পেইন !! লেখাঃ এপিস ইন্ডিকা !! Part- 08
গভীর ঘুমে আচ্ছান্ন্য বিন্দু।।কিন্তু চোখের কোনে এখন ফোঁটা ফোঁটা জল জমে আছে।।চোখ মুখ ফুলে লাল হয়ে আছে।।দেখেই বুঝা যাচ্ছে কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে গেছিল সে।।শিশির সেই কখন থেকে ঘুমন্ত বিন্দুকে দেখে যাচ্ছে।।আর ভেবে যাচ্ছে।।
—-তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলেছি বিন্দু।। আর না এবার তোমাকে আপন করে নিবো।।তুমি হয়তো ভাববে আমি কেন
এভাবে তোমাকে বিয়ে করেছি।।ভাবারি কথা।।
ঘুমন্ত বিন্দুর মুখের উপর এক হাত দিয়ে আদর করতে লাগলো শিশির আর বলতে লাগলো,,,
—–তোকে সেই ছোট থেকে ভালবাসিরে বিন্দু।।খুব।।তোকে সব সময় খুশি রাখতে চাইতাম।।কিন্তু তার আগেই সব এলো মেলো হয়ে গেল।।আমি চাই নি।।এক নরগ থেকে অন্য নরগে তুই যা।।তোর ভাই যে তোর বিয়ে এমন একজনের সাথে বিয়ে ঠিক করেছে যে তোকে বিয়ে করে নিয়ে বেঁচে দিত।।তুই বল আমি তা যেনে শুনে কীভাবে ওদের কাছে ফেলে রাখতাম।।আমি তো চাই আমার ছোট বিন্দু সুখে থাক।।
শিশিরের চোখের কোনে জল এসে জমা হয়।।চোখের কোনের জল মুছে বিন্দু থেকে উঠে যেতে নেয়।।কিন্তু পারে না।।ঘুমের ঘরে বিন্দু শিশিরের হাত ধরে তার মাথার নিচে গুজে নেয়।।শিশির হেসে দেয়।।আর তার বিন্দুর কঁপালে গভীর চুম্বন একে দেয়।।এবং তার পাশ ঘেসে বিন্দুর বুকে মাথা রেখে শুয়ে পড়ে।।আজ যেন খুব শান্তি লাগছে বিন্দুর বুকে মাথা রেখে।।শিশির ক্লান্ত থাকায় ঘুমিয়ে যায় তাড়াতাড়ি।। তখনি চোখ খুলে বিন্দু।।শিশিরে স্পর্শে তখন ঘুম ভেঙ্গে গেছিল তার কিন্তু তা বুঝতে দেয়নি বিন্দু।।বুঝলে হয়তো এসব কথা তার অজানাই থাকতো।।ছোট থেকেই বাপ-ভাইকে ভালবাসলেও তাদের কাছে অবহেলা ছাড়া কিছু পায়নি সে।। কিন্তু এই একটি ব্যক্তি সেই ছোট থেকেই তাকে আগলে রেখেছে।।তার ছোট ছোট আবদার পূরণ করে গেছে।।
এসব ভাবতেই বিন্দুর মনে পরে যায় সেই ছোট বেলার কথা।।শিশিরের সাথে হাতে হাতে ধরে স্কুলে যাওয়া।।পুকুর পারে বসে বসে আড্ডা দেওয়া।।ছোটে বেলার কথা মনে পরতেই হেসে দেয়।।তারপর শিশিরকে জড়িয়ে ধরে ঘুমের সাগরে ঢুব দেয়।।
.
পর্দার আড়ল দিয়ে এক ফলা রোদ এসে পরে শিশিরের চোখে।।শিশির ঘুমের মাঝেই চোখ কুচকে যাচ্ছে বার বার।।বিন্দু মাত্রই গোসল সেড়ে রুমে আসে।।শিশিরের চোখের উপর রোদ পড়াতে চোখ কুচঁকে থাকতে দেখে তার সামনে যায়।।রোদ আড়াল করে তার সামনে দাড়ায়।।শিশির তখন চোখ মুখের ভাজ ঠিক করে ফেলে।।বিন্দুর তা দেখে মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি কাজ করে।।সে সড়ে যায় শিশিরের সামনে থেকে।।আবার কুচঁকে নেয় মুখ, চোখ।।আবার সামনে গিয়ে দাড়ায়।।এমন করে বিন্দু মুচকি হাসতে লাগে।।আজ অনেক দিন পর তার শিশির ভাইয়ের সাথে দুষ্টুমি করার সুযোগ পেয়েছে।।তা হাত ছাড়া করতে চায় না সে।।এক পর্যায় শিশির নড়ে চড়ে উঠে।। তা দেখে বিন্দু দৌড় দিতে নেয়।।তখনি খপ করে ধরে ফেলে শিশির তার হাত।।আর টান দিয়ে বেডে ফেলে দেয়।।হটাৎ এমন চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে সে শিশিরের দিক।।শিশির বিন্দুকে বিছানার সাথে চেপে ধরে বলতে লাগে,,
—–আমার ঘুম হারাম করে এখন পালানো হচ্ছে না।।
বিন্দু শুকনো ঢোক গিলে বলতে লাগে,,
—–আমি কিছু করিনি??
শিশির এবার তারনবাম হাতের এক আঙ্গুল দিয়ে কপাল থেকে গলানপর্যন্ত স্লাইড করতে লাগলো।।এমন করাতে বিন্দুর শরীরে শিহরণ দিয়ে উঠলো।।বিন্দু চোখ খিচে বন্ধ করে ফেলল।।বিন্দুর ঠোট কেঁপে যাচ্ছে বার বার।।তা দেখে শিশির কন্টোললেস হতে লাগলো।।সাথে সাথে বিন্দুর নরম ওষ্ঠদ্বয় গুলো শিশিরের ওষ্ঠদ্বয় আবদ্ধ করে নিলো।।হটাৎ এমন হওয়াতে চোখ মেলে তাকায় বিন্দু।।শিশরেরও তাকিয়ে বিন্দুর চোখের দিক।।ধীরে ধীরে দুজনেই আয়শে চোখ বন্ধ করে নেয়।।শিশিরের সাথে তাল মিলিয়ে বিন্দুও চুমু খেতে থাকে।।
হটাৎ করেই শিশিরের কিছু মনে পড়ায় যায় ঝাটকা মেরে শরীয়ে দেয়।।তারপর উঠে চলে যায় ওয়াশরুমের দিক।।
এদিকে শিশিরের এমন করায় ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রয় শিশিরের যাওয়ার দিক।।তারপর দীর্ঘ শ্বাস ফেলে নিচে নেমে যায়।।
.
শিশির ওয়াশরুম থেকে মাথা মুছতে মুছতে বের হয়।।রুমে বিন্দুকে না পেয়ে।।চার পাশ দেখতে লাগে,,নাহ নেই।।না পেয়ে ডাকতে লাগে জোড়ে।।না কোনো সাড়া নেই বিন্দুর।।দৌড়ে নিচে চলে আসে শিশির।।এসে দেখে,,বিন্দু রান্না ঘরে টেবিলের দিকে ঝুকে কি জানি করছে।।শিশির সেদিকে যেতে নিবে তখনি ডাক পরে রাহুলের।।শিশির আর রান্না ঘরে না গিয়ে চলে যায় রাহুলের দিক।।
—-দেখ দোস্ত আজকে হেড লাইন।।তুহিন শেখ নিজ গৃহে আত্মহত্যা।।
বলেই হাসতে লাগলো।।শিশিরে ঠোটেও বাঁকা হাসি।।আজ ২ নাম্বার শত্রুকেও কাফন পড়াতে পেরেছে সে।।এখন শুধু বাকি রাহিন।।
চলবে,,