা মা,,আসলেই যে আমার খাবার বন্ধ করে রাক্ষসী নিজের বাসায় মনে হয় খাবার নাই কথায় কথায় এখানে আসে খেতে,,
তিথি অনেক অবাক হয় আবিরের কথায়,,,এই ভাবে আবির ব্যবহার করে নিয়ার সাথে
অনেক দিন কেটে যায় এই ভাবে,,, তিথি আর আবিরের বিয়ের পুরো এক মাস হতে যাবে পরশু,,আবিরের বুকে প্রতি দিন মাথা রেখে ঘুমায় তিথি,,একদিন না রাখলে যেন তার ঘুমও আসে না,,,আবির শুধু সময়ের অপেক্ষা করছে তিথির ভুল টা ভাঙ্গার কখনো তিথিকে এই নিয়ে সে কিছু বলে নাই,,মামার শরীরটা ও আগে থেকে অনেকটা সুস্থ হয়,,,,
আবির অফিসে বসে আছে,,ফোনে নিয়ে কাকে যেন কল দেয়
আবিরঃ দেশে কবে আসছিস আমান
আমানঃ অনেক জলদি ভাই
আবিরঃ তুই আসলে সব ঠিক হবে,,,সে কোথায়
আমানঃ আছে,,,অনেক জলদি দেশে আসছি ভাই,,,
আবিরঃ অপেক্ষা আছি,,,
চলবে,,,,,,