ঘৃণার মেরিন

ঘৃণার মেরিন Season 3 !! Part- 27 (Last-Part)

৫দিনপর…
মেরিন : আসবো ডক্টর তপু…
তপু : আরে মেরিন এসো এসো। বসো।
মেরিন বসলো।
মেরিন : ভালো আছেন আপনি?
তপু : হামমম।
মেরিন : মিথ্যা বলছেন। ১হাত কাটা নিয়ে কেউ ভালো থাকতে পারে?
তপু : …
মেরিন : আসলে কি বলবো? নীড়ের তরফ থেকে sorry বলতে এসেছি… উনি ভুল করেছে…
তপু : হয়তো ঠিক করেছে… নীড়ের জায়গায় আমি থাকলেও হয়তো এটাই করতাম …
মেরিন : মমমানে ?
তপু : আমি আসলেই ভুল মেডিসিন prescribe করেছিলাম। তবে বিশ্বাস করো … সেগুলো তোমার ক্ষতি করতো না … তোমার condition same ই থাকতো। মানে memory ফিরবেনা । যেমন আছে তেমনই থাকবে…
মেরিন :…
তপু : আমি অপরাধী … কারন আমি তোমার…
মেরিন : আমার …?
তপু : কককি ককিছুনা…
মনে মনে : তোমাকে সত্যি বলার সাহস আমার নেই … নীড় তো কেবল আমার হাত কেটেছে… জানিনা তুমি কি করবে? যদি কেবল আমাকে মেরে ফেলতে তাহলে ভয় করতো না সত্যি বলতে… কারন মরতে আমি ভয় পাইনা । আমি তো তোমাকে চিনি… তুমি আগে আমার চোখের সামনে আমার পরিবারকে চরম শাস্তি দিবে। পরে আমাকে মারবে…
মেরিন মনে মনে : তোমার “আমি তোমার” কথাটার মধ্যে কিছু ১টা আছে তপুদা…
মেরিন : আসছি ডক্টর তপু…ভালো থাকবেন…
মেরিন বেরিয়ে গেলো ।
মেরিন : হ্যালো জন…
জন : জী ম্যাম…
মেরিন : তপুদার full protection এর ব্যাবস্থা করো… তপুদার সুস্থ-জীবিত থাকা জরুরী… তার ভেতর অনেক কথা লুকিয়ে আছে। যেগুলো জানা জরুরী। &&& সে confess করেছে যে সে ভুল মেডিসিন prescribe করেছে। but reason টা বলেনি… find the reason & others thing …
জন : sure mam…

মেরিন : হা করুন…
নীড় : …
মেরিন : কি হলো খাচ্ছেন না কেন? খখখেয়ে নিন…
নীড় : আমাকে একটু একা থাকতে দিবে প্লিজ…
মেরিন : দদদিবো … খেয়ে নননিন… এরপর চলে যাচ্ছি আমি…
নীড় : তুমি কি ভীতু ভীতু খেলা খেলছো আমার সাথে ? নাটক করছো…?
মেরিন : নননাটক… ? কিসের নাটক?
নীড় : বোঝোনা … নাকি এটাও নাটক ? যদি সত্যি এতো ভয় পেয়ে থাকো তবে কোন সাহসে তপুর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলে ?
মেরিন মনে মনে : উনি কি করে জানলো ?
নীড় : বলো…
মেরিন : আপনি কি করে জানলেন?
নীড় : তুমি বন্যা হলে আমিও বর্ষন মেরিন… আর আমি এও বুঝে গিয়েছি যে তুমি ফিরে এসেছো… ভয়ংকর মেরিন বন্যা নীড় খান চৌধুরী ফিরে এসেছে …
মেরিন : কককি যাতা বববলছেন ?
নীড় : ঠিকই বলছি । আর তাই এতো সাহস দেখাচ্ছো । আর তাই তোমার চোখে আমার জন্য ঘৃণা না অভিমান দেখতে পাচ্ছি …
মেরিন : আপনার যেটা ভাবার আপনি ভাবুন । তবে মনে রাখবেন আমি আপনাকে কেবল আর কেবল ঘৃণা করি … আর আপনি যদি মনে করেন যে আপনি ভালোবাসেন তবে সেটা ভুল । কারন আপনি আমাকে ভালোবাসেননা । যা করছেন তা পুরোটাই নাটক । নিশ্চয়ই কোনো উদ্দেশ্য আছে । আর সেই উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্যেই এই পাগলামো ভালোবাসার নাটক করছেন … তাও আমার মতো ১টা মেয়ের জন্য যার memoryই নেই … কোনো স্বার্থের জন্যেই আপনি এমন করছেন …
নীড় : তুমিহ এ কককথা বলতে পারলে …
মেরিন : হ্যা পারলাম ।
নীড় : তোমাকে আমি ভালোবাসি … এটাই সত্যি । তোমার memory থাকুক আর না থাকুক তুমি আমার স্ত্রী … তোমাকে ভালোবাসার অধিকার আছে আমার …
মেরিন :oh really ??? আমি আপনার স্ত্রী ? আমার তো বিশ্বাস হয়না । যদি আপনি সত্যিই আমার স্বামী হতেন তবে আমার মনের কোথাও না কোথাও আপনি থাকতেন। স্মৃতি হারানোর পরও আপনার জন্য মায়া থাকতো । কিন্তু নেই । আমার তো কারো কথা মনে ছিলোনা । তবুও সবার প্রতি মায়া জমেছিলো । কিন্তু আপনার জন্য শুধুই ঘৃণা … তাছারা আর কিছুইনা । আমার মনে হয়না আদোও আপনার সাথে আমার কোনো সম্পর্ক আছে …
নীড় : …
মেরিন : আপনার হিংস্র রূপের জন্য হয়তো আপনাকে কেউ কিছু বলেনা । ভয় পায়। কিন্তু আমি পাইনা। কারন আমার হারানোর কিছু নেই । আপনার আর আমার মধ্যে শুধু ১টাই সম্পর্ক আছে । সেটা হলো ঘৃণার। আমার জীবন বাচিয়েছেন তাই কৃতজ্ঞ আর সেজন্যেই দায়ে পরে আপনার সেবা করছি । যতোদিন সম্পুর্ন সুস্থ না হন ততোদিন সেবা করবো । এর বেশি কিছু আশা করবেন না … কারন আপনি ভালোবাসার অযোগ্য । কুৎসিত মনের অধিকারী। আমি আপনাকে ঘৃণা করি … আপনি বাচুন মরুন আমার কিছু যায় আসেনা …
বলেই মেরিন washroomএ চলে গেলো ।

মেরিন : অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলেছেন … আপনার ছলনার সামনে আজকে আপনার ভালোবাসা অসহায় নীড় … হয়তো আজকে আপনার ভালোবাসাও ছলনা … ছলনার মুখোশে আপনার অসহায় চেহারা ঢেকে গিয়েছে …
মেরিন নিজের চোখের পানি বিসর্জন দিয়ে হাতমুখে পানি দিয়ে বের হলো । বেরিয়ে দেখে নীড় নেই ।
মেরিন : নীড় কোথায় গেলো?
নীড় বারান্দায় গেলো । দেখলো নীড় নেই । দৌড়ে নিচে নামলো।
মেরিন : নীড় …নীড়…
নীলিমা : মেরিনরে … ছেলেটা গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেলো । কোনো কথা শুনলোনা … এই শরীর নিয়ে …
মেরিন : …
মেরিন রুমে গেলো ।
মেরিন : হ্যালো জন … follow নীড় …. & protect him…
জন : of course mam…
কিছুক্ষন পর জন ফোন করলো । মেরিন অস্থির হয়ে
বলল : নীড় ঠিক আছে …
জন : জী ম্যাম। স্যার ঠিক আছেন। কিন্তু ১টা বাড়িতে ঢুকে নিজেকে বন্দী করলো।
মেরিন : নজর রাখো। যেন কিছু উল্টা পাল্টা না করে …
জন : of course mam…
.
একটুপর…
মেরিন কোনোকিছু করেই শান্তি পাচ্ছেনা ।
মেরিন : নীড় কিছু করবেনা তো…
মেরিন কাবার্ড গোছাতে লাগলো । তখন সামনে ১টা ডাইরী পরলো । ডাইরীটা বেশ পুরোনো। মেরিন যখন ছোট ছিলো তখন ও ১টা classmate এর birthday partyএর invitation ছিলো । তাই কবির ১টা cartoon ওয়ালা ডাইরি এনে দিয়েছিলো । gift করার জন্য । কিন্তু নীড় মেরিনকে সেই program এ তো যেতে দেইনি সেই সাথে ডাইরিটাও নিয়ে নিয়েছিলো। এটাই সেই ডাইরি …
মেরিন : এই ডাইরি? এখনও আছে? অবাক তো …
মেরিন ওটা খুলতে গেলো কিন্তু পারলোনা। password দেয়া । মেরিন নানাধরনের password দিলো। নীরা , নীড়-নীরা… নীরা-নীড় … পরে কিছু ১টা ভেবে “বনপাখি” দিলো। তখন খুলে গেলো। যেখানে front pageএই নীড়-মেরিনের ছবি দেয়া । মেরিন পাতা উল্টাতে লাগলো ।
# আজকে বনপাখির নাম আমার বুকে লিখলাম। ছোট হলেও তো আমরা স্বামী-স্ত্রী তো …
# বনপাখি খুনী… ওর সামনে আর যাবোনা । যদি আমাকে মেরে ফেলে…
# মামিমনি বনপাখিকে জেলে পাঠিয়ে দিলো। অনেক মিস করছি । কার সাথে খেলবো। কিন্তু বাইরে থাকলে যদি আমাকেও মারে!!😥। এখনও রাতে ভয় করে… ইশ কতো রক্ত। আমার মামা…
# আজকে দেশ ছেরে কতো দূরে চলে এলাম । কারন বনপাখির ভয়ে রাতে ঘুম আসেনা।… সেই রক্তাত্ব দৃশ্য চোখে ভাসে।
# আজকে ১৮তে পা দিলাম … বনপাখি ১৫ তে… ওকে কি বনপাখি ডাকা ঠিক হবে?
# আজকে নীলা আমাকে propose করলো। নীলা তো জানে যে ও আমার স্ত্রী তবুও কেন propose করলো?
# ওর ওপর রাগ করেই আজকে নীলাকে accept করলাম। ছিঃ কি করলাম ? এটা যে না জায়েজ। আমি যে married …
# নীলা এমন কেন? ও জানে যে বিয়ের আগে intimacy আমার ভালো লাগেনা… তবুও…
# আমি কি সত্যিই নীলাকে ভালোবাসি… তবে কেন ও effect করেনা … চোখ বন্ধ করলে যে আজও ওকে দেখি… পর মুহুর্তেই যে সেই ভয়ানক স্মৃতি মাথা চরা দেয় ।
# ৭টা বছর পর ওকে দেখলাম… সময় থেমে গিয়েছিলো ওকে দেখে। পুরোনো ভালোবাসা আজ আবার নরে উঠলো … অস্বাভাবিক সুন্দর ও … চোখ ফেরানো দায় …
# না না ওকে মনে জায়গা দিয়ে যাবেনা । ও খুনী… কিন্তু ও যে আবার নতুন করে আমার চোখের ঘুম কেরে নিয়েছে।
# ওকে অপমান করে বুকটা ফেটে যাচ্ছে। ওর মলিন মুখ…
# আজকে ৩-৪বছর পর আবার ও কে দেখলাম। কি রাগী? কি তেজ? সূর্যের মতো ওর তেজ। attitude প্রেমে পরার মতো ।
# ওর সাথে বিয়ে হয়ে গেলো । আবার… হয়তো এটাই ভাগ্য …
# পাগলের মতো ভালোবাসে ও আমাকে… কেন এতো ভালোবাসে ?
# সত্যিই কি ও নারী-শিশু পাচারে জরিত? সেদিন তো নানুভাইয়ের সাথে বলতে শুনলাম।
# ছিঃ… নিজের ওপর ঘৃণা চলে এলো । আজকে ওর ভালোবাসার সুযোগ নিলাম… যে আমাকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসলো তাকে এমন ধোকা দিলাম ? বাসায় গিয়ে কি করে face করবো … কিন্তু ওর অপরাধ যে বড় …
# ভালোবাসি মেরিনকে … অনেক বেশি ভালোবাসি … নিজের থেকেও বেশি। ওকে ছারা নিজেকে ভাবতেই পারিনা …
# মেরিন তপুর সাথে … শুনে বুকটা কেপে উঠলো । নিজেকে শেষ করে দিতে মন চাইছে ।
# মেরিনকে সন্দেহ করলাম ? ছিঃ …
# মেরিন আসলে মানসিক রোগী । তাই এমন করে । ওকে ভালোবেসে সুস্থ করতে হবে । নরমাল করতে হবে …
# বনপাখি অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠছিলো । মামিমনি এসে ঝামেলা পাকিয়ে গেলো । damn it…
# মামিমনিকে পাওয়া যাচ্ছেনা … মনে করেছিলাম যে মেরিন কিছু করেছে । কিন্তু না। বনপাখি আমাকে বলেছে যে ও জানেনা ।
# কি করবো বুঝতে পারছিনা … মেরিনকে অবিশ্বাস করতে ইচ্ছা করছেনা। narco test করা কি ঠিক হবে ? কিন্তু আমি চাইনা বনপাখি আর কোনো অপরাধ করুক…
# হয়তো আজই শেষ ডাইরি লিখবো ।১বার মেরিনকে sorry বলে নিজেকে শেষ করে দিবো । কারন আমি যে পশুর চেয়েও খারাপ। নিজের সন্তানকে মেরে ফেললাম। আমার বাচার অধিকার নেই …
# নিজের ভালোবাসাকে নিজে কবর দিয়েছি। বিনা অপরাধে আমার বনপাখি কতো কষ্ট সহ্য করেছে । কেউ বিশ্বাস করিনি যে মামা বেচে আছে । ওটা মামা না… ও খুন করেনি ….

# এতোটুকু ঘৃণাই সহ্য হচ্ছেনা … বনপাখি এতো কিভাবে সহ্য করলো …
# বনপাখির মনে তপু … শুধু ওর মুখে তপুর নাম শুনেই সহ্য হচ্ছেনা । তাহলে ও নীলার সাথে কিভাবে সহ্য করতো ?
ডাইরিটা পরে মেরিনের চোখ থেকে টুপটুপ করে পানি পরছে । ডাইরি টা রেখে দিলো ।
.
বারান্দায় বসে মেরিন কান্না করছে । নীড় সত্যিই ওকে ভালোবাসে । ও নীড়কে দোষ দিয়েছে । কিন্তু কখনো নীড়ের দিকতো ভেবেই দেখেনি … যখন এসব হয়েছিলো তখন নীড়ের বয়সই বা কতো ছিলো ? মাত্র ১৫… ১টা ১৫বছরের বাচ্চার সামনে যদি অমন ভয়ানক রক্তাত্ব দৃশ্য দেখে তবে আতঙ্কে তো পরবেই … আর ছোটবেলায় ১বার যে ভয়টা মনে ঢুকে যায় সেটা সহজে বের হয়না …
মেরিন অনেক কান্না করছে। তখন নীড় এসে মেরিনকে জরিয়ে ধরলো । মেরিনের ঘাড়ে মুখ গুজলো । মেরিন বুঝতে পারলো যে এটা নীড় । আর এটাও বুঝতে পারলো যে নীড় কান্না করছে। ১৫-২০সেকেন্ডের মাথায় নীড়ও বুঝতে পারলো যে মেরিনও কাদছে । নীড় নিজের কান্নাটা কোনো রকমে থামালো ।
নীড় : ককি হয়েছে বনপাখিহ…
বনপাখি বলতেই মেরিন নীড়কে ছারিয়ে ওরদিকে ঘুরে ওকে জরিয়ে ধরে হাউমাউ করে কাদতে লাগলো। নীড় কিছুই বুঝতে পারলোনা । অবাক হলো। কিন্তু মেরিনের কান্না নীড়ের বুকে ছুরির মতো আঘাত দিচ্ছে।
নীড় : কককাদছো কেন ? আমি ঠিক আছি তো … i am sorry… আসলে রাগ উঠলে মাথা ঠিক থাকেনা । তাই উল্টা পাল্টা ক…
নীড় আর বলতে পারলোনা । মেরিন ঠাস ঠাস ঠাস করে নীড়ের ২গালে থাপ্পর দিতে লাগলো।
মেরিন : আপনি খারাপ…. আপনাকে ঘৃণা করি ঘৃণা করি ঘৃণা করি ….
নীড় মেরিনের ২গালে ২হাত রাখলো। মেরিন ধাক্কা দিয়ে নীড়কে সরিয়ে দিলো ।
মেরিন : don’t touch me… you are a liar… big liar… i hate you…
নীড় যতোবার মেরিনকে ধরতে যাচ্ছে মেরিন ততোবার সরিয়ে দিচ্ছে । শেষ নীড় কঠোরভাবে মেরিনকে ধরলো। কপালে কপাল ঠেকালো ।
নীড় : তোকে ভালোবাসিরে বনপাখি … খুব বেশি ভালোবাসি … বাচতে পারবোনা তোকে ছারা। খুব দরকার তোকে আমার … ঘৃণা কর আমাকে অসুবিধা নেই … কিন্তু আমার কাছে থাক… ভালোবাসতে দে তোকে … মরে যাবো তোকে ছারা …
😭😭😭…
(((এরা emotional হয়ে romance করুক… আমার জামাইর কি…. পরের ঘটনাতে যাই… 😒😒😒)))
.
কিছুদিনপর…
জন ফোন করলো ।
মেরিন : হ্যালো জন…
….
মেরিন : কি???😤😤😤। ৪ঘন্টা সময় দিলাম। সবাইকে আমি আমার কালকোটরিতে চাই ….

৪ঘন্টাপর…
আরো ১বার সবার হাত-পা মুখ বাধা । কেবল চোখ জোরা খোলা । তবে আজকে ওদের সাথে তপু , রাজু আর কবিরও আছে ।
মেরিন : welcome once again my friends …. আমার এই অন্ধকার জগতে সবাইকে স্বাগতম । সেদিন আমার পরম স্নেহের বাবা আমাকে shoot করেছিলো । কি নিদারুন ভাগ্য আমার। মা-বাবা-স্বামি সবাই পেছন থেকে প্রহার করে। uffs… একটু ভুল । মা সামনে থেকেই প্রহার করতো। এর জন্য respect নিবেন মিসেস খান … যাই হোক । আজকে আমি সেদিনের অপূর্ন কাজ সম্পুর্ন করবো । আমার সন্তানের খুনীকে খুন করবো। তার আগে ডক্টর তপু i have a surprise for you… জন…
জন তপুর মা-বাবাকে নিয়ে এলো। ওদেরও হাত-পা বাধা । ওদেরকে দেখে তপু সবটা বুঝতে পারলো ।
মেরিন : ডক্টর তপু কেমন লাগলো surprise ??? ও হ্যা এতোক্ষনে নিশ্চয়ই বুঝে গিয়েছেন যে মেরিন বন্যা ন… চলে এসেছে । memory ফিরে এসেছে । আগেই ফিরেছে। যেদিন নীড়ের accident হয়েছিলো । যাই হোক। আসল কথায় আসি ।
সবাই : …
মেরিন : তপুদা… মেরিনের স্মৃতি থাকুক আর নাই থাকুক। মেরিনের মনে ২য় কোনো পুরুষের স্থান নেই। নীড়ের জন্য যদি ঘৃণাও থাকে অন্যকারো জন্য ভালোবাসা কোনোদিনও থাকবেনা। হ্যা ওই কদিন just নীড়ের হিংস্রতা দেখে উনাকে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আর ভয়ের সামনে তোমাকে পেয়েছিলাম … যে জন্য একটু ভরসা type কিছু ছিলো । ভালোবাসানা। তুমি আমাকে ভুল ঔষধ দাও না বিষ দাও তাতে আমার কিছুই হতোনা । তবে তুমি এই ভুল করেছো যে নিজেকে আমার সাথে জুরে দিতে চেয়েছো । যেটা তোমার ভুল … পাবে পাবে শাস্তি পাবে। আগে এই রাজুকে শেষ করবো ।
বলেই রাজুকে shoot করে দিলো।….
মেরিন নীড়ের কাছে গেলো।
মেরিন : জা…ন … ঠিকই ধরেছিলেন সেদিনই আমার memory back করেছিলো। তবে হ্যা আপনার মাথায় হাত দিয়ে আমি মিথ্যা বলিনি। কারন এই নীড় আমার স্মৃতির পাতায় ছিলোনা। যাই হোক সন্তানরা বড় হলে মা-বাবাই তাদের কাছে সন্তান হয়ে যায়। তাইনা নীড়…
আমার সন্তানের খুনির মা-বাবাকে আগে খুন করবো । তারপর তাকে …
মেরিন গান হাতে নিলো । ২হাতে ২টা….১টা নিহালের দিকে তাক করলো আরেকটা নীলিমার দিকে।
মেরিন : জন… ৫থেকে countdown করো।
জন : জী ম্যাম … 5…4…3…2…1
নীড় চোখ বন্ধ করে ফেলল।
মেরিন বিপরীত দিকে ঠাস ঠাস করে তপুর মা-বাবারে shoot করে দিলো। নীড় চোখ মেলল। আর কাহিনী দেখে অবাক।
মেরিন : আমার সন্তানের খুনী নীড় না। ডক্টর তপু… নীড় যেটা করেছে সেটার তো ক্ষমা নেইই। কিন্তু আমার বাচ্চাটাকে এই তপুই মেরেছে। am i right or am i right তপুদা ….
তপু কেবল কান্না করছে ।
মেরিন : তোমার জন্য আমি নীড়কে ঘৃণা করেছি… তোমার জন্য আমি নীড়কে জানে মারতে চেয়েছিলাম… কি ভেবেছিলে আমি কিছু জানবো না? thanks to আল্লাহ যে সেদিন বাবা আমাকে shoot করেছিলো। তা না হলে সত্যিটা জানতে পারতামনা । your time is over তপু…দা…
মেরিন তপুর হাতে shoot করলো, ২পায়ে shoot করলো। এরপর ঠিক heart বরাবর shoot করলো। করে গান হাত থেকে ফেলে দিলো। এরপর ওর সব গান , ছুরি আর অন্যান্য অশ্র destroy করে দিলো ।

মেরিন হাটু গেরে বসে পরলো।
মেরিন : আর খেলবোনা ঘৃণার খেলা… আজকে এখানেই সব ঘৃণা শেষ করলাম …
মেরিন উঠে গিয়ে কবিরকে জরিয়ে ধরলো।
মেরিন : বাবা… আমি জানতাম আমার বাবা বেচে আছে। মিসেস খানকে ক্ষমা করে দাও । প্লিজ… ইনি যা করেছে তা কেবল আর কেবল তোমাকে ভালোবেসে… বিশ্বাস করেই করেছে। আর আমাকে ভুল মেডিসিন দেয়ার পেছনে মিসেস খানের কোনো হাত নেই । ওটা আমার সাজানো নাটক ছিলো। তুমি মিসেস খান কে আর ঘৃণা কোরোনা। যাকে ভালোবাসি তাকে ঘৃণা করার থেকে কষ্টের আর কিছুই নেই… আর তুমি তো মিসেস খানকে অনেক ভালোবাসো। মিসেস খানের সাথে তোমার স্মৃতিগুলোই তোমাকে সুস্থ করেছে । কথা দাও ক্ষমা করে দিবে… আর ঘৃণা করবেনা… ঘৃণা জীবনে শান্ত আনতে পারেনা। কেবল ধংব্স করে।
মেরিন কবিরের মুখের বাধন খুলে দিলো ।
মেরিন : কথা দাও যে মিসেস খানকে ক্ষমা করে দিবে… আর ঘৃণা করবেনা… promise me…
কবির : মারে…
মেরিন : কথা দাও … বলো আমার কসম খেয়ে বলো… বলো…
মেরিনের অনেক জোরাজোরিতে কবির বলল। বলার পর মেরিন আবার কবিরের মুখ বেধে দিলো ।
মেরিন : এখন আমি তোমাদের সবাইকে ১টা কথা বলতে চাই । তোমরা কেউ আর নীড়ের ওপর অভিমান করে থেকোনা…. নীড় যা করেছে সেটা ঠিকই করেছে। আমি … আমাকে ভালোবাসার কোনো কারনই দেইনি… আর তাছারাও এটা psychologically proved যে ছোট বয়সে brain এর মধ্যে কিছু ১টা ঢুকে গেলে সেটা ১টা লম্বা সময়ের জন্য প্রভাব ফেলে যায়… নীড়েপ মস্তিষ্কেও খুনী বনপাখি ঢুকে গিয়েছিলো। ভয়-আতঙ্ক ঢুকে গিয়েছিলো … আর তাই ঘৃণা বুকে বাসা বেধেছিলো …. আমার উনার ওপর কোনো অভিযোগ নেই । তোমরাও ক্ষমা করে দিও । যদি আমাকে একটুও ভালোবাসো তবে নীড়ের ওপর অভিমান করে থাকবেনা …
মেরিন নীড়ের কাছে গেলো । ওর কপালে কিস করলো ।
মেরিন : sorry… আপনার অজান্তে আপনার ডাইরীটা পড়ে ফেলেছি …
নীড় বেশ বুঝতে পারছে যে মেরিন হয়তো অনেক দূরে চলে যাবে … তাই মাথা নেরে না করছে। মুখ বাধা কিছুই বলতে পারছেনা …
মেরিন : যখন জানলাম যে আপনি আমাকে ভালোবাসেন তখন আমার সব কষ্ট নিমিষেই চলে গিয়েছিলো … ভালোবাসি … অনেক বেশি ভালোবাসি। ভালো থাকবেন । দাদুভাইয়ের খেয়াল রাখবেন …
নীড় : ….
মেরিন : আর কিছু বলার ক্ষমতা এখন নেই … আজকে সব ঘৃণার অবসান করে চলে যাচ্ছে #ঘৃণার_মেরিন …
তখন আলো নিভে গেলো । আর যখন ফিরে এলো তখন …. মেরিন নেই। সবার হাতে বাধন খোলা । নীড় হাটু গেড়ে বসে পরলো।
নীড়: মেরিনহ…

১মাসপর…
মেরিনকে ভোলা নীড়ের পক্ষে সম্ভব না। মেরিনকে ছারা বেচে থাকাও দায় … নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয় নীড়ের। মেরিনকে খুজে পায়নি । বুঝে গিয়েছে যে মেরিন ধরা না
দিলে কারো সাধ্য নেই ওকে খুজে পাওয়ার । তাই নীড় ঠিক করেছে যে নিজেকেই শেষ করে দিবে। suicide করবে। তাই বেডের ওপর চেয়ার তুলে সিলিং ফ্যানের সাথে দড়ি বেধে ঝুলে পরার কথা ঠিক করলো। চেয়ারের ওপর দারালো । গলার সাথে পেচালো । চেয়ারটা ফেলে দিলো । তখন গুলি চলার আওয়াজ হলো। নীড় ধপাস করে পরে গেলো নিচে।
নীড় : আহ…
যথেষ্ট ব্যাথা পেলো। নীড় মাথা তুলে দেখে মেরিন। হাতে গান। মানে ওই দরিতে shoot করেছে। আর দরি ছিরে গিয়েছে ।
নীড় : জজজান…
মেরিন : ভেবেছিলাম না কখনো আর গান হাতে নিবো আর না কখনো ফিরে আসবো । কিন্তু আবার আপনার জন্য সবকিছু ভেস্তে গেলো। huh…
নীড় অনেক কষ্টে উঠে বসলো ।
নীড় : ওঠাতেও তো পারতে।
মেরিন : 😒।
নীড় মেরিনের কাছে গেলো । ওর ২কাধে হাত রাখলো ।
নীড় : suicide attempt করার আরো ১টা কারন ছিলো। experimentও বলতে পারো।
মেরিন : experiment ???
নীড় : হামম। experiment … আমাকে বাচাতে আসো কিনা … 😎…
মেরিন : আপনি খুব খারাপ …
নীড় : মিষ্টি নিয়ে আসা উচিত ছিলো তোমার…
মেরিন : কেন ??
নীড় মুচকি হেসে মেরিনের পেটে হাত রাখলো ।
নীড় : এরজন্য …
মেরিন : how could you know ??
নীড় : তোমার মুখের চমক বলে দিচ্ছে ।
মেরিন নীড়ের বুকে মুখ লুকালো।
নীড় : ভালোবাসি…
মেরিন : অনেক বেশি ভালোবাসি …
৮-৯মাস পর নির্বন হলো । মেরিনের জীবনও নরমাল হলো।
.
[[[ কালকে থেকে আসছে #Bestfriend … ।]]]
❤❤❤সমাপ্ত❤❤❤

 

বিঃ দ্রঃ ” লেখাঃ মোহনা” লেখকের লেখা অন্য গল্প গুলো পড়তে এখানে ক্লিক করুন

👉 এক পলকে দেখে নিন সহজে গল্প খুঁজে পাওয়ার সুবিধার্থে দেওয়া হল