বস বয়ফ্রেন্ড Season-4

বস বয়ফ্রেন্ড Season-4 ! পর্ব- ৭

আদর- পা টা পিছলে গেল আম্মুউউউ

মনে হল কেউ ধরে ফেলেছে।
আমি এক চোখ খুললাম।

আহিল- এই মেয়ে এখনি ত পরে যেতে তখন কি
হত।

রাদ- আমি স্টোর রুমে গেলাম।ছোট করে
কাশি দিয়ে – কি হচ্ছে? ?

আহিল- আদর কে নামালাম।
আসলে স্যার ও পরে যাচ্ছিল তাই আরকি…

রাদ- আদর ফাইল আমি পেয়েছি তোমাকে
আর খুঁজতে হবেনা।
যাও এখন।

আদর- আমি আহিল স্যারর এর পিছন পিছন বের
হয়ে গেলাম।

রাদ- trouble maker! !! উফফ

আদর- tnx ahil sir.

আহিল- its ok.

আদর- কাজ শেষ করে বাসায় গেলাম।

নিরব- ভাউউউউ।

আদর- চোখ বন্ধ করে আম্মুউউউ।

নিরব- হাহাহা।
ভয় পাইছিস??

আদর- আজ তোর এক দিন কি আমার।
শয়তান।

আম্মু- আরে আরে থাম থাম।
তোরা এখনও বাচ্চা দের মত করিস।

আদর- দেখোনা।
শয়তান টা কি ভয় পাওয়ায় দিয়েছিল।

নিরব- আচ্ছা আচ্ছা সরি।

আদর- ঘরে ঢুকে দেখি সবাই আছে।
কিরে দিয়া, কেয়া আরাভ তোরা সবাই? ?.

নিরব- হ্যা।
সবাই এসেছি।
আনটি র হাতের মজার রান্না খেতে।

আর সরি ইয়ার।
আমি আসলে ভুলেই গিয়েছিলাম তুই অফিসে
জয়েন করেছিস।
না হলে ওইভাবে তোকে ভেজাল এ ফেলতাম
না।

আদর- ইটস ওকে।

আম্মু- কিরে তোর হাতে কি হয়েছে ??

আদর- ওই একটু ব্যথা লেগেছিল। এই আর কি।

আম্মু- আচ্ছা যা ফ্রেশ হয়ে আয়।
খাবার দেই।

আদর- খাবার খেতে খেতে অনেক আড্ডা
দিলাম।
সকালে-
আদর- তাড়াহুড়া করে রেডি হয়ে বের হলাম।
উফফ জ্যাম লাগার আর টাইম পেল না।
দুর।
চুইংগাম চাবাচ্ছি আর কানে হেডফোন
লাগিয়ে গান শুনছি।
হঠাত পাশের গাড়ি র দিকে চোখ গেল।
চশমা টা ভাল মত ঠিক করে দেখলাম আরে
এটাত স্যার এর গাড়ি।

রাদ- গাড়ি র গ্লাস নামালাম।
সান গ্লাস খুলে আদরের দিকে তাকালাম।

আদর- স্যার এর চোখে চোখ পরতেই চোখ
সরিয়ে নিলাম।পরে আবার একটু তাকালাম।
উনি
হাতের ঘড়ি র দিকে তাকিয়ে বাকা ১টা
হাসি দিলেন।

আমি ঘড়ি র দিকে তাকিয়ে দেখি ৫ মিনিট
বাকি ৯ টা বাজতে।
ওরে আল্লাহ।

রাদ- গ্রিন সিগনাল দিতেই গাড়ি স্টার্ট
দিল।

আদর- এত জোরে গাড়ি চলে গেল মনে হল
রাস্তায় উনি রকেট চালাচ্ছেন।
আমিও যেতে লাগলাম।
উনার আগে অফিসে না যেতে পারলে ত আজ
খবর আছে।
আমি শট কাট রাস্তা দিয়ে যেতে লাগলাম।
অফিসের গেটে ঢুকেই দেখি স্যার গাড়ি
থেকে নামছেন
আমি কোনো মত সাইকেল রেখেই ভেতরে
ঢুকলাম সিড়ি দিয়েই উপরে উঠলাম।
হাপাতে হাপাতে অফিসে ঢুকলাম আর স্যার
আমার পিছন পিছন।
আমি ডেস্ক এ যেয়ে দারা হলাম।

রাদ- সান গ্লাস টা খুলে বাকা একটা হাসি
দিলাম ওকে দেখে আর কেবিন এ ঢুকে
গেলাম।

আদর- যাক উনার ১ সেকেন্ড আগে হলেও ত
অফিসে ঢুকতে পেরেছি।
ভালই রেস হল।

এনা- কি ব্যপার এত হাপাচ্ছ কেন? ?

আদর- আর বলনা।
সব বললাম ওকে।

এনা- হা হা হা।
।ভালই

আদর- তুমি হাসছ? ??
আর আমার কি অবস্থা হয়েছিল না দেখলে
বুঝবানা।

রাদ- কফিতে চুমুক দিতে দিতে উপর থেকে
নিচে তাকালাম ।
( যেহেতু কাচের দেওয়াল তাই সব দেখা যায়)
এক ছেলে গিটার বাজাচ্ছে।
কাজের ব্যস্ততায় এখন আমি ত আমার নিজের
গিটার ধরার ও টাইম পাচ্ছিনা।
ছোট বেলা থেকেই আমার গিটার এর শখ
ছিল।
মম গিটার টা গিফট করেছিল।
এটাই মায়ের শেষ স্মৃতি যেটা আমার কাছে
আছে।
এ সব ভাবতে ভাবতে হঠাত ওই মেয়ের কথাটা
মনে হল।
সেই সুর টা মনে হচ্ছে এখন ও আমার কানে
বাজছে।
কেনো যেন সেটা ভুলতে পারছিনা আমি।

lunch time-
আদর- ইমু, এনা চল এক সাথে লাঞ্চ করি।
কেন্টিন এ গেলাম।

রাদ- কেন্টিন এ সামনে যেতেই সেই সুর টা
শুনতে পাচ্ছি।
আমি তাড়াতাড়ি কেন্টিন এ ঢুকলাম।
কিন্তু এখন ত শুনতে পাচ্ছিনা।
আমি খুজতে লাগলাম।
হঠাত খেলাম ধাক্কা।

আদর- ধাক্কা খেয়ে আমার হাতের চাওমিন
সব স্যার এর গায়ে গিয়ে পরল।
sorry sir.
sorry sorry.
স্যার আমি দেখিনি।

রাদ- রাগে মনে হচ্ছিল ওকে খুন করে ফেলি।

আদর- সরি স্যার।
ভুল হয়ে গেছে।

রাদ – কোট টা খুলে ওর হাত ধরে সোজা
নিজের কেবিন এ।

আদর- আল্লাহ আমি আজ শেষ।

রাদ- u r seriously a trouble maker.
আমার সাথে কিছুনা কিছু হলে সেটা তোমার
দ্বারাই হবে।
idiot.
u r intolerable.
.
ador- sorry sir.
আসলে আমি দেখিনি।

রাদ- ওর দিকে এগিয়ে গেলাম।
আদর- ঢোক গিলে একটু পিছিয়ে গেলাম।
পিছাতে পিছাতে একদম দেওয়ালের সাথে।

রাদ- ওর সামনে দারিয়ে আছি।
আমার দিকে তাকাও।

আদর – ভয়ে মনে হচ্ছিল আমি কেদেই দিব।

রাদ- তাকাও বলছি( জোরে)

আদর- তাকালাম তার দিকে।

রাদ- ওর চশমা টা খুললাম।
চশমা পরেই তুমি চোখে দেখোনা।
চার চোখ কি enough নয় তোমার দেখার জন্য।

আদর- চশমা টা তার থেকে কেড়ে নিয়ে
চোখে পরলাম।
আমি না হয় দেখিনি তা আপনি ও কি দেখেন
নি? ?আপনার চোখ কই ছিল ( বলেই মুখ ২ হাত
দিয়ে চেপে ধরলাম)

রাদ- (এমন বিহেভ এর আগে আমার সাথে
কেউ করেনি! রাগে রক্ত মাথায়)
ওর হাত ধরে দেওয়ালে চেপে ধরলাম- তোমার
এত সাহস তুমি আমার সাথে এইভাবে কথা
বল।?? সবাই যেখানে আমাকে দেখলে মুখ
দিয়ে কথা বের হয় না আর তুমি?? এত সাহস
পাও কই???

আদর- ছাড়ুন।
ব্যথা লাগছে।

রাদ- এরপর আর কোনো দিন ও যদি দেখি তুমি
আমার সাথে এইভাবে কথা বলেছ তাহলে
দেখবে রাদ কত খারাপ হতে পারে।
যাপ বলে দিলাম ফেলে ওকে।

আদর- দরজার সাথে মাথা লাগল।
ব্যথা পেলাম খুব।
নিজের টেবিল এ চলে গেলাম।

লাঞ্চ টাইম শেষ এ সবাই সবার কাজে চলে
আসল।
এনা- আরে আদর হাত এত লাল হয়ে আছে
কেন? ?

আদর- না কিছুনা।
ব্যথা লেগেছে।

( উনি কি আসলেই মানুষ? ? এত জোরে কেউ
হাত ধরে? ? উনার মত খারাপ দুনিয়াতে আর ১
টাও নেই)

ইমু – কিরে মুড অফ নাকি? ?

আদর- না।
আসলে ভাল লাগছেনা।

কাজ শেষ এ বাসায় ফিরছিলাম।
হঠাত কিছুদুর যেতেই সাইকেল এর এক চাকা
বাস্ট হয়ে গেল।
উফফ এটাও এখন হতে হল? ?? এখন হেটে হেটে
যেতে হবে??

রাদ- ড্রাইভার গাড়ি থামাও।
এই দোকান থেকে পানি নিয়ে আসো।

ড্রাইভার – জি স্যার।

রাদ- গাড়ি র বাইরে বের হয়ে দাড়ালাম।
হঠাত কারো চিতকার শুনতে পেলাম।
আমি দেখার জন্য এগিয়ে গেলাম
।এক অন্ধকার গল্লির দিকে।

ড্যানি- আমি স্যার এর পিছন পিছন গেলাম।

রাদ- সামনে যেয়ে দেখি ১ টা মেয়ে কে
ঘিরে ৪-৫ টা ছেলে।
অন্ধকারে মেয়েটার মুখ দেখা যাচ্ছেনা।

ড্যানি।

ড্যানি- জি স্যার, পিস্তল টা সাথেই আছে।

রাদ- ওটা লাগবেনা।
গাড়ির থেকে হকি স্টিক নিয়ে আসো।
আমি কোট খুলে কমোড়ে বাঁধলাম।
শার্ট এর হাতা ফোল্ড করে হকি স্টিক দিয়ে
এলোপাথাড়ি মারতে লাগলাম।
.
চলবে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *