বস বয়ফ্রেন্ড Season-4

বস বয়ফ্রেন্ড Season-4 ! পর্ব- ৮

রাদ- সামনে যেয়ে দেখি ১ টা মেয়ে কে
ঘিরে ৪-৫ টা ছেলে।
অন্ধকারে মেয়েটার মুখ দেখা যাচ্ছেনা।

ড্যানি।

ড্যানি- জি স্যার, পিস্তল টা সাথেই আছে।

রাদ- ওটা লাগবেনা।
গাড়ির থেকে হকি স্টিক নিয়ে আসো।
আমি কোট খুলে কমোড়ে বাঁধলাম।
শার্ট এর হাতা ফোল্ড করে হকি স্টিক দিয়ে
এলোপাথাড়ি মারতে লাগলাম।

ড্যানি- স্যার এর সাথে আমিও মারতে
লাগলাম।

রাদ- ল্যাম্পপোস্ট এর আলোতে এবার
দেখলাম আরে এ ত আদর।

আদর- আমি দোড় দিয়ে স্যার কে জরিয়ে
ধরলাম।
শক্ত করে ধরে কাঁদতে লাগলাম।

রাদ- it’s ok now.
stop crying.
stop it.
.
ador- ধমক খেয়ে আমি চুপ হয়ে গেলাম।
তাকে ছেড়ে আমি মাথা নিচু হয়ে দাড়িয়ে
থাকলাম।
চোখের পানি মুচ্ছিলাম।

রাদ- কিছু না বলে কোট ওর গায়ে দিয়ে আমি
ওর হাত ধরে ওকে গাড়ি তে তুললাম।
যেহেতু আমি ওর বাসা আগে থেকেই চিনি
তাই ওকে আর ঠিকানা জিজ্ঞেস করলাম না।
বাসার সামনে গাড়ি থামল।
আদর বাসায় এসে পরেছ।
নামো।

আদর- ………..

রাদ- আদর!!

আদর- জি জি।

রাদ- চলে এসেছি।
নামো।

আদর- গাড়ি থেকে নেমে এক দোড় এ বাসায়
গেলাম।

রাদ- ড্রাইভার ব্যাক করো।
বাসায় এসে শার্ট খুললাম। ভিজে আছে এখনও
ওর চোখের পানিতে।

আদর- আমার গায়ে স্যার এর কোট টা।
উনাকে দিতে ত মনেই নেই।
আমি শাওয়ার এর নিচে দাড়িয়ে আছি।
আজ যা হতে নিয়েছিল আমার সাথে যদি
স্যার না আসতেন তাহলে কি হত আমার! !”???

রাদ- শার্ট টা ছুড়ে ফেলে দিলাম।
আমার জিবনে অন্য মেয়ের জন্য জায়গা নেই।
সকালে –
আদর- অফিসে এসে স্যার এর কেবিন এ
গেলাম।
স্যার আপনার কোট টা।
রাদ- ফেলে দেও।

আদর- wht? ?
.
raad- can’t u hear? ?
ফেলে দেও। আমি ওটা আর ব্যাবহার করব না।
অন্য কে দেওয়া জিনিস আমি আর ফেরত নেই
না।
আদর- ওটা নিয়ে টেবিল এ আসলাম।
ভাবছিলাম উনাকে থ্যক্স দিব। কিন্তু উনার
ব্যাবহার এ আমার রাগ হয়ে গেল।
আমি কি বলেছিলাম আমাকে দিতে? ?
আর আমার গায়ে ময়লা নাকি যে এটা
নোংরা হয়ে গেছে?? ঢং।

রাদ- ador follow me.

আদর- yes sir.
ব্যাগ টা পিঠে ঝুলিয়ে উনার পিছন পিছন
গেলাম।

রাদ- গাড়ি তে উঠ।

আদর- স্যার কোথায় যাচ্ছি? ?

রাদ- মিটিং আছে।

আদর- কিন্তু আমি ত জানিনা? ?

রাদ- সব তুমি জানলে আমার কি দরকার
ছিল? ?

আদর- সরি।
আমি সামনের সিটে বসে আছি।
লুকিং গ্লাসে দেখছি উনি ফোন এর দিকেই
তাকিয়ে আছে।

আমি ব্যাগ থেকে চুইংগাম বের করে
চাবাচ্ছি মনের সুখে।

গাড়ি থামল।
রাদ- আদর নামো এইখানে।

আদর- নেমে আশে পাশে না দেখেই থু করে
চুইংগাম টা ফেললাম সেটা সোজা স্যার এর
গায়ে।

আল্লাহ মাবুদ।
আমি কিছু না বলেই এএএএএএএ করে উঠলাম।

রাদ- shut up u idiot.
এখন মিটিং তাই রাগ কোন্ট্রল করলাম।

আদর- ( মনে মনে আদর তুই ও না দেখে শুনে
কাজ করতে পারিস না? ?? ছাগল)
ভেতরে গেলাম।
স্যার মিটিং করছে আর আমি উনার পাশে
বসে আছি।
যেহেতু এই মিটিং সম্পকে আমি জানতাম ই
না।তাই
আমি কিছু বুঝতেই পারছিনা।
রাদ- কাগজ নিতে গিয়ে হাত পরল আদরের
হাতের উপর।

আদর- আমি স্যার এর দিকে তাকালাম।

রাদ- হাত সরিয়ে নিয়ে আমার কাজে
মোনোযোগ দিলাম।

আদর- মিটিং শেষ করে উঠলাম।বের হওয়ার
সময়
কিছু বুঝার আগেই স্যার
আদর বলে আমার হাত ধরে কাছে টেনে নিয়ে
পাশ ফিরে জরিয়ে ধরলেন।
কি হল কিছুই বুঝতে পারলাম না।

রাদ- hey u stop.
u idiot.
.
আদর তুমি ঠিক আছো ত।

আদর- হ্যা কিন্তু আমি বুঝতে পারছিনা
আসলে হল কি।

রাদ- উঠে দাঁড়ালাম।
( মনে মনে ও নিশ্চয়ই আমার উপর এটাক করতে
এসেছিল)

আদর- চারিদিক এ তাকালাম সবাই হ্যা করে
আমাদের দেখছে।
স্যার এর হাতের দিকে তাকালাম হাত দিয়ে
রক্ত পরছে।

স্যার আপনার ত হাত কেটে গেছে।
রক্ত পরছে।

রাদ- its ok.
এসব এ আমার কিছু হয়না।

আদর- আপনি এখানে আসুন।

রাদ- আমি বলেছিত কিছু হবেনা।

আদর- জোর করে হাত ধরে চেয়ারে বসালাম।
প্লিজ স্যার আপনি এখানে চুপ করে বসুন।
আমি ব্যাগ থেকে একটা কেঁচি বের করলাম।
রাদ- কেঁচি কি হবে? ? আর তুমি ব্যাগ এ
কেঁচি ও রাখো।

আদর- আসলে স্যার আমার এই ছোট ব্যাগ এ
আমি সব রাখি।
কোন সময় কি যে হয়ে যায় আর কোন টার
দরকার পরে কেউ ত জানেনা।তাই এই ব্যাগ
টাতে সবসময় সব কিছু রাখি।
আর কেঁচি বের করলাম আপনার শার্ট এর
হাতা কাটার জন্য।

রাদ- মানে? ?

আদর- স্যার ড্রাসিং করতে হলেত শার্ট
খুলতে হবে।
কিন্তু এখানে এত মানুষ আপনি ত লজ্জা
পাবেন তাই আর কি এই ব্যবস্থা।

রাদ- ওর কথা শুনে আমি না হেসে পারলাম
না।

আদর- এই প্রথম স্যার কে হাসতে দেখলাম।

রাদ- কি দেখছ??

আদর- নাহ কিছুনা।
ব্যাগ থেকে first aid box বের করে ড্রেসিং
করে দিলাম।
আমার ই ভয় লাগছিল রক্ত দেখে তারপর ও
মনে সাহস যুগিয়ে কাজ টা করলাম আর কি।

রাদ- হয়েছে? ?

আদর- জি স্যার।

রাদ- চল এবার।

আদর- অফিসে আসলাম।

ড্যানি- স্যার এর জন্য আপনাকে বলি
আমাকে সাথে রাখতে।
বড় স্যার শুনলে খুব রাগ করবেন।

রাদ- don’t worry danny.
আর dad কে কিছু বলার দরকার নেই

ড্যানি- স্যার আমি আর আপনার কথা
শুনছিনা।
আমি এর পর থেকে আপনার সাথেই থাকব।

আদর- কাজ শেষ এ বাসায় আসলাম।
খাওয়া দাওয়া শেষ করলাম।

আম্মু- কিরে এত রাতে গান গাচ্ছে বেপার
কি।
আদরের ঘরে গেলাম।
বারান্দা তে গিয়ে ওর সামনে বসলাম।
কিরে থামলি কেন? ?

আদর- আবার গান গাওয়া শুরু করলাম।

আম্মু – কি হয়েছেরে? ? মন খারাপ??

আদর- আরে না।
অনেক দিন কাজের চাপে গিটার টা ধরা
হয়না।
তাই ভাবলাম আজ একটু বাজাই।

আম্মু- তুই চাকরি নিতে গেলি কেন বলত।
গান টা কে কি profession হিসেবে নেওয়া
যেত না? ?

আদর- হয় ত।
কিন্তু আমি ত আর ওত ভাল সিংগার না।

আম্মু- কে বলেছে??
তুই অনেক ভাল সিংগার।

আদর- আম্মু আজ আমার সাথে ঘুমাও।

আম্মু- আচ্ছা আমার বাচ্চা টা।

আদর- মা কে জিরিয়ে ধরে শুয়ে আছি।
চলবে,,,,,,,,,
.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *