বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -4 !! Part- 24

তিথি রেগে রুম থেকে বের হয়ে যায়,,,আবির বুজতে পারে সে যা করেছে তিথির রাগ ঠিক আছে এতে,,, আবির নিজে নিজের হাতে মলম লাগাতে থাকে,,ধীরে ধীরে ব্যান্ডিস করতে থাকে কষ্ট হচ্ছে এক হাতে করতে তবুও করছে,,,
তিথি নিচে এসে দেখে মা চা খাচ্ছে আর খালার সাথে কথা বলছে,,,,আর সবাই গল্প করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে,,,তিথি সবার দিকে তাকিয়ে আবার যেতে লাগে তখন তিথিকে খালা দেখে বলে
খালাঃ সে কি তিথি শাওয়ার না নিয়েই বের হলে কেন?আর রাতের কাপড় পর্যন্ত চেঞ্চ করলে না,,,কি ব্যাপার?
তিথিঃ আ,,,সলে খেয়াল ছিলো না খালামনি,,,
মাঃ একটু পরে প্রতিবেশীরা আসবে তোমাকে দেখতে,,,,গিয়ে শাওয়ার নিয়ে ভালো একটা শাড়ি পড়ে নাও,,,,
তিথিঃ জ্বি মা,,,

মাঃ আর হ্যাঁ শুনো আবিরকে বলবে সে ও যেন ফ্রেশ হয়ে নিচে আসে ওর সাথে কিছু কথা ছিলো,,,
তিথি যেতে লাগে খালা উঠে তিথির ঘাড়ে হাত রেখে বলে
খালাঃ তিথি কাল কেমন কাটলো রাত?(মজা করে)
তিথিঃ কেন?কাল যেভাবে কাটার সেভাবে কাটলো (আনমনে)
খালাঃ কি বলো,,,,কি কি হলো আমাকে একটু বলবে,,,
তিথিঃ কাল কিভাবে আর,,,আর কি বলতাম আমি,,,
খালাঃ কেন কাল তো বাসর রাত ছিলো,, আর আবির ও তো রোমান্টিক হবে,,,,বলো বলো কি করলে???
তিথি খালার দিকে তাকাচ্ছে ভাবছে এইটা কি খালা আসলে নাকি ভাবি,,,একটু লজ্জা মাখা ভাব নিয়ে খালার কানে বলে
তিথিঃ আমার আংকেল মানে আপনার হাজবেন্ড যা যা করেছে তার থেকে হায় লেভেলের উপরে আমার হাজবেন্ড করেছে,,,
খালাঃ হেএএএ????
তিথিঃ এখন ডিটেইলস কিভাবে বলি খালামনি, আচ্ছা নেক্সট টাইম আমি আপনাকে ডাকবো আপনি আসিয়েন তারপর না হয়,,,
খালাঃ ছি ছি কি বলো,,,ফাজিল মেয়ে,,,
তিথি হাসতে থাকে,,,খালা ও হেসে দেয়,,এই কয়েক দিনে খালা আর তিথি অনেক টা ফ্রেন্ডলি হয়ে যায়,,,
মাঃ তিথি যাও রুমে,,,
তিথি চলে যায় খালা তিথিকে ইশারা করে বলে পরে শুনবে,,,এই দেখে মা খালাকে হালকা থাপ্পড় দিয়ে বলে
নাঃ বাচ্চাদের মত ফাজলামি কেন করছিস হ্যাঁ? মনে হচ্ছে তুই ওর খালা শাশুড়ি না ভাবি লাগিস,,,
খাকাঃ আমি তোমার থেকে অনেক ইয়াগ,,,,তুমি না বুড়ি আমাকে দেখে তো বুজা ও যায় না যে আমার বিয়ে হয়েছে,৷
মাঃ হ্যাঁ তাই তো তোকে দেখে বুজা যায় ছেলে মেয়ে বিয়ে দিয়ে নাতনি গুলো ও বিয়ে দিবি,,,
খালাঃ আপ্পা এমন কেন তুমি হু,,,
মা আর খালা তাদের কথা বলছে,,,
তিথি উপরে উঠতে লাগে আর পিছনে তাকিয়ে তাদের কান্ড দেখে হাসছে,আবার আনমনে ভাবে
তিথিঃ ভেবে তো ছিলাম আমিও বাসর করবো কত কি করবো আহা কিন্তু দূর কিছু হলো না,,বজ্জাত টা আসলেই বজ্জাত জীবন টা তেজপাতা বানিয়ে দিলো উফফ,,,ইচ্ছে তো করছে লাউয়ের শরবত বানিয়ে খাওয়াই,,,লাল ইঁদুর একটা হু,,,
তিথি হনহনিয়ে রুমের সামনে গিয়ে ভাবে যাবে কি যাবে না,,,,আবার ভাবে একটু ভাব নিবে গিয়েই,,রুমের ভিতরে ডুকে দেখে আবির হেলান দিয়ে শুয়ে আছে,,,হাতের দিকে তাকিয়ে দেখে ব্যান্ডিস ও ঠিক করে করতে পারে নাই তেমন,,, পাত্তা না দিয়েই আলমারি খুলে জোরে,,, আবির চোখ খুলে তাকিয়ে দেখে তিথি আলমারির দরজা টা জোরে লাগাচ্ছে আবার বন্ধ করছে,,,
আবিরঃ যা লাগবে আস্তে করে নিতে পারো না এইভাবে আওয়াজ করে কেন করছো?
তিথিঃ (বাহা ভেবেছিলাম এতো কিছুর পর গলার সুর নিচু হবে কিন্তু না জনাবের আওয়াজ তো দেখি আরো বাড়ছে,,,ভাবে কি নিজেকে এই লোক মনে হচ্ছে বেগুনি হাতি অসম্ভব লোক একটা হু,,দেখাচ্ছি ঘুমানো)
তিথি আরো জোরে দরজা খুকেই আবার লাগায় আবার খুলে,,,এইসব দেখে আবির কিছু টা বিরক্তি হয়,,,
আবির উঠে আসে তিথির কাছে এসে বলে
আবিরঃ দেখি,,,,
তিথিঃ কি সমস্যা হ্যাঁ??? (চিৎকার করে)
আবিরঃ আমার তো সমস্যা নাই কিন্তু তুমি এতো জোরে চিৎকার কেন করছো?
তিথিঃ মনে চাইছে তাই সমস্যা আছে আপ

নার?? থাকলে যেতে পারেন,,,,(অনেক টা ভাব নিয়ে)
আবিরঃ না নেই,,,আচ্ছা আমি তাওয়াল টা নেই শাওয়ার নিতে হবে,,,,
তিথিঃ একটু পরে আমি যাচ্ছি,,,
তিথির রাগ দেখেই আবির কিছু বলে না,,,চুপ করে বসে পড়ে তিথি আলমারির কাপড় ইচ্ছে করে নিচে ফেলে দেয়,,
আবির কিছু ক্ষন তাকিয়ে আছে কিন্তু না তিথি সব ফেলছেই,,,
আবিরঃ কাপড় গুলো এইভাবে ফেলছো কেন?
তিথি আবিরের কথায় পাত্তা না দিয়ে নিজের মত করতে থাকে,,,একটা কালো বেনারসি শাড়ি বের করে দেখতে বেশ সুন্দর অইটা নিয়ে বলে
তিথিঃ পাইছি এতো ক্ষন পর উফফ,,,কত খুঁজে পেলাম তোকে(শাড়ি টা বুকে আগলে নিয়ে)
আবিরঃ কি এমন পাইলে যে পুরো রুমের ১৪টা বাজালে,,,
তিথিঃ নীল কাক পেয়েছি,,,রোষ্ট বানিয়ে আলুর ফালুদার সাথে খাওয়ার জন্য,,,,খাবেন আপনি???
আবিরঃ ওয়াক,,,এইসব আজগুবি খাবার খাও তুমি
তিথিঃ না খাই না শুধু চেটেপুটে খাই আর আপনার মত গোলাপি তেলাপোকাকে খাওয়াই,,,
আবিরঃ মানে?
তিথিঃ কিছু না,,, আপনি কি রুম থেকে বের হতে পারবেন পরে আসিয়েন,,,
আবিরঃ কেন আমি কেন রুম থেকে বের হবো???
তিথিঃ আমি শাড়ি পড়বো তাই,,,
আবিরঃ তো সমস্যা কোথায়?? তুমি পড়ো আমি কি ধরে রেখেছি???
তিথিঃ আপনার সামনে কেন পড়বো আমি??
আবিরঃ এক মিনিট তুমি তো শাড়ি পড়তে পারো না তাহলে??? আমি পড়িয়ে দেই,,,আর অইদিন তো আমি পড়িয়ে দিয়েছি তো সমস্যা নাই,,,
তিথিঃ জ্বি ধন্যবাদ কিন্তু কোনো দরকার নাই,,,
আবিরঃ কেন?
তিথিঃ আপনার মাথায় কি গোবর ভরা আমি ভাবি আসলে,,,
আবিরঃ মানে?
তিথিঃ বিয়ের দিন আমি নিজে নিজে শাড়ি কি ভাবে পড়েছি আপনার মাথায় আসে নাই?আমি শাড়ি পড়তে পারি,,,
আবিরঃ তাহলে অইদিন যে বললে,,,আর শাড়ি পিছিয়ে যে অইদিন বসে ছিকে আমি পড়িয়ে দিলাম,,যদি পড়তে পারতে তাহলে অইদিন কেন বললে যে পারো না,,,
তিথিঃ ভুল হয়েছে বাপ এখন রুম থেকে যা তো (বিরক্তি ভাব নিয়েই,,,)
আবিরঃএই বাপ কাকে ডাকলে তোমার বাপ কে এখানে???
তিথিঃ রুম থেকে কি যাবেন?????আর হ্যাঁ আপনাকে ডেকেছে মা নিচে গিয়ে দেখে আসুন,,,
আবির রুম থেকে বের হয়ে যায়,,,সিড়ি দিয়ে নামছে আর ভাবছে তিথি যদি শাড়ি পড়তে পারে তাহলে কেন সে অইদিন বলেছে সে পারে না আবার আবির তাকে পড়িয়ে দিলো সে ও কিছু বললো না,,,আবির এইসব ভাবছে আর নিচে নামছে,,,
এই দিকে তিথি শাড়ি টা বিছানায় রেখে শাওয়ার নিতে ওয়াশরুমে যায়,,
আবির নিচে এসে তার মায়ের কাছে আসে,,,
আবিরঃ ডেকেছিলে মা??
মাঃ হুম আমার রুমে আয়,,
মা আবিরকে রুমে নিয়ে যায়,,,
আবিরঃ হুম বলো,,,
মাঃ আমানের সাথে কি তোর কিছু হয়েছে???
আবিরঃ কেন??
মাঃ কাল আমান হুট করে চলে গেছে,,আজ কত বার কল দিলাম ধরে না,,ওর বাড়িতে কল দিলাম আসার জন্য কিন্তু সে নাকি একটু অসুস্থ তাই আসবে না,,,
আবিরঃ ওহ আচ্ছা,,আমি বিকালে যাবো,,,
মাঃ আরু আর আমানের ব্যাপারে কি ভেবেছিস?
আবিরঃ মা আমান আরুকে নিজের বোনের মত জানে,,,আমান অন্য মেয়েকে ভালোবাসে,,আরু কখনো আমানের সাথে সুখে থাকবে তোমার মনে হয় মা?যদি ওদের বিয়ে ও হয় ওরা কেউ হেপ্পি হবে না,,,অযথা ৩ টা জীবন নষ্ট হবে মা,,,
মাঃ হুম তাই,,,,,দেখ আবির আমি জানি আরুর জিদ অনেক তুই ওকে বুজা,,,মেয়েটাকে কত বলছি কিন্তু সে তার মত জিদ ধরে আছে তুই তাকে বুজিয়ে বল তাহলে হয়তো সব ঠিক হবে,,,
আবির মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বলে,,,আবির হাত টুকু এতো ক্ষন লুকিয়ে রাখে,,আবির উঠে আসতে লাগে হাতে হঠাৎ খেয়াল করে মা,,,
মাঃ কিরে তোর হাতে কি হলো দেখি
হাতটা নিয়ে দেখে অনেক টুকু কেটে যায়,,,
মাঃকিভাবে কাটলি?
আবিরঃ কিছু না জাস্ট একটু লেগেছে টেনশন নিও না,,,,আমি ঠিক আছি,,,
মাঃ হাত কেটে বলছিস ঠিক আছিস?তোকে নিয়ে কি করবো আমি,,,,
আবিরঃ মা আমি ঠিক আছি সত্যি,,,
মাঃ হুম বুজছি,,,

আবির মাকে কোনো রকম বুজিয়ে রুমে যেতে লাগে,,,
এইদিকে তিথি শাওয়ার নিয়ে এসে শাড়ি পড়ে নেয়,,,শাড়ি পড়ে আয়নার সামনে বসে,,ঘাড়ো করে কাজল দেয়,,,হালকা গোলাপি লিপস্টিক শুধু,,চুল গুলো ভিজা থাকায় ছাড়া দেয়,,তাওয়াল নিয়ে চুল গুলো মুছতে লাগে,,,
আবির রুমে ডুকেই যেন হতবাক হয়ে যায় তিথিকে দেখে,,,
কালো বেনারসি শাড়ি পড়া,,,তিথি এমনি ফর্সা কালো শাড়িতে তাকে আরো অসাধারণ লাগছে,,,ঘাড়ো করে কাজল দেওয়া চোখে,,, হালকা গোলাপি ঠোঁট মুখে কোনো মেকাপ নাই,,,পুরো সাধারণ এর মধ্যে অসাধারণ লাগছে তাকে,,,
আবির অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তিথির দিকে,,,কেন জানি আবিরের কাছে তিথিকে এই মুহূর্তে অনেক বেশি সুন্দর লাগছে,,চোখের পলক যেন সরছেই না তিথির থেকে,,,
তিথি চুল মুছেই তাওয়াল টা রেখে দেয়,,,আয়নায় চুল গুলো হাত দিয়ে ঠিক করছে হুট করে নজর যায় আবিরের দিকে,,,আবির তিথির দিকে তাকিয়ে আছে ড্যাবড্যাবিয়ে,,,
তিথি উঠে দাঁড়ায়,,তিথির দাঁড়ানোর সাথে সাথে আবির হিমশিম খায়,,,মুচকি হেসে বলে
আবিরঃ সুন্দর লাগছে তোমায় কালো শাড়িতে,,,
তিথিঃ আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম আপনাকে???
আবিরঃ না করো নাই কিন্তু অনেক টা ভালো লাগছে তাই বললাম,,,
তিথিঃ ওহ তাই নাকি আমার মত মেয়ে আপনার ভালো ও লাগে,,,আসলে জানা ছিলো না আমার এই যে আমার মত একটা মেয়ে আপনার মত এতো বড় নামি দামি মিস্টার আবির রহমানের ভালো ও লাগতে পারে,,,
আবিরঃ তিথি আম সরি,,আমি যা করেছি তার জন্য সত্যি আমি দুঃখিত বিশ্বাস করো জেনে শুনে কিছু করি নাই আমি,,,
তিথিঃ সেটায় আপনার যা ইচ্ছে হবে ভাববেন যা ইচ্ছে হবে করবেন এখানে কেউ মরুক বাঁচুক এতে আপনার কি,,,
আবিরঃ তিথি প্লিজ সত্যি আমি আমার করা কাজে অনেক গিলটি,,,
তিথি আবিরের কথায় পাত্তা না দিয়ে যেতে লাগে তিথির হাত ধরে আবির টান দিয়ে নিজের বুকে টেনে নেয়,,,তিথির ছুটার অনেক চেস্টা করে কিন্তু পারে না,,,
ভিজা চুল গুলো এসে আবিরের মুখে পড়ে,,,চুল গুলো সরিয়ে তিথির কোমড়ে হাত দিয়ে নিজের সাথে আরো লেপটে ধরে,,,
আবিরঃ আমি যা করেছি এর জন্য আম সরি,,,প্লিজ আমাকে মাফ করে দাও প্লিজ
তিথি ঢোক গিলতে থাকে,,যখনই আবির তার কাছে আসে তার বুকে ধুকধুক শব্দ হয়,,,তবুও নিজেকে সামলিয়ে আবিরকে ধাক্কা দিতে লাগে আবির আরো জোরে চেপে ধরে,,,,
আবিরঃ যতক্ষণ না তুমি আমাকে মাফ করবে আমি তোমাকে ছাড়ছি না,,,
আবির তিথির চুল গুলো আলতো করে সরিয়ে কানের কাছে মুখ নিয়ে বলে
আবিরঃ আজ সত্যি অসাধারণ লাগছে তোমায়,,,কালো শাড়িতে তোমায় অপরুপ লাগে,
আবিরের নিশ্বাস এসে যেন তিথির ঘাড়ে পড়ছে,,,তিথির নিশ্বাস টা যেন বারি হয়ে আসছে,,,আবির তিথির ঘাড়ে হালকা ফুঁ দিয়ে বলে
আবিরঃ তুমি এতো কিউট জানতাম না তো,,,,
তিথি আবিরের হাবভাব দেখে কিছু টা ঘাবড়ে যায়,,,তিথির ঠোঁটে আলতো করে আঙ্গুল দিয়ে বলে
আবিরঃ বাহা আমার বউয়ের ঠোঁট তো অনেক মায়াবী,,,
আবির নিজে ও জানে না সে কি করছে,,,তিথি তার শাড়ির আঁচল শক্ত করে আকড়ে ধরে আছে,,ভয়ে বুক ধুপধাপ আওয়াজ করছে,,,আবির কাছে আসাতে যেন এমন হচ্ছে,,,
তিথিঃ সরুন
আবিরঃ কেন?
তিথিঃ সরবেন কিনা তা বলুন,,
হুট করে তিথি রেগে যায়,,আবিরকে ধাক্কা দিয়ে বলে
তিথিঃ নেক্সট টাইম আমাকে স্পর্শ করবেন না,,আপনার স্পর্শ ফেলে আমার নিজের কাছে নিজেকেই ঘৃনা হবে,,,আপনার হাতের ছোঁয়া আমার কাছে কাটার চেয়ে কম না,,,
আবিরঃ তিথি মানে কি?হুট করে এমন এইভাবে বলছো?
তিথিঃ আপনি ভাবেন কি নিজেকে হ্যাঁ যখন ইচ্ছে হবে কাছে টানবেন যখন ইচ্ছে হবে দূরে সরিয়ে দিবেন,,আমাকে কি বাজের পূন্য পেয়েছেন যে আপনার ইচ্ছে মত ব্যবহার করবেন,,
তিথির কথা গুলো শুনে আবির প্রচুর ক্ষেপে যায়,,,তিথির হাত শক্ত করে চেপে ধরে নিজের কাছে টেনে বলে
আবিরঃ আজ এই শব্দ মুখে এনেছো নেক্সট টাইম আনলে আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না,,,
তিথি আবিরকে অনেক জোরে ধাক্কা দেয় এইবার
তিথিঃ আমাকে স্পর্শ করবেন না ব্যস,,
আবিরঃ তা দেখা যাবে,,,তুমি যতদিন না পর্যন্ত আমাকে মাফ করবে আমি মানাতে থাকবো,,,
তিথি রেগে রুম থেকে চলে যায়,,,এইদিকে আবির ভাবতে থাকে
আবিরঃ আমি যা করেছি তা মাফ এর যোগ্য না জানি তবুও মাফ চাচ্ছি,,,নিজের ভুল গুলো ঠিক করতে হবেই আমাকে,,,,
আবির ওয়াশরুমে গিয়ে শাওয়ার নিয়ে বের হয়,,,
এইদিকে তিথি নিচে বসে আছে ঘোমটা মাথায় দিয়ে,,,
এক মহিলা তিথিকে দেখে বলে

মহিলাটিঃ মেয়েটার নাক টা কেমন যেন বোচা লাগে,,,এমনি সুন্দর আছে কিন্তু নাক টা কেমন যেন,,,
মহিলার কথা শুনেই তিথি রেগে যায়,,ঘোমটা খুলেই বলে উঠে
তিথিঃ ওহ তাই নাকি??আপনি নিজেকে আয়নায় দেখেছেন??দেখতে তো পুরো একটা জলহস্তী’র মত লাগছে,,,মনে হচ্ছে এক ট্রাক ভাত খান এক বেলায় বাই দ্যা রাস্তা আপনার মত টেরা চোখ ওয়ালা আন্টির কাছে আমার নাক কেন আমার ব্যবহার ও এখন খারাপ লাগবে,,,,
তিথির কথা গুলো শুনে রীতিমতো সবাই বেক্কল হয়ে যায়,,নতুন বউ কেউ বলবে ও না,,,
আবির উপর থেকে দেখছে আর হাসছে,,,,শাওয়ার নিয়ে নিচে নানবে তিথির কান্ড দেখে তামাশা দেখছে উপর থেকে,,,,
এইদিকে মা খালা কেউ কিছু বলছে না দাদি ও চুপি চুপি হাসছে,,,,
মহিলাটিঃ এতো বড় কথা আমাকে??ঘরে ডেকে অপমান করান ভাবি আপনি নতুন বউকে দিয়ে,,,
তিথিঃ আরে আন্টি রাগ কেন করছেন আপনার জন্য ভালো ভালো রেসিপি আছে প্লিজ একটু টেস্ট করে যান,,,জানেন আজ শুধু আপনার জন্য বেগুন দিয়ে গরুর মাংস রান্না করেছি,,,নুডুলস দিয়ে ইঁদুরের মাংস রান্না করেছি,,,পুঁশাক দিয়ে মুরগীর কলিজা ভুনা করেছি যান যান খেয়ে নেন আরো জলহস্তী’র মত হয়ে যান,,,
মা হা করে আছে তিহির রেসিপি গুলো শুনে,,,
আরিশা মুখ চেপে হাসছে,,অইদিকে আবির উপর থেকে হাসতে হাসতে শেষ তিথির কথা গুলো শুনে৷
কোমড়ে হাত দিয়ে বলে উঠে তিথি
তিথিঃ বউ দেখতে এসেছেন ভালো কথা দেখে চলে যাবেন এসেই নাক বোচা কান বোচা এই সেই বলার কি দরকার,,,আমার নাক কোন দিকে বোচা লাগে হ্যাঁ??? অই মহিলা চোখের ভালো ডাক্তার দেখিয়ে আসবেন,,,
তিথির কথা শুনে মহিলা প্রচুর ভয় পেয়েছে,, অনেক মহিলা তাড়াতাড়ি হেসে তিথির তারিফ করে চলে যায়,,এইদিকে দাদি মা খালা সবাই হাসতে থাকে তিথির কান্ডতে,,,
আবির উপর থেকে তিথির কান্ড গুলো দেখছিলো আর হাসছে,,
আবিরঃ এই মেয়ে যে পুরো একটা এলিয়েন থুক্কু ঝগড়াটি এলিয়েন এতে আর কোনো সন্দেহ নাই,,,কিছু পারুক আর না পারুক কোমড় বেঁধে ঝগড়া ঠিক করতে পারে,,,,
চলবে,,,,,,,,,