বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -3 !! Part- 09

তিথিঃ মিস্টার বজ্জাত এনাকন্ডা আরজীবনে তুই আমাকে কোনো ফাইল দিবি না আজকের ওহ থুক্কু কালকের পর😂আহা তিথি তুই তো গ্রেট (নিজের চুল গুলো একটু নাড়া নিয়ে)
তিথি বিছানায় গিয়ে বাচ্চাদের মত শুয়ে পড়ে আর ভাবে কাল আবিরের কি হবে
তিথিঃ কাল তেরা কিয়া হওগা কালিয়া😂উফফসসস বজ্জাত এনাকন্ডা
এই দিকে,,,রাতের চাঁদনি আলোতে বসে আছে আবির,,,কেন জানি খুব ইচ্ছে করছে তিথিকে দেখতে কেন কারণ টা অজানা,,,,তিথিকে চাইলে ও সে ঘৃনা করতে পারছে না,,,,মেয়েটার মাঝে কেমন যেন এক টান আছে যা বার বার আবিরের কাছে টানে,,,,প্রতি রাতে কেন তিথির সে রাগী চেহারা,, মায়া ভরা সে চেহারা,,চাঁদের দিকে আনমনে তাকিয়ে থেকে বলে
আবিরঃ জানি না ওই মেয়ের মাঝে কি আছে কেন ওর প্রতি ঘৃনা জিনিসটা কাজ করে না,,কেন ওই মেয়েকে নিয়ে ভাবতে ভালো লাগে,,,আচ্ছা ওই মেয়ের মাঝে কি আছে যা ওর কথা বারবার মনে পড়ে,,,,,

দুইটা মানুষ এর অনুভূতি আজ ভিন্ন৷ কেউ কারো জন্য ভয়ানক কিছু ভাবছে আর কেউ কারো জন্য একটু একটু অনুভুতি অনুভব করছে,,,,দুইজন যে পুরো ভিন্ন,, কেউ কারো থেকে কম না যেমন রাগ তেমন অভিমান,,,
সকালে তিথি লেট করে উঠে,,আস্তে আস্তে উঠে রেডি হতে থাকে আর এই দিকে রিতু কল দিয়ে যাচ্ছে এতে তার বিন্দু মাত্র খবর নাই,,,দেখে ও না দেখার মত,,,,তিথি ইচ্ছে করে দেরি করছে,,,কারণ টা পরে বলি কেন
রিতু রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে,,পাশ দিয়ে হুট করে এক গাড়ি এসে পাশে থাকা সব কাদা তার গায়ে মেরে দেয়,,,রিতু তো রেগে পুরো আগুন
রিতুঃ ওইই মিয়া চোখে কি কম দেখেন রাস্তায় তো মবে হচ্ছে গাড়ি চালাচ্ছেন না আকাশে চালাচ্ছেন যতসব ফাও পাবলিক
গাড়ির গ্লাস্টা একটু নামিয়ে আবার চলে যায়,,,বেচারি রিতু আট পাঁচ না ভেবে তিথির কাছে চলে যায়
তিথি রেডি হয়ে বের হবে এমন সময় দেখে রিতু,, রিতুকে এমন দেখে তিথি হাসতে হাসতে শেষ,,
তিথিঃ তোর এই অবস্থা কেন রে,,,,
রিতুঃআর বলিস না,,, সব তোর জন্য তুই দেরি না করলে এমন হতো না হু
তিথিঃ বাবারে এখন আমার দোষ??আচ্ছা আয় রুমে চেঞ্চ করে নে না হলে তোর হাইপার মাথা টা আরো বেশি হাইপার হয়ে যাবে,,,
রিতু আর তিথি কিছু ক্ষন পর বের হয়ে যায় ভার্সিটির জন্য,,,
এই দিকে আবির সে কখন থেকে অপেক্ষা করছে তিথির কিন্তু তিথি আসার নামেই নাই,,,ক্লাসের ও দেরি হয়ে যাচ্ছে হাতে মাত্র ১০ মিনিট আছে কিন্তু তিথি আসছে না,,,ক্লাসে ডুকার আগে আবার বাহিরে তাকিয়ে দেখছে তিথিকে,,,কিছু ক্ষন পর তিথি দৌড়ে আসে
তিথিঃ সরি স্যার আ,,,আসলে আ,,,,মার ওইইই,,, আ,,,সলে
আবির তিথির হাত থেকে ঝাপটা মেরে ফাইল টা কেড়ে নিয়ে বলে
আবিরঃ তোমার আসলে মানে ওই সই হলে পরে বলিও আমার দেরি হচ্ছে,, আর একটা কাজ তো ঠিক করে পারো না শুধু খেতে জানো আর ঝগড়া
তিথিঃ কি আমি খেতে জানি আর ঝগড়া???
আবিরঃ এতে সন্দেহ নাই,,যাই হোক আমার দেরি হচ্ছে সো মিস বকবক বাই
তিথি তার হাতের মুটো চেপে ধরে দাঁতে দাঁত চেপে বলে
তিথিঃযা যা তোর জন্য কি আছে তা দেখে আয়,,,
তিথি নিজে ক্লাসে না গিয়ে আবিরের ক্লাস এর সামনে দাঁড়িয়ে থাকে কি হয় দেখার জন্য,,,,
এই দিকে সবার কাছ থেকে স্যার ফাইল নিচ্ছে,,,আবিরের কাছে এসে ও নিয়ে নেয় আবিরের কেন জানি ইচ্ছে করছে ফাইল টা একটু পড়তে কিন্তু কি আর করার পড়ার আগে হাত থেকে নিয়ে গেছে স্যার,,,,, স্যার সবার ফাইল একটা একটা চেক দেয় আবিরের ফাইল হাতে নিয়ে চোখ বড় বড় করে তাকায়,,,আবিরের কেন জানি একটু সন্দেহ লাগে যে মেয়ে ঘাড় ত্যাড়া মেয়ে তিথি কি করছে আল্লাহ জানে,,,,আবির একটু ঢোক গিলে স্যার এর দিকে তাকায় কারণ স্যার টা হেবি রাগী কাউকে মানে না,,,আবির ও স্যার টা ভয় পায়😂আর হয়ছে কাজ
স্যার রাগী লুক নিয়ে আবিরের দিকে তাকিয়ে বলে
স্যারঃ আবিরর(প্রচুর রেগে)
আবিরঃ স্যার আমি করছি?
তিথি বাহিরে কিটকটে হেসে দেয়,,,

স্যারঃ এই ফাইল টা নিয়ে নিজে পড়ে দেখো কি লেখছো আর তা জোরে ওকে
আবির ফাইল টা হাতে নিয়ে প্রথম পেইজ খুলে তো পুরো বেক্কল একটা হাতির ছবি আঁকা তাও এতো বাজে ভাবে হাতিটা যে আঁকছে মনে হচ্ছে গাঁধা,,,আর নিচের লেখা তো অসাধারণ ছিলো যা আবির মুখে নেওয়ার আগে স্যার এর দিকে তাকিয়ে দেখে স্যার পুরো রেগে আগুন,,,
লেখা,,,
হুয়াদ স্যার তো নয় যেন আস্তা একটা হাতি ফুয়াদ,,,ভাসি পঁচা ডিমের পায়েস খেয়ে এসে বায়ু ছাড়ে ক্লাসে যার জন্য ক্লাসের সব স্টুডেন্ট ওইইইই ফুয়াদ দ্যা বাইট্টা হাতিকে ভয় পায়,,,প্রতি দিন বউয়ের হাতে ঝাড়ু দিয়ে মাইর খায় আর বাসার মধ্যে পাতিল ধুয়,,,,চোখ গুলো তো পুরো পেঁচার মত,,,আর জিহ্বা তো পুরো গিরগিটির মত লম্বা খালি খায় আর খায়,,পেট তো নয় যেন চালের পুরো গুদাম,,,দেখতে তো পুরো লাল হনুমান,,, নিজেরে মনে করে হ্যান্ডসাম কিন্তু দেখতে লাগে পুরো কালো কাক,,,,,যে সারাদিন কা কা করে
এই টুকু পড়ে স্যার এর দিকে তাকিয়ে দেখে স্যার তো পুরো আগুন,,দাঁতে দাঁত চেপে আবিরের দিকে তাকায়৷ আর দিকে তো পুরো ক্লাস হাসতে থাকে স্যার এর ব্যাপারে এই শুনে,, তিথি তো হাসতে হাসতে শেষ,,,,
স্যারঃ আর কি আছে 😠👹
আবিরঃ আ,,,,আর স,স্যার তাসলিমা ম্যাডাম এর উপর লাইন মারে বউ থাকার পর ও আস্তা একটা লুচ্চা,,বদমাশ স্যার,,, এই হাতি নাকি আ,,,আবার প্রেম করবে ছি
আবির কি পড়ছে নিজে জানে না,,,,সবাই তো প্রচুর হাসছে আর আবিরের কলিজা শুকিয়ে যাচ্ছে স্যার এর রাগ দেখে আর তিথি তো পেটে হাত রেখে জোরে জোরে হেসে দেয়,,,তিথির হাসির আওয়াজ পেয়ে সবাই বাহিরে তাকিয়ে দেখে তিথি হাসতে হাসতে শেষ,,,
আবিরঃ(তিথিইইইই তোমায় আমিইই কি করি দেখবে,,,বেয়াদব মেয়ে আস্তা এই ভাবে ফাসিয়ে দিচ্ছে উফফ)
তিথির নজর আবিরের সাথে পড়ে যাওয়ায় তিথি স্যার এর সামনে এসে বলে
তিথিঃ স্যার আপনি কত কিউট হ্যান্ডসাম আর আপনাকে কিনা এই বজ্জাত এনাকন্ডা থুক্কু আবির স্যার হাতিইইইইইইই ডাকছে স্যার এই টা মানা যায়
তিথি যে ভাবে ফেস করে বলছে মনে হচ্ছে সে খুব আফসোস করছে স্যার কে এই সব বলায়😂,
তিথিঃ স্যার সব মানা যায় কিন্তু আপনার মত মানুষ কি না লাইন মারে তাও তাসলিমা মেম এর সাথে স্যার এই টা মানা যায় না
স্যার আবিরের দিকে রাগী চেহারায় তাকিয়ে বলে
স্যারঃ আবির তোমার সাহস হয় কি করে এই সব লেখার আমার নামে,,,এই ফল কি হবে ধারণা আছে তোমার???তোমার থেকে আমি এই টা আশা করি নাই,,অনেক ভালো মনে করতাম আর তুমি কিনা এই ধারণা রাখো আমার ব্যাপারে ছি,,,,,
আবিরঃ স্যার বিশ্বাস করুন আমি লেখি নাই এই সব,,কেউ হয়তো আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে,,,,বিশ্বাস করুন
তিথিঃ স্যার ফাইলে যার নাম আছে সে লেখছে নাম টা চেক করুন স্যার তাহলে হবে
আবির তো পুরো ক্ষেপে যায় এই বার তিথির উপর
স্যার ফাইল টা চেক করে আবিরের দিকে তাকিয়ে বলে
স্যারঃ তুমি আর এক্সম দিবে না,,তোমার অনেক সাহস বেরে গেছে এমনি,,,, আজকের পর যেন তোমায় আমি না দেখি আমার ক্লাসে,,,আর এক্সম কি ভাবে দাও আমিও দেখবো বেয়াদব ছেলে একটা

স্যার আবিরের একটা কথা ও শুনে নাই আর বের করে দেয় আর তিথি তো মহা খুশি আজ,,মনের আনন্দে সে নিজের ক্লাসে যাচ্ছে কিন্তু আবির তিথির হাতটা শক্ত করে চেপে ধরে ছাদে নিয়ে যায়,, নিচে সোজোরে ধাক্কা মারে আর রাগান্বিত ভাবে বলে
আবিরঃবারণ করেছিলাম না তোমায় আমার সাথে লাগতে আসবে না,,,না হলে কি হবে তুমি কল্পনা ও করতে পারবে না আর তুমি কি পুরো ক্লাসে আমার মজা বানিয়ে দিলে???স্যার এর সামনে নিচে করলে?
চলবে,,,,,,