My Mafia Boss

My Mafia Boss- Season- 1 !! Part- 04

কিরে মামা বাড়িতে কেমন মজা করলি রুহি? স্নিগ্ধা এসে জিজ্ঞেস করলো।স্নিগ্ধা রুহীর বেস্ট ফ্রেন্ড।ভালো লেগেছে হালকা হেসে বলল রুহী।তোর তো তাও কেউ আছে আমার তো কেউ নেই মন খারাপ করে ফেলল স্নিগ্ধা।রুহী হেসে স্নিগ্ধার কাঁধে হাত রাখলো আমরা আছিনা তোর?হুম মুচকি হাসলো স্নিগ্ধা। আজ আমার প্লেটবাটি ধোয়ার পালা।হুম আর আমার বাথরুম বলেই হেসে দিলো স্নিগ্ধা।সত্যি এতো ঘেন্না লাগে বাথরুম ধোয়ার কাজ টা নাক শিটকালো রুহী।ঠিক বলেছিস জঘন্য লাগে। এখন চল নাহলে জানিস তো মিস জেনিফার কেমন?হুম চল চল।দুজন ডাইনিং এ চলে এলো।মিস জেনিফার ওদের টেবিলের সামনে এসে দাড়ালেন খাওয়া শুরু হওয়ার আগে একটা সুখবর দিতে চাই সবার আগে।সবাই একসাথে বলে উঠলো কি? কাল সবাইকে গাজীপুর নিয়ে যাবো স্বপ্ন নীড় পিকনিক স্পট। সবাই ভীষন খুশি হয়ে গেল।এবার তোমরা খাও বলে মিস জেনিফার চলে গেলেন।
রুহি কি পরে যাবি?স্নিগ্ধা জিজ্ঞেস করে বসলো। এবার অবন্তী আপু অনেক গুলো জামা কিনে দিয়েছে সেখান থেকে একটা পরে নিবো।আমার তো ভালো জামা নেই রে মন খারাপ করে বলল স্নিগ্ধা।আমার থেকে নিয়ে নিবি এটা নিয়ে এতো ভাবার কি হলো?
তুই অনেক ভালো রুহী।স্নিগ্ধা রুহীকে জড়িয়ে ধরলো।
স্যার!!!রোয়েন কে ডাকলো দলের এক লোক।
হোয়াট???রোয়েন তাকালো লোকটির দিকে।ওর চোখ দু’টি লাল হয়ে গেছে।রফিক আছেনা গাজীপুরের আমাদের মাল সাপ্লাই করে এক দমে বলল লোকটি।হুম কি করেছে রফিক?ডার্ক গ্রুপের সাথে মিলছে।রোয়েনদের গ্রুপের নাম টাইগার আর ডার্ক গ্রুপ আরেকটি মাফিয়া দল টাইগার গ্রুপের শত্রু।মুখ শক্ত হয়ে উঠলো রোয়েনের কপালের রগ ফুলে উঠলো। বিশ্বাসঘাতকতা সহ্য করতে পারেনা ও দাঁতে দাঁত চেঁপে বলতে লাগলো He will pay for it টেবিলে জোরে হাত দিয়ে বাড়ি দিলো রোয়েন।
রুহী আর স্নিগ্ধা পাশাপাশি শুয়ে আছে।দুজনের কারোরই ঘুম নেই চোখে খুব উত্তেজনায় আছে দুজন।
কাল পিকনিকে যাবে অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করছে।তবে রুহীর অনুভূতিটা অন্যরকম।যেন সেখানে বিশেষ কিছু অপেক্ষা করছে ওর জন্য। রুহী!!! ফিসফিসিয়ে ডাকলো স্নিগ্ধা।কি!!!ফিসফিসিয়ে জবাব দিলো রুহী।ঘুম আসছেনা (ফিসফিস করে)।আমার ও রুহী আস্তে করে বলল।কি করবি(ফিসফিসিয়ে)? ছাদে চল।পাগল নাকি মিস জেনিফার দেখলে খবর আছে।আরে চল কিছু হবেনা অভয় দিয়ে বলল রুহী। ওকে চল দুজনে আস্তে করে উঠলো।ছাদে এলো ওরা। জানিস স্নিগ্ধা মনে হচ্ছে গাজীপুরে আমার জন্য বিশেষ কিছু অপেক্ষা করছে।তাই নাকি মুচকি হেসে বলল স্নিগ্ধা।হুম (রুহী)।
আজ ও একটি মেয়েকে রুমে নিয়ে এসেছে রোয়েন। মেয়েটি একেবারেই নতুন।অন্য মেয়ে গুলার থেকে আলাদা। প্রথমে আসতে না চাইলে ও রোয়েনের ধমক শুনে আসতে রাজি হয়।মেয়েটি রোয়েনের পিছু পিছু ভিতরে ঢুকলো। সোফা দেখিয়ে রোয়েন বলল বস।
জি মেয়েটি বসে পড়লো।রোয়েন উপরে ফ্রেশ হতে চলে গেল।মেয়েটি বারবার দরজার দিকে তাকাচ্ছে। উঠে যাবে তখনই রোয়েন ওর হাত ধরে ফেলল কই যাও?মেয়েটি ভয়ে কাঁপছে।কি হলো বল কই যাচ্ছিস ধমক দিলো রোয়েন। স্যার প্লিজ ছাইড়া দেন আমারে নষ্ট কইরেন না।রোয়েনের পা ধরে বসে কাঁদতে লাগলো রুবী।দাঁড়া!!!!উঠছেনা দেখে আবার ও ধমক দিলো দাঁড়া!!!কাঁপতে কাঁপতে উঠে দাঁড়ালো রুবী। সোফায় বস।জি??কানে শুনিস না ধমক দিলো রোয়েন। বসে পড়লো রুবী।রোয়েন বাহির থেকে খাবার অর্ডার করলো।নিজেও খায়নি কিছু।
খাবার আসার পর মেয়েটিকে দিয়ে নিজে ও খেলো।খাবার শেষে রুবী নিচের গেস্ট রুমে শুতে বলল রোয়েন।রুমে চলে এলো রোয়েন।লিজা নামের মেয়টিকে কল দিয়ে আসতে বলল।
সকাল ভোরে সবাই ঘুম থেকে উঠে গেল।রুহী আর স্নিগ্ধা ও উঠে গেছে।রুহী অনেক আগেই গোসল সেড়ে ফেলেছে। স্নিগ্ধার সামনে সব গুলো জামা দিলো পছন্দ কর।স্নিগ্ধা গোলাপি স্যালোয়ার কামিজ টি নিলো। গোলাপি রং খুব পছন্দ স্নিগ্ধার।রুহী ও সাদা একটি স্যালোয়ার কামিজ পড়লো।একহাতে সাদা কাঁচের চুড়ি পরে অপর হাতে অবন্তী আপুর দেয়া গোল্ডেন কালার ঘড়িটি পরে নিলো। চুল গুলো কে ছেড়ে দিলো। কপালে সাদা পাথরের টিপ পরেছে রুহী। ঠোঁটে Sheer colour এর লিপবাম লাগালো। রুহীকে আজ পুরোই মায়াবতী লাগছে।এমনিতেই ভীষন সুন্দরী ও আজ একটু বেশিই সুন্দর লাগছে । সব মেয়ে ওকে দেখে জ্বলছে। ওদের নিতে দুটি বাস এলো।স্নিগ্ধা আর রুহী পাশাপাশি বসলো বাসে। গান ছেড়েছে মিস জেনিফার।কয়েকজন উঠে নাচতে শুরু করেছে।রুহী আর স্নিগ্ধা হাত তালি দিচ্ছে আর গানের সাথে তাল মিলিয়ে গাইছে।
ঘন্টা খানেক জার্নির পর পৌছে গেল ওরা স্বপ্ন নীড় পিকনিক স্পটে।সবাই হৈচৈ করতে করতে নামলো বাস থেকে।মিস জেনিফার সবাইকে একসাথে থাকতে বলছেন কিন্তু কানেই নিচ্ছেনা কেউ। সবাই ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেছে।সবাই মিলে রান্না বান্না করে খেলো।অবেক ধরনের খেলায় মেতে উঠলো ওরা।কেউ আবার গানের কলি খেলছে।বিকেলে মিস জেনিফার বললেন চলো ঘুরে আসি।আশেপাশে অনেক গুলো স্পট আছে।সবাই একসাথে বের হলো।স্নিগ্ধা আর রুহী একসাথে হাঁটছিলো।মনের ভুলে রুহী অন্যদিকে চলে যায়।ওর খেয়াল নেই হঠাৎ গুলির শব্দ পায় রুহী।বুক কেঁপে উঠে ওর। লুকিয়ে দেখার চেষ্টা করে ৬,৭জন কালো পোশাক পরিহিত লোক দাড়িয়ে আছেন।মাঝের জন বেশ লম্বা কালো কোট পরে আছে সে।লম্বা লোকটি দুজন লোককে রুহীর চোখের সামনে গুলি করে দিলো। রুহী সরে যেতে নিলে পাতার শব্দ হয় । সাথে সাথে লোকগুলি ওরদিকে তাকায়। রুহী দৌড়াতে নেয় তখনই খুব গম্ভীর ভরাট একটি কন্ঠে ডাক আসে এই কে ওখানে?রুহী নড়তে পারছেনা।লোকগুলিকে ওরদিকে আসতে দেখে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারেনা।চিৎকার দিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
চলবে