উপন্যাস- রাত

উপন্যাস- রাত ! পর্ব- ১৫

প্রহর -( দেওয়ালের সাথে চেপে ধরলাম ) এত
রাগ! ?? এত?? আর অন্য দিকে যে তোমার পিছনে
নাইট …….

রাত্রি- হাত ছাড়াতে ছাড়াতে- কি বললে! ???

প্রহর – না কিছুনা আমি জানতে চাচ্ছি তুমি কোথায়
যাচ্ছ?

রাত্রি – সেটা দিয়ে তুমি কি করবে?

প্রহর – আমার দরকার আছে।
তুমি বল।

রাত্রি- তোমার কি দরকার! ?? আমি যেখানেই যাই।
তোমার তাতে কি? ?

প্রহর – তা তোমার বললে কি সমস্যা? ??

রাত্রি- ওকে আমি এই দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছি।
লন্ডন যাচ্ছি। কাকুর কাছে।
এখন আর তোমার প্রয়োজন নেই।
আর এখন থেকে তোমার ও দেখতে হবেনা
আমাকে।
তোমার আর রোজ এর রাস্তা ক্লিয়ার।

প্রহর – দেওয়ালে জোরে করে বারি দিলাম।তুমি
কোথাও যাবেনা।
তুমি এইখানেই থাকবে, আর আমার কাছেই থাকবে।
রাত্রি- তোমার কাছে? ? তোমার কাছে থাকব
কেন? ? তুমি কে আমার? ? হ্যা? ? তোমার কি সমস্যা
আমি চলে গেলে।?

প্রহর – সমস্যা আছে।
আছে সমস্যা।

রাত্রি- কি সমস্যা বল।আমিও শুনতে চাই কি বল।

প্রহর – ( তোমাকে কি করে বলব বল। কি করে??
তোমাকে না দেখলে ত আমি পাগল হয়ে যাব। তার
উপর নাইট! !! )

রাত্রি- কোনো উত্তর নেই? আমি জানতাম।
আমার টিকেট হয়ে গেছে।
আমি যাচ্ছি।
হোপ আর কোনো দিন তোমার সাথে দেখা
হবেনা।
আর একটা কথা আর কখন ও আমার সামনে এসো না।
I just hate u.
don’t show me ur face again after.

চোখ মুছতে মুছতে দরজা দিয়ে বের হলাম।
রোজ – কি ব্যাপার ব্যাগ নিয়ে কোথায় যাচ্ছ

রাত্রি- চলে যাচ্ছি। তোমাদের কাজ শেষ।
আর হ্যা he is all yours now.

রোজ- কিন্তু রাত্রি…
প্রহর তুমি এইখানে দারিয়ে আছ। আর রাত্রি চলে
যাচ্ছে।
থামাও ওকে


প্রহর – কি বলে থামাব??
সত্যি ত ওকে বলতে পারব না আর ও যা চায় তাও আমি
ওকে দিতে পারছিনা। তাহলে কি বলে থামাবো???

রোজ- কিন্তু এখন কি হবে! !!???

প্রহর – আমি এত সহজে হার মানছিনা।

রোজ- তাহলে। ?

প্রহর – আমিও যাবো।

রোজ- ঠিক বলেছ।
হয়ত এখান থেকে নতুন কনো অধ্যায় শুরু হতে
পারে তোমাদের লাইফে।

ইমা- কিরে আপি ২ দিন হল এসেছিস কিন্তু বাসা
থেকে বের ই হচ্ছিস না।
ব্যপার টা কি? বয়ফ্রেন্ড এর জন্য মন খারাপ??
তাহলে আসলি ই কেন? ? কি হয়েছে বল না।
রাত্রি- কিছু হয় নি ইমা। আমি ঠিক আছি।
ভাল লাগছিল না। তাই আরকি।
ইমা- চল না বেরিয়ে আসি।

রাত্রি- আমার ভাল লাগছেনা।

ইমা- আমি তোর কোনো কথা শুনব না।
চল চল।

রাত্রি- ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও বের হলাম।
বাইরের ওয়েদার টা খুব সুন্দর দেখাচ্ছে।
বাইরে ঘুরতে ঘুরতে বৃষ্টি ও শুরু হয়ে গেলো।
আমি আর ইমা একটা গাছের নিচে দাড়ালাম।
কেনো যেনো প্রহর কে খুব মনে পরছে।
ওর প্রতি টা স্পর্শ এখনও অনুভব করতে পারছি।বৃষ্টির
প্রতি টা ফোটায় মনে হচ্ছে ওর ছোয়া আছে।
চোখ বন্ধ করে অনুভব করতে লাগলাম।

ইমা- আপি থেমে গেছে চল।

রাত্রি- বাসায় গিয়ে দেখলাম কাকু আর কে যেনো
বসে কথা বলছে।

কাকু- আরে তোরা এসে গেছিস??
এইখানে আয়।

ইমা- আরে কাব্য ভাইয়া তুমি? ?

কাব্য – কেমন আছো?? আর এটা?

ইমা- আমার আপি। আপন না কিন্তু তার থেকেও কম না।
অনেক বেশি ই আপন।

কাব্য – হাই।আমি কাব্য।

রাত্রি- হাই । রাত্রি।

কাকু- তোরা গল্প কর।আমি আসি।

কাব্য – এত গল্প করছি কিন্তু দেখো তোমার
বোন ত মনে হচ্ছে অন্য দুনিয়াতেই আছে।

ইমা- আপি আপি!!!

রাত্রি- হুম কি ?

কাব্য – তোমার কি আমার সাথে কথা বলতে ইচ্ছা
করছেনা??

রাত্রি- না এমন কিছু না।

কাব্য – আচ্ছা থাকো। আমি আসছি।

ইমা- ভাইয়া আবার এসো।

কাব্য – আসতে ত হবেই।
এখন কি আর না এসে পারা যায়।

ইমা- ( ফিস ফিস করে) আমার আপি কে কি পছন্দ
হয়েছে?? ট্রাই করে দেখো। আপি সিংগেল ঈ
আছে।

কাব্য – হাহাহা। আচ্ছা আসি।

রাত্রি- কি বললি আস্তে আস্তে।আর এটা তোর
কেমন ভাই।

ইমা- আব্বুর বিজনেস পার্টনার এর ছেলে।
খুব ভালো।
মাঝে মাঝেই আসে।
আর বেশ হ্যান্ডসাম ও।
অফিসের সব মেয়ে এর উপর ঘায়েল।
কিন্তু উনি ত মনে হচ্ছে…

রাত্রি- কি?

ইমা- তোর উপর ঘায়েল।

রাত্রি- মারব না এমন একটা। বেশি পেকে গেছ।
রাতে ডিনার করে শুয়ে পরলাম।
কিন্তু কিছুতেই ঘুম আসছেনা।
শুধু প্রহর কে মনে পরছে।
মনে হচ্ছে ছুটে যাই।
ভোরের দিকে একটু ঘুম এলো।
হঠাত ঘুম টা ভেংগে গেলো।
মনে হচ্ছে কেউ আমার ঘরে আছে।কিন্তু আমি
তাকে দেখতে পাচ্ছিনা।
আবার ও সেই অনুভুতি।
প্রহর আসার পর থেকে সেটা কমে গিয়েছিল
কিন্তু এখন আবার সেটা শুরু হয়ে গেছে।
কেনো এমন হয়।
কিছুতেই শান্তি নেই আমার।

ইমা- কিরে আপি সারাদিন কি তুই ঘরের ভেতর ই
থাকবি? ? চল কাব্য ভাইয়া এসেছে ঘুড়তে যাবো।

রাত্রি- আমার ইচ্ছে করছেনা।

ইমা- আমি কিছু শুনছিনা।
আমি বুঝতে পারছি তোর কিছু হয়েছে
কিন্তু তুই কিছু বলবি না জানি।তাই জোর করছিনা।
এখন তুই চল আমার সাথে।

কাব্য – যাক শেষ মেশ এসেছ। আমি ত ভাবলাম
আসবেনা।

রাত্রি- কাব্য গাড়ি এনেছে। আমরা ঘুরতে বের হলাম।
সন্ধ্যা হয়ে গেলো ঘুরতে ঘুরতে। কাব্য তুমি
এইসময় এমন জংগল এর পাশ দিয়ে কেনো যাচ্ছ??

কাব্য- কেনো ভয় লাগছে।

ইমা- আমার কিন্তু ভয় লাগছে।

রাত্রি- কি হল গাড়ি থামালে কেন? ?

কাব্য- থামাইনি থেমে গেছে।
দাড়াও কি হয়েছে দেখি।

রাত্রি- কি হল।
গাড়ি থেকে বের হলাম। কাব্য নেই।
হঠাত কিভাবে উধাও হতে পারে।
ইমা বাইরে আয়।

ইমা- কি হয়েছে আপি।
আরে ভাইয়া কই গেলো?

রাত্রি – ফোনে লাইট জ্বালালাম।
কাব্য বলে ডাক দিলাম কোনো সাড়া নেই।
ইমা তুই গাড়ি তে থাক আমি সামনে যেয়ে দেখি।

ইমা- ওকে।

রাত্রি- সামনে যেতে পাশ থেকে আওয়াজ এলো।
পাশে জংগল এর থেকে। আমি যেতে লাগলাম।
যেতে যেতে হঠাত পিছনে আওয়াজ হল। পিছনে
দেখলাম দুটা চোখ লাল লাল করে জ্বলছে।
আমি চিতকার দিয়েই দোড়।
জিনিস টাও আমার পিছনে পিছনে আসছে।
আমি কোথায় যাচ্ছি জানিনা।
হঠাত হাতে টান অনুভব হল।
আমি চিতকার করতে নিলাম। কিন্তু কেউ আমার মুখ
চেপে ধরল।
এই স্পর্শ আমার খুব চেনা।
গায়ের ঘ্রান টা আমার খুব কাছের।
আমি হাত নামালাম।
“প্রহর ”

প্রহর – জরিয়ে ধরলাম রাত্রিকে।
তুমি ঠিক আছো ত ??
মুখ উঁচু করে কপালে, গালে চুমু দিতে লাগলাম।

রাত্রি- আমি স্টিল হয়ে দাড়িয়ে আছি।
কিছু বলার শক্তি ও পাচ্ছিনা।
পিছন থেকে ইমা আর কাব্যের আওয়াজ পাওয়া
যাচ্ছে।
ঠেলা দিয়ে সরিয়ে দিলাম ওকে।

প্রহর – কোথায় যাচ্ছ??

রাত্রি- কিছু না বলে রাস্তার দিকে গেলাম।

কাব্য- আরে তুমি কোথায় ছিলে জংগল এ কি
করছিলে??
আর এ কে??

রাত্রি- জানিনা।
চল ইমা।

ইমা- আমি একে চিনি।
তুমি প্রহর রাইট! ?

প্রহর – হুম।
তুনি কিভাবে আমাকে চিনো?

ইমা- বলছি আগে এসো আমাদের সাথে।

কাকু- যাক প্রহর তুমি ছিলে। তা তুমি হঠাত! ? এইখানে??

রাত্রি- আমি আর ইমা উপরে দাড়িয়ে ছিলাম।
তুই ওকে কিভাবে চিনিস?

ইমা- ও ত তোমার বডি গার্ড ছিল। আমি বাবার কাছে
শুনেছি।
আপি কি হ্যান্ডসাম।
প্রেমে পড়ার মত।

রাত্রি- লাভ নেই।ওর গার্ল ফ্রেন্ড আছে।

ইমা- দুর। মন টাই ভেংগে দিলে
চলবে,,,,
 


বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *