আমার ক্রাশ বর !! Part- 02
এমন সময় একটা গাড়ি চলে আসে ফুল স্পিডে,,,
হঠাৎ রিমার পেছনে গাড়ি দেখে অনু চিৎকার দেয় রিমা,,চোখ মুখ কুঁচকে দাঁড়িয়ে যায়।
গাড়ীর মালিক খুব জোড়ে ব্রেক করে,,,
কিন্তু শেষ রক্ষা হয় নাই,,
রিমা তবুও ধাক্কা খেয়ে পড়ে যায়,,,
অনু জোড়ে ব্রেক করার শব্দ শুনে সামনে তাকিয়ে দেখে রিমা পড়ে অাছে তারাতারি দৌড় দিয়ে গিয়ে রিমাকে জড়িয়ে ধরে,,
কান্নাকাটি শুরু করে।।
একটুপর রিমা হঠাৎ বলে ওঠে,,,
মরি নাই বাঁচে আছি,,
তোর চল্লিশা আর খাওয়া হবে না রে বান্ধবী।
অনু :শয়তানী,,, কুত্তী,,, মরিস নাই তো পড়ে আছিস কেন,,,দেখতো কপালে কেটে গেছে,,
হাত পা ছিলে গেছে,,,তারাতারি চল হাসপাতালে যাবো,,
অনু রিমা কে সেজা করে ধরে উঠে দাড়ায় করায়,, তখন
গাড়ির ড্রাইভার বাহিরে এসে বলে,,
Hey idiot,,, কেউ এভাবে মাঝ রাস্তার মাঝে এসে দাড়ায়???
এমন মেয়েদের থাপ্পড় দিয়ে কান লাল করে দেওয়া উচিৎ,,,
অনূ : ঐ বেডা ড্রাইভার তোর সাহস তো কম না তুই আমাগো থাপ্পড় দিয়ে কান লাল করে দিতে চাইছিস,,আমিও এক থাপ্পড় দিয়ে তোর চব্বিশ টা দাঁত ফালায় দিতে পারি।
ড্রাইভার :কি অসভ্য মেয়ে,,,কথা বলার কোনো সহবত জ্ঞান নাই,, দেখেই বোঝা যাচ্ছে কোনো বস্তির থার্ড ক্লাস ফ্যামিলির মেয়ে।।
অনু : এই তুই কাকে থার্ড ক্লাস বলছিস??? বস্তির মেয়েরা বুঝি মানুষ হয় না,,,নিজে তো ড্রাইভার হয়ে আসছে ফুটানি দেখাতে যতো সব।
ড্রাইভার : just mind you language,, okay??
অনু :দেখ রে রিমা আজ কাল গাড়ীর ড্রাইভার গুলা দেখি ভালই পটর পটর করে ইংরেজি তে কথা বলে।।
ড্রাইভার :এই বেয়াদব মেয়ে এতো ড্রাইভার ড্রাইভার করছো কেনো,,
কোন দিক দিয়ে আমাকে ড্রাইভার মনে হচ্ছ,,, look at me..
অনু :এবার তার পা থেকে মাথা ওবদি তাকিয়ে দেখে,,,পায়ে দামী জুতা,,,দামী কম্পিলিট সেট পড়া চোখে একটা সানগ্লাস।।
দেখতে মা শা আল্লাহ। (শালা শেষে কি না একটা ড্রাইভারের উপর ক্রাশ খাইলাম,,,
হবে না মানি না,,,অনু শুধু রাজকে ভালবাসে,,,
এসব ড্রাইভারের খাওয়া নাই সে যতোই সুন্দর হোক না কেনো। মনে মনে)
রিমা :অনু তোর উনাকে কোন দিক দিয়ে ড্রাইভার মনে হচ্ছে আমি তো তাই বুঝতে পারছি না।
অনু :দেখুন,, জানি আজকাল ড্রাইভার গণ ও সেজেগুজে গাড়ী ড্রাইভ করে,,,তার মানে এই না যে আপনার ড্রাইভারের নাম ঘুচে যাবে।।
ড্রাইভার :আপনি আবার আমাকে ড্রাইভার বলে অপমান করছেন,,,এর ফল ভাল হবে না কিন্তু।
অনু :আমাকে আর পাবেন কোথায়?? যে ফল দেখাতে আসছেন,,,
ড্রাইভার : এই শহরের তো থাকবেন,,,ঠিক খুঁজে নিবো।।।আমাকে ফাঁকি দেওয়া এতো সহজ হবে না।
অনু :ওরে আমার সোনা চান্দু আসছে আমাকে খুঁজতে,,,
সারাবছর হাতে হারিকেন নিয়ে খুঁজলেও এ অনু কে খুঁজে পাবেন না,,,
তাই বলে ড্রাইভার কে একটু ধাক্কা দিয়ে সামনে একটা টেক্সি করে রিমাকে নিয়ে হাসপাতালে চলে যায়।
ড্রাইভার :কি বেদ্দপ মেয়ে আমাকে ড্রাইভার বলে অপমান করে গেছে,,,,তারপর গাড়িতে বসে
সে রাগে গজগজ করতে করতে ড্রাইভ করে তার বাড়িতে যায়।
‘
‘
‘
এদিকে অনু হাসপাতালে আসার সময় রিমাকে বলে,,,
অনু :বান্ধবী রে,,, আমার রুচি শেষে নষ্ট হয়ে গেছে 😭😭
রিমা :কেনো তোর আবার কি হলো রে???
অনু :আর বলিস না বইন,,,শেষে কিনা ওই শালা ড্রাইভারের উপর হলো গিয়ে ক্রাশ খাইছি 😩😩
রিমা :এ আবার নতুন কথা না কি,,,তুই তো চলতে ফিরতে হাজার মানুষের উপর ক্রাশ খেয়ে বসে থাকিস! 😷😷
অনু :শয়তানী কি কইতে চাইছিস তুই??
রিমা :নতুন করে কি আর বলবো,,,তুই সবার উপর ক্রাশ খাইতে থাকিস,, কে জানে রাজের উপরে ক্রাশ টা আসল না কি নকল।
অনু :রিমার গলা টিপে ধরো বলে,,,রাজ আমার ভালবাসা,,, প্রতিদিন যেসব ক্রাশ খাই সেসব হলো টাইমপাস।।
রিমা : নিজের গলা ছাড়িয়ে নিয়ে বলে,,,এমনে সারা দুনিয়ার উপর ক্রাশ খাইলে নিজের বরের উপর আর খেতে পারবি না,,,কারণ তোর যে অবস্থা তাতে তোর বেচারা বরের কপালে দুক্কু আছে।।
অনু :তুই নজর দিবি না,,,আমি যেমনি হই না কেনো,,, আমি আমার রাজের দিকে honest আছি বুঝছিস 😏😏
‘
‘
হাসপাতালে এসে রিমাকে একটা ডাক্তার দেখে ,,রিমার ড্রেসিং করে পট্টী করে দিয়ে বলে,,,কিছুদিন বিশ্রাম করলে ঠিক হয়ে যাবে।।
অনু :আচ্ছা ডাক্তার আপনি কি বিবাহিত??
ডাক্তার :না কেনো বলুন তো??
অনু :না মানে,,,আপনি দেখতে তো ভালই,, যেকোনো মেয়ে আপনাকে দেখে ক্রাশ খাবে।
ডাক্তার :আপনি ক্রাশ খেয়েছেন না কি তাই আগে বলেন শুনি।
অনু :সামনে এতো সুন্দর একজন ডাক্তার তার উপর ক্রাশ না খেয়ে থাকা যায় বলুন??
ডাক্তার :আরে আপনিও তো দেখতে ভালই,,,বাড়ির ঠিকানা টা দিয়ে যান তো।!!
অনু :ক্রাশ খাওয়ার সাথে ঠিকানার কি সাথ??
ডাক্তার :কি সাথ মানে,,,আপনি আমাকে পছন্দ করছেন,,, আমি আপনাকে করছি,,,তাই আপনার বাড়িতে আমার পরিবারের মানুষ কে পাঠাবো আমাদের বিয়ের কথা বলতে।
অনু ;আহা পোলার কি শখ চেনা নাই জানা নাই আমি করবো বিয়ে,,,থাক দরকার নাই ভাই মাফ করেন আমাকে!!!
তারপর রিমার হাত ধরে হনহন করে হাসপাতালের বাহিরে এসে বলে,,,,শালা ডাক্তারের কি শখ আমাকে করবে বিয়ে,,,আরে ডাক্তার কি জানে,,,আমার একটা ক্রাশ বর আছে,,,সে আজ সাথে নাই তাতে কি হয়ছে,,,কিছুদিন পর অবশ্যই থাকবে।।
রিমা :খাও আরো বেশী করে যার তার উপর ক্রাশ খাও শয়তান মেয়ে।
অনু : হ বইন বুঝতেছি যার তার উপর ক্রাশ খাওয়া যাবে না,,,ক্রাশ খাওনের মাঝে জ্বালা আছে,,,চল তোকে তোর বাড়িতে দিয়ে আসি।
রিমাকে তার বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে অনু নিজের বাড়িতে চলে যায়।
‘
‘
‘
এদিকে চৌধুরী ভিলার সামনে গাড়ী পার্কিং করে সোজা বাড়ির ভেতরে এসে জোড়ে জোড়ে
আরিয়ান চৌধুরী চিৎকার করছে।
((তার চিৎকার শুনে পুরা বাড়ির মানুষ নিচে জড়ো হয়,,,সবাই আরিয়ান চৌধুরী কে যমের মতো ভয় করে,,,কারণ সে খুব রাগী,, যখন রেগে যায় তার সামনে কেউ দাঁড়াতে সাহস করে না,,,বাহিরে যতোটা রাগী সে মনটা তার থেকে বেশী ভাল))
আরিয়ানের বাবা আরিফ চৌধুরী ভয়ে ভয়ে ছেলেকে জিজ্ঞাস করে,,,কি হয়ছে বাবা এতো রাগ করছো কেনো??
আরিয়ান :আমাকে কি দেখতে ড্রাইভারের মতো লাগে,,,,এতো দামী দামী ড্রেস পড়ার পরো রাস্তার মানুষ আমাকে ড্রাইভার বলে সম্মোধন করছে।।
আরিফ চৌধুরী : কার এতো সাহস যে তোমাকে ড্রাইভার বলার মতো এতো বড় কলিজা রাখে,,,যার সামনে আমরা কথা বলার সাহস করি না।আস্তে আস্তে বলে।
আরিয়ান :আমাকে এয়ারপোর্টে রফিক চাচা কেনো আনতে যায় নি?!!
আরিফ চৌধুরী :রফিক যায় নি,,,অন্য ড্রাইভার তো পাঠিয়ে ছিলাম!!
আরিয়ান :তোমরা জানো না আমি অন্য কারো সাথে আসি না তাহলে কি ভেবে অন্য কাউকে আমকে নিয়ে আসতে পাঠাও??? Answer me??? why???
আরিফ চৌধুরী :আসলে বাবা জীবন হয়েছে কি জানো তো ??
তখন পেছন থেকে একজন বলে ওঠে,,,তাতে কি হয়ছে,,, সব সময় তোমার পছন্দের মানুষ কে পাবে তার কোনো মানে হয় না!!
অারিয়ান :তাই বলে….
‘
চলবে….