Mafia Boss- Season- 3

Married To The Dark King-  Mafia Boss- Season 3 !! Part- 21

ভিডিও কলে রুহী রোয়েন রেহান আর রুপন্তী সবাই একসাথে মিলে কথা বলছিলো।রোয়েন খুব একটা কথা বলছিলোনা। কথা বলছিলো রেহান।খুব হাসাতে পারে ছেলেটা।রোয়েন মাঝে মধ্যে হু হা করে উত্তর দিচ্ছে আর রুহীকে দেখেই যাচ্ছে।হঠাৎ কথার মাঝে রুহী বলে উঠলো আইসক্রিম খাবো।না আইসক্রিম খাবেনা তুমি।শক্ত ভাবে বলল রোয়েন।রেহান আর রুপন্তী ও মাথা নাড়লো। ওরা কেউই এই মুহূর্তে আইসক্রিম খেতে রাজিনা।আমার না খুব খেতে ইচ্ছে হচ্ছে আইসক্রিম প্লিজ চলো না আইসক্রিম খাই।কিছুটা মন খারাপ করে বলল।রোয়েন এতক্ষন রুহীকে দেখছিলো।ওকে ডান।আমি গাড়ি নিয়ে আসছি।তোমরা রেডি হয়ে নাও।আমি আসা ছাড়া বের হবানা কেউ। একনাগাড়ে কথা গুলো বলে কল কেঁটে দিলো রোয়েন।তিনজনে রেডি হতে চলে গেলো।রুহী কালো একটা গেঞ্জী আর জিন্সপ্যান্ট পরে নিলো।রুপন্তী ফতুয়া আর প্লাজো পরে নিলো।রেহান আকাশী রং এর একটি শার্ট আর ব্লু ডেনিম প্যান্ট।কুনুই পর্যন্ত শার্টের হাতা গুঁজে নিলো।
তিনজনে রেডি হয়ে একসাথে বসে অপেক্ষা করছে রোয়েনের আসার।
হঠাৎ রুহীর ফোনে রোয়েনের নম্বর থেকে মেসেজ এলো।আ’ম ওয়েটিং”
চলো চলো চলে এসেছে রেহান আর রুপন্তীকে তাড়া দিতে দিতে বেরিয়ে এলো ওরা।রেহান রোয়েনের পাশে বসে পড়েছে।রুপন্তী আর রুহী পিছনের সিটে বসে পড়লো।গাড়ি চলছে অজানার পথে।রোয়েন ড্রাইভ করছে আর মাঝে মধ্যে রেহানের সাথে গল্প করছে।রুহীকে ড্রাইভিংয়ের ফাঁকে দেখার সুযোগটা হাত ছাড়া করছেনা রোয়েন। বেশকিছুক্ষন পর একটা দোকানের সামনে এসে থামলো ওরা।দোকানটির সামনে বেশ কিছু বেঞ্চ পাতা বসার জন্য। ওরা সবাই বসে পড়লো বেঞ্চে।রোয়েন রুহী এককোনায় বসে আছে।বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো রেহান।আমি অর্ডার দিয়ে আসি আইসক্রীমের।
,
,
,
,
রুহী কোন ফ্লেভার খাবে?রেহান প্রশ্ন করে উঠলো।চকোলেট ফ্লেভার।রোয়েন ভাই আপনি?রোয়েনের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করলো রেহান।চকোলেট বলেই রুহীর দিকে তাকালো রোয়েন।মুচকি হেসে রুপন্তীর কাছে এসে দাঁড়ালো রেহান।তুই কি খাবি মুটকি?দুষ্টু হাসি দিয়ে প্রশ্ন করলো রেহান।খাবোনা। কিছুটা অভিমানী কন্ঠেই বলল রুপন্তী।রেহান রুপন্তীর হেডব্যান্ডের দিকে তাকালো।সেখানে স্ট্রবেরি আঁকা।কিছু না বলে হেসে দোকানের দিকে পা বাঁড়ালো রেহান।সুযোগ পেয়ে রোয়েনের শরীরের জায়গায় চিমটি শুড়শুড়ি দিচ্ছে রুহী।রোয়েন রাগী চোখে রুহীর দিকে তাকাতেই ঠোঁটজোড়াকে কিসের মতো করে নিলো রুহী।কিছুটা লজ্জা পেয়ে অপর পাশে মাথা ঘোরালো রোয়েন।রুহী আবার ও সেই দুষ্টুমি গুলো করতে লাগলো।রোয়েন রাগী চোখে তাকাতেই রুহী আবার ও আগের মতো ঠোঁট টাকে কিসের মতো করে নিলো।রোয়েন অপর পাশে ফিরে তাকালো।চারপাশ যেন অন্ধকারে ছেঁয়ে গেছে।দোকানটায় হালকা লাইটিং করা।রুহী সেই সুযোগে রোয়েনের গালে চুমো খেয়ে ওর ঘাড়ে ঠোঁট বুলাতে লাগলো।রোয়েনের হাতের আঙ্গুলের মাঝে নিজের আঙ্গুল গুলো গুঁজে দিলো রুহী।রোয়েন যেন নিজেকে ঠিক রাখতে পারছেনা।মেয়েটাকে কষিয়ে চড় মারতে ইচ্ছে হচ্ছে।অবশ্য রাগের মাঝে ভালোই লাগছে বেশ।রেহানকে ওদের কাছে আসতে দেখেই রুহী হালকা ধাক্কা দিয়ে সরালো রোয়েন।রেহান ওদের হাতে আইসক্রীম ধরিয়ে দিলো।রুপন্তীর কাছে এসে দাঁড়ালো রেহান।ধর খেয়ে নে।বলে উঠলো রেহান।রুপন্তী গরম চোখ করে রেহানের দিকে তাকায়।Don’t be so hot or it will be meltdown.রুপন্তীর দিকে পলক হীন ভাবে তাকিয়ে বলল রেহান।রুপন্তী রেহানের দিকে তাকিয়ে আছে।নেশা ভরা চোখ,ডুবে যাচ্ছে ও।রেহানের চোখের নেশায় ডুবে যাচ্ছে রুপন্তী।পরক্ষনেই মনে হলো ছি!!কি ভাবছি এসব?রেহানের হাত থেকে আইসক্রীম নিয়ে চুপচাপ খেতে আরম্ভ করলো রুপন্তী।
অাইসক্রীম খেতে ব্যাস্ত রুহী মাঝে মধ্যে রোয়েনের শরীরে চিমটি কাঁটলো।রোয়েন এবার রুহীর কানের কাছে মুখ নিলো।আমার রোম্যান্স শুরু হয়ে গেলে রেহাই পাবেনা।ফিসফিসিয়ে বলল রোয়েন। হঠাৎ রোয়েনের একটা কথায় থেমে গেলো।রোয়েনের দিকে বড় চোখে তাকিয়ে দুষ্টু হাসি দিলো রুহী।রুহীর ঠোঁটের কোনে আইসক্রীম লেগেছিলো।রোয়েন মুখ এগিয়ে থেমে গেলো।তারপর আঙ্গুল দিয়ে আইসক্রীমটুকু নিয়ে খেয়ে নিলো।রুহী লজ্জা পেয়ে নিচে তাকিয়ে খেতে লাগলো।আইসক্রীমের বিল দিয়ে সবাইকে নিয়ে বেরিয়ে গেলো রোয়েন।রুহীর পাশে রুপন্তী বসতে যাবো তখনই রোয়েন বলল।যদি কিছু মনে না করো আমি তোমার আপুর পাশে বসি?
,
,
,
,
আরে ভাইয়া কি যে বলেননা?আপনারই হবু বৌ শান্তিতে বসে পড়ুন।আর এই ভেজালটাকে জলদি নিজের ঘরে নিয়ে যান।হেসে হেসে বলছিলো রুপন্তী।কি বললি? রাগী চোখে বলল রুহী।ঠিকই তো বলছি আর কতো বাসায় বসে বসে খাবি?এবার তো শ্বশুড় বাড়ি চলে যা।বলে উঠলো রুপন্তী।রুপন্তী তোকে তো?চিৎকার করে উঠলো রুহী।রুপন্তী হাসতে হাসতে রেহানের পাশে বসে পড়লো।রোয়েন রুহীর পাশে বসে পড়লো।গাড়ি চলছে।প্ল্যান হলো ঘুরবে ওরা।রোয়েন রুহীর গায়ের সাথে মিশে বসলো।রুহী ও রোয়েনের আরো একটু কাছে এগিয়ে গেলো।রোয়েন এবার রুহীর ঠোঁটে আলতো করে কামড়ে দিলো।চিৎকার করতে যেয়ে ও চুপ হয়ে গেলো রুহী।রোয়েন বাঁকা হাসি দিয়ে তাকিয়ে আছে রুহীর দিকে।রুহীর হাত নিজের দুহাতের মাঝে শক্ত করে ধরে আছে রোয়েন।সুযোগ পেলেই রুহীর গালে চুমো খাচ্ছে,গলায় লিক করছে। আর মাঝে মধ্যে রুহীর জামার ভিতর হাত ঢুকিয়ে রুহীর পেটে রোয়েনের হাত স্লাইড করছে।আবার কখনো পিঠে আলতো করে আঙ্গুল দিয়ে দাগ টেনে দিচ্ছে।রুহী রোয়েনের দিকে তাকালো।বেচারী কি বলবে বুঝতে পারছেনা।রোয়েন বাঁকা হাসি দিয়ে রুহীর দিকে তাকিয়ে ওর ঠোঁটে আবারো কামড় বসালো।রুহী যতোবারই ওর দিকে ফিরছে ততোবারই রোয়েন ওর ঠোঁটে কামড় বসাচ্ছে।
রেহান ভাইয়া বাসায় চলো জলদি।বলে উঠলো রুহী।না আমরা ঘুরবো রুহী।তোমার কি কোন সমস্যা হচ্ছে?জিজ্ঞেস করলো রোয়েন।
রুহী ঠিকই তো বলছে রোয়েন ভাই।আমরা ঘুরবো কোন সমস্যা নেই।
রুহী মলিন চেহারায় রোয়েনের দিকে তাকালো।রোয়েনের দুষ্টুমি বাড়াতেই থাকলো।রেনান ভাইয়া বাসায় চলো প্লিজ।বলে উঠলো রুহী।প্লিজ রুহী আরো কিছুক্ষন। বলে উঠলো রোয়েন।রুহী আর তাকাতে পারলোনা রোয়েনের দিকে।রাত দুটো বাজে যে যার বাসায় চলে গেলো।রুহী নিজের রুমে চলে গেলো।রেহান সুযোগ পেয়ে রুপন্তীর গাল টেনে ধরলো।রুপন্তী রেগে গিয়ে রেহান কে ধাওয়া করতে লাগলো।রেহানকে আর পায়কে।যতে জোরে পারছে দৌড়াচ্ছে।রুপন্তী ও হার মানবে না।দৌড়াতে দৌড়াতে রেহানের রুমে চলে গেলো ওরা।একসময়ে রেহানকে ধাক্কা দিতে গিয়ে দুজনে রেহানের খাটের ওপর।রেহানের ঠোঁট রুপন্তীর ঠোঁটে। রুপন্তীর চোখ বড় বড় হয়ে গেলো।রেহান সরে এসে হেসে দিলো।সরেন ভাইয়া। ভয় পেয়ে বলল রুপন্তী।এভাবেই তো ভালো লাগছে আমার।মুখে দুষ্টু হাসি এনে বলল রেহান।না প্লিজ সরেননা ভাইয়া।রেহানকে সরাতে চেষ্টা করতে করতে বলল রুপন্তী।ভাইয়া ডাকতে কতো বার মানা করেছি।ভাইয়া ডাকিস কেন?ধমকে উঠলো রেহান।তুমি তো আমার ভাই হও। মামাতো ভাই।বলে উঠলো রুপন্তী।কোন ভাই টাই না।নাম ধরে ডাকবি আমার।না, আপনি আমার বড়।নাম ধরে কেন ডাকবো?কিছুটা রাগ করে বলল রুপন্তী।ডাকবিনা?গম্ভীর গলায় জিজ্ঞেস করলো রেহান।না ডাকবোনা।বলে উঠলো রুপন্তী।ডাকবিনা?(রেহান)না (রুপন্তী)।রেহান তখনই নিজের ঠোঁট রুপন্তীর ঠোঁটে চেঁপে ধরলো।রুপন্তী রেহানের পিঠে কিল ঘুষি লাগাচ্ছে।কিন্তু সেদিকে কোন হুশ নেই রেহানের।মনের খুশিতে রুপন্তীকে চুমু খেয়ে যাচ্ছে।বেশকিছুক্ষন পর সরে এলো রেহান।মাথা নিচু করে শ্বাস নিচ্ছে রুপন্তী।আর ডাকবি ভাইয়া?আই থিংক এর কর থেকে ভাইয়া ডাকার আগে একশো বার চিন্তা করবি।রুপন্তীর কানে কানে বলল রেহান।রুপন্তী দুহাতে চোখ মুছে দৌড়ে বেরিয়ে গেলো রেহানের রুম থেকে।
চলবে