বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -4 !! Part- 31

তিথির রক্ত শুনেই আবিরের বুকটা কেঁপে ওঠে ভয়ে,,,পুলিশ গুলো অনেক খুজে কিন্তু তিথিকে পায় নাই,,,এই ভয়ে আবির আরো ভয় পেয়ে যায় যে তিথি কই,,,,
আমান চান্দুকে কয়েটা থাপ্পড় মেরে বলে
আমানঃ তিথি কই তা বল???তোরা ওকে কই নিয়ে গেলি???
চান্দুঃ ওই মাইয়ারে কেউ নিয়ে যাবে ওতো বড় বুকের সাহস নিয়ে কেউ জন্ম নেয় নাই,,,
আবিরঃ কথা না বাড়িয়ে বল কই তিথি???
চান্দুঃ আমাদের সবাই রে মাইরা সে পালাইছে,,,যাওয়ার সময় আমারে যে থাপ্পড় দিচ্ছে আল্লাহ জীবনে আমি ভুলবো না,,,অই মাইয়া না আস্তা একটা ডাকাত,,,
আমানঃ আবির এখন কি হবে??কই যেতে পারে সে?
আবিরঃ হয়তো এই জঙ্গলের মধ্যেই আছে,,,বেশি দূরে যাবে না আমরা খুঁজতে হলে মানুষ বেশি আর মাইকিং করতে হবে কারণ তোর ফ্রেন্ড টা আসলেই ভয়রা আর এক্সটা বেশি বুজে,,,,

আমানঃ এই মুহূর্তে ও তুই তিথিকে এইভাবে বলবি???
আবিরঃ সে কত ডেঞ্জারাস এখনও বুজিস নাই তুই?
আমানঃ যাই হোক এখন আমাদের ওকে খুজতে হবে,,,,এক তো রাত তার উপর জঙ্গল অন্ধকার আর সে একা,,,,
তিশাঃ আমি বলছি কি সবাই কে আলাদা আলাদা হয়্র খুজলে হয়তো পাওয়া যাবে,,,
আবিরঃ না এতো রাতে সবাই আলাদা হওয়া রিস্ক ওকে,,,
অফিসারঃ আমি আমার টিম দের ফোন দিচ্ছি আরো আসতেছে,,,আর ওদের আগে মেডিকেল নিতে হবে তারপর থানায় ম্যাডাম যা অবস্থা করছে ওদের উফফ,,,,
সবাই তিথিকে খুঁজতে বের হয়ে যায়,,,
এইদিকে,,
রক্তাক্ত হাতে একটা গাছের নিচে বসে আছে তিথি,,,চারপাশে তাকিয়ে দেখে ঘন অন্ধকার ভয় ও লাগছে তার,,,,
তিথিঃ যদি কোনো প্রানী এসে আমার এই নরম নরম হাড্ডি গুলো চিবিয়ে খেয়ে ফেলে তখন কি হবে আমার?? ওহ তিথি কই আইলি রে বইন সব দুঃখ দেখি এখন তোর ঘাড়ে,,
তিথি ভাবছে আর চারপাশে তাকাচ্ছে,,,
হাত থেকে রক্ত ও পড়ছে চোখ টা ও ঝাপসা হয়ে আসতেছে,,,,ওড়নাটা নিয়ে এক হাত দিয়ে আর দাঁত দিয়ে অনেক কষ্ট করে বাঁধে,,,
এইদিকে
সবাই তিথিকে খুজতে থাকে কোথাও পায় না,,,অনেক সময় হয়ে যায় কই আছে তিথি কেউ জানে না,,,ভয়ে আবিরের কলিজা শুকিয়ে যাচ্ছে এই ভেবে যে তিথির গুলি লেগেছে হাতে এই অবস্থায় সে কই হতে পারে,,,
আমানঃ আবির ঠিক পেয়ে যাবো আমরা ওকে,,,
আবিরঃ অনেক ক্ষন হলো পাচ্ছি না,,একটু পরে সকাল হবে,,,
আমানঃ দেখ রাতের অন্ধকারে পাচ্ছি না কিন্তু সকালের আলোতে ঠিকই পাবো বুজলি,,,,
আবিরঃ কেন জানি খুব ভয় করছে,,,দেখ সে যত বাহাদুর হোক না কেন হাতে গুলি লেগেছে তার,,,,আল্লাহ জানে কি অবস্থায় আছে,,,
আমান ও চিন্তায় পড়ে যায়,,,
এইদিকে তিথির খুব কষ্ট হচ্ছে হাতের ব্যাথায়,,, গাছের নিচেই হেলান দিয়ে বসে পড়ে হাত থেকে রক্ত পড়ছেই,,,ভাবছে কি করবে এতো রাতে কই যাবে,,,
তিথিঃ আর কত ক্ষন এই জঙ্গলের মধ্যে থাকবো আমি.?যদি কোনো বাঘ ভাল্লুক সত্যি এসে আমাকে খেয়ে ফেলে তাহলে আমার কি হবে আল্লাহ
তিথির কান্না পাচ্ছে অনেক,,,
তিথিঃ অহ আল্লাহ আমাকে বাঁচাও প্লিজ,,,এই মাসুম বাচ্চা কাচ্চা মাইয়া টারে বাঁচাও গো আল্লাহ,,
তিথির চোখ ও ঝাপসা হয়ে আসতেছে প্রচুর পরিমাণ রক্ত যাওয়াতে সে দূর্বল হয়ে পড়ে,,,,চোখ মুখ সব কেম্নে হয়ে যাচ্ছে,,,,ক্ষিধায় কেমন যেন করছে আবার
তিথিঃ এই সময় কিছু খাইতে ও পারছি না উফফ,,,একটা আপেল গাছ তো এখানে লাগানো উচিত ছিলো হু যাতে আমি এসে বসে বসে আপেল খেতে পারি,,,আচ্ছা আপেল গাছে কি কমলা ও ধরে না না ওরা তো বন্ধু আপেল কমলা বন্ধু তাই তো আমার এতো ভালো লাগে হিহি,,
তিথি নিজে নিজে বকবক করে যাচ্ছে,,,,
এইদিকে,,,
আমানঃ আবির এইভাবে হবে না,,, দেখ জঙ্গলটা আসলেই অনেক বড় আর এতো বড় জঙ্গলে আমরা ওকে কই কই খুঁজবো,,,
আবিরঃ হুম কই গিয়ে যে আছে অই মেয়ে,
আমানঃ হুম সব গুলো গুন্ডাকে একা মেরে পালিয়েছে সাহস অনেক আছে বলতে গেলে,,,
আবিরঃ এক নাম্বারের ঝগড়াটি গুন্ডি অই মেয়ে,,,অই মেয়ে কাউকে ভয় পায় না উল্টো তারে দেখে মানুষ জীবজন্তু ও এখন ভয় পায়,,,কাউকে ছাড়ে না যে মেয়ে,,,
আমানঃ এমন বলিস না,, অনেক ভালো সে
আবিরঃ হ্যাঁ সেটায় অনেক ভালো,,,জীবনে কিছুকে তো ভয় পাওয়া উচিত মানুষের কিন্তু ম্যাডাম না,,,এক এলিয়েন জুটেছে আমার কপালে,,,,
আমান আর আবির কথা বলছে আর তিথিকে খুঁজছে,,,,
হঠাৎ একটা চিৎকার শুনে,,
আবিরঃ তিথি মেবি,,,
আমানঃ অই দিক থেকে এসেছে তাড়াতাড়ি আয়,,,
আমান আর আবির দৌড়ে যায়,,গিয়ে দেখে আসলেই তিথি কিন্তু সে লাফাচ্ছে,,,
আবিরঃ তিথি আমরা এসে গেছি,,,
তিথিঃ আমাকে বাঁচান প্লিজ
আবিরঃ গুন্ডাদের তো মেরে এসেছো এখন কার থেকে বাঁচাবো, আর এইভাবে চিংড়ি মাছের মত নাচতেছো কেন তুমি?
তিথি ক্ষেপে যায় আবিরের দিকে,,,
তিথিঃ অই তোর চোখে কি কাক হিশু করছে,,,চোখে দেখিস না
আবিরঃ হোয়াট???
তিথিঃ এখানে ইংলিশ না ঝেড়ে আমাকে বাঁচা বাপ,,,
আবিরঃ অই বাপ কে???
তিথিঃ উফফফফ যে হোক না কেন আমাকে বাঁচাতেন,,,
আমানঃ দুইটা চুপ,,,তিথি কত থেকে বাঁচাবো তা তো বলতে,,
তিথিঃ অইদিকে দেখেন আপনারা সাপপপ
আমান আর আবির তাকিয়ে দেখে একটা সাপ তিথির দিকে,,,,
সাপটা কিছু করছে না বসেই আছে মেবি ভাবছে এই মেয়ে আসলে কি???🤣ভাবে তিথিরে কামড় দিয়ে সে মরবে নাকি🤣
আবিরঃ অই সাপ এর এতো সাহস হয় নাই যে তোমার মত বিষাক্ত মেয়েকে কামড় দিয়ে মরার,,,
আমান আবিরের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে কথাটা শুনেই,,,তিথি তো রেগে আগুন,,,
তিথিঃ অই মিয়া সমস্যা কি আপনার হ্যাঁ??? বেশি কথা বলেন জানি এখন চুপ থাকতে কি সমস্যা?
আবিরঃ বেশি কথা আমি বলি?নাকি তুমি?
আমানঃ এখানে ও ঝগড়া উফফফ আল্লাহ,,,,
তিথি সাপটার দিকে আবার তাকায় দেখে সাপটা তার দিকেই তাকিয়ে আছে,,ভয়ে কলিজা শুকিয়ে যাচ্ছে তার,
তিথিঃ সাপ আংকেল আপনি তো কত দয়ালু ভালো কত কিউট,,,
তিথির কথার মাঝে বলে উঠে আবির
আবিরঃ কিউট হলে জড়িয়ে ধরো,,,

তিথিঃ চুপ থাকেন আপনি হু,,,সাপ আংকেল আমার মত মাসুম বাচ্চা কে কামড় দিয়ে কি লাভ আমার তো শরীরে মাংস ও নাই,,আপনি বরং অই বজ্জাত এনাকন্ডা কে খান,,,আপনার এই দলের সে,,,
আবিরঃ সাপ আবার আংকেল ও হয়???
আমান একটা লাঠি নিয়ে আসে,,,আবিরকে দেয়
আমানঃ যা ফেলে দে
আবিরঃ কি ফেলে দিতাম আমি আজিব
আমানঃ কেন অই সাপটাকে দূরে সরিয়ে দে
আবিরঃ এই মেয়ের সাথে তোর ও কি মাথা গেছে আমান,,,সাপকে কিভাবে লাঠি দিয়ে সরায়,,,উফফফ দুইটা পাগল তোরা,,,
তিথিঃ আরে আমান এমন ভীতু যে ভয়ে ও সাপের কাছে যাবে না,,,,
আবিরঃ ওহ তুমি তো অনেক সাহসী তো ম্যাডাম সাহসী যান আপনি এই ফেলে দেন ধরে,,,
তিথিঃ আয়ায়া আমি,,,
আবিরঃ জ্বি আপনি
তিথি ভয় পায় এই ভেবে যে কি করবে,,আবিরের দিকে তাকায় আবার আমানের দিকে,,,
আমানঃ আবির কি করবি বল,,,
আবিরঃ কিছু করতে হবে না,,
আমানঃ মানে?
আবিরঃ সাপ নাই দেখ,,,
আমান আর তিথি তাকিয়ে দেখে সত্যি সাপটা গায়েব,,,কখন যে সাপটা চলে যায় কেউ জানে ও না,,,
আমানঃ হ্যাঁ তাই তো কই গেছে,,,,
তিথিঃ মনে হয় ওর বউয়ের কথা মনে পড়ছে তাই,,,মানুষদের মত তো নয় যে নিজের বউকে পাত্তা দেয় হু,,,
আবিরঃ এই মেয়ের বকবক শুনেই সাপ নিশ্চয়ই ভাবছে এরে কামড় দিয়ে নিজের জীবন শেষ না করে চলে যাওয়া বেটার তাই চলে গেছে মেবি বুজলি,৷
আমানঃ তোরা ও পারিস,,,আচ্ছা তিথির হাত থেকে রক্ত পড়ছে এতো ক্ষন তা না দেখে আমরা কিনা দূর,,,
তিথিঃ হ্যাঁ আমার কত রক্ত গেছে আমার তো বেশি বেশি ফল খেতে হবে যাতে শক্তি হয়,,,বহুত শক্তি বহুত
আবির তিথির কাছে আসে,,,
আবিরঃ চলো,,,
তিথিঃ কোলে নেন,,,
আবিরঃ কেন পা নাই বুজি???
তিথিঃ বা রে জঙ্গলে যে দেখি হিরো হিরোইনকে কোলে তুলে নেয় তারপর রোমান্টিক গান দেয়,,আর কত কি
আবিরঃ এই টা না মুভি না তুমি হিরোইন আর না এখানে গান দিবে,,এইসব পাগলের মত কথা চিন্তা সব বাদ দাও,,,
আমানঃ আবির নিয়ে নে,,,হাঁটতে পারবে না জঙ্গল বুজিস তো,,,
আবির তিথির দিকে তাকায় তিথি অন্য দিকে তাকায়,,,আবিরের কাছে এই মুহূর্তে কেমন যেন লাগছে তিথিকে ইচ্ছে করে তার কোলে উঠার বাহানা খুজছে সে,,,,কোলে তুলে নেয় আবির,,,
তিথিঃ কোলে তো তুলে নিবেন তাহলে এতো নাটক কেন করলেন,,,
আবিরঃ মানে?
তিথিঃ কিছু না হাঁটেন,,,
আমানঃ আমি পুলিশ দের জানাইছি যে তিথিকে পেয়েছি,,আর তিশা ও ওদের সাথে আছে,,আমাদের মেইন রাস্তায় যেতে হবে এখন
আবিরঃ হুম চল,,
তিথিঃ আমার খুব ঘুম পাচ্ছে
আমানঃ তিথি প্লিজ ঘুমাইও না,,,
তিথিঃ কেন??আমার খুব ঘুম পাচ্ছে,,,
আবিরঃ তুমি ঘুমাতে পারবে না তিথি,,প্লিজ
আমানঃ হ্যাঁ তিথি গুলি লেগেছে মেডিকেল আমরা এখনই চলে যাবো প্লিজ একটু অপেক্ষা করো,,,শুধু চোখ অফ করিও না
তিথিঃ তাহলে আমি কি করবো?
আমানঃ যা ইচ্ছে যেমন গান গাও,,
আবিরঃ নায়ায়া ভুলেও না,,,
তিথি মুখ বাঁকা করে ফেলে,,,আমান আবিরের চিৎকার দেখে অবাক,,,
আমানঃ কেন কি হইছে???
আবিরঃ ও গান গাইলে এখন ও না আমরা বেহুঁশ হবো দুইজন,,,
আমানঃ কেন?
আবিরঃ পরে বলবো,,,,এখন প্লিজ গান না অন্য কিছু
তিথিঃ আমি গল্প পাড়ি বলি???

আবিরঃ হ্যাঁ তা ট্রাই করতে পারো কিন্তু আসতে কারণ তুমি আমার কোলে এমনি তো মাইক গলাটা আরো জোরে যদি বলো তাহলে শেষে আমার কান যাবে,,,
তিথিঃ কান কই যাবে??কান কি হাঁটতে পারে?
আমান হেসে দেয় তিথির এমন প্রশ্নে,,,আর আবির তিথির দিকে তাকায় রাগী লুকে,,,
তারা অনেক ক্ষন হাঁটে এই সময় গুলো তে তিথি আবিরের সাথে একটা একটা বলে ফাজলামি করছে আর আমান তাদের দুইজনের কান্ড দেখে হাসছে,,,,
বুকের মধ্যে মাথা রেখে কথা বলতে তিথির বেশ লাগে,,,আবিরের হার্ট বিট গুলো যে স্পষ্ট শুনা যাচ্ছে,,অজানা যে ভালো লাগা যে তিথির মনে আবার কাজ করছে,,যার আবির ও তিথির প্রতি আজ বিরক্তি নয় ভালোই লাগছে তার,,,
অনেক ক্ষন পর তারা রাস্তায় এসে যায় যেখানে অনেক গুলো পুলিশের গাড়ি আর এম্বুলেন্স আছে একটা,,গুন্ডা গুলো কে মেডিকেল ভর্তি করানো হয়,,,তিথিকে ও নিয়ে যাওয়া হয় মেডিকেল,,,
মেডিকেল নেওয়ার পর ডাক্তার তিথির হাত ব্যান্ডিস করে দেয়,,,
আমানঃ ডাক্তার গুলি লেগেছে তিথির,,,
ডাক্তারঃ হুম বুজেছি কিন্তু গুলি সাথে সাথে হাত থেকে বের হয়ে গেছে লেগেই,,যার কারনে তেমন কিছু হয় নাই,,,
আবিরঃ তবুও একটু রিস্কি তো আছে তাই না??
ডাক্তারঃ না আবির কিছু নাই,,কিছু ওষুধ দিবো নিয়মিত খাইলে আর বাসায় রেস্ট নিলেই তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে,,
তিথিঃ দেখলেন তো আমি কত সাহসী হু,,,
আবিরঃ ডাক্তার সাহেব আপনি কিন্তু তিথিকে সুই মারেন নাই,,,মানে আঘাত খেলে বা কাটলে সুই মারতে হয় তা কেন মারেন নাই,,
তিথি চোখ বড় বড় করে আবিরের দিকে তাকায়,,এই আবির কি তার হাজবেন্ড নাকি শত্রু ভাবে,,,
তিথিঃ (বেডা বজ্জাত একবার সুস্থ হই তারপর তোকে আমি সুই কই কই মারবো জীবনে ভুলবি না হারামি একটা লোক হু)
ডাক্তারঃ আবির আমরা যা যা করার সব করেছে,,তিথিকে নিয়ে যেতে পারো বাসায়,,
তিথি আবিরের দিকে তাকিয়ে মুখ বাঁকা করে হাটা শুরু করে,,,আবির আমানকে বলে
আবিরঃ ওকে কেউ এখানে রাখবে ও না,,যদি আবার ডাক্তারদের মেডিকেল ভর্তি হতে হয় এখানে,,,
আমানঃ সব সময় ওর পিছনে লাগিস,,,আয় তো বাসায় যেতে হবে,,,
আমান আবির তিথি তিশা ওরা এক সাথে একটা গাড়িতে,,,
তিশা আমানের ঘাড়ে মাথা রেখে শুয়ে আছে পিছনের সিটে,,,সামনের সিটে আবির আর তিথি,,আবির ড্রাইভ করছে তিথি আবিরকে বলে
তিথিঃ আচ্ছা কাল সকালে কি আমার ছবি বড় করে পোস্ট করে পেপারে দিবে???
আবিরঃ কেন তুমি কি মডেলিং শুরু করলে নাকি যে দিবে?
তিথিঃ কেন দিবে না হু,,,আমি তো অই গুন্ডা গুলো কে মেরেছি ধরেছি কত কি,,তো আমার ছবি দিয়ে সবাই কে বলবে না আমি কত বাহাদুর
আবিরঃ বাহাদুর নয় বান্দর,,,(আসতে করে)
তিথিঃ কিছু বললেন??

আবিরঃ না আমি কি কিছু বলতে পারি,,,
আমানঃ তোরা দুইটা আসলেই কি আমি ভাবি,,,এক সাথে কিভাবে এতো ঝগড়া করিস উফফ
তিশাঃ ঝগড়া না ভালোবাসা,,,
কথাটা শুনেই আবির চমকে যায়,,,তিথি মনে মনে অনেক টা আনন্দ পায় কথাটা শুনেই,,,কিন্তু মন খারাপ হয়ে যায় আবিরের কথায়,,,
আবিরঃ তিশা এমন কিছু না আমাদের মধ্যে,,,এখানে ভালোবাসা আবেগ এইসব কিছু নাই বুজলে,,,
আমানের খুব রাগ লাগে আবিরের উপর এই ভেবে যে এইভাবে বলে কেউ,,,,তিশা ও অনেক অবাক যে বিয়ে করা কাফেল আর ভালোবাসা নাই,,,
অন্য দিকে তাকিয়ে আছে তিথি,,,মনটা মলিন করে ভাবে আবির মিথ্যা তো বলতে পারতো যে তাদের মধ্যে ভালোবাসা আছে কেন সে এইভাবে বললো এই ভেবে ভেবে মনটা খারাপ করে ফেলে,,,
কিছু ক্ষন এর মধ্যে তারা সবাই আবিরের বাড়িতে আসে,,,সকাল ও হয়ে আসে অনেক বাড়ির সবাই তাদের চারজন কে দেখে যা খুশি,,আবিরের মা তো তিথিকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেই দেয়,,,
তিথিঃ আমি ঠিক আছি মা দেখো,,,
আবিরের মাঃ হ্যাঁ জানি কত আছো,,,ইশ রে কত টুকু লেগেছে মেয়েটার,,,অই গুন্ডাগুলে কে ফেলে আমি গুলি করে দিতাম
আবিরঃ হ্যাঁ এইটার অভাব ছিলো,,,
আবিরের মাঃ কিসের?
আবিরঃ না কিছু না,,,
সবাই তিথিকে জড়িয়ে ধরে,,,তিশা কে সবাই অনেক টা আপন নেয়,,,সবাই তিশার সাথে ও অনেক গল্প করে,,তিশা তিথিকে পেয়ে বাড়ির সবাই আজ অনেক হেপ্পি,৷
চলবে,,,,,,,,,