ভালোবাসা এমনও হয়

ভালোবাসা এমনও হয় !! Part- 15

(❤❤❤❤গল্পটা আমি কিছুটা বাস্তব নিয়ে লিখতে চেয়েছিলাম।আমাদের লাইফে প্রথম যারা আসে তারাই কি সারাজীবন আমাদের সাথে থাকে??থাকে নাহ।।বাট আপনারা তা মানতে নারাজ।ইশানকে নিয়ে প্রথম শুরু করেছি বলে তাকে নিয়েই গল্প শেষ করতে হবে।।আবার তাকে শাস্তি ও দিতে হবে।।তারপর নেশা তাকে মাফ করে দিবে।।তাহলে ইশানকে শাস্তি দেয়ারই দরকার কি।।যদিপরে নেশার সাথে মিলই হয়ে তাহলে এই নামের শাস্তি দিয়ে স্টার জলসার নাটকের মতো কাহিনি বাড়ানোর প্রয়োজন নেই।।চেয়েছিলাম গল্পটা একটু ভিন্ন করতে বাট আপনারা সেই এক কাহিনি টেনে আছেন।।নায়ককে শাস্তি দিবো পরে মিল করে দিবো।আবার আপনারাই নতুন কাহিনি চান।।
বাট এখন যখন শুরু করে ফেলেছি তো আর গল্পটা পাল্টাতে পারবো নাহ।।তাই আপনাদের ভালো না লাগলে গল্প টা এভয়েড করুন😇)

কবিরঃ মি.ইশান চৌধুরী আপনার তুমি করে বলতে পারি
ইশানঃ হ্যাঁ অব্যশই।।আপনি আমার থেকে বয়সে অনেক বড়।।আপনি আমাকে তুমি করেই বলতে পারেন।
কবিরঃ ওকে।।আসলে ও আমার মেয়ে ইশা।।এই ডিলটা নিয়ে তোমার সাথে ওই কাজ করবে।।
ইশানঃ ওকে নো প্রবলেম
কবিরঃ আসলে ওর এই কাজটা নতুন।। আগে করেছে বাট আমার ছেলে সাথে ছিলো৷ বাট এইবার শুধু ঈশাই কাজ টা করবে।।তুমি প্লিজ ওকে একটু বুঝিয়ে দিও যদি ওর ভুল হয় কোন।।ও তো তোমার বোনের মতোই তাই নাহ।।ওকে তু……..

ঈশাঃ বাবাই আমি উনার বোন হতে যাবো কেন😒😒এতোদিনে বিয়ে হলে বাচ্চার মা হয়ে যেতাম।।তখন কি আমি উনার আন্টি হতাম নাকি😒
ইশানঃ 🤨🤨🤨🤨
কবিরঃ মানে🤔কি থেকে কোথায় চলে গেলি🙄।আর বোন বলেছি বলে এতে সমস্যা কি।ইশান তোর ভাইয়ের বয়সেরই হবে। তাই বললাম
ঈশাঃ আরে আজব তো।তাহলে কি ভাইয়ার বয়সের যারা আছে সবাই আমার ভাই নাকি😡😡
কবিরঃ 😐😐এতে রিয়েক্ট করার কি আছে
ঈশাঃ জানি নাহ বাট উনি আমার ভাইয়া নাহ ব্যস😏
ইশানঃ আচ্ছা স্টপ ইট।।আমি আপনার ভাইয়া নই।।হেপি
ঈশাঃ হুম😍😍😚
ইশানঃ 😕😳😳
কবিরঃ আচ্ছা ছাড়ো ওর কথা।।ও কখন কি বলে তা শুধু ও জানে।।
ইশানঃ ইটস ওকে আঙ্কেল ।

বিরঃ আচ্ছা তোমার বাবা নিলয় চৌধুরী কোথায়? উনি কি অফিসে থাকেন নাহ?

ইশানঃ নাহ আসলে উনি আমার বাবা নাহ।।উনি আমার চাচা হয়।

কবিরঃ ওহহ সরি তা তোমার বাবা?

ইশানঃ আসলে আমার বাবা মারা গেছে😔

ঈশাঃ🥺

কবিরঃ ওহহ আই এম সরি

ইশানঃ নাহ ইটস ওকে

ঈশাঃ বাবাই তুমি ও নাহ।।দিলে তো উনার মনটা খারাপ করে😡

কবিরঃ আরে আমি কি জা…….. 🙄🙄

ইশানঃ নাহ সমস্যা নেই বললাম তো।।আপনি তো জানেন নাহ তাই জিজ্ঞাসা করেছেন

কবিরঃ 🤨🤔(আমার মেয়েটা এতো রিয়েক্ট করছে কেন🙄🙄কিছু তো একটা ব্যাপার আছে-মনে মনে)

কবিরঃ আচ্ছা এখন আমরা যাই।।কাল থেকে তোমার প্রোজেক্ট নিয়ে কাজ শুরু করে দিও

ইশানঃ ওকে আঙ্কেল।

কবির আর ঈশা যেতে নিলো।

ঈশাঃ বাবাই উনাকে আমার বার্থডে তে ইনভাইট করলে নাহ🙈🙈

কবিরঃ 🙄

ঈশাঃ কি।। আরে এতো বড় প্রজেক্ট নিয়ে উনাদের সাথে কাজ করছি তাহলে উনাকে ভালো করে জেনে নিতেও তো হবে।

কবিরঃ ওকে তুই যা বলিস।

কবির গিয়ে ইশানকে তার পরিবারকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলে এলো।

এইদিকে

নেশার সাথে একে একে সবাই পরিচিত হয়ে নিলো।।আর নীড়ও।।নীড়কে দেখে নেশার একটু ঘটকা লেগেছিলো কারন অন্য সব স্টাফ দের থেকে নীড় একটু বড়।।কারন ওর আন্ডারে যারা কাজ করছে তারা নেশার জুনিয়র।। আর তারউপর নীড়কে খুব চিনা চিনা ও লাগছে নেশার। কিন্তু কোথায় দেখেছে তা মনে করতে পারছে নাহ।


এইদিকে স্টাফদের কেউই নীড়কে চিনে নাহ।।কারন নীড় কখনো এই অফিসে আসেনি।।তার বাবা আসতো বেশিরভাগ সময়।

নেশাঃ ওকে আপনারা এখন আপনাদের কাজে যান।।যদি প্রবলেম হয় তাহলে আমাকে বা মেনেজার কে জানাবেন।

সবাই চলে গেল বাট নীড় এখনো হা করে তাকিয়ে আছে নেশার দিকে।

নেশাঃ মি.নীড়।।আপনি এখানে দাড়িয়ে আছেন কেন?কোন প্রবলেম?

নীড়ঃ হুহ তুমি হলে প্রবলেম 😍😍😍

নেশাঃ মানে🤨

নীড়ঃ (ঘোর কাটলো) নাহ কিছু নাহ।। ওই আরকি🙄😶

নীড় কেটে পরলো।

একটুপর নীড় একটা ফাইল নিয়ে নেশার কেবিনের সামনে দাড়ালো।।আর ভিতরে ঢুকে গেল।।কারন ওর তো আর অনুমতি নেয়ার অভ্যাস নেই।

নেশাঃ নক নাহ করে ঢুকলেন কেন

নীড়ঃ এই রে ভুলেই গেছিলাম😣😣(মনে মনে)

নীড়ঃ সরি ম্যাম।।

নেশাঃ ইটস ওকে।।কিছু বলবেন?

নীড়ঃ আসলে ম্যাম এই ফাইলের এই দিকটা বুঝতে পারছি নাহ

নেশাঃ নাহ বুঝতে পারলে ম্যানেজার কে বলুন বুঝিয়ে দিবে।।বা অন্য স্টাফ দের থেকে হেল্প নিন

নীড়ঃ কেউই বুঝাতে চায় নাহ।

নেশাঃ তাই নাকি।।ওকে ওয়েট।

নেশা ম্যানেজার কে ডেকে পাঠালো

নেশাঃ আপনি ওনাকে এইটা বুঝিয়ে দিননি কেন

ম্যানেজার (রবি):বসকে আবার কি বুঝিয়ে দিবো(মনে মনে)

নেশাঃ কি বিরবির করছেন

রবিঃ নাহ মানে আসলে ম্যাডাম হয়েছে কি উনাকে নাহ আমি বুঝিয়েছি অনেক বার উনি বুঝতে চাইছেন নাহ

নীড়ঃ আরে আজব আপনি ভালো করে বুঝাতে পারেন নাহ।।তো আমি বুঝবো কিভাবে।

রবিঃ উফফ স্যার যে এতো অভিনয় কেন করছে😣।।এখন সাথে আমাকে ও মিথ্যা বলতে হচ্ছে😣(মনে মনে)

নীড়ঃ আচ্ছা রবি এখন যান আমি নেশার থেকে বুঝে নেবো

রবিঃ ওকে স্যার

নেশাঃ এই ওয়েট ওয়েট।।আপনি উনাকে স্যার বললেন কেন ম্যানেজার 🤨আর এই যে আপনি মি.নীড় আপনিই বা উনাকে নাম ধরে কেন ডাকলেন

নীড়ঃ (এই রে😣😣)না মানে আসলে ভুলে। ভুলে বলে ফেলেছি😅

নেশাঃ হোয়াট এভার।।ম্যানেজার আপনি এখন আসতে পারুন।।আমি ওনাকে বুঝিয়ে দিচ্ছি।।

রবিঃ ওকে ম্যাম



নেশা নীড়কে বুঝিয়ে দিতে শুরু করলো।

নেশাঃ আপনি প্লিজ ফাইলের দিকে তাকাবেন।।লেখা গুলো ফাইলে আছে আমার মুখে নাহ

নীড়ঃ 😍😍😍

নেশাঃ আপনাকে আমি কিছু বলছি

নীড়ঃ শুনছি তো

নেশাঃ ফাইলের দিকে তাকান

নীড়ঃ উহু

নেশাঃ আজব তো এই ভাবে তাকিয়ে থাকার মানে কি।আমার আনইজি ফিল হচ্ছে।

নীড়ঃ আপনি কিভাবে বুঝলেন আমি আপনার দিকে তাকিয়ে আছি।।তারমানে আপনি ও আমার দিকে তাকিয়ে আছেন😍😘

নেশাঃ আমি আপনার দিকে তাকিয়ে আছি এই জন্য কারন আমি যা বুঝাচ্ছি আপনি তার কিছুই বুঝছেন নাহ।

নীড়ঃ কে বললো বুঝছি নাহ সব বুঝছি😍

নেশাঃ ওহহ আচ্ছা তা কি বুঝেছেন শুনি

নীড়ঃ তুমি কথা বলার সময় তোমার এক গালে টোল পরে😍😍

নেশাঃ হোয়াট😕😕😳😳😵(চেচিয়ে)

পোস্ট টাইম-বিকাল ৪.১২
৯ জুলাই,২০২০

চলবে😍