রাগী বস – পর্ব- ১৭
অফিসে,,
.
অল স্টাফঃগুড মর্নিং স্যার,,!
.
সিফাতঃমর্নিং,,!
.
আবিদঃস্যার আপনার শরীর এখন কেমন আছে?
.
সিফাতঃভালো আছে,অফিসের কাজ কতদুর কেমন চলছে, R.M কোম্পানির সাথে ডিল টার কি হলো?
.
আবিদঃকাজ মোটামুটি ভালোই চলছে স্যার,আপনার অনুপস্থিতিতে আমি সব সামলে নিয়েছি, R.M কোম্পানির সাথে ডিল টা নিয়েও কথা হয়েছে,তারা আজ আসবে আপনার সাথে ভালোভাবে কথা বলে ডিল সাইন করবে।
.
সিফাতঃওকে বলে কেবিনে চলে আসলাম,নিশাত এখনো আসেনি মনে হয়।এই কথা ভাবতেই দেখি গেট খুলে সামনে এসে হাজির,মুখে হাসি,শয়তানের নাম মুখে নিতে না নিতেই শয়তান হাজির,এবার জ্বালিয়ে খাবে,কেনো যে একে পি.এ করতে গেলাম সেদিন আল্লাহ জানে।নেহাত সিয়ামের বোন তা না হলে কি এতো কিছু সহ্য করতাম।সিয়াম আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড। আর ওর বোন নিশাত।আমি যে বিবাহিত এটা নিশাত জানে না।সিয়ামও না।সিনহার সাথে হঠাৎ বিয়ে হইছিলো তাই বেশিরভাগ অজানা।
.
নিশাতঃগুড মর্নিং,,!
.
সিফাতঃহুম সিট।
.
নিশাতঃএখন কেমন আছেন স্যার?
.
সিফাতঃসেটা তো ফোনেই শুনলে,আর ভালো আছি জন্যই অফিস আসতে পেরেছি।
.
নিশাতঃওকে স্যার।
.
সিফাতঃকাজের কথা বলো।
.
নিশাতঃওকে,মনে মনে একশো একটা বকা দিতে লাগলাম,ভালো কথা কি মুখ দিয়ে বেরোয় না, সব সময় মেজাজ নিয়ে থাকে,আমি তো ভালো করেই বললাম তারপরো,,!
.
সিফাতঃকি হলো কি ভাবছো,ধ্যান ভাংলে আমায় কাজের কথা বলো?
.
নিশাতঃসরি স্যার বলে বেশ কয়েকটা ফাইল স্যারের দিকে এগিয়ে দিলাম।স্যার এগুলো সব কমপ্লিট এখন শুধু আপনি দেখে সিগনেচার করে দিন তাহলে সব ওকে।
.
সিফাতঃওকে বলে ফাইল গুলো দেখে সিগনেচার করে দিলাম,,আর কিছু বাকি আছে?
.
নিশাতঃনা স্যার।
.
সিফাতঃতা হলে নিজের জায়গায় গিয়ে বসে কাজ করো যাও।
.
নিশাতঃওকে স্যার,বলে চলে এলাম,সেই সাথে মনে মনে গুষ্টি উদ্ধার করলাম।
.
সিফাতঃনিশাত মেয়েটা খুব একটা খারাপ না,ভালবাসে আমায় এটা সে অনেক আগে থেকে বোঝাতে চায়। সিনহা আমার জিবনে আসার আগে থেকে।কিন্তু আমি ঐসব পাত্তা দিতাম না, আর এখন তো আমার অস্তিত্ব জুড়ে শুধুই সিনহা আর কেউ না,সিনহার জায়গা আমি কোনোদিন কাউকে দিবো না।সিনহা কোথায় তুমি প্লিজ ফিরে এসো। প্লিজ সিনহা প্লিজ ফিরে এসো আমি আর পারছি না তোমায় ছেড়ে থাকতে।
.
অপরিচিতঃ May i coming,,?
.
Sifat:yes,,coming.
.
অপিরিচতঃ I am Rayan Mahmud, MD of R.M company.
.
Sifat:I am sifat Ahmed,, please sit.
.
Rayan:thanks,,!
.
সিফাতঃকাজের কথায় আসি,আমার অনুপস্থিতে আমার পি.এ নিশাত চৌধুরী, আপনাদের সাথে সব বিষয়ে কথা বলে নিয়েছে আমাকে জানিয়েছেপাআ।আপনি আমার সাথে ৫ বছরের কন্টাক্ট করতে চেয়েছেন?
.
রায়ানঃহুম স্পেশালি R.M company এর নতুন MD সিনথিয়া এর সাথে আপনার পি.এ এর কথা হয়েছে।কেনো না সে কোম্পানির দায়িত্বে আছে আমি নেই দায়িত্ব টা তাকে দিয়েছি।আজ আমি ডিল টা করে যাবো তারপর আপনার যতো আদান প্রদান আমাদের কোম্পানির সাথে সব সিনথিয়ার সাথে করে নিবেন.।
.
সিফাতঃওকে,,!
.
রায়ানঃআজ তাহলে আসি, উঠে দাড়িয়ে।
.
সিফাতঃহুম আসুন আবার দেখা হবে হ্যান্ডসেক করে।
.
রায়ানঃসে তো হবেই এরপরের বার present MD সিনথিয়া কে নিয়ে আসবো ওর সাথে সব ঠিক করে নিয়েন?
.
সিফাতঃওকে।
.
রায়ানঃআসি বাই
.
সিফাতঃ😊
.
রায়ান মাহমুদ চলে যাওয়ার পর খানিক টা সময় স্তম্ভিত হয়ে রইলাম, কোন সিনথিয়ার কথা বলে গেলো উনি,নিউ এমডি আবার,মেবি ওনার ওয়াইফ হবে।সিনথিয়া নাম তো আর একজনের না, আমার সিনথিয়া সিনহা আর উনিতো শুধু সিনথিয়া বললো,এটা সিনহা না।
.
সারাদিন অফিস শেষ বাড়ি ফিরলাম প্রতিদিনের মতো আবার সেই একলা একা বাড়িতে,যেখানে সিনহার হাজারো স্মৃতি, যা আমায় কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে, সারাদিন ব্যস্ততার শেষে আমি আবারো সিনহার স্মৃতি তে ডুব দেই,গভির থেকে গভীরে আরো অতলে তলিয়ে যাই।আনমনে বসে বসে সিনহার ছবির দিকে তাকিয়ে আছি তখনি ফোন টা বেজে উঠলো।রিসিভ করলাম।
.
সিফাতঃহ্যালো সিয়াম বল?
.
সিয়ামঃকি করছিস,কন্ঠ এমন শোনাচ্ছে কেন?
.
সিফাতঃএই তো শুয়ে আছি,কেমন শোনাচ্ছে?
.
সিয়ামঃমেবি কান্না করছিস এমন।
.
সিফাতঃনা রে কান্না কেন করতে যাবো,কন্ঠস্বর টা একটু বসে গেছে ঠান্ডা লাগছে।
.
সিয়ামঃওহ তাই বল আমিতো ভাবলাম তুই কান্না করছিস,কান্না করার ছেলে তো তুই না।
.
সিফাতঃহুম বল, কি বলবি?
.
সিয়ামঃইম্পরটেন্ট একটা কথা আছে কাল তো অফ ডে কাজের চাপ নেই,আমার সাথে দেখা করতে পারবি একবার?
.
সিফাতঃহুম পারবো না কেন,কাজ থাকলেও বাদ দিতাম তোর সাথে দেখা করতাম।
.
সিয়ামঃহুম তাহলে আনাদের আড্ডা খানায় চলে আসিস,রহিম চাচার চায়ের দোকানে,চা খেতে খেতে বলা যাবে কথা?
.
সিফাতঃহুম আসবো রহিম চাচার চা উফ যা লাগে না অনেক দিন ধরে মিস করছিলাম।
.
সিয়ামঃহুম আসিস,এখন রাখছি বাই ভালো থাকিস।
.
সিফাতঃহুম সেম টু ইউ।
.
সিয়াম ফোন টা কেটে দিলো কি বলতে চায় সে,আমার সাথে ওর কি এমন ইম্পরট্যেন্ট কথা আছে,ধুরর এতো ভাবার কি আছে কাল বললেই শুনতে পারবো এখন ঘুমাই।লাইট অফ করে ঘুমিয়ে পড়লাম।
.
সকালে
.
সিয়ামঃকি রে কতদুর কখন আসবি? ফোনে বললাম সিফাত কে।
.
সিফাতঃএই তো রে কাছাকাছি,
.
সিয়ামঃহুম তারাতাড়ি আয়।
.
সিফাতঃহুম আসছি কাট ফোন।
.
সিয়ামঃহুম কেটে দিলাম ফোন।
.
রহিমাঃসিয়াম বাবা সিফাত বাবা আসছে তাই না?
.
সিয়ামঃহুম চাচা ওরে আসতে বলছি অনেক দিন হলো তোমার হাতের চা খাওয়া হয় না, তাই খেতে আসলাম।
.
সিফাতঃহুম একদম ঠিক বলেছে সিয়াম,রহিম চাচা তোমার দোকানের চা কতোদিন খাই না, জানো তুমি মিস করছিলাম তাই তো চলে আসলাম,বানাও দেখি তিন কাপ চা তাড়াতাড়ি..?
.
রহিমঃহ্যা সিফাত বাবা বানাচ্ছি।বলে চা বানাতে চলে গেলাম।
.
সিফাতঃআমি আর সিয়াম দুজন টেবিলে দুটো চেয়ারে মুখোমুখি হয়ে বসে আছি।
.
কি রে কি খবর তোর কেমন আছিস?
.
সিয়ামঃআমার খবর তো ভালোই তোর কি খবর সেটা বল,বিয়ে টিয়ে করবি না নাকি বুড়া হয়ে যাবি তো এখন,আর কয়েকদিন পর আমার ছেলে বিয়ে করে শ্বশুর বানায় দিবে তোরে,অথচ তুই বিয়ে করবি না।
.
রহিমঃএই নাও বাবা তোমাদের চা,দুজন কে দু কাপ দিলাম কিন্তু আরেকটা কাপ কা কে দিবো আমাকে তো তিন কাপ বানাইতে বললো। আরেকজন কই।
.
সিফাত বাবা আরেকজন কই তোমাদের আাসেনি এখনো?
.
সিয়ামঃমানে আরেক জন কে,কেউ তো আসার নেই আর কি রে সিফাত তুই কাউকে আসতে বলেছিস নাকি?
.
সিফাতঃনা তো আমি কাউকে আসতে বলিনি,রহওম চাচা তোমার এমন মনে হলো কেনো আরেকজন আসবে?
.
রহিমঃআসলে বাবা তোমরা মানুষ দুজন বানাইতে কইচো তিন কাপ চা সেজন্য ভাবলাম তিনজন আসবে।
.
সিফাতঃওহ এই ব্যপার,তিন কাপ চা বানাতে বলেছি কারন দু কাপ আমার আর সিয়ামের আরেক কাপ তোমার। ওটা তুমি খাও।
.
রহিমঃকি কও বাবা আমি চা খাবো,,?
.
সিফাতঃহুম খাবে।
.
রহিমঃনা থাক আমি খাবো না?
.
সিফাতঃকেন খাবে না,তুমি জানো তোমার চা কতো টেষ্টি হয়, টেষ্ট করে দেখবা না, খাও
.
রহিমঃহুম খাইতাছি তোমরা কথা বলো বলে চলে গেলাম।
.
to be continue…..
বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!