My Mafia Boss- Season- 2 !! Part- 30
বেশ কয়েকটা ব্যাগ নিয়ে ফিরে এসেছে রোয়েন।রুহী বেশ কিছুক্ষন ধরে স্যুপ নিয়ে বসে আছে।রোয়েন ওর সামনে বসে রুহীর দিকে তাকিয়ে চোখ রাঙ্গিয়ে।এ এভাবে তা তাকিয়ে আছেন কে কেন?তোঁতলিয়ে উঠলো রুহী।আমার তাকানোয় কোন সমস্যা হচ্ছে?তুমি খেতে থাকো।একটু রাগী গলায় বলে উঠলো রোয়েন।ঢোক গিলল রুহী।আ আসলে ভা ভালো লাগছেনা।গ গন্ধ লাগছে।কাঁপা কাঁপা গলায় বলে উঠলো রুহী।খেতে হবে, খেয়ে নাও।ধমক দিয়ে উঠলো রোয়েন।মা কে ফোন দিবো।কাঁদো কাঁদো গলায় বলে উঠলো রুহী।কথায় কথায় মাকে কল না দিয়ে খেয়ে নাও।চোখ রাঙ্গিয়ে বলল রোয়েন।ধমকাচ্ছো কেন আমাকে?খাবোনা বলছি তো খাবোনা।রোয়েন কিছু বলতে গেলে,,,,,,, থামিয়ে দিলো রুহী।জামাই ভাইয়া আপনাকে কিছু বলতে হবেনা।মাকে কল দিন।কমপ্লেইন করবো আপনার নামে।অভিমানী কন্ঠে বলল রুহী।জ জামাই ভা,,,,,,রুহী!!!!! আবার যদি এটা বলেছো না?তোমার খবর আছে।রাগী গলায় বলল রোয়েন।ফোন দিন!!!! বললাম ফোন দিতে,দিন ফোন রোয়েনের হাত থেকে ফোন নিতে ব্যাস্ত হয়ে পড়লো রুহী।রোয়েন সুযোগ পেয়ে রুহীর কোমড় জড়িয়ে ধরে নিজের কাছে নিয়ে এলো।দি দ দিন ফোন……..কাঁপা গলায় বলে উঠলো রুহী।রুহীর মুখে চামচে করে একটু স্যুপ ঢেলে দিলো রোয়েন।আরেকটু খাইয়ে দিয়ে বলে উঠলো আগে খেয়ে নাও।পরে কল দিও।বলে উঠলো রোয়েন।মুখ ভোঁতা করে রোয়েনের দিকে তাকিয়ে আছে রুহী।কি হলো?ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করলো রোয়েন।মাথা নাড়লো রুহী।স্যুপ খাইয়ে দিয়ো রুহীর কপালে চুমো খেলো রোয়েন।রুহী মাথা নিচু করে দুষ্ট হাসি দিয়ে রোয়েনের গলা জড়িয়ে ধরে ওর কাঁধে মাথা রাখলো।
কিছুক্ষন পর রুহী কে সরিয়ে ওর হাত ধরে খাটে এনে বসায় রোয়েন।ব্যাগ গুলো খুলে কিছু জামা রাখলো রুহীর সামনে।লং গেঞ্জী,প্লাজো,লং শার্ট। এগুলো তোমার এখন পড়তে হবে।রুহীর দিকে তাকিয়ে বলল রোয়েন।এতো লম্বা এতো ঢিলা কেন এগুলো?জামা গুলো হাতে নিয়ে বলে উঠলো রুহী।সামনের মাস গুলোয় শাড়ী বা কোন টাইট ফিট ড্রেস পরতে কষ্ট হবে তোমার।রুহী ছলছল চোখে রোয়েনের দিকে চেয়ে আছে।
,,,,,,,,,,,,,,জামা দেখাতে দেখাতে রুহীর দিকে চোখ পড়লো রোয়েনের।চোখে পানি কেন?ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করলো রোয়েন।রোয়েনের বুকে মাথা রেখে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরলো রোয়েনকে।রুহীকে ও নিজের সাথে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো রোয়েন।আমি যদি মারা যাই?আপনি আমাকে মিস করবেননা?কাঁদতে কাঁদতে জিজ্ঞেস করলো রুহী।রোয়েনের বুক ছ্যাঁৎ করে উঠে।
রুহীর গালে আস্তে করে চাপড় দিলো রোয়েন।অসভ্যের মতো কথা বলবিনা। ধমক দিলো রোয়েন।অজানা লোকটিকে একনজর দেখলো রুমু।কি করবে ও?কিভাবে পালাবে?আনামকে যদি কিছু করে ফেলে? নাহ ভাবতে পারছেনা রুমু।ও তো আনাম কে ভালোবাসে,অনেক বেশি ভালোবাসে।মাথা নিচু করে কাঁদছে রুমু।কাজীর সামনে এসে দাঁড়ালো লোকটা রুমুকে নিয়ে।কন্যা কি বিয়েতে রাজি নাই?রুমুর দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করে উঠলেন কাজী সাহেব।টেবিলে ঠাস করে হাত দিয়ে বাড়ি দিলো লোকটা।যে কাজের জন্য বসে আছিস সেটায় মনযোগ দে কাজী।আর তুমি মরা কান্না না কেঁদে হাসি খুশি থাকো।নাহলে জানোই তো আনামের কি হবে।দাঁতে দাঁত চেপে বলল লোকটা।রুমু চোখ জোড়া দুহাতে মুছে নিলো।বিয়ে হয়ে গেলো অজানার সাথে রুমুর।সাইন করতে গিয়ে বুক ফেঁটে আসছিলো রুমুর।তবু ও আনামের জন্য যা করতে হবে করবে ও।বিয়ে শেষ হতেই রুমুর হাত টানতে টানতে গাড়িতে এনে বসালো অজানা।রুমু মুখে হাত চেপে গুমড়ে গুমড়ে কাঁদছে।একটা বাসার সামনে গাড়ি থামালো অজানা।রুমুর হাত টানতে টানতে রুমে এনে খাটের ওপর ফেললো লোকটা।রুমুর দিকে এগোতে লাগলো অজানা।রুমু পিছাচ্ছে লোকটা আগাচ্ছে।খাট থেকে নেমে রুমু পিছাতে থাকে।লোকটা ওর দিকে আগাচ্ছে।দেয়ালে আটকে গেলো রুমু।লোকটা ওর বেশ কাছে চলে এলো।প্লিজ সামনে আসবেননা।বলে উঠে রুমু।লোকটা থেমে গেলো।আমি আনাম কে ভালোবাসি।বলে উঠলো রুমু।মুচকি হাসে লোকটা।পাগড়িটা খুলে নিলো।রুমু তো যেন আকাশ থেকে পড়লো।এ কি দেখছে ও?এতো আনাম ছাড়া আর কেউনা।আনামের বুকে ইচ্ছে মতো কিল ঘুষি দিতে লাগলো রুমু।কিভাবে এমন করতে পারলেন আনাম?আমার কথা কি একটু মনে হয়নি আপনার?কাঁদতে কাঁদতে বলল রুমু।রুমুর কোমড় জড়িয়ে ধরলো আনাম।সরি আর হবেনা।তোমাকে সারপ্রাইজ দিতে চাইছিলাম।বলে রুমুর কপালে শব্দ করে চুমু খেলো আনাম।রুমু ছলছল চোখে আনামের দিকে তাকালো।কাকে যেন ভালোবাসো?দুষ্টু হেসে প্রশ্ন করলো আনাম।কাউকেই না সরুন।আনামকে সরানোর জন্য ধাক্কাতে লাগলো রুমু।আনাম আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রুমুর ঠোঁটে ঠোঁট চেপে ধরলো।
রুমু ও আজ সমানতালে চুমু দিচ্ছে আনামকে।রুমুকে নিয়ে খাটে শুয়ে পড়লো আনাম।রুমুর ঠোঁট থেকে সরে এসে ওর গলায় মুখ ডুবালো আনাম।
,,,,,,,,,,রাতে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে আনাম কিছুক্ষণের মাঝে ফিরে আসবে বলে।রুমু খাটে শুয়ে কিছুক্ষনের জন্য ঘুমানোর চেষ্টা করে।আজ বেশ কয়দিন পর বাসায় এসেছে আনাম।তবে আসার কারন হলো পরশু মা বাবার ম্যারিজডে ৩২ তম।তাই কিছু ছবি কালেক্ট করতে হবে সারপ্রাইজ দেয়ার জন্য।রুহী আর রোয়েনের সাথে প্ল্যান করে রেখেছে আগের থেকেই।ঘরের লাইট বন্ধ।সবাই নিশ্চয় ঘুমিয়ে গেছে।চুপিচুপি ঘরে ঢুকে পড়ে আনাম।হঠাৎ কিছু একটা শব্দে থেমে যায় আনাম।শব্দটা কাজের মেয়েটার রুম থেকে আসছে।দুজনের কথা বলার শব্দ।ধীর পায়ে রুমের দিকে এগুতে লাগলো আনাম।যতোই এগুচ্ছে কথা বলার শব্দ তীব্র হচ্ছে।দরজাটা পুরোপুরি লক করা হয়নি।আনাম দরজাটাকে হালকা ফাঁকা করলো।আজমল খান কাজের মেয়েটাকে নিয়ে বিছানায় শুয়ে আছে।কারোর গায়ে কাপড় নেই।
তুমি আমাকে এতোটা স্যাটিসফাই করবে জানলে আগোই তোমাকে আনতাম।রাহিনের এতো ভালো ভাগ্য যে তোমার মতো বেড পার্টনার পেয়েছে।প্ল্যানের পাশাপাশি আমাকে অনেক খুশি করছো তুমি।থ্যাংক ইউ ভেরি মাচ রুসমী।বলে মেয়েটির গলায় ঠোঁট বুলাতে লাগলো আজমল খান।
তাহলে আমাকে স্থায়ী ভাবে নিজের করে নিন।বলে উঠলো মেয়েটা।নিবো বেবী আরো কয়েকটা দিন অপেক্ষা করো।আমাদের পথের কাঁটা সরাতে হবে।বলে উঠলেন আজমল খান।সরিয়ে দাও না।ন্যাকা কন্ঠে বলে উঠলো মেয়েটা।অবশ্যই।বলেই ভালবাসাবাসিতে মেতে উঠলো দুজন।আনাম সরে এলো।বাবা এতোটা জঘন্য জানা ছিলো না আনামের।চোখ জোড়া ভারি হয়ে আসছে আনামের।হঠাৎ রিংটোনের শব্দে ঘোর কাঁটলো আনামের। রুমু কল দিচ্ছে।ফোন রিসিভ করে কানে ধরলো আনাম।
হ্যালো কই তুমি?প্রশ্ন করে উঠলো রুমু।
তুমি ঘুমিয়ে পড়ো।আজ আমি আসবোনা।সিকিউরিটি গার্ডরা নিচে আছে। ভয় পেওনা।এক নাগাড়ে বলে দিলো আনাম।
ধ্যাত,,,,,,ফোন কেঁটে দিলো রুমু।কান থেকে ফোন সরালো আনাম।কাজের মেয়েটার রুমের দরজার দিকে তাকালো আনাম।
চলবে