লাভার নাকি ভিলেন ! সিজনঃ ২

লাভার নাকি ভিলেন ! সিজনঃ ২ !! Part- 26

নাবিলঃ স্বপ্ন নয় সত্যি আমার বন্ধু বিপদে পড়েছে আমাকে ডাকছে আমার যেতে হবে আন্টি বলে নাবিল শার্ট পড়তে শুরু করল।

সামিরার মাঃ এত রাতে কোথায় যাবে কিভাবে যাবে?

নাবিলঃ যানি না তবে আমাকে যেতে হবে শুধু সেটাই যানি।

সামিরাঃ তারমানে তোমার সব মনে পড়ে গেছে?

সামিরার কথাটা শুনে নাবিলের ঘোর কাটল। নাবিল স্তম্ভিত হয়ে বসে পড়ল

সামিরার মা নাবিলের ব্যাপারটা বুঝতে পেরে সামিরাকে বলল চলো আমরা এখান থেকে যাই ওকে একা থাকতে দাও।বলে সামিরার মা হাঁটতে লাগল সামিরাও চলে যাচ্ছিল কিন্তু কি ভেবে যেন গেল না।

নাবিল আপাতত এদের নিয়ে ভাবছে না সে আকাশের কথা ভাবছে।

নাবিলঃ আকাশ আমার সাথে যা যা করেছে তারপরে ওর কথা চিন্তা করা কি আমার উচিত? তবুও কেন আমি আকাশ কে ঘৃনা করতে পারছি না। আকাশের কাছ থেকে প্রতিশোধ নেয়ার সব যোগ্যতাই আমার আছে তবুও কেন ওর মুখোমুখি গিয়ে দাঁড়াচ্ছি না? উল্টে ওর জন্য দুশ্চিন্তা করছি?ও তো একটা বেইমান বিশ্বাসঘাতক। তাহলে আমি কেন করছি এমন?

নাবিল যখন ভাবনার জগতে তখন সামিরা এসে নাবিলে পাশে বসল। আর নাবিলের ধ্যান ভাংগিয়ে দিয়ে বলল কয়েকটা কথা বলতে চাই।

নাবিলঃ হ্যা অবশ্যই বলো।

সামিরাঃ জানি না কথাগুলি তুমি কিভাবে নিবে এখন বলা উচিত কিনা সেটাও জানি না তবুও বলছি কারন আমার মনে হয় তুমার হয়ত সব মনে পড়ে গেছে বা পড়ে যাবে আর তখন তুমি এখান থেকে চলে যাবে…

নাবিলঃ তা ত যেতেই হবে… আমি সারাজীবন এখানে কেন থাকব?

সামিরাঃ না মানে…. তুমি থাকবে সেটা বলছি না।

নাবিলঃ তাহলে কি বলতে চাচ্ছো…??

সামিরা হটাৎই নাবিলের হাত ধরে বলল আমি তোমার হাত ধর বাঁচতে চাই অরন্য।

নাবিল বেশ অবাক হয়ে বলল মানে কি?

সামিরাঃ যদি বলি ভালবাসি সেটা বাড়াবাড়ি হবে ভালবাসি নাকি সেটা আমি নিজেও জানি না তবে আমি তোমার আশ্রয়ে থাকতে চাই আমাকে ফিরিয়ে দিও না প্লিজ

নাবিলঃ এসবের মানে কি? সকালের ব্যাপারটা খারাপ হয়েছে জানি তারজন্য আমি ক্ষমাও চেয়েছি প্লিজ আমাকে জড়িয়ে এসব চিন্তাভাবনা বাদ দাও এখান থেকে যাও প্লিজ।

সামিরাঃএভাবে বলছো কেন?

নাবিল কিছুটা বিরক্তি নিয়ে বলল আমি বাঁচি না আমার যন্ত্রনায় আর ইনি এসেছেন ভাব নিতে এখান থেকে যাবে কি তুমি?

সামিরা রাগে ফুস ফুস করতে করতে চলে গেল।

নাবিল সামিরার কথার গুরুত্ব দিল না কিন্তু কিছুক্ষনের মধ্যেই ভাংচুর এর শব্দ ভেসে আসলো।

সামিরা মা কথা শুনে নাবিলের বুঝার বাকি রইল না যে সামিরা ভাংচুর শুরু করছে।তাই সে তাড়াতাড়ি সামিরার ঘরে গেল।

গিয়ে অবাক হল ঘরের প্রায় সবকিছুই মোটামুটি ভাংগা শেষ।

সামিরার মাঃ কি করছো এসব সামিরা থামো বলছি কি হয়েছে বলো আমাকে।

সামরা কিছু বলছে না শুধু এটা ওটা ছুড়ে ফেলছে দেখে সামিরার মা নাবিলকে বলল কি হয়েছে ও এমন করছে কেন?একটু আগেও তো ঠিক ছিল।

সামিরা চেঁচিয়ে বলে উঠল তোমরা এখানে কি করছো? এখান থেকে এখনী যাও তানাহলে আমি কি করব নিজেই যানি না।

নাবিলঃ আন্টি কি বলব বুঝতে পারছি না। আপনি এখান থেকে যান। ও যেভাবে জিনিসপত্র ছুড়ছে আপনার লেগে যাবে আপনি যান আমি দেখছি।বলে সামিরার মাকে নাবিল ঘর থেকে বের করে দিল।

সামিরার মাঃ কিন্তু ও…

নাবিলঃ আমি এখনি ওকে আপনার কাছে নিয়ে আসছি চিন্তা করবেন না।নিজের ঘরে যান।

নাবিল দরজা লাগিয়ে দিল।

নাবিলঃ কি সমস্যা এমন করছো কেন।

সামিরাঃ তুমি এখান থেকে যাও।

নাবিলঃ সমস্যা কি সেটা তো বলো বলতে বলতে নাবিল সামিরার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল
তখনি সামিরা একটা গ্লাস নিয়ে বলল খবরদার বলছি কাছে আসবা না।

নাবিলঃ কি করবে মারবে?আচ্ছা মারো।তবুও থামো।

সামিরা সাথে সাথে গ্লাস টা ভেংগে নিজের হাতে বসিয়ে দিল।

নাবিল দৌড়ে এসে সামিরাকে ধরল।

নাবিলঃ কি করলে এটা? এত জেদ কেন তোমার?

সামিরা নাবিলকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিয়ে বলল আমাকে ছেড়ে যাবে না বলো।

নাবিলঃ কি ঝামেলায় পরলাম রে বাবা,
আকাশের বাচ্চা আজীবন আমাকে বাঁশ দিয়েছে এখন পাশে না থেকেও একটা বাঁশ দিয়ে দিল ও এসব না করলে আমি এখানে আসতামো না আর এই পাগলিও গলায় ঝুলতো না। এখন কি করব? না বললে হয়ত সোসাইড করবে।কিন্তু আমি আর প্রেম এটা কিভাবে সম্ভব?
থাক যা হওয়ার পরে হবে আগে তো হ্যা বলে দেই।(মনে মনে)

আচ্ছা যাব না….

সামিরাঃ ভালবাসবে আমায়…???

নাবিলঃ বাসব….

সামিরা কাঁদতে কাঁদতে বলল আহ জ্বালা করছে।

নাবিলঃ বেশ হয়েছে এত জেদ কেন?
এতদিন আকাশ বলতো আজ নিজে প্রমান পেলাম।

সামিরাঃ আকাশ কে? আর কিসের প্রমান?

নাবিল দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল আকাশ একটা এমন নাম যা আমি না চাইলেও বারবার মুখে আসে।আর মেয়েদের বুদ্ধি যে হাটুর নিচে থাকে সেটার প্রমান পেলাম।

সামিরাঃ আমাকে অপমান করছো?

নাবিলঃ হয়েছো অনেক করেছো এবার এসো তো এখানে বসো। সামিরার হাতে বেন্ডেজ করে দিয়ে নাবিল বলল যাও তাহলে আন্টির কাছে সরি বলে এসো।

সামিরাঃ সরি কেন বলব?

নাবিলঃ সরি না বললে ভালও বাসবো না।
যদি সরি বলো তাহলে ভালবাসব।

সামিরাঃ আচ্ছা বলব

নাবিল গুড গার্ল বলে সামিরাকে তার মার কাছে নিয়ে গেল।

সামিরাঃ মা সরি আমি এখন যেটা করলাম সেটা করা আমার ঠিক হয় নি।

সামিরার মা সামিরার কথায় পুরাই অবাক হল। কারন সামিরা এর আগে কখনো এভাবে সরি বলে নি।
তিনি হা করে তাকিয়ে আছে? এটা কি করে সম্ভব?

নাবিলঃ ঘরে গিয়ে লক্ষি মেয়ের মত ঘুমিয়ে পড়ো।আমি আন্টির সাথে একটু কথা বলব।

সামিরাঃ আমিও থাকি।

নাবিলঃ না সকালে তুমাকে ঘুরতে নিয়ে যাব।তাই এখন গিয়ে ঘুমাও

সামিরাঃ সত্যি?

নাবিলঃ হুম।

সামিরা খুশিতে চলে গেল।

নাবিলঃ আন্টি আমি এখানে আর বেশিদিন থাকতে পারব না আমার চলে যেতে হবে তাই আমি চাই আপনি সামিরার জন্য একটা পাত্র দেখুন আমি ওর বিয়েটা দিয়ে যেতে চাই জনির ব্যাপার টা আমি সামলে নিব বলে নাবিল চলে গেল।



সকাল বেলা নাবিল আর সামিরার মা নাস্তার টেবিলে বসে আছে তখনি সামিরা আসল।

সামিরাকে দেখে ২ জনের চোখ কপালে উঠে গেল কারন সামিরা শাড়ি পড়েছে সাথে ম্যাচিং ইয়ার রিং খোলা চুল গাঢ় কাজল হালকা লিপস্টিক হাত ভর্তি কাচের চুড়ি….

সামিরাঃ মা আমায় কেমন লাগছে?

সামিরার মা হা করে তাকিয়ে আছে এটাও সম্ভব? সামিরা শাড়ি পড়েছে?ওর এত পরিবর্তন?

সামিরাঃ কি হলো বলো না?

সামিরার মাঃ খুব সুন্দর লাগছে যা এর আগে কখনো লাগে নি।

সামিরাঃ ধন্যবাদ ম্যাম…আর এই মিস্টার কি হল এসো বাইরে নিয়ে যাবে না?

নাবিল এতক্ষনে সামিরার রুপের মাঝে ডুব দিয়েছে,
নাবিলঃ মেয়েটা দেখতে অনেক সুন্দর আচারন কিছুটা খারাপ হলেও মনটা অনেক ভাল।আমার জন্য একদিনেই নিজেকে বদলে নিয়েছে আমার জীবনে যদি ঝামেলা না থাকতো ওকে নিজের করে নিতাম কিন্তু কপাল এতটাই খারাপ যে সেটা আমার পক্ষে সম্ভব না।

সামিরাঃ কি হল?

নাবিল বাস্তবে ফিরে এসে বলল হুম যাব তো।তুমি নাস্তা করো আমি রেডি হয়ে আসছি।

নাবিল রেডি হয়ে আসার পর ২ জন মিলে বেরিয়ে গেল।

সামিরার মাঃ এমন একটা ছেলেই তো চেয়েছিলাম যে আমার মেয়েটাকে বদলে দিবে। কিন্তু ও কে কি তার পরিচয় কিছুই তো জানি না। যাই হোক ওর সাথেই সামিরার বিয়ে দিব আর আমার কাছেই রেখে দিব সারাজীবন। আমার মনে হয়না ও আপত্তি করবে আমি আজেই সামিরার বাবার সাথে কথা বলব।







এদিকে সকালে আকাশ পার্টি অফিসে গিয়েছে।
আবির আর মেঘলাও এসেছে।

আকাশঃ আবির একটু শুনিস তো…

আবিরঃ জ্বি ভাই বলো?

আকাশঃ কি সমস্যা তোর এমন কেন করছিস তুই তো জানিস মেঘলা আমার কাছে কি তবুও কেন কেড়ে নিতে চাইছিস।

আবিরঃ আমি কেড়ে নিচ্ছি না শুধু একটু নিরাপদ আশ্রয় দিয়েছি এইটুকুই।

আকাশ আবিরের কলার টেনে বলল আমি তোকে…

তখনি মেঘলা এসে আকাশের হাত ছাড়িয়ে নিল।

মেঘলাঃ লজ্জা করে না এমন করতে? আমি একজন স্বাধীন মানুষ আমি কার সাথে থাকব কার সাথে থাকব না সেটা আমি ঠিক করব আপনি না।আপনার মত জানুয়ারের সাথে আমি কেন কেউ থাকবে না বলে আবিরকে নিয়ে চলে গেল।

মেঘলাঃ তোমার লাগে নি তো?

মেঘলার কথায় আকাশের মেজাজ খারাপ হয়ে গেল আকাশ দেখছে আর জ্বলছে।

তখন একজন এসে বললো ভাই বসতিটার কি করবেন কোর্টের অর্ডার হয়ে গেছে কিন্তু আপনি তো ভাংগে চান বস্তিটা তাহলে কি বস্তিটা দানপত্র করবেন?

আকাশ রেগে আছে তাই বলল না আমি আর কখনো কাউকে কোন সুযোগ দিব না যার জন্য যত কিছুই করি না কেন কেউ আমায় ভালবাসে না আমিও আর কাউকে ভালবাসব না বস্তি আজকেই ভাংব।

লোকটিঃ কিছুদিন পরেই তো ভোট এখন কি বসতি ভাংগা ঠিক হবে?

ইরাঃ অবশ্যই ঠিক কারো সাহস আছে নাকি আকাশের সামনে দাঁড়ানোর চলো আজকেই বসতি উচ্ছেদ হবে।

ইরা আকাশকে নিয়ে গেল সাথে অনেক গুন্ডাও গেল।

মেঘলাঃ এরা কোথায় কেন যাচ্ছে?

আবিরঃ নিশ্চুই কারো ক্ষতি করতে…

মেঘলাঃ চলো আমরাও যাই

আবিরঃ না মেঘলা তোমার এসব সহ্য হবে না।আমার তো কোন উপায় নেই আমার যেতেই হবে তুমি থাকো আমি যাই।

মেঘলা জোর করেই আবিরের সাথে গেল।
কিন্তু সেখানে গিয়ে মেঘলা অবাক হল।

কত মানুষ আকাশের পায়ে পড়ছে কান্না করছে কিন্তু আকাশের তাতে কিছু যায় আসে না সে অর্ডার দিয়ে যাচ্ছে আর অন্যরা বাড়িঘর ভাংগেছে।

সবার আহাজারি দেখে মেঘলা ইতিমধ্যে কেঁদে ফেলেছে।

মেঘলা গিয়ে আকাশকে একটা থাপ্পড় মারলো।

আকাশ রেগে গেল
আকাশঃ আবেগ নিজের ভিতরে রাখ এখানে দেখাতে আসবি না।আমার গায়ে হাত দেয়ার সাহস পাস কোথা থেকে?

মেঘলাঃ এতটা খারাপ হয়ে গেছো তুমি?

আকাশঃ উফফ অসহ্যকর…এই আবির এটাকে এখানে কেন এনেছিস?

আবিরঃ মেঘলা তুমি এসব কি করছো তোমার ভুলে গেলে চলবে না আকাশ ভাই তোমার সিনিয়র তুমি সবার সামনে ভাইকে থাপ্পড় মারতে পারো না। আর ভাই তো কোর্টের অর্ডার পেয়েই বস্তি উচ্ছেদ করছে।

মেঘলাঃ কিন্তু এরা কোথায় যাবে কত বাচ্চা আছে দেখো সবাই কাঁদছে। তুমাকে যদি কেউ তোমার বাসা থেকে বের করে দিত তুমার কেমন লাগত?

আবিরঃ তোমাকে কি করে বুঝাব এটাই নিয়ম এখানে ইন্ডাস্ট্রি করা হবে প্রচুর টাকা খরচ করে ভাই এই বস্তিটা নিয়েছে।

আকাশঃ কাকে কি বোঝাচ্ছিস আগেই বলেছিলাম এটাকে এসবে আনিস না শুনলি না।এখন নিজের চোখে যত জল আছে এখানেই বিসর্জন দিয়ে দিবে।এটাকে নিয়ে যা আবির।

এমনেতেই এদের কান্না সহ্য হচ্ছে না তারউপড় ওর কান্না দেখলে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারব না (মনে মনে) তবে এটাই একমাত্র উপায় মেঘলাকে আমার কাছে আনার অন্যের কস্ট সহ্য করতে না পেরে ও রাজনীতি ছেড়ে আমার আগের মেঘলা হয়ে যাবে।

আবিরঃ চলো মেঘলা।

মেঘলাঃ না যাব না….আমি তোমার পায়ে ধরছি আকাশ ওদের এভাবে রাস্তায় নামিয়ে দিও না।

আকাশঃ আচ্ছা তুই আমার কাছে চলে আয় তাহলে বস্তি উচ্ছেদ করব না কথা দিলাম….

মেঘলাঃ ছি কতটা খারাপ তুমি… কতটাকা দিয়ে নিয়েছো তুমি এই বস্তি তার দ্বিগুন টাকা দিয়ে আমি বস্তিটা নিব ভুলে যেও না ভাইয়া তার সমস্ত ব্যাংক ব্যালেন্স আমাকে দিয়ে গেছে।

আকাশঃ তর টাকা তোর কাছেই রাখ আকাশের টার্গেট কখনো মিস হয় না আমার নজর যেখানে সেটা আমার আর কারো না।

মেঘলাঃ ঠিক আছে আমার উপড় দিয়ে গিয়ে তুমি কি করে ওখানে পোছাও আমিও দেখতে চাই।
চালাও গুলি অথবা বন্ধ করো এসব।

আকাশঃ আবিরের বাচ্চা আমি এখানে সিনেমা করতে আসি নি।

আবিরঃ মেঘলা তুমি ভাইকে ঘরের ভিতরে দেখেছো বাইরে দেখো নি প্লিজ ভাইকে রাগিও না চলো এখান থেকে।

মেঘলাঃ আমি যাব না… মারুক ও আমাকে।

মেঘলা সবাইকে থামানোর জন্য চিৎকার করল কিন্তু কেউ থামল না মেঘলা ইচ্ছা করেই নিজে গিয়ে আঘাত পেল একজন ঘর ভাংগতে আঘাত করেছি মেঘলা নিজেই গিয়ে সামনে দাঁড়িয়ে আঘাত পেল।

আকাশ আবির ২ জনেই মেঘলা বলে চিৎকার করে উঠল।

আকাশ দৌড়ে গিয়ে মেঘলাকে ধরে বলল কি করছিস এসব? একটুও বাড়াবাড়ি করলে মেরে হাত পা ভেংগে ঘরে ফেলে রাখব বুঝেছিস খুব সাহস বেড়েছে তাই না?

এতকিছু না করে আমার কাছে চলে আয় তাহলেই ত আমি ভাল হয়ে যাই।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *