একঝাঁক জোনাকির আলো

একঝাঁক জোনাকির আলো !! Part 37

______________
—” আপনি শুধু শুধু আমার ঘাড়ে দোষ কেনো দিতে চাচ্ছেন বলেন??আমি কি ইচ্ছে করে ফেলেছি নাকি?? আপনিইত লাফাতে লাফাতে নৌকা থেকে নিচে পড়লেন।আজব এখন সব দোষ আমার।”😒
আরিফ এবার আরো রেগে গেছে।সেদিন রাতারগুলে নীলা আরিফকে একপ্রকার ধাক্কা দিয়ে নৌকা থেকে ফেলে দিয়েছিলো।ভিঁজে চুপচুপ হয়ে বেচারার ভ্রমন কাহিনি শেষ করেছে।সারা রাস্তাও সে ভিঁজে এসেছে।আর এখন বিচার চাইতে এসেছে সবার কাছে।কিন্তু নীলা কি সুন্দর করে এড়িয়ে যাচ্ছে। আরিফ রাগে কটমট হয়ে বললো,
—” আপনি এত মিথ্যা কথা কিভাবে বলতে পারেন??সুড়সুড়ি দিয়ে আপনিইত আমাকে ফেলেছেন।একদম ঘাড়ে সুড়সুড়ি দিয়েছিলেন।আমার স্পষ্ট মনে আছে।”
নীলা এবার বেশ লজ্জায় পড়ে গেছে।সবাই তার দিকে ভয়ংকর চাহনিতে তাকিয়ে আছে।এভাবে আরিফ তাকে ফাঁসিয়ে দিবে সে বুঝতেই পাড়েনি। নিভ্র মাথা তুলে আরিফের দিকে তাকায়।আরিফ নিজেও নিজের কাজে লজ্জা পাচ্ছে।মুখ নিচু করে দাঁড়িয়ে পড়ে সে।সাফা সবার সমনে কিটকিট করে হেঁসে উঠে।সাফার হাঁসিতে সবাই হাঁসে। আকাশ বলে বসে,
—” কিরে নীলা তুই না ছেলেদের থেকে শত হাত দুরে থাকস??তাহলে এটা কি??বেচারা আরিফ ভাইকে যে তুই রিতিমত পুুরুষ নির্যাতন স্যরি বয়টিজিং করছ এটা কি ভাই??এমন মেয়ে তো তুই না।কলেজে ভার্সিটিতে তোর পিছনে লাইন লেগে থাকা ছেলেগুলো থেকে একটার সাথে করলেও পারতি।ওরা খুশিই হত।কিন্তু আরিফ ভাই কেনো?? হোয়াই??
আরিফ চোখ ছোট করে নীলার দিকে তাকায়।মেয়েটা এত ফেমাস এটা তার জানা ছিলো না।নীলা রাগে দুঃখে ফঁসফঁস করতে করতে রুম থেকে বেড়িয়ে যায়।আরিফ হা করে তাকিয়ে থাকে কিছুসময়। তবে তারও ভালো লাগেনি নীলার গোমড়া মুখ।কিন্তু বেচারা যানতো না পরে কি হবে।নীলা এক জগ পানি এনে আরিফের গায়ে ডেলে দেয়।সবাই প্রথমে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে।পরে হু হু করে হেঁসে উঠে।নীলা রেগে বলে,
—” আহাম্মক একজন।”
আরিফও কম যায় না।সেও বালতি ভর্তি পানি দিয়ে নীলার শরীর টইটুম্বুর করে দেয়।এদের এমন কান্ড দেখে এক এক করে সবাই বেড়িয়ে যায়।সাফা এখনো আগ্রহ নিয়ে মারা মারি দেখছে।নিভ্র রুম থেকে বের হতে হতে সাফার দিকে তাকায়।সাফা ভ্রুকুঁচকে একবার নীলা তো একবার আরিফের দিকে তাকাচ্ছে।নিভ্র দু’কদম পিছিয়ে এসে। তারপর বললো,
—” তুমি দাঁড়িয়ে আছো কেনো??চলো।তা না হলে এই সমুদ্রে তুমিও ডুবে যাবে।”
সাফা তাকিয়ে থাকতে থাকতে বলে,
—” আরে না ডাক্তার।মাত্র তো বালিশ নিয়েছে।এখনই মারামারি শুরু হবে।বেশ মজার বুঝলেন।আপনিও দেখেন!!”
নিভ্র বিরক্তি নিয়ে কিছুক্ষণ তাকিয়ে সাফার হাত টেনে বাহিরে নিয়ে আসে।সাফা মুখ দিয়ে বলে উঠে,
—” আশ্চর্য। টানছেন কেনো??”
সাফার কানের কাছে একটু ঝুঁকে নিভ্র বললো,
—” রোম্যান্স করতে।”
সাফা চমকায়।আশ্চর্যরকম অবাক সে।নিভ্র ডান চোখ টিপে হাঁসে। সাফা হাত ছাড়িয়ে পালতে যাবে তার আগেই নিভ্র সাফার দু’হাত নিজের হাতে নিয়ে পিছনের দেয়ালের সাথে লাগিয়ে চেঁপে ধরে।সাফা নিভ্রর মুখের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে।এমন কাজ নিভ্র করতে পারে এটা তার ধারনায় আসছে না।নিভ্র তো সাফার গায়েই তেমন গভীর ভাবে লাগতে চায় না।তাই সে নিভ্রকে একটু বিভ্রান্তে ফেলতেই নিজে থেকে গায়ে লাগে।কিন্তু এটা কি হচ্ছে?? সাফা নিভ্রর চোখে তাকায়।তারপর চারদিকে তাকিয়ে ঢোক গিলে।এদিকটায় ছাদের সিঁড়ির নিঁচে কিন্তু যে কোনো সময় মানুষ আসতে পারে।নিভ্র কখনোই এমন বিহেভ করে না তবে আজ কি হয়েছে।সাফা ভীতূ চোখে তাকায়।নিভ্র তার এক হাত সাফার চিকন বাঁকানো কোমড়ের খাঁজে রাখে।সাফা চোখ বড় বড় করে তাকায়।ভয় লজ্জায় তার হাত পা কাঁপে।শিউরে উঠে মুহূর্তেই।নিভ্র কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলে,
—” সাফারানী কি ভয় পাচ্ছে??”
সাফার কানে ফঁসফঁস করে বাড়ি খায় নিভ্রর কথা গুলো।সাফা কাঁপে ভয়ংকর মাত্রায়।নিভ্র হাসলো।সাফা নিজে থেকে কাছে আসলে তো এমন করে না।তবে নিভ্র আসলেই কেনো??নিভ্র মাথা সামনে আনে।সাথার মুখ বরাবর মুখ রাখে।চোখে চোখ রাখে।সাফা চোখ নাড়িয়ে সরায়।নিভ্র বিরক্তি নিয়ে বলে,
—” উহহ্। এদিকে তাকাও??”
সাফা তাকায়।দু’টি চোখ এক হয়।নিভ্র আর একটু গভীর ভাবে মাথা নিয়ে বলে,
—” ভালোবাসি!!”
সাফা এবার পূর্ন মনোযোগী শ্রোতার মত শুনে।গভীর ভাবে নিভ্রর চোখ পর্যবেক্ষণ করে।নেশা লাগানো দু’টি সবুজ চোখ।আর কি লাগে।ঘায়েল করার জন্য।নিভ্র আবার বলে,
—” ভালোবাসি সাফারানী।”
সাফা নিশ্চুপ। ভয়ংকর অনুভুতি হয় এই কথাটা শুনলে।সাফার হাত পা কাঁপে।বুক ধুকধুক করে ভায়াবহ তান্ডব করে।নিঃশ্বাস যেনো নিজের দখলে নেই।চঞ্চল মেয়েরা লজ্জা সহজে না পেলেও এদের লজ্জার রেশ ভায়াবহ।নিভ্র সাফার হাত ছেড়ে দেয়।এক পাশে হাত রেখে আর এক হাত কোমড় পেঁচিয়ে রাখে।কন্ঠ গভীর করে নিভ্র।সুরে নেশা মিশিয়ে বলে,
—” আমার হবে সাফারানী??সম্পূর্ন ভাবে আমার অধীনে??তোমার সব অধীকার আমাকে দিবে??”
নিভ্র থামে।সাফা তাকিয়ে। তাকিয়ে থাকে।অনেক সময় থেকে অনেক সময় চলে যায়।সাফার চোখের পাতা পড়ে না।নিভ্র এক হাত সাফার কানের পাশে গালে রাখে।সাফার হুশ হয়।চোখের নীলাভ মনি নাড়াচাড়া করে নিভ্রকে দেখে।নিভ্র সাফার নাকে নাক ঘঁষে। সাফার শরীরে বিদ্যুৎ খেলে গেলো মুহূর্তেই।রগে রগে শিরশির করে অনুভুতিরা বয়ে চলে দ্রুত থেকে দ্রুত গতিতে।নিভ্র সাফার কপালে কপাল ঠেকায়।সাফা চোখ উপড় করে তাকায়।নিভ্র ঠান্ডা শীতল মাতাল করা কন্ঠে সুর তুলে বলে,
—” বিয়ে করবে আমায় সাফারানী??তুমি না বললেও কিন্তু করতে হবে।ভেবনা আমি অনুমতি নিচ্ছি!!অর্ধাঙ্গ বানাতে চাচ্ছি তাই যানিয়ে দিচ্ছি।তবে অনুমতি দিলে ভালো।বলো??”
সাফা দম আঁটকে দাঁড়িয়ে আছে।মনে হচ্ছে হৃৎপিন্ডে সাঁ সাঁ করে রক্ত চলছে।সাফার মাথা ঘুড়ে উঠে।নিভ্র সাফার দু’গালে নিজের গাল ঘঁষে। খোঁচা খোঁচা দাড়িতে সাফার লাল গাল আরো লাল হয়ে উঠে।সাফা চোখবুজে আছে।নিভ্রর গভীর নিঃশ্বাস তার মুখ ছুঁয়ে যাচ্ছে। নিভ্র আবার মাথায় মাথা ঠেকায়।নিভ্র চোখ বন্ধ করে।সাফার গালে বৃদ্ধা আঙুল আলত করে ছুঁয়ে দিতে দিতে বলে,
—” তুমি হৃৎপিন্ডে মিশে গেছো সাফারানী।তোমাকে ছাড়া নিঃশ্বাস চলতে চায় না।গলার স্বর বাহিরে আসতে চায় না।দম বন্ধে আমার সব অন্ধকার মনে হয়।কিভাবে তুমি এতটা জায়গা জুড়ে নিলে??কি মায়া তোমার??এত গভীর ভাবে আমি নিজের সাথেও জড়িয়ে পড়িনি কখনো।প্রথম,প্রথমবার আমি এতটা গভীরতা অনুভব করছি।তোমাকে ছাড়া চলবে না।কিছুই করার নেই।আমি বাদ্ধ। তুমি আমার মনেই হবে আবদ্ধ। সব মেনে হবে আমার।আমার একান্ত নিজের রাজ্যের রানী।আমার সাফারানী।ভয়ংকর ভালোবাসায় আমাকে জড়িয়ে নিয়েছ তুমি।এযেনো দম বন্ধ করা আবেগ।এটাই কি ভয়ংকর ভালোবাসা??দম বন্ধ করা প্রেম??জানি না।শুধু আমার নিঃশ্বাসের জন্য তোমাকে প্রয়োজন। ভয়ংকর ভাবে প্রয়োজন।তুমি শুনতে পাচ্ছ??তোমাকে আমার ভয়াভহ ভাবে প্রয়োজন।
নিভ্র থামে।সাফার দিকে চোখ মেলে তাকায়।সাফা নিজের বন্ধ করা চোখের পাতা খোলে।কিন্তু বেশি সময়ের জন্য না।নিভ্র উত্তরের আশায় তাকাতেই সাফা ঠাসসস করে নিভ্রর বুকে।নিভ্র হতভম্ভ। এটা কি হলো??সাফার মাথা তুলে নিজের মুখের সামনে ধরে নিভ্র।সাফা সেন্সলেস!!!নিভ্র বিস্মিত হয়ে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে।অদ্ভুত হওয়ার সব কিছু ছাড়িয়ে এই মেয়ে।সাফার মুখ ঘামে ভিঁজে আছে।নিভ্র বুঝতে পারে টেনশনে উত্তেজনায় সাফার এই অবস্থা। নিভ্র একটু দুরে সরে সাফাকে হাতে শুইয়ে নিচে বসে।নিভ্রর কিছু বলার নেই।এই মেয়ে তার জীবনটাই ভয়ংকর করে ফেলেছে।সবই তার কাছে নরমাল মনে হচ্ছে।
________________
বালিশ দিয়ে মারামারি করতে করতে একসময় ক্লান্ত হয়ে পড়ে নীলা-আরিফ।হাঁপাতে হাঁপাতে ফ্লোরে বসে পড়ে দুজনেই।কিছুক্ষণ শুধু নিঃশ্বাসের শব্দ গনে দুজনেই।ভিঁজে টইটুম্বুর হয়ে আছে দুজনেই। নীলা আরিফের দিকে তাকায়।নীল গেঞ্জি ভিঁজে বডির সাথে লেপ্টে আছে।সামনের চুলগুলো কপালে লেপ্টে আছে।হালকা মোটা ঠোঁটজোড়া ফেকাশে হয়ে গেছে।নীলা চোখ সরিয়ে নেয়।হঠাৎ আবার আরিফের উপর আক্রমণ করে বসে।বেচারা টাল সামলাতে না পেরে ফ্লোরে পরে যায়।যাওয়ার আগে নীলাকে নিয়েই পরে।নীলা আরিফের বুকে এসে ধাম করে পরে।আকর্ষীক ভাবে দু’জনই হতভম্ভ হয়ে একজন আর একজনের দিকে তাকায়।চোখে চোখ পরে দু’জনের।তাকিয়ে থাকে অনেক থেকে অনেক সময়।আরিফ যেনো ঘোরে আছে।এতটা কাছে সে আগে কখনো কোনো মেয়ের যায় নি।আরিফের হৃৎপিন্ড লাফায়। মারাত্মক শব্দ করে। হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসে।এই প্রথম কোনো মেয়েকে তার এতটা আকর্ষণীয় লাগছে।নীলার ভিঁজা চুল থেকে টপটপ পানি আরিফের চোখ নাক মুখ গাল ঠোঁটে এসে পড়ছে।চোখে চোখ রাখে দুজনেই।কেউ আসার ধাম ধাম পায়ের শব্দে দুজনের হুশ হয়।ছিটকে পড়ে দুদিকে।আরিফ উঠে বসে।কি বলবে খুঁজে পায় না।হঠাৎ করেই মাথা শূন্য শূন্য মনে হয়।কোনো কথাই গলা থেকে বাহিরে আসে না।লজ্জায় সে নতজানু হয়ে বসে।নীলারও একুই অবস্থা।আরিফ মাথা চুলকাতে চুলকাতে লজ্জা মিশ্রীত হাসি দেয়।সাথে নীলাও।
______________________
ইফতেখার ছাদ থেকে জামাকাপড় নিয়ে নামছে।কাল দিয়েছিলো আনা হয়নি।কাজের লোক গুলো খুবই ব্যস্ত। সিঁড়ি দিয়ে নামার ধাপ ধাপ শব্দে নিভ্র সে দিকে তাকায়।মাকে দেখেও তার বসে থাকার পরিবর্ত হল না।ইফতেখার এগিয়ে এসে ছেলেকে এভাবে বসে থাকতে দেখে আর সাফার এই অবস্থা দেখে উত্তেজিত হয়ে বলে,
—” এই আদর সাফার কি হয়েছে??তুমি এখানে এভাবে বসে আছো কেনো??কি হইছে সেটা তো বলো??”
নিভ্র মায়ের দিকে তাকায়।তারপর বলে,
—” সাফারানী সেন্সলেস হয়ে গেছে আম্মু।”
নিভ্রর মুখ স্বাভাবিক। ইফতেখার ভিতু হয়ে নিচে বসে পরে।সাফার মুখ ভালো ভাবে পর্যবেক্ষণ করে আতঙ্কিত হয়ে বলে উঠেন,
—” তুমি কি করেছো ওর সাথে যে এমনটা হলো??”
নিভ্র বিষম খায়।সহজ চোখ চকচক করে মায়ের দিকে তাকায়।উদ্বেগের সাথে বলে,
—” এটা কেমন কথা আম্মু?? আমি কি করলাম??ও নিজে নিজেই সেন্সলেস হয়ে গেছে। এতে আমি কি করতে পারি??মাঝে মাঝেই এমন হয়।হুট হাট কিছু অদ্ভুত কান্ড করা এর কাজ।এখন আমি কি করবো তুমিই বলো??
ইফতেখার চওড়াও হয়। উচ্চশব্দে বলে,
—“আমি কি ভাবে বলবো।আমি ডাক্তার না তুমি।দিন দিন বুদ্ধি সব কথায় যাচ্ছে তোমার??”
সাফার দিকে তাকিয়ে নিভ্র বলে,
—” আর কোথায় এইখানে।পানি নিয়ে এসো তো।”
ইফতেখার দ্রুত উঠে হাটা দেয়।নিভ্র সাফার দিকে তাকিয়ে হেঁসে দেয়।বিড়বিড় করে বলে,
—” আমার কথার উত্তর দেওয়ার সময়ই তোমার এসব অদ্ভুত কান্ড করা লাগে না!!কখনো কেঁদে বুক ভাসাও তো কখনো এমন সেন্সলেস হয়ে পর।পাগলি।মনে হয় তাড়াতাড়ি পাগলের ডাক্তার হতে হবেই।”
পানি ছিটিয়ে দিতে সাফার জ্ঞান ফিড়ে আসে।মিটমিটিয়ে চোখ খুলে নিভ্রর মুখ সামনে দেখতে পায়।ইফতেখার সস্তির গলায় বলে,
—” সাফা ঠিক আছ মা??এটা কিভাবে হলো??”
ইফতেখারের গলা পেয়েই হুরমুড়িয়ে উঠে বসে সাফা।লজ্জায় চোখ নামিয়ে নেয়।একবার চোখ তুলে নিভ্রর দিকে তাকায়।নিভ্র চোখের সামনে আসা সিল্কি চুলগুলো আঙ্গুল দিয়ে ঠেলে পিছনে ফেলে।কপালে ভাঁজ ফেলে গোপনে হাঁসে। সাফা ইফতেখারের দিকে তাকায়।ইফতেখার উত্তর জানার জন্য উদ্বেগ নিয়ে তাকিয়ে আছে।সাফা হাঁসফাঁস করে।কি উত্তর দিবে ভাবে।নিভ্রর তেহেন তেহেন কান্ডে যে সে অতি এক্সাইটেড হয়ে সেন্সলেস হয়েগেছে এটা তো আর নিভ্রর মাকে বলা যাবে না।নিভ্রর ভালোই লাগছে সাফার এমন হাঁসফাঁস অবস্থা।মনে মনে বলে,” ভালো হয়েছে।কি দরকার ছিলো আমার রোম্যান্টিক মোমেন্টের বারোটা বাজিয়ে সেন্সলেস হওয়ার এবার বলো।😏” সাফা আমতা আমতা করে বলে,
—” ইয়ে মানে কেমনে কেমনে যানি হয়েগেছি!!”
ইফতেখার বলে,
—” কি হয়েগেছো??”
—” সেন্সলেস।”
ইফতেখার আগা মাথা কিছুই বুঝলো না।উঠে দাঁড়িয়ে তার গন্তব্যের দিকে চলে যায়।সাফা নিভ্রর দিকে তাকায়।নিভ্র হাসলো।সাফার মনে হয়েছিলো নিভ্র তাকে বোকবে, রাগ করবে কিন্তু এমন কিছুই হলো না।নিভ্র হাঁসতে হাঁসতে বলে,
—” কেমনে কেমনে যানি হয়েগেছো??”
সাফা রাগী চোখে তাকিয়ে নিভ্রর হাসি দেখে।সে যে সাফাকে নিয়ে মজা করছে এটা সাফা বুঝতে পেরে নিভ্রর বাহুতে ইচ্ছা মতো ঘুষি মারে আর নিভ্র হালকা শব্দ করে হাঁসে। অনেক্ষন মার খাওয়ার পরে সাফার হাত নিজে মুঠোয় নিয়ে সাফাকে কাছে টেনে আনে।ফিসফিস করে নেশাতর কন্ঠে বলে,
—” ভালোবাসি!!”
সাফা লজ্জায় মাথা নতকরে।নিভ্র আবার বলে,
—” আমার উত্তর কই??”
.
.
#চলবে_______________

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *