বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -3 !! Part- 30

তিথি বারবার শুধু আবিরের দিকে তাকায় আবির কি করছে কি বলছে সব কিছু,, নিরবের দিকে তাকানো তো দূরে থাক তার মনে ও হচ্ছে না নিরব আছে তার পাশে কারণ ছায়া হয়ে দাঁড়িয়ে আছে আবির,,,ওই যে হিংসা ভালোবাসার মানুষের কাছে অন্য কাউকে দেখা সেম,,,,,,,,,
আবিরের রাগ টা ও বেরে যায় এই দিকে যে নিরব তিথির হাত ধরে এক পাশে নিয়ে যায়,,,রাগে তো আবিরের অবস্থা বেহলা অবস্থা,,,,নাক ফুলিয়ে তাকিয়ে থাকে নিরব আর তিথির দিকে,,,
তিথিঃ এই দিকে কেন আনলেন সবাই তো ওই খানে,,,
নিরবঃ কিছু কথা আছে,,,তাই
তিথিঃ ওহ আচ্ছা কি বলেন
নিরবঃ তোমার বস এর সাথে কি তোমার আই মিন কোনো সম্পর্ক আছে??
তিথি নিরবের কথা শুনে কিছু টা ঘাবড়ে যায়,,,,আমতা আমতা করে বলে
তিথিঃ কেন?আপনার এমন কেন হলো?
নিরবঃ তিথি সত্যি করে বলবে আছে কি না,,আসলে ও যে ভাবে তোমার সব কিছু পছন্দ করছে তারপর তোমার আগে পিছনে ঘুরঘুর করছে তাই
তিথি কিছু টা স্বাভাবিক ভাবে বলে
তিথিঃ এমন কিছু না,,,উনি আমার বস আর প্রতিবেশী তার চেয়ে বেশি কিছু না,,,

নিরব একটু হাফ ছেড়ে বাঁচলো,,তিথির হাতটা ধরে বলে
নিরবঃ রাতে আমার ফ্রেন্ডের বাসায় একটা অনুষ্ঠান আছে,,অই খানে সব কাফেল প্লাস আমাদের অনেক পুরাতন ফ্রেন্ডরা আছে,,,আর আমার ও বিয়ে ঠিক হয়েছে শুনে তারা অনেক জোর করছে তোমাকে সাথে নিয়ে যাওয়ার জন্য,,,তুমি যদি সাথে চলো তাহলে অনেক টা হেপ্পি হবে ওরা,,
তিথি কি করবে আর কিছু না ভেবে বলে
তিথিঃ আচ্ছা,,,আমি রেডি হয়ে নিবো,,,
নিরবঃ ধন্যবাদ তিথি
হুট করে অনেকের সামনে জড়িয়ে ধরে,,,নিরব এই ভাবে তিথিকে জড়িয়ে ধরবে তা তিথি নিজে ও ভাবতে পারে নাই,,,এই দিকে আবির এই টা দেখে প্রচুর ক্ষেপে যায়,,,রাগে তার মাথা যেন পুরো ফেটে যাচ্ছে,,পাশে থাকা একটা গ্লাস জোরে চেপে ধরে ওই টা এতো জোরে ধরে যে ভেঙ্গে যায় আবিরের হাতের মধ্যে ও কয়েক টুকরো ঢুকে পড়ে,তিথি আবিরের দিকে তাকিয়ে দেখে হাত থেকে রক্ত পড়ছে আর চোখে যেন আগুন,,,তিথির আর বুজতে বাকি রইলো না যে আবির কেন এমন করেছে,,,দূরে এসে আবিরের হাতটা ধরে ধমক এর সুরে বলে
তিথিঃ কি সমস্যা কি আপনার???প্রত্যেক বার হাত কেন কাটেন,,,এই হাত কি আপনার শত্রু নাকি যে এমন করেন,,,,
সবাই শুধু তাকিয়ে আছে,,,নিরব ও কিছু টা বিরক্তি নিয়ে তাকায় আবিরের দিকে,,,,রাগে আবিরের চোখ এতো টা লাল যে কেউ ভয় পাবে তার চোখের দিকে তাকালে,,,,তিথি তাড়াতাড়ি রুমাল দিয়ে বেধে দেয়,,,,কিছু টা স্বাভাবিক ভাবে তিথি বলে
তিথিঃ চলুন ডাক্তার এর কাছে,,,
আবিরঃ আমার এতো চিন্তা তোমার করতে হবে না,,যাও তুমি
এই বলে আবির বের হয়ে যায় অই খান থেকে,,,,আজ কেন জানি আবিরের এমন কথা তার বুকে এসে গেঁথে যায়,,,,সে তো নিজে চায় আবির থেকে দূরে থাকতে তাহলে আজ কেন তার এতো টা খারাপ লাগছে,,,
সবাই ওই খান থেকে বাসায় চলে যায়,,,তিথি আবিরকে কয়েক বার কল দেয় আবির ধরে না,,,অনেক টা চিন্তা হচ্ছে হাতের কি অবস্থা করে রেখেছে ওষুধ লাগিয়েছে কি না,,,আবিরের চোখে যে রাগ আবার কিছু করেছে কি না,,,এই সব ভেবে ভেবে তিথির মাথা ফেটে যাচ্ছে আর না পেরে সে উপরে তলায় আবিরদের বাসায় চলে যায়,,,
দরজায় কয়েক বার বেল দেওয়ায় আবিরের মা এসে দরজা খুলে দেখে তিথি,,,,
আবিরের মাঃ আরে তিথি তুমি আসো আসো
তিথিঃ আন্টি আবির স্যার আছে আসলে অফিসের কিছু কাজ ছিলো তাই,,,
আবিরের মা ঠিক বুজতে পেরেছে কাজ নয় আবিরের জন্য চিন্তা হচ্ছে তাই সে ছুটে এসেছে,,,
আবিরের মাঃ ওই যে রুম টা অই টা আবিরের ওই খানে আছে সে যাও,,,
তিথিঃ শুকরিয়া আন্টি,,,
তিথি কিছু টা ভয়ে ভয়ে আবিরের রুমের সামনে যায়,,,আবিরকে কি বলবে কেন এসেছে এই ভেবে,,,আর না পেরে নিজে নিজে বলে
তিথিঃ যা হওয়ার হবে তিথি,,,,,তারপর ও ওই বজ্জাত এর সাথে দেখা করে যাবো,,,,
তিথি বিসমিল্লাহ পড়ে রুমে ডুকে দেখে কোথায় আবির নাই,,,রুমের চারপাশ টা ঘুরে দেখে নাই,,হয়তো বারান্দায় এই ভেবে বারান্দায় যায় কিন্তু ওই খানে ও নাই,,,
তিথিঃ ওই বজ্জাত গেলো কই??
এই বলে রুমে এসে দেখে বাথরুমের দরজা খুলে আবির বের হয় তাও শুধু তাওয়াল পড়ে আর কিছু নাই গায়ে,,,,তিথি ভয়ে চিৎকার দেয় আবির ও কিছু টা ভয় পায়,,,দুইজনে ছুটাছুটি করে ভাবছে হয়তো তিথি কি না কি দেখছে তাই ছুটাছুটি করতে করতে আবির আর তিথি ধপ করে ঘাটে পড়ে,,,তিথির গায়ের উপর আবির এমন ভাবে পড়ে যে তিথি চোখ বুজে ফেলে,,,,আবির তো আজ পুরো ফিদা তিথির এমন রুপ দেখে,,,কত যে কিউট লাগছে,,,,চোখ বুজে মুখের এমন অবস্থা করছে যে আবির শুধু পলকহীন ভাবে তাকিয়ে আছে,,,,আবিরের চুল বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে তিথির মুখের উপর,,,,বেচারা চুল টা ও মুছার সময় পায় নাই তিথির জন্য যে চিৎকার মাইয়া টা দিচ্ছে যে দুইজনে এখন ঘাটে😂
আবির কেন জানি হারিয়ে যাচ্ছে তিথির মাঝে,,,তিথির সে মায়াবী চেহারায় যে পুরো ডুবে যাচ্ছে,,,,তিথির গালে হুট করে চুমু দিয়ে দেয়,,আর তিথি মুহূর্তে চোখ দুটো বড় বড় করে ফেলে,,,এখন তো আরো বেশি কিউট লাগে,,,আবিরের এতো যে ভালো লাগছে তিথির এমন কিউট ফেস দেখে যা হয়তো আবির নিজে ও জানে না কেন,,,তিথি আবিরকে ধাক্কা উঠে যায় ঘাট থেকে,,,, অন্য দিকে তাকিয়ে দিয়ে বলে
তিথিঃ লুচ্চা একটা খালি সুযোগ ফেলে কিস দেয়(একটু আস্তে বলে)
আবিরঃ কিছু বললে?

তিথিঃ কই না তো,,
আবির উঠে তিথির সামনে গিয়ে জিজ্ঞেস করে
আবিরঃ এখানে কি?
তিথি ঘুরে আবির কে খালি গায়ে দেখে আবার চিৎকার দিতে যাবে আবির মুখ চেপে ধরে বলে
আবিরঃ কি সমস্যা কি তোমার হুম?এতো চিল্লাও কেন😠আছাড় মারবো মাথার উপর থেকে আর একবার চিৎকার দিলে বাঁশের মত গলা একটা,,,
তিথি আবিরকে ধাক্কা দিয়ে বলে
তিথিঃ কি আমার গলা বাঁশের মত,, শয়তান এর বাপ তোর গলা বাঁশের মত ওহ না কাকের মত,,,,সব সময় শুধু কা কা কা করে(মাথাটা একটু হেলিয়ে বলে)
তিথির এমন মুখ বানিয়ে তাকে কাক বলায় আবির কিছু টা ক্ষেপে যায়,,,,আবির ও রাগে বলে
আবিরঃ তুমি তো আস্তা একটা ঝগড়াটি এলিয়েন,,,যার কাছে আছে দুনিয়ার ফালতু বকবক আর ফালতু কাজ,,সব সময় চিংড়ি মাছের মত তিড়িংবিড়িং করে
তিথিঃ কিইইই আমি চিংড়ি মাছের মত তিড়িংবিড়িং করি?
আবিরঃ কেন সত্যি শুনতে বুজি গায়ে লাগে?? কেঁচো মেঁচো ইঁদুর এই সব খেয়ে খেয়ে পুরো আস্তা একটা এলিয়েন এর ড্রাম হয়ে গেছো মুটকি একটা
তিথিঃ আমি মুটকি😠আমি ড্রাম😠আজকে তোকে আমি
চারপাশে কিছু খুজে পায় কি না যাতে আবিরকে মেরে দিতে পারে,,,আর না পেয়ে ছোট টেবিলে পানির জগ ছিলো নিয়ে আবিরের গায়ে মেরে দেয় আর রেগে বলে
তিথিঃ তুই তো একটা আফ্রিকার গন্ডার,,,জলহস্তী,,বাতাবী কুমির,,,আর তো আর বাইট্টা ইঁদুর হু
চুল গুলো এক পাশে থেকে অন্য পাশে সরিয়ে,,,,
আবিরের গায়ে এই ভাবে পানি মেরে দেওয়ায় আবিরের কি যে পরিমাণ রাগ উঠে বলার বাহিরে,,,আর না পেরে আবির দাঁতে দাঁত চেপে বলে
আবিরঃ ওহ তাই ওকে এখন দেখাবো আমি আসলে কি
তিথি কিছু বলতে যাবে তার আগে আবির তিথির হাত থেকে ঝাপ্টা মেরে জগটা নিয়ে বিছানায় ছুড়ে মারে,,,,তিথি এই বার ভয় পায়
তিথিঃ আ,,,,,মি কিছু বলি নাই প্লিজ আমায় ছেড়ে দিন😭
আবির কি আর তিথির কথা শুনে,,,,,,,তিথিকে কোলে নিয়ে বাথরুমের বাথটাবে ছুড়ে মারে,,,,কিছু টা পানি তিথির নাকে মুখে ডুকে,,কাঁশতে থাকে,,,আবির কোমড়ে হাত দিয়ে বলে
আবিরঃ বারবার ভুলে যাও কেন আমি আবির রহমান আমার সাথে সামান্য করলে তা কত গুণ পরিমাণ বেরে যায় তা কি ভুলে গেলে মিস বকবক
তিথি পানির মধ্যে কয়েকটা থাপ্পর দেয়,,,আর পানি গুলো তার নিজের মুখে এসে পড়ে,,,কিছু টা রাগে বলে
তিথিঃ শয়তান লুচ্চা একটা হারামি,,,
আবির ডেভিল মার্কা হাসি দিয়ে বলে ম্যাডাম আপনি থাকেন আমি চেঞ্চ করে আসি,,,,
এই বলে হাঁটা শুরু করে কিন্তু নিচে সাবান পড়ে আছে সাবানে পা রাখার সাথে সাথে ধপ করে আবির ও টাবে পড়ে যায়,,,
আবির পুরো তিথির উপর,,, পানি গুলো উঠে সব তিথির মুখে,,,তিথি চোখ মেলে তাকিয়ে দেখে আবির ও পড়ে আছে টাবে,,,তিথি হাসতে হাসতে শেষ,,,
তিথিঃ হাহাহাহা যেমন কর্ম তেমন ফল,,,,নিজের টাবে এখন নিজে পড়ে গেছে বাহা বাহা
আবিরঃ ওহ রেলি??
তিথি পানিতে থাপ্পর মেরে পানি গুলো আবিরের মুখে ছুড়ে মেরে বলে
তিথিঃ ইয়া মিস্টার বিপজ্জনক রাক্ষস
আবির তিথির দিকে পানি মেরে দেয়,,,তিথি ও মারে দুইজনে পানি নিয়ে খেলতে থাকে,,তারা যেন ভুলেই যায় যে তাদের মধ্যে কিছু টা ঝামেলা আছে,,,দুইজনে এখন এক সাথে হাসিতে মেতে উঠে,,,,
বাহিরে আবিরের মা চিৎকার শুনে আবিরের রুমের সামনে আসে কিন্তু হাসির আওয়াজ পেয়ে মুচকি হেসে চলে যায় এই ভেবে যে যাক আবির আর তিথির মাঝে হয়তো সব ঠিক হয়ে গেছে,,
এই দিকে আবির তিথি অনেক ক্ষন পানি মারামারি করার পর তাদের হুশ আসে তারা দুইজনে কোথায়,,,, তিথি কিছু টা ঘাবড়ে যায় এই ভাবে থাকায়,,
তিথিঃ আ,,মার যাওয়া উচিত
আবির কিছু বলে না,,,দুজনে ভিজে অবস্থা খারাপ,,তিথি উঠে আবার পড়ে যেতে লাগে আবির ধরে ফেলে,,,আবিরের মুখের পানি তিথির মুখে এসে পড়ে,,,,
তিথিঃ ওহ আমার রুমে যা,,,যাওয়া উচিত
আবির তিথিকে ছেড়ে দিয়ে বলে
আবিরঃ হুম
তিথি একটু পাশ সরে আবির যেতে লাগে আবার সাবানে পা লাগায় পড়ে যেতে লাগে তিথি ধরে ফেলে,, দুইজন দুজনের আজ সাপোর্ট হয়ে দাঁড়ায়,,,একজন কে একজন ধরে রাখে যাতে না পড়ে,,,,
আবিরের পুরো শরীর থেকে টপটপ করে পানি গড়িয়ে যায়,,,,তিথি নজর পড়ায় তিথি চোখ বন্ধ করে বলে
তিথিঃ ছি আপনার লজ্জা করে না এই ভাবে খালি গায়ে হাঁটতে হুম
আবিরঃ লজ্জা তো করে কিন্তু অন্য মানুষের সামনে তোমার সামনে কিসের লজ্জা তোমার সামনে তো আরো,,,,,
তিথিঃ ছি আপনি এমন কেন ছি
আবিরঃ আমি এমন তাই না?আর ওই ছেলে যে তোমায় জড়িয়ে ধরে ছিলো তখন বুজি বেশ ভালো লেগেছে,,
তিথিঃ আপনার সাথে কথা বলায় বেকার দূর
আবির তিথির হাতটা ধরে নিজের বুকে টেনে নেয়,,ভিজা চুল গুলো কানে গুজে দিয়ে বলে
আবিরঃ তোমাকে ভালোবাসার,অত্যাচার করার,,কষ্ট দেওয়ার,, সুখ দেওয়ার,,,আদর করার,,জড়িয়ে ধরার সব কিছুর শুধু আমার অধিকার তোতাপাখি,,আর অন্য কেউ যদি ওই খান থেকে একটার কথা ও ভাবার চিন্তা করে না তাকে আমি পিছ পিছ করে পুকুরের মাছদের খাওয়ার বানিয়ে ফেলবো বুজলে,,,
তিথি কিছু বলে না,,শুধু চুপ করে আছে,,,
আবিরঃ আমার আলমারির ডান পাশে একটা প্যাকেট রাখা আছে ওই খানে একটা শাড়ি আছে তুমি পড়ে নাও,,,আর তার পাশেই আমার কাপড় পারলে তা দাও আমি বাথরুমে চেঞ্চ করে নিচ্ছি তুমি রুমে
তিথিঃ আমি বাসায় গিয়ে চেঞ্চ করবো
আবিরঃ বেশি বুজিও না,,, যা বলি তা করবে আমার কথার উপর কথা একটু কম বলবে ওকে,,,
তিথি কিছু না বলে রুমে ডুকে আলমারি থেকে আগে আবিরের কাপড় বের করে দেয়,,,তারপর একটা প্যাকেট নেয় যা আবির বলে ওই খানে একটা লাল শাড়ি পড়ে আছে,,অনেক টা সুন্দর শাড়ি টা,,,শাড়ি নিয়ে কাপড় চেঞ্চ করে নেয়,,,
অনেক ক্ষন পাড় হয়ে যায়,,আবিরের পা পর্যন্ত ব্যাথা করছে বাথরুমে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে,,,

তিথি শাড়ির কুচি কিছুতে পারছে না,,,হাতে নিয়ে অনেক চিন্তায় পড়ে যায়,,,কি ভাবে কুচি করে,,
আবিরঃ তিথি হয়ছে তোমার আর কত ক্ষন
তিথি শাড়ির কুচি কি ভাবে করবে এতে ব্যস্ত,,,আনমনে বলে
তিথিঃ হু
আবির মনে করে তিথির হয়ে গেছে সে বাহিরে বের হয়ে আসে একটা টি-শার্ট পড়ে,,,,,বের হয়ে পুরো থমকে যায়,,,,শাড়ি পিছিয়ে কুচির জন্য কেমন ভাবে যেন হাত ঘুরায় আর এতো চিন্তা নিয়ে তাকিয়ে আছে যে আবিরের প্রচুর হাসি আসছে,,,কিন্তু তিথির এমন রুপে আবির আরো বেশি মুগ্ধ হয়ে আছে,,,ভিজা চুল,,,চুল বেয়ে পানি গড়িয়ে নিচে পড়ছে,,,লাল শাড়ি পিছিয়ে অনেক চিন্তাতেই পড়ে আছে,,,
চলবে,,,,,,