Psycho is Back

Psycho is Back ! Season- 2 ! Part- 19

বারিশ চোখ মেলে কুহুকে তার হাতের উপর শুয়ে আছে দেখে হেসে দেয়। তার আরেক হাত দিয়ে মাথা হাত বুলাতেই কুহু জেগে যায়।আর তখনি বলতে লাগে,,
—-আপনি উঠে গেছেন? এখন কেমন লাগচ্ছে আপনার?
বারিশ আবার হাসে।আমি বারিশের হাসি দেখে ভ্রু কুচকে জিগাসা করি,
—-কি ব্যাপার দাঁত দেখাচ্ছেন কেন?
বারিশ সেই হাসি বহাল রেখে বলতে লাগে,
—-আগে যদি জানতাম আমার অসুস্থতায় আমার পিচ্চি বউটা এতটা হায়পার হবে, তার সাথে তার ভালবাসার বহিঃ প্রকাশ ঘটবে, তাহলে সেই কবেই অসুস্ত হয়ে যেতাম..!!
—-আপনি বেশি কথা বলেন..!
—-তুমি বলনা তাই..!
—-চুপ থাকেন। আমি ডাক্তার ডাকি!
—-ডাক্তার ডাকতে হবে না। আই এম ফিট এন্ড ফাইন।আর তুমি সাথে থাকলে আমি এমনিতেই সুস্থ্য থাকবো।
বারিশের কথা চোখে ছল ছল করে উঠে, আমার চোখ দু ফোটা জল ফেলে বলতে লাগি,,
—-আমার কারণেই আপনি আজ হসপিটালে।
বারিশ আমার মুখে দুহাত দিয়ে তার কপাঁল আমার কপাল ঠেকিয়ে বলতে লাগে,
—-ডোন্ট বি অ্যাপ সেট। দেখ আমি সুস্থ্য এখন। আর ওটা তেমন কিছু না..!
—-আম সরি বারিশ! আমি জানতাম না এসব..!!
কুহুর মুখে বারিশ নাম শুনে বারিশের বুক ধক করে উঠে। এই প্রথম তার পিচ্চি বউ তার নাম নিল ইউসুফের বদলে।কি যে খুশি লাগচ্ছে তার। বারিশ কুহুকে নিজের সাথে চেপে ধরে। খুব শক্ত করে। যেন বুকের সাথে মিশিয়ে ফলবে।খুশিতে মোরে যেতে ইচ্ছে করছে তার। সত্যি ভালবাসার মানুষের কাছে অপ্রত্যাশিত কিছু হুট করে পেয়ে ফেলা মানে আসমানের চাঁদ হাতে পাওয়ার মত।বারিশ বলল,,
—-কুহু তুমি জানো না তুমি আমাকে আজ কতাটা সুখ দিয়েছো।
আমি তার কথা আবাক হয়ে বললাম,
—–আমি কি করলাম🙀?
—–তুমি আমার নাম ধরে ডেকেছো।
—–তো?
—–এই জন্যই আমি খুশি। অনেক অনেক খুশি।
—–এখানে খুশি হওয়ার কি আছে?
—–আছে অনেক কিছু। তোমার পিচ্চি মাথায় ঢুকবে না..!!
—–কেন ঢুকবে না? আপনি বলুন ঢুকবে।
—-উমম..! ওকে! আমাকে বলোতো তুমি আমার নাম ধরে কবে ডেকেছো..!!
—-আমি তো..!!
চুপ করে গেলাম সত্যি তো আমি কবে তাকে নাম ধরে ডেকেছি?আমি আগে স্যার বলে ডাকতাম আর পরে ইউসুফ বলতাম।
—কি হলো?
বারিশের কথায় ধেন ভাঙ্গলো আমার। আমি বললাম,,
—-কিছু না। আপনি রেষ্ট করুন আমি ডাক্তার ডেকে নিয়ে আসি।
বারিশ কিছু বলল না, কুহুকে ছেড়ে দিয়ে মাথা নারালো।আমিও বের হয়ে গেলাম।

হাসপাতাল থেকে বারিশকে বসায় নিয়ে এসেছি আজ সাত, সাতটা দিন কেঁটে গেল।এই সাত দিনে বারিশের দুষ্ট, মিষ্টি দুষ্টুমি গুলো আমাকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। একটা মানুষ এত রোমান্টিক কেমনে হয়? যানা নেই আমার।তার এই লাভ টর্চার গুলোতে না চাইতেও প্রেমে পড়ে যাচ্ছি। এর মাঝে বারিশ আমাকে আমাকে অনেক চেষ্টা করেছে পুরোপুরি আপন করে পেতে কিন্তু আমি কেন জানি পারি না। কোথাও একটা এসে আটকে যাই।তার জন্য বারিশের মনে কষ্টে পেলেও কখনো প্রকাশ করেনি সে।কিন্তু আমি খুব বুঝি সে কষ্ট পায়। কিন্তু আমি যে নিরু পায়।
আজ বারিশ আমাকে তাদের বাসায় নিয়ে যাচ্ছে।বুকের ভিতরে ধুকপুক ধুকপুক করছে আমার। আমি একবার ও বাড়িতে গিয়েছি মানুষ গুলো খুব ভাল।কিন্তু আমাকে কি তারা মেনে নিবেন?জানা নেই আমার। আমরা কারে বসে আছি।বারিশ ফোন টিপছে।আমার উপর ও খুব রাগ করেছে, কিন্তু প্রকাশ করছে না। আগের মতো কথা বলছেনা। কিছু জিগেস করলে শুধু হু হা উত্তর দিচ্ছে। এতে আমার কলিজা ফেটে যাচ্ছে। ভালবাসার মানুষটি যখন কথা বলা বন্ধ করে দেয় এর ধেকে বড় শাস্তি আর কিছু নেই।আমার ওর এমন চুপ করে থাকাতে কষ্ট লাগে খুব কষ্ট। গত কাল রাতেও বারিশ আমাকে আপন করে পেতে চাইছিল। কত সুন্দর করে সাজিয়ে ছিল সে সব কিছু।চারিদিকে ঝলমলে আলো তার সাথে মম জালানো।রোমান্টিক সং। সব কিছু মিলিয়ে ছিল রোমাঞ্চ কর পরিবেশ।যখন আমি সব খুটিয় খুটিয়ে দেখায় ব্যস্ত তখন বারিশ আমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে।আমার ঘারে ঠোঁট দিয়ে স্পর্শ করে।আমি সাথে সাথে কেঁপে উঠি। পুরো শরীরের শক্তি মুহুর্তে হারিয়ে গেল।আমি তার উপর নিজের ভর ছেড়ে দেই।বারিশ তখন তার নাক ঘসতে থাকে আমার ঘাড়ে। তার পর গভীর চুমু দিতে লাগে। সাথে সাথে আমি তার হাত খামচ্ছে ধরি।তিনি তখন আমাকে তার দিক ঘুরিয়ে তার বরাবর দাড় করিয়ে ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়।ঠোঁটে ঠোঁট রেখেই আমার বুকের কাপর ফেলে দেয়।আর যখন আমার ব্লাউজে হাত দিবে তখনি আমার হুশ ফিরে।এতক্ষণ সুখের রাজ্য থাকলেও হুট করে কি হলো জানি না। ওকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলাম।এতে বারিশ রেগে যায়। রাগারি কথা
কথা এমন চূড়ান্ত মুহুর্তে যে কেউ বাঁধা পেলে রেগেই যাবে সে।বারিশ ও তাই করলো পাশে থাকা ফুলদানি ছুড়ে মারলো ফ্লোরে রাগে। আর আমার দিকে এমন ভাবে তাকালো যেন গিলে ফেলবে আমাকে। আমি তার থেকে চোখ ফিরিয়ে নিচে তাকিয়ে থাকি। বারিশ রাগে বের হয়ে যায়। আমিও নিচে বসে পরি কাঁদতে কাঁদতে। খুব কষ্ট লাগে এভাবে তাকে কষ্ট দিতে আমার কিন্তু কেন তাকে মেনে নিতে পারি না কেন? বুঝতে পারি না আমি…!!
এসব ভেবে ছোট শ্বাস বের হয়ে আসলো আমার। গাড়ি এসে থামলো বরিশদের বাড়ির সামনে। ইউসুফ আমাকে নিয়ে ভিতরে ঢুকলো তখনি একটি মেয়ে হুট করে এসে জড়িয়ে ধরলো। আমি চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছি তাদের দিকে…..!! তারপর যা শুনলাম। মনের মাঝে ধাক্কা দিয়ে উঠলো সাথে সাথে। সব কিছু মুহুর্তে এলোমেলো হতে লাগলো আমার।
চলবে,