বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -3 !! Part- 57 (Last-Part)

Part-57 ❤(last part)❤
আবির তিথির বিয়েটা আবার হয়ে যায়,,,,হাজার ও বাঁধার পর,,,তিথি মুচকি হেসে আবিরের দিকে তাকায়,,,,কাবিন এর পর অন্য নিয়ম আছে তারা অইটাতে ব্যস্ত হয়ে যায়,,,
আয়নায় বর আর কনে এক সাথে তাকায় মাথায় একটা লাল ওড়না ধরে রাখে কয়েক জন,সেম আবির তিথি এক আয়না ধরে তারপর আয়নায় একে অপরের দিকে তাকায়,,আর রিতু আমান সেম,,
অনুষ্ঠান গুলো অনেক সুন্দর ভাবেই হয়েছে,,,ভালোবাসায় যেন আজ এই সুন্দর মুহূর্ত গুলো আরো ভরে উঠে,,,তিথি পেয়েছে তার বাবাকে আর রিতু পেয়েছে তার পরিবারকে,,,আর আবির তার ভালোবাসার মানুষকে,,,
ভালোবাসায় যেন এক আলাদা শক্তি আছে যেখানে হাজার লড়াই করে ও অই সুখ পাওয়া যায় না যত টা না প্রিয় মানুষটিকে নিজের করে পায়,,,ভালোবাসার মানুষকে কয়জন বা পায় নিজের করে ভালো তো সবাই বাসে কিন্তু আপন করে নিতে পারে কম মানুষেই,,,প্রিয় মানুষকে আজীবন নিজের করে পাওয়ার সুখটাই আলাদা যা শুধু বুজে অই মানুষ গুলো যারা তাদের কাছের মানুষ গুলো পায় আর যারা পায় না তারা জানে প্রিয় মানুষকে না পাওয়ার কষ্ট কত,,,,,
সব শেষে মেহমান চলে যায় রয়ে যায় শুধু কাছের আত্মীয় গুলো,,,,রেশমি আর আবির আমানের কিছু কাজিন যারা আবির আমানের বাসর ঘর ফুল দিয়ে সাজায়,,,,তিথিকে অই ফুলের বিছানায় বসিয়ে রাখে বিয়ের শাড়ি গুলো চেঞ্চ করে একটা নীল বেনারসি শাড়ি পড়িয়ে,,,,দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে সব মেয়েরা,,
আবিরঃ রাস্তার ভিক্ষুকদের মত হাত পেতে দরজায় কেন দাঁড়িয়ে আছিস সবাই হুম
রেশমিঃ কষে চড় লাগাবো উল্টো পালটা মিন করলে চুপচাপ আমাদের পাওনা দে
আবিরঃ কিসের?
রেশমিঃ এতো সুন্দর করে বাসর সাজিয়েছি তারপর তোর বউকে ও হু
আবিরঃ দেখ আমার বিয়ে তো তিথির সাথে আগে ও হয়েছে মানে বাসর ও,,,,,এখন তোরা অযথা এই সব চাস
রেশমিঃ ওকে দিস না যা ভাগ আজ আমরা থাকবো তিথির সাথে তুই যা
আবিরঃ আরে আরে আমি তো মজা করলাম ওকে ওকে যা দিচ্ছি
কাজিন গুলোঃ এই তো আসছে লাইনে,,,
আবিরঃ কি কি না করতে হয় বউয়ের কাছে যেতে দূর
রেশমিঃ তুই কবে থেকে এতো কিপ্টুস হইছিস হুম
আবিরঃ দর যা এইবার বকবক না করে হুস,
সবাই যেতে না চেয়ে ও যায়,,,রুমের দরজা লাগানোর সাথে সাথে তিথির বুকটা যেন কেঁপে উঠে,,,,এক অজানা ভয় কাজ করছে বুকের ধকধক শব্দটা আরো বেড়ে যাচ্ছে যত আবির তার কাছে এসে বসে,,,,
এই দিকে,,,

আমান রিতুর ঘোমটা তুলে কপালে আলতো করে চুমু দিয়ে বলে
আমানঃ আজ আমি আমার বউকে এক নতুন রুপে পেলাম,,যার মাঝে আমি যেন বারবার হারিয়ে যাই,,,রিতু
রিতুঃ হুম
আমানঃ অনেক ভালোবাসি তোমায়,,
রিতুঃ আমিও অনেক ভালোবাসি তোমায়,,,
আমান রিতুকে নিয়ে পাড়ি দেয় তার ভালোবাসার দেশে,,,
এইদিকে আবির তিথির দিকে তাকিয়ে আছে আর তিথি কিছু বলবে আবির বলে উঠে
আবিরঃ ম্যাডাম আপনি কি পানি খাবেন?
তিথিঃ না কেন?
আবিরঃ এতো ভয় পাচ্ছেন যে তাই,,,
তিথিঃ হু আমি ভয় পাই না ওকে,,
আবিরঃ হুম দেখতে পাচ্ছি,,
আবির তিথিকে হুট করে কোলে তুলে নেয়,,,কোলে নিয়েই বারান্দায় চলে যায়,,,ঠান্ডা শীতল বাতাসে যেন খুবই ভালো লাগছে মুহূর্তটা,,,,চারপাশে হালকা আলো যার কারনে মুহূর্ত টা আরো বেশি সুন্দর লাগছে,,,
আবির তিথিকে ঘুড়িয়ে আবির তিথির গলায় একটা হিরার নেকলেস পড়িয়ে দেয় যা ভীষণ সুন্দর,,,,,,তিথির হাতটা টেনে নিয়ে একটা এক জোড়া ছুড়ি পড়িয়ে দেয় যা অসাধারণ কাজের,,,,তিথি তো আজ অনেক খুশি,,আবিরের দিকে শুধু তাকিয়ে আছে কিছু বলবে তাই,,আবির তিথির কপালে চুমু দেয় তারপর তিথিকে ঘুড়িয়ে তিথির পেটে হাত রেখে ঘাড়ে থুতনি রেখে আবির আকাশের দিকে তাকিয়ে বলে
আবিরঃ আজ আকাশের চাঁদ টা ও যে লজ্জা পাবে আমার চাঁদ টা কে দেখে,,,আমার তোতাপাখিকে যে আজ ভীষণ সুন্দর লাগছে,,,,,
তিথি তার চোখ দুটো বন্ধ করে এক বড় নিশ্বাস ফেলে আর আবিরকে নিজে থেকেই আজ বলে
তিথিঃ ভালোবাসি অনেক আপনাকে যা হয়তো নিজে ও জানি না কত,, শুধু জানি আমার পুরো মন জুড়ে শুধু আপনি,,,আপনি ছাড়া যেন নিজেকে এখন এক মুহূর্ত ভাবতেই পারি না,,,আমার সব সুখের কারণ যে আপনি,,,জানেন আমি অনেক ভাগ্যবতী যে আপনার মত একজনকে নিজের জীবন সাথী হিসেবে পেয়েছি,,,যে আমার সকল স্বপ্ন আশা পূরন করতে সব করে,,,,,
আবির তিথিকে আর একটু কাছে টেনে নেয়,,,,তিথির ঘাড়ে কিস দিয়ে বলে
আবিরঃ আজ যা চাইবো দিবে আমায় তোতাপাখি?
তিথিঃ বলুন?
আবিরঃ আগে প্রমেস করো দিবে?

তিথিঃ চেস্টা করবো দেওয়ার
আবিরঃ আজ আমায় তুমি আদর করবে তোমার মত করে,,,কি করবে কি?
তিথিফ আবিরের বুকে মুখ লুকিয়ে নেয় লজ্জায়,,,,আবির তিথির থুতনি ধরে জিজ্ঞেস করে
আবিরঃ বলো তোতাপাখি,,,
তিথি কিছু বলে না শুধু মাথা নাড়িয়ে আবিরের বুকে লুকিয়ে থাকে,,,আবির তিথিকে কোলে তুলে নেয়,,,,,রুমের মধ্যে নিয়ে যায়,,,,বিছানায় বসিয়ে তিথির পাশে বসে,,,তিথি চুপচাপ আবিরও,,, কেউ কিছু বলছে না,,,আবির মুচকি হেসে বলে
আবিরঃ আপনি শুধু ঝগড়া করতে পারেন মিসেস ঝগড়াটি এলিয়েন এই ছাড়া কিছু পারেন না,,,,বাদ দাও ঘুমিয়ে যাও(অভিমানের সুরে)
তিথি আবিরের কলার চেপে ধরে নিজের দিকে টেনে ধরে ঠোঁটে কিস দেয়,,,,ঘাড়ের পিছনে টাইট করে চুল গুলো ধরে রাখে,,,আবির তো পুরো শকড এইটা তার তিথি এই ভেবে,,,,,কিছু ক্ষন পর আবিরের ঠোঁট দুটো ছেড়ে দেয়,,,গালে আলতো করে চুমু দেয় চোখে দেয়,,,,তিথির প্রত্যেক স্পর্শে যেন আজ কেমন জাদু রয়েছে,,,,ভালোবাসায় আজ দুইজনে মুগ্ধ একে অপরের,,,,
সকালে,,,,,
আবিরের বুকে ঘুমিয়ে আছে তিথি,,আবিরের গালে বুকে লিপস্টিক এর দাগ,,,,তিথির ঘুম ভাঙ্গে হঠাৎ নজর যায় আবিরের মুখে,,,ঘুমান্ত চেহারায় আবিরকে যে অনেক কিউট লাগছে তিথির,,,একটু হালকা উঠে আবিরের কপালে চুমু এঁকে দেয় পরম আদরে,,,,ঠোঁটে হালকা চুমু দিয়েই উঠে যেতে লাগে আবির চেপে ধরে টান দেয় তার বুকেই,,,
তিথিঃ আ,,মাকে উঠতে হবে প্লিজ ছাড়ুন,,,
আবিরঃ আসলে তিথি রাতে মনে হয় আদর কম হইছে,,,
তিথিঃ কিইইই? দূর সরেন তো বাজি
আবিরঃ হুম সরবো একটু পরে
এই বলে আবির টেনে নেয় তার তোতাপাখিকে,,,
,,,,,,,,,,,,,,,,,২৫ বছর পর,,,,,,,,,,,,,,,,,
আজ রহমান বাড়ি নতুন রুপে সাজানো,,,বিয়ের বাড়ি বলে কথা,,,বউ সেজে বসে আছে আবিরা রহমান আবির আর তিথির আদরের মেয়ে আবিরা রহমান,,,,দেখতে পুরো তিথির মতই কিন্তু তার চলাফেরা কথা বার্তা সব আবিরের মত,,,বাপের আদরের মেয়ে আবিরা,,আবিরা একা বয় দুই ভাইয়ের এক বোন,,আব্রাহাম রহমান আবির তিথির বড় ছেলে তাদের মেয়ে মেঝো আবিরা রহমান আর সব চেয়ে ছোট ছেলে ইরফান রহমান,,,,
আব্রাহামঃ ইরফান তোকে কয়বার বলছি এই সব গান একদম লাগাতে বারণ করার জন্য আম্মু বলতে পারলে অই লোকদের কাঁচা গিলবে
ইরফানঃ সরি ভাই,,,,আপ্পিকে দেখতে দেখতে সব ভুলেই গেকাম,,,
রিমানঃ আব্রাহাম বর যাত্রী এসে যাবে একটু পরেই তাড়াতাড়ি দেকব তো আবিরা রেডি কি না,,
আব্রাহামঃ ওকে রিমান ভাই,,,
রিমান রিতু আর আমান রহমান এর ছেলে তা তো জানেই,,,তাদের কিন্তু আর একটা মেয়ে ও আছে আরিয়ানা রহমান,,যে আবিরার বড় আরিয়ানার বিয়ে হয়েছে দুই বছর আগে,,,রিতু আমান আজও রিমানকে জানতেই দেয় নাই যে আমান রিমানের আসল বাবা না,,সবাই সুখেই আছে এখন,,,
বউ সেজে বসে আছে আবিরা,,,,দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে,,,,আবিরকে আজ অনেক হ্যান্ডসাম লাগছে আজ তার মেয়ের বিয়ে কিন্তু তাকে হ্যান্ডসাম এতো লাগছে যে মনেই হচ্ছে না তার মেয়ের বিয়ে,,,,দেখতে আজও সে হ্যান্ডসাম যা আগে ছিলো,,,তার কলিজার টুকরার বিয়ে চোখে পানি এসে যায় তাড়াতাড়ি মুছেই আবিরার সামনে যায়,,
আবিরঃ বাহা আজ আমার ছোট পরীটাকে বউ সাজে অনেক সুন্দর লাগছে,,,,একটু পরে আমার পরীটা অন্যের ঘরে চলে যায়,,,
আবিরাঃ আমি যাবো না পাপ্পা,,,প্লিজ আমায় যেতে দিয়ো না তোমায় ছাড়া এক ফিন থাকি নাই আনি কি ভাবে থাকবো আমি পাপ্পা
আবিরঃ জানি আনি আমার রাজকুমারী আমাকে ছাড়া যে থাকতে পারে না,,,যখনই পাপ্পার কথা মনে পড়বে এসে যাবে আর পাপ্পা তো যাবোই,,
আবিরা আবিরকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেয়,,,আবিরা তার বাবার সব চেয়ে প্রিয়,,,বাবা মেয়ের এক আলাদা টান,,চোখের পানি আজ ধরে রাখতে পারছে না আবির,,,পিছন থেকে এক আওয়াজ আসে
তিথিঃ সব যদি পাপ্পার জন্য হয় তাহলে মাম্মা কি দোষ করছে হুম,,,আর এই যে মিস্টার বজ্জাত এনাকন্ডা আমাকে ও আমার মেয়েকে দেখতে দেন হু,,,
আবিরা হেসে দেয় তার মাম্মা লাপ্পার ঝগড়া সব সময় এমন দুষ্টু মিষ্টি,,,একে অপরের জান যে তা সবাই জানে,,,ভালোবাসায় বিয়েতে তাদের বেশি বিশ্বাস হয় তাদের মাম্মা পাপ্পাকে দেখে,,,,আবির আর তিথির সম্পর্ক যে অন্য রকম হাসি মজা ফাজলামি সব আছে,,
তিথিকে আজকে কিউট লাগছে শাড়ি পড়েছে কালো কাতানের,,,,,,এখনও তার সে রুপ,,,তিথি দেখতে সুন্দর কিন্তু বয়েসের সাথে সাথে তাকে আরো কিউট আর সুন্দর লাগে,,,আবিরা তার মাকে জড়িয়ে ধরে বলে
আবিরাঃ আমার বেস্ট মাম্মা পাপ্পা,,,লাভ ইউ সো মাচ
আবিরঃ এই ঝগড়াটি এলিয়েনকে লাভ ইউ বললি আবিরা আর আমাকে হু,,,

তিথিঃ এতো ক্ষন যে তাকে বলছে তা না হিংসেটু,,,
আবিরাঃ উফফ আজ আমার বিয়ে আর তোমরা টম জেরির মত আবার ঝগড়া উফফ আল্লাহ এরা আমার মাম্মা পাপ্পা নাকি আমি ওদের মাম্মা কে জানে,,,
আব্রাহাম আর ইরফান ও আসে,,,,তারা দুইজন তাদের আদরের বোনকে জড়িয়ে ধরেই কেঁদে দেয়,,আর তিথিও কেঁদে দেয় আবির অবাক এতো ক্ষন তিথি কান্না করে নাই যেই না তার ছেলে দুইটা কান্না শুরু করছে তখনই তিথিও করা শুরু
আবিরঃ হইছে এখন বন্যা শুরু
আবিরা আবিরকে ও ডাকে,,,সবাই একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আমান আর রিতু ডাকতে আসে এদের আর এদের কান্ড দেখে থমকে যায়,,,,,আমান ছবি তুলে ওদের এমন অবস্থা দেখে,,
রিতুঃ আবিরা তোর মেকাপ নষ্ট হবে এতো যে কা না করছিস,,আর তিথি তোর ও
সবাই হেসে দেয় এমন কথায়,,,বর যাত্রী এসে যায় আবিরাকে নিয়ে যায় তার দুই ভাই তার বাবা,,,সবাই অনেক খুশি আজ,,,বিদাই এর পর সবাই অনেক কান্না করে সব চেয়ে বেশি তো আব্রাহাম ইরফান আর আবির তো নাই বা বললাম,,,,
বারান্দায় আন মনে দাঁড়িয়ে আছে আবির,,,,পিছন থেকে তিথি জড়িয়ে ধরে তবুও আবির চুপ,,
তিথিঃ অহ বজ্জাত
আবিরঃ হুম
তিথিঃ আজ না ভাবছি তেলাপোকার চাটনি দিয়ে কেঁচো ভুনার খিচুড়ি খাইলে কেমন হবে,,
আবিরঃ ইয়াক তুমি খাও খবিশ
তিথিকে সরিয়ে,,,
তিথিঃ বা রে এতো মজার খাবার খাইলে খবিশ হয় হু,,,জানো ইঁদুরের মাংস দিয়ে তো সেমাই ইয়ামি জিভে জল আসে এমন খাবার এর নাম মনে করলেই,,
আবিরঃ আসলেই তো আমি তো ভুলেই গেলাম আমার বউ একটা এলিয়েন উফস সরি ঝগড়াটি এলিয়েন তার কাছে এইসব ইয়ামি ইয়াক থু
তিথিঃ বিপজ্জনক রাক্ষস একটা আমার মত শান্ত ভদ্র লক্ষি বউ আর জীবনে পাবি হুম
আবিরঃ জ্বী আপনি একটু বেশি অই সব এতো যে মাঝে মাঝে পাবনায় যাওয়া উচিত আপনার
তিথি আবিরের কলার টেনে রেগে বলে
তিথিঃ হারামি লোক একটা আমি অনেক ভালো ওকে,,,আর হ্যাঁ আমি ভালো ওকে
আবিরঃ ইসসস এই চাহিনি আমি তো ফিদা ইসসস
তিথি তাড়াতাড়ি ছেড়ে দিয়ে বলে
তিথিঃ লজ্জা করে না কিছু ক্ষন আগে আপনার মেয়ের বিয়ে হইছে আর আপনি এখানে লাইন মারছেন হু
আবিরঃ শুনো প্রেম করতে বয়স লাগে না ম্যাডাম আর হ্যাঁ নিজের বউয়ের উপর লাইন মারছি অন্যের বউয়ের উপর না ওকে
তিথিঃ হু বুজছি
আবিরঃ বিয়ের এতো বছর হইছে এতো জোর করলাম তবুও তুমি আমাকে তুমি বলে ডাকো না হয় আপনি আর রেগে গেলে তো তুই,,তুমি বললে সমস্যা কই হুম
তিথিঃ আপনি বলতে আমার বেশি ভালো,, আর হ্যাঁ আমার ইচ্ছে আমি যা ইচ্ছে ডাকবো হু
আবির তিথিকে জড়িয়ে ধরে বলে
আবিরঃ আজ আমার বউ টাকে এতো কিউট লাগছে ইসসস,
তিথিঃ হইছে বুড়া বয়সে রোমাঞ্চেএ ভুঁত মাথায় সরেন তো
আবিরঃ আজ নো ছাড়াছাড়ি অনলি রোমাঞ্চ,,
তিথি অনেক চেস্টা করে ছুটার কিন্তু আবির তিথিকে জড়িয়ে ধরে আর তিথির কপালে চুমু দিয়ে সে নীল আকাশে তাকায়,,,
ভালোবাসা যেন তাদের আজও আগের মতই,,,,সব কিছু যেন অনেক সুন্দর তাদের কাছে,,আবির তিথির ভালোবাসা যে পুরো অন্য রকম,,ঝগড়া করে প্রচুর কিন্তু অযথা কারণ নিয়ে আবার কিছু ক্ষনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়,,,দুষ্টু মিষ্টি ঝগড়া যেমন তাদের থাকে ঠিক তেমনি তাদের ভালোবাসা যেখানে শুধু বিশ্বাস সম্মান রয়েছে,,,,সুখে আছেই তারা দুইজন আর রিতু আমান তারাও সুখে আছে,,,দুইজনের জীবনে এমন জীবন সাথী এসেছে যারা তাদের চোখে পানিও সহজে আসতে দেয় না,,,আবির তিথি রিতু আমান তারা সুখে সংসার করছে,,,
সবাই সত্যিকারের ভালোবাসা পায় না আর যারা পায় তারা সহজে ধরে রাখতে পারে না কম মানুষেই পারে ধরে রাখতে ভুল গুলো শুধরে নিয়ে কাছে টেনে নিতে,,,কম মানুষ পায় তাদের সত্যিকারের ভালোবাসা যারা পায় তারা খুবই ভাগ্যবান,,,,সত্যিকারের ভালোবাসা সবাই যেন পায় দোয়া করি,,,,আমার জন্য ও সবাই দোয়া করবেন,,,
,,,,,,,,,,,,,,,,,,❤সমাপ্ত❤,,,,,,,,,,,,,
ধন্যবাদ সবাই কে আমাকে অনেক সহ্য করলেন লেট করে গল্প দেই তবুও সবাই অপেক্ষা করতেন এই জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ সবাইকে আর সবাই আমাকে এতো ভালোবাসা দেওয়ার জন্য অনেক ভালোবাসা,,,সবার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো বেঁচে থাকলে আবার আসবো সবার মাঝে নতুন কিছু নিয়েই,,এই পর্যন্ত আমি বিদায় নেই ভালো থাকবন সবাই আসসালামু আলাইকুম 😍😊লাভ ইউ অল
❤❤❤❤