Mafia Boss- Season- 3

Married To The Dark King-  Mafia Boss- Season 3 !! Part- 79

রুহীর চোখ ভরে আসতে চায় তার কন্ঠ শুনে।কেমন মধুর!!কি ভালোবাসায় মাখামাখি,কি আবেগ লাগানো কন্ঠ প্রিয় মানুষটার।
রুহী ফোন কানে রেখে চোখবুজে তার কন্ঠ শুনতে থাকে।এভাবে সারাজীবন পার করে দেয়া যাবে।
-কিছু বলছি রুহী!!শুনছো তুমি?আবার ও বলে উঠে রোয়েন।
-হুম।ঘোরের মাঝেই বলে উঠে রুহী।
-জানি খুব কষ্ট হচ্ছে।বাট এখন আর কষ্ট হবেনা।মাকে পেয়েছি রুহী।বলে উঠে রোয়েন।
-এবার ঘোর কাঁটে রুহীর।উত্তেজিত হয়ে বলতে থাকে মাকে পেয়েছো?কেমন আছে মা?কই ওনি?একনাগাড়ে জিজ্ঞেস করতে থাকে রুহী।
-মাম্মা হাসপাতালে এডমিট।দুইদিন অথবা বেশি দিন লাগতে পারে মাম্মার জ্ঞান ফিরতে।বলে উঠে রোয়েন।
-ওহ।টেনশন করোনা।মা ভালো হয়ে যাবেন।বলে উঠে রুহী।
-রোয়েনের ঠোঁটের কোনায় হাসি ফু্ঁটে উঠে।তুমি কেমন আছো?খাবার খাচ্ছো ঠিক মতো?
-ভালো আছি আর একটু আগে খেলাম।তুমি খেয়েছো?জিজ্ঞেস করে উঠে রুহী।
-খাবো এখন। আমার ছোট্ট জান টা কি করছে?জিজ্ঞেস করে উঠে রোয়েন।
-খেয়ে ঘুমোচ্ছে।পেটে হাত ছুঁইয়ে বলল রুহী।
-ফোনটা পেটের কাছে নাও।বলে উঠে রোয়েন।
-রুহী হেসে ফোন টা কে পেটের কাছে রাখলো।রোয়েন ফোনে চুমু দিলো।রুহী কানে ফোন ধরলো কি বললে?জিজ্ঞেস করে উঠে রুহী।
-সেটা সিক্রেট বলা যাবেনা।বলে উঠে রোয়েন।
শব্দ করে হাসে রুহী।হাসির শব্দ যেন রোয়েনের রক্ত প্রবাহের সাথে মিলে গেছে।
-আচ্ছা জানবোনা।তবে মার কি হয় সেটা জানাবে আমাকে।বলে উঠে রুহী।
-ওকে।আর রেহান যেন এখন ও কিছু না জানে।ওকে আমি জানাবো সময় করে।(রোয়েন)
-ওকে।শুনো!!!ডেকে উঠে রুহী।
-বলো।বলে উঠে রোয়েন।
-মিস ইউ।টেক কেয়ার।(রুহী)
-টেক কেয়ার।লাভ ইউ।বলে উঠে রোয়েন।
-রুহীর চোখ ভরে আসতে চায়।ফোন কেঁটে পাশের টিটেবিলে রাখে রোয়েন।
-রোয়েন খেতে আসো?দরজার সামনে দাঁড়িয়ে বলে উঠেন সাইফ রাহমান।
-জি।উঠে দাঁড়ালো রোয়েন।
Scorpion Mafia Gang
রায়ান হেঁটে হেঁটে একটা কাঁচের ঘরের ভিতরে ঢুকলো।
রায়ান ঢুকতেই অনেক গুলো গার্ড রায়নের সামনে ছুড়িয়ে রেখে দাঁড় করালো।
-Wait তারা একত্রে বলে উঠলো।
রায়ান দাঁড়িয়ে গিয়ে ওদের দিকে তাকালো।
-স্যারের সাথে দেখা করতে এসেছি।
-আপনার পরিচয়?লোক গুলো একসাথে জিজ্ঞেস করলো।
-স্যারের ডান হাত।আমার নাম রায়ান। বলে উঠে রায়ান।
-সন্দেহ আছে।হেই ইউ গো এন্ড কল স্যার এন্ড টেল এবাউট হিম।গার্ডদের প্রধান বলে উঠলো।
-ওকে।বলে কালো বেটে লোকটা ফোন কানে রেখে ওপাশে চলে গেলো।
রায়ান গার্ডদের দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে আছে।যেন চিবিয়ে খাবে।
কিছুক্ষন পর কালো বেটে লোকটা এসে দাঁড়ালো।
-স্যার বলল ওনাকে ভিতরে পাঠাতে।
-ওকে।ইউ ক্যান গো নাউ।বলে উঠে গার্ড প্রধান।
রায়ান কালো বেটে লোকটার কাঁধে চড় মেরে সামনে হেঁটে যেতে লাগলো।
রায়ান বিচ্ছু আঁকা একটা কালো দরজার সামনে থামলো।
আইডি কার্ড দেখাতেই দরজা খুলে গেলো।রায়ান সামনে হেঁটে কালো লম্বা সোফাটার সামনে এসে দাঁড়ালো।
-এস্ট্রেতে সিগারেটের ছোট অংশটুকু রাখলো মোটা লোকটা।ভুড়ি টাকে সামনে এগিয়ে দিয়ে উঠে দাঁড়ালো।
সে এখনো পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা রায়ান কে দেখতে পায়নি।
-স স স্যার!!আমি রায়ান।তোঁতলাতে লাগলো রায়ান।
সামনের থেকে লোকটা রিপ্লাই দেইনি এখনো।সে নিজের কাজ করে যাচ্ছে।লোকটা গ্লাসে লাল রং এর কিছু পানীয় ঢেলে একবার সিপ দিয়ে বলল
-ওহ রায়ান তুমি?
-জ জ জি স্যার।ভালো আছেন?জিজ্ঞাস করে উঠে রায়ান।
-তোঁতলাচ্ছো কেন রায়ান?তুমি কি তেমন কিছু করেছো বলো?
-স্যার আ’ম সরি।আমি রোয়েন চৌধুরীর সাথে পেরে উঠিনি।ম মাফ করে দিন,,,,,,,,, বলতে না বলতেই রায়ানের মাথাটা নিচে পড়ে গেলো।
-সরি বলছো কেন ডিয়ার রায়ান?তোমার ওপর ভরসা করে ১০ বছর সিংগাপুর ছিলাম।এই ১০ বছরে আমার গ্যাংগটা কে রসাতলে পাঠিয়েছো। রক্ত মাখা ছুড়ি হাতে নিয়ে বললেন প্রনয় খান।প্রনয় খান স্করপিয়ন মাফিয়া টিমের লিডার।
-রাফি কাম হিয়ার!!!!চিৎকার করে ডাকলেন প্রনয় খান।
-গার্ড প্রধান দৌড়ে ভিতরে আসলো ইয়েস স্যার।
বলে উঠলো রাফি।
-এই লাশটাকে আমার টাইগারের খাঁচায় দিয়ে আয়।বলে উঠলেন প্রনয় খান।
-জি স্যার।তিন জন গার্ড মিলে রায়ানের লশটাকে উঠিয়ে নিয়ে চলে গেলো।
-ওর নজর থেকে আড়াল হতেই কানে ফোন রাখলেন প্রনয় খান।রোয়েন চৌধুরীর সকল ইনফরমেশন চাই রাইট নাও।বলেই ফোন ছুড়ে মারলেন প্রনয় খান।
দুদিন হয়ে যায়।রোয়েন সারক্ষন হাসপাতালেই ছিলো মাম্মার পাশে।রুহীর সাথে কথা বলেছে সুযোগ পেলেই।
রোয়েন মাম্মার পাশে বসে ফোন চালাচ্ছিলো।হঠাৎ মাম্মা খুব জোরে নিশ্বাস নিতে শুরু করলো।রোয়েন নিজের ধ্যান জ্ঞান হারিয়ে ফেললো।ডাক্তারকে ডেকে নিয়ে আসলো।
ডাক্তার দৌড়ে এসে রায়না রাহমানকে অক্সিজেন মাস্ক পরিয়ে দিলো।তারপর শান্ত হলেন রায়না রহমান।
রোয়েন দ্রুত সাইফ রাহমান কে কল দিলেন। কিছুক্ষনের মাঝেই সাইফ রাহমান চলে এলেন।
রোয়েন বাহিরে চলে এলো।রেহান কে কল দিলো।
একবার রিং হতেই রেহান কল রিসিভ করলো।
-হ্যালো ভাইয়া!!!কই আপনি?হঠাৎ কই হাওয়া হয়ে গেলেন?জিজ্ঞেস করতে লাগলো রেহান।
-রিল্যাক্স রেহান।আ’ম ওকে।আমি বাংলাদেশে আছি।বলে উঠে রোয়েন।
-হোয়াট!!!জানান নাই কেন?কতো টেনশন হচ্ছিলো।ভাবিকে এভাবে রেখে চলে গেলেন।বলে উঠে রেহান।
-লিসেন রেহান আমি এখানে এসেছি একটা কাজে।বলে উঠে রোয়েন।
-কি কাজ?জিজ্ঞাস করে উঠে রেহান।
-রেহান তোকে রিল্যাক্স থাকতে হবে।মাম্মাকে বাঁচাতে এসেছি আমি।
-হোয়াট মাকে বাঁচাতে মানে?কি বলছেন ভাইয়া এসব?ভয় পেয়ে যায় রেহান।
-শুনো মা ঠিক আছে।রেহানের আকদের দিন থেকে মাম্মার কিডন্যাপ হওয়ার সকল কাহিনী খুলে বলল রোয়েন।
-রেহান নিচে ধপ করে বসে পড়লো।আগে জানান নি কেন ভাইয়া?জিজ্ঞেস করে রেহান।
-দেখো আমি নিজেই প্রচুর টেনশনে ছিলাম।সরি রেহান।বলে উঠে রোয়েন।
-সাইফ আমি কই আছি?জিজ্ঞেস করে উঠেন রায়না রহমান।
-হাসপাতালে রায়না।কেমন লাগছে তোমার?জিজ্ঞেস করে উঠেন সাইফ রাহমান।
-ভালো না ভীষন ভয় লাগছে।সে যদি এসে মেরে ফেলে আমাকে।সে আমাকে ছাড়বেনা।সে আমাকে মেরে ফেলবে।আমার বাবাকে ও মেরে ফেলছে।আমাকে ও মেরে ফেলবে।সাজিদ মেরে ফেলবে আমাকে।বলে উঠেন রায়না রাহমান।
-সাইফ রাহমান বুঝে গেলেন রায়নার স্ত্রীর সব কিছু মনে পড়েছে।এটার ও খুশি হচ্ছে যে রায়না ওনাকে ভুলে যায়নি।
কিছু হয়নি রায়না সব ঠিক হয়ে যাবে।সাজিদ কিছু করতে পারবেনা তোমার।তোমার ক্ষতি করতে পারবেনা সাজিদ।
-হুম।হালকা হাসে রায়না রাহমান।হঠাৎ তার চোখে ভেসে উঠলো তার সেই ছোট্ট ছেলে রোনুর কথা।কাঁদতে লাগলেন রায়না রাহমান।
-স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে সাইফ রাহমান আঁৎকে উঠলেন।
-কি হলো রায়না?জিজ্ঞাস করে উঠলেন সাইফ রাহমান।
-আমার ছোট ছেলেটা কই?আমার রোনু কই?আমার রোনুকে আমার কাছে এনে দাও।কাঁদতে কাঁদতে বললেন রায়না রাহমান।
-তোমার রোনু আছে রায়না।বলে উঠেন সাইফ রাহমান।
-রোনু আছে?কই রোনু?প্লিজ সাইফ ডেকে দাও ওকে।প্লিজ।উত্তেজিত হয়ে উঠেন রায়না রাহমান।
-কাম ডাউন রায়না।ডাকছি ওকে।সাইফ রাহমান বাহিরে বেরিয়ে গেলেন।
রোয়েন দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে বাহিরে তাকিয়ে আছে।চোখের কোনা বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে।হঠাৎ কাঁধে কারোর ছোঁয়া পেতেই পাশে তাকায় রোয়েন।
সাইফ রাহমান রোয়েন কে বলেন
-যাও মা ডাকছে তোমাকে।
-রোয়েন দ্রুত ভিতরে ঢুকে গেলো।
চলবে