ও আমায় ভালোবাসেনি

ও আমায় ভালোবাসেনি- সিজন ২ – Part- 04

তিনমাস পরের ঘটনাঃ
দেখতে দেখতে তিনটে মাস কেটে গেছে সবার জীবন থেকে । শব্দ একটু একটু করে মিথিলার মনে জায়গা করে নিচ্ছে । জীবন টাকে আরেকবার সুযোগ দিচ্ছে মিথিলা । ইদানিং প্রায়ই কথা হয় ওর শব্দ’র সাথে । তবে গত দু’দিন ধরে কথাবার্তা হচ্ছে না । শব্দ কিসের একটা কাজে চট্টগ্রামে গেছে , যোগাযোগের সব রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে গেছে । বলেছে ফিরে এসে সব বলবে । তারই অপেক্ষা করছে মিথি ।
মারজুক মুফতির সাথে কাজ করতে খুব স্ট্রাগল করতে হচ্ছে । সবসময় সে কাজে ভুল ধরে নয়তো মেজাজ দেখায় । এমন রগচটা মানুষ জীবনে দেখেনি মিথি । মাঝেমধ্যে খুব অপমানবোধ হয় , হাল ছেড়ে দেয় সেই সময়ে মা মাথায় হাত বুলিয়ে বলে ,”ধৈর্য্য ধর । ধৈর্য্যের ফল মিষ্টি হয় আর তোর বস তোর শিক্ষক । সে তোকে আদর্শ স্টুডেন্ট বানানোর জন্যই একটু বকাঝকা করে । তুই ভুল করতে করতেই শিখবি । ভুল করবি বকা খাবি আরো ইমপ্রুভমেন্ট হবে তাইনা?”
মিথি চিন্তা করে দেখে মা ভুল বলেনা আর তাছাড়াও প্রথম প্রথম ভুল হবেই আর বকাও খেতে হবে । সে যত ইমপ্রুভ করবে তত সাকসেসের পথ দেখতে পারবে । আজ মারজুক মুফতির আন্ডারে কাজ করছে কাল তার নিজের ফ্যাশন হাউজ হবে ।
জীবনে এগোতে হলে তো একটু স্ট্রাগল করতেই হয় ।
মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে বস কে কল করে মিথি ।
সে সাধারণত স্টাফের কল রিসিভ করেনা কিন্তু মিথি তাকে বারবার মেসেজ করে এজন্য রিসিভ না করেও পারেনা ।
সন্ধ্যাভোজে ব্যস্ত ছিলো মারজুক ঐসময়ে ফোন৷ রিসিভ করেই সে প্রথমে বললো,
— বোরিং লেইডি কি চাই তোমার?
— স্যার আপনি কেমন আছেন?
— আছি ভালো । এটা জানার জন্য কল দিয়েছো?
— অবশ্যই না । আচ্ছা স্যার আমাদের নেক্সট প্রজেক্ট কবে?
— তোমাকে যেসব কাজ দিয়েছিলাম সেসব করেছো?
— অন দ্য ওয়ে স্যার ।
— ডেস্টিনেশন অবধি পৌঁছাও আগে তারপর নতুন রাস্তার খোঁজ পাবে ।
— স্যার আপনি এত রুড কেনো?
— হোয়াট?

— আপনি এত রুড কেনো স্যার? এই যে আমি কত সুইট করে কথা বলি আপনার সাথে আপনি আমাকে বাঁকা বাঁকা উত্তর দেন!
— আমি এরকমই ।
— হ্যাঁ খালাম্মা আপনার জন্মের সময় মুখে মধু দেয়নি হয়তো ।
— এই এই কি বললা তুমি?
— না না স্যার কিছুনা । ওকে স্যার বাই স্যার গুড ইভিনিং ।
ফোন রেখে জিহ্বায় কামড় দিলো মিথি । আজই চাকরি নট হয়ে যেত বুঝি!
এদিকে মারজুক ফোনের দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করে বললো, “পাগল নাকি মেয়েটা?”
__
রাত্রিবেলা বেলকোণীতে দাঁড়িয়ে চাঁদ দেখছিলো মিথিলা । হঠাৎ কি মনে করে একটা ছবি ক্লিক করে আপলোড করে দিলো ।
দু মিনিট বাদেই শব্দ কমেন্ট করলো_
— ছবিতে তো আলোর বড্ড অভাব ।
— আমার তো ফটোগ্রাফার নেই যে সুন্দর আলোকিত ছবি তুলে দিবে ।
এবারে ও রিপ্লাই না দিয়ে সোজা কল দিলো ।
রিসিভ করা মাত্র বললো_
— কেউ যদি ফটোগ্রাফার হতে চায় তখন?
— কেউ হতে চাইলে তো আমি নিষেধ করবো না বরং আমার ভালোই লাগবে ।
— আচ্ছা! তো আমিই যদি হতে চাই তখন?
— আপনি ফটোসেশন করে দিতে চাইলে আমিও রাজি । কিন্তু আপনি তো চট্টগ্রামে আসবেন কি করে সুপারম্যান হয়ে?
— তোমার জন্য সুপারম্যান না’হয় একদিন হলাম ।
— তা’হলে চলে আসেন আমিও দেখি আপনার ফটোগ্রাফি।
— তো এভাবে বললে বুঝি কেউ ফটোগ্রাফার হতে চাইবে?
— তাহলে কীভাবে বলতে হবে? শুনছেন,আমি বেলকোণীতে এসেছি । আপনি কোথায়?
— তুমি কি অপরিচিত কাউকে ডাকছো? এভাবে ডাকলে কোনো ফটোগ্রাফার সাড়া দিবে তাও আবার ফিয়ন্সে ফটোগ্রাফার?
— ও’মা তা’হলে কীভাবে ডাকতে হবে?

— একটু আবেগী ভাবে বলতে পারো যেমনঃ ….
— যেমনঃ এ্যাই শুনছেন? আমার না আজকে বেলকোণীতে গিয়ে ছবি তোলার শখ জেগেছে , একটু আসবেন দু’টো ছবি তুলে দিতে?
বিনিময়ে আপনাকে এক টুকরো হাসি উপহার দিবো ।
— আরে বাহ্ । এতো সুন্দর আহ্বান শুনলে কে না আসতে চাইবে? বলো জান কখন আসতে হবে? আর এইতো কত সুন্দর করে কথা বলতে পারো তুমি অথচ একটু আগে কেমনে ডাকলা? মনে হচ্ছিল কাকে না জানি ডাকছিলে..
— আমি যাকে তাকে শুনছেন বলে এত আবেগী কন্ঠে ডাকবো বলে আপনার মনে হয়?
— অবশ্যই না । ডাকবে কেনো? তোমার বিয়ে তো আমার সাথে হবে যার-তার সাথে না । “এ্যাই শুনছেন” সম্বোধন টা শুধুমাত্র আমার জন্য প্রযোজ্য ”
— তা তো বুঝলাম । সুপারম্যান সাহেব আপনি কোথায়? সুপারম্যানের বুঝি এত দেরি হয়?
— একটা কাজ করো তোমার হাতের ডান দিকে সোজা নিচে তাকাও গ্রিলের ফাঁক দিয়ে ।
শব্দের কথা মত মিথি নিচে তাকালো । অবাক সুরে প্রশ্ন করলো_
— এ’মা আপনি এখানে কি করে?
— আসলাম আরকি ফটোগ্রাফি করতে ।
— আপনি সিরিয়াসলি এসেছেন?
— বিলিভ না হলে নিচে এসে দেখে যাও?
— হ্যাঁ হ্যাঁ আসছি ।
ফোন কানে নিয়ে দৌড়ে ঘরে গেলো মিথি তারপর ওড়না আর চাবি নিয়ে নিচে । পেছন থেকে ওর মা ডাকলেও স্রেফ বললো,”আসছি”
নিচে গিয়ে দেখে স্বপ্ন নয় সত্যি সত্যি শব্দ এসেছে ।
ওকে দেখে মুচকি হাসি দিয়ে বললো,”বাব্বাহ আমার হবু বউ দেখি আমাকে দেখার জন্য তৃষ্ণার্থ ছিলো”
— মোটেই ওরকম না । আপনি হুট করে এসেছেন আমায় জানাবেন না?
— জানাতেই তো নিয়েছিলাম তার আগেই তোমার ছবি দেখে ফেললাম ।
— ইশশ কখন থেকে দাঁড়িয়ে আছেন?
— এই তো দশ মিনিট হলো । খুব মশা গো তোমাদের এখানে আমার পা দু’টো জ্বালিয়ে দিলো ।
— সেকি! আহারে । চলুন ওপরে চলুন?
— আজ না যাই । তোমাকে দেখতে এসেছিলাম ।
— শুধু দেখতে?

— উঁহু একটা জিনিসও দিতে । ওয়েট
পকেট হাতড়ে কিছু একটা বের করে মিথির সামনে মেলে ধরলো ।
— নুপূর? উচ্ছ্বাস মাখা কন্ঠে বললো মিথি ।
— হু । পরিয়ে দিই?
— দেবেন আগে তো ওপরে চলুন ।
— কিন্তু..
— কোনো কিন্তু নয় ওপরে চলুন আপনি ।
— আচ্ছা চলো ।
হালকা হেসে মিথির সাথে ওপরে গেলো শব্দ ।
ওকে দেখে তো মিথির মা বড্ড খুশি হলেন । কথায় কথায় তানভীরের কথা উঠলো । মিথি গম্ভীর মুখে বললো,”রাফনিদ কে ডেকে পাঠিয়েছি । ও আসলে তানভীরের সাথে বিয়ে দেবো।”
মিথির মা এখনো কিছুই জানেন না উনি একটু অভিযোগের সুরে শব্দকে বললেন_
— দেখো তো বাবা কেমন পাগলামি । রাফনিদ আর তানভীর দু’জনেই ছোট । এত জলদি ওদের বিয়ে দিলে হবে? বউ কে খাওয়াবে কি?
— আন্টি চিন্তা করবেন না আমি এই ব্যাপারটা দেখছি ।
— হ্যাঁ বাবা দেখো তো আমার মেয়েটা কেমন পাগলামি করছে ।
— আম্মা তোমার নালিশ করা হয়েছে? হলে একটু ওনার জন্য কিছু নাশতার ব্যবস্থা করো?
— হ্যাঁ হ্যাঁ আমি তো ভুলেই গেছি । বাবা তুমি একটু বসো গল্প করো আমি আসছি ।
— না থাক আন্টি কি দরকার ।
— তুমি একটু বসো বাবা ।
উনি চলে যেতেই শব্দ বললো_
— এসব কি মিথি?
— কি আবার! যা দেখছেন তাই । আচ্ছা বলুন চট্টগ্রাম থেকে এলেন কবে?
— তোমার বেলকোণীতে চলো বলছি ।
— বেলকোণীতে কেনো?
— চলোই না?
— আচ্ছা চলুন ।
তারপর দু’জনে মিথির রুমের বেলকোণীতে গেলো ।
— আচ্ছা তো এখন বলুন এলেন কবে আপনি?
— এলাম তো আজই বিকেলে । তানভীর কে একটা পারটাইম জব পাইয়ে দিয়েছি । ব্যস্ত থাকুক ভালো থাকবে ।
— আপনি বিকেলে এসেছেন আমাকে বলেন নি?
— সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছিলাম তোমাকে ।
— আমি সারপ্রাইজড না অভিমান করেছি ।
— আচ্ছা তো ম্যাডামের মান ভাঙাই কি করে?
— আপনিই ভালো জানেন ।
— আচ্ছা!
— আরে আরে করছেন কি? পায়ের কাছে বসছেন কেনো?
— বসছি এজন্য ।
একটু ঝুঁকে একটা নুপূর মিথির পায়ে পরিয়ে দিলো শব্দ তারপর মাথা তুলে তাকিয়ে একটা হাসি দিয়ে বললো , “মানিয়েছে তো । অপরটাও পরিয়ে দিই?”
দু পায়ে নুপূর পরিয়ে যখন দাঁড়ালো তখন মিথির চোখ ভর্তি পানি । বিড়বিড় করে বললো_
— এমন কেনো হয়? যাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখি তার পরিবর্তে অন্যকেউ সেগুলো পূরণ করে দেয়?
উত্তরে শব্দ মুচকি হাসে ।
— তোমার স্বপ্ন পূরণের দায়িত্ব বিধাতা যার কাঁধে তুলে দিয়েছেন সে ই তো সকল স্বপ্ন পূরণ করবে তাই না?
মিথি ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদে । শব্দ দু’হাতে আজলা ভরে ওর মুখটা নিয়ে বুড়ো আঙুল দিয়ে চোখের পানি মুছে দেয় । কপালে টুপ করে একটা চুমু দিয়ে বলে_
— কেঁদো না । আমি কখনো তোমাকে ছেড়ে যাবো না ।
মিথি ছলছল নয়নে তাকিয়ে থাকে শব্দের পিঙ্গল বর্ণ চোখের দিকে । এই চোখজোড়ায় ভরসা আছে , এক পৃথিবী ভালোবাসা আছে ।

রাইদের ফিল্মের কাজ শেষ ও আপাতত দেশেই আছে, কাজ সব অফ । রফিকও গেছে নরসিংদী তার পরিবারের সাথে দেখা করার জন্য৷
রাইদ তার ফার্ম হাউজে একাই থাকছে । ফার্ম হাউজ টা ঢাকার বাইরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কাছাকাছি । রাইদের পৈতৃক নিবাস এখানেই ।
বাবা মায়ের মৃত্যুর পর এইবার প্রথম এসেছে ও এই বাসাটায় । টেক কেয়ার করার জন্য রফিক একটা মেয়েকে ঠিক করে দিয়ে গেছে । মেয়েটা নাকি তার কেমন লতানো পাতানো বোন , নাম তার নীরা ।
সকাল দশ টার দিকে নীরা আসলো তার কাজে । রাইদ তখনো ঘুমিয়ে আছে । নীরা এসেই চা বানিয়ে ওপরে গেলো রাইদ কে ডাকতে ।
জরুরি একটা কাজ সেরে ভোর বেলার দিকে ঘুমিয়েছে রাইদ , নীরা রুমে ঢুকে চা’য়ের কাপ টা বেড সাইড টেবিলে রাখলো তারপর রাইদের পাশে মেঝেতে হাঁটু মুড়ে বসে কতক্ষণ ওর মুখের দিকে মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে থাকলো ।
ছেলেটা সত্যি খুব হ্যান্ডসাম , সে তো স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেনি তার সবচাইতে পছন্দের তারকার দেখভাল করার দায়িত্ব সে কখনো পাবে!
মুগ্ধতার ভ্রম কাটলো ফোনের ভাইব্রেশনের শব্দে । তাড়াহুড়ো করে উঠে একপাশে দাঁড়ালো সে ।
রাইদ ঘুমের মধ্যেই বিরক্তি তে ভ্রু কুঁচকে ফেললো ।
হাতড়ে ফোন খুঁজতে গিয়ে গরম চা’য়ের কাপে লেগে গেলো হাত আর চা’য়ের কাপ সম্পূর্ণ ওর হাতের ওপর উল্টে পড়লো ।
গরম অনুভূতি পেয়ে চমকে উঠলো রাইদ ।
নীরার চোখের সামনে হুট করে সব হয়ে গেলো যে নীরা এগিয়েও আসতে পারলো না ।
কিংকর্তব্যবিমূঢ় রাইদ বিছানায় বসে ছ্যাকা লাগা হাতটা অপর হাত দিয়ে চেপে ধরে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকলো নীরার দিকে ।
নীরা পুরো ব্যাপারটা এবার বুঝতে পেরে তাড়াহুড়ো করে কাপের ভাঙা অংশগুলো তুলতে তুলতে বললো_
— স্যরি স্যার আমি আসলে আপনাকে ডাকতে এসেছিলাম । হঠাৎ যে আপনার ফোনটা বেঁজে উঠবে আর আপনি এভাবে হাতড়াতে গিয়ে ছ্যাকা খাবেন বুঝতে পারিনি । আপনার বেশি ব্যাথা লাগেনি তো?
— ইটস ওকে বাট তোমাকে না বলেছি আমাকে ডাকতে আসার প্রয়োজন নেই । সময় মত উঠে যাবো ততক্ষণে তুমি তোমার বাকি কাজ সারবে ।
— কিন্তু স্যার আপনি ব্রেকফাস্টে কি নেবেন এটা জানার জন্য তো আপনাকে ডাকতেই হতো ।
— সিরিয়াসলি? তুমি জানতে না ফ্রীজের পাশে লিস্ট করে দেয়া আছে?
— ওহ স্যার আমি একদমই ভুলে গেছিলাম আর এমন ভুল হবে না । ফাস্ট এইড বক্সটা কোথায়? আপনার হাতে এন্টিসেপ্টিক লাগিয়ে দিই
— দরকার নেই তুমি এখন যাও আমি লাগিয়ে নিবো ।
— নাহ্ না তা কি করে হয়? আমি ব্যাথা দিলাম আমিই সারিয়ে দিই?
— ইটস ওকে নীরা আমার অতটাও ব্যাথা লাগেনি ।
— তবুও স্যার..
— রিল্যাক্স নীরা তুমি এখন যাও ।
— আবার চা করে দিই?
— দরকার নেই তুমি বরং নাশতা বানিয়ে দাও ।
— ওকে স্যার ।
আস্তে করে দরজা টেনে দিয়ে বেরিয়ে গেলো নীরা ।
রাইদ দেখলো হাতটা লাল টকটকে হয়ে আছে আবার জ্বলছেও প্রচুর । তাচ্ছিল্য ভরা একটা দৃষ্টি নিক্ষেপ করে ও ফোনটা হাতে টেনে নিলো । হাতের মধ্যেই আবার বেঁজে উঠলো সেটা ।

রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে একজন বললো_
— স্যার ব্লু প্রিন্ট আর সব ইনফরমেশন ঐ অফিসারের কাছেই আছে পাক্কা খবর ।
— ওকে তা’হলে আমি আঠাশ সেপ্টেম্বর আসছি ঢাকায় ।
— স্যার আঠাশ সেপ্টেম্বর তো অফিসার টার বিয়ে ।
— ভেরি গুড টাইমিং । ঝামেলার মধ্যে ডকুমেন্ট’স গুলো কালেক্ট করে ফেলবে তা’হলে ।
— স্যার এত ইম্পর্টেন্ট জিনিস সে নিশ্চয়ই খুব সেফ ভাবে রাখবে ।
— আমি অতসব জানিনা তোমরা যেভাবেই হোক ওগুলো নিয়ে আসবে এতে যদি ওকে খুনও করতে হয় তাহলে তাই করবে ।
— কিন্তু স্যার..
— নো মোর ওয়ার্ড ।
— ওকে স্যার ।
— ভেরি গুড ।
ফোন কেটে উঠে জানালার পাশে দাঁড়ালো রাইদ ।
“দ্য গেইম উইল স্টার্ট নাউ..”
চলবে,