শালুক ফুলের লাজ নাই !! Part- 35
ধ্রুবরা ঢাকায় ফিরে এলো ১২ দিন হয়েছে। ইতোমধ্যে শালুক নিয়মিত কলেজে যাওয়া শুরু করেছে। ধ্রুব আগের মতো সকালে উঠে রান্না করে, শালুক কলেজ থেকে ফিরে বিকেলে রাতের রান্না করে।
দুজন মিলে নির্ঝঞ্ঝাট সংসার চালায়।
কারো প্রতি কারো কোনো অভিযোগ নেই,কেউ কাউকে নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে না।
ধ্রুব একটা দুই রুমের বাসা খুঁজতে লাগলো মা’কে নিয়ে আসার জন্য।বাসা পেতে প্রায় ৬-৭ দিন লেগে গেলো। তারপর একদিন শুক্রবারে বাসা চেঞ্জ করে ফেললো।
নতুন বাসাটায় দুটো বেড রুম,একটা ডাইনিং রুম,দুটো ওয়াশরুম,একটা কিচেন রুম।মায়ের রুমটা ধ্রুব নিজ হাতে সাজালো।একটা নতুন খাট,আরামদায়ক বিছানা, দেয়ালে কিছু পেইন্টিং।জানালায় সাদা আর নীলের পর্দা।রুমে একটা টিভি আনলো মায়ের জন্য। একটা রকিং চেয়ার রাখলো বারান্দায় মায়ের জন্য।
এটাচড বাথরুম দেওয়া রুমটা মায়ের জন্য রাখলো।
ঠিক করলো, খুব দ্রুত একটা এসি কিনে নিবে মায়ের রুমের জন্য।মায়ের যাতে কোনো কষ্ট না হয়।
সব শালুকের ভীষণ ভালো লাগছে।চাচীকে নিয়ে এলে শালুকের আর একা একা লাগবে না ধ্রুব না আসা পর্যন্ত এটাই শালুকের জন্য আনন্দদায়ক। ধ্রুব অফিস থেকে ছুটি চাইলো,কিন্তু ছুটি পেলো না।১ মাস কেটে গেলো এভাবেই কিন্তু ধ্রুব ছুটি পেলো না অফিস থেকে।
রাতে বিষণ্ণ মুখে ধ্রুবকে বসে থাকতে দেখে শালুক আদুরে বেড়ালের মতো ধ্রুবর কোলে গিয়ে বসে পড়লো ধ্রুবর গলা জড়িয়ে ধরে। ধ্রুব শালুকের লম্বা চুলে নিজের নাক ডুবিয়ে দিলো।গালের খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি দিয়ে শালুকের গালে মৃদু ঘষতে লাগলো। শালুক বললো, “ছুটি হয় নি এখনো? কবে যাবো আমরা চাচী কে নিয়ে আসতে?”
ধ্রুব মন খারাপ করে বললো, “না,ছুটি দিচ্ছে না তো।নতুন চাকরি এখনই এতো ছুটি দিবে না না-কি। কি করবো বলো তো?”
শালুক কি বলবে বুঝতে পারলো না। শেষে বললো, “ছুটি লাগবে না,চলেন আমরা গিয়ে নিয়ে আসি চাচীকে?”
ধ্রুব হেসে বললো, “পাগল, চাকরি চলে গেলে তোকে নিয়ে সংসার চালাবো কিভাবে?খাবি কি তখন? ”
শালুক ধ্রুবর ঘাড়ে একটা কামড় দিয়ে বললো, “ভালোবাসা খাবো।”
ধ্রুব হেসে ফেললো শালুকের কথা শুনে। শালুকের চুলে হাত বুলিয়ে দিয়ে বললো, “পড়া শেষ হয় নি কিন্তু তোর এখনো। ফিন্যান্স যেই অংকটা করতে দিয়েছি করেছিস?”
শালুক মুখ ভেংচি কেটে বললো, “এরকম একটা রোমান্টিক সময়ে আপনার পড়ালেখার কথা না আনলে কি শান্তি লাগে না? কোথায় একটু রোমান্স করার মুড নিয়ে বসেছি আপনার কাছে আর আপনি বলছেন পড়ার কথা? ”
ধ্রুব কোলে করে শালুককে চেয়ারে বসিয়ে দিয়ে বললো, “হ্যাঁ বলছি,যাও এবার পড়া শেষ করো।এখন পড়ার সময় তোমার। ”
শালুকের রাগ হলো খুব।মুখ ভেংচি দিয়ে পড়ায় মনোযোগ দিলো।ধ্রুব মুচকি হাসতে লাগলো। এই তার শালুক,তার স্ত্রী শালুক। কেমন যেনো কলিজা ছিড়ে যাবার মতো অনুভূতি হচ্ছে তার। যদি শালুককে না পেতো ধ্রুব,তাহলে কি করতো সে?
এসব ভাবতে ভাবতে ধ্রুব খাবার গরম করতে গেলো। খাবার গরম করতে গিয়ে ধ্রুবর মনে হলো, আসার সময় নানাবাড়ির ফোন নাম্বার নিয়ে আসা উচিত ছিলো। তাহলে যোগাযোগ করতে পারতো।
এসব ভাবতে ভাবতেই ধ্রুব সব গরম করে নিলো।তারপর শালুকের পড়া বুঝে নিয়ে খেতে বসলো দুজনে।
বাকি রাত ধ্রুবর খুব ছটফটিয়ে কাটলো। ধ্রুবর ছটফটানি লক্ষ্য করে শালুক উঠে বসলো বিছানায়। রুমের লাইট অন করে দিয়ে ধ্রুবকে পানি এনে দিলো।তারপর জিজ্ঞেস করলো, “কি হয়েছে আপনার? ”
ধ্রুবর চোখমুখ শুকিয়ে গেছে, চেহারা কেমন বিবর্ণ।ধরা গলায় ধ্রুব বললো, “আমার ভালো লাগছে না শালুক।কেমন যেনো লাগছে।বারবার ছোট বেলার সব স্মৃতি ভেসে আসছে চোখের সামনে। স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি মা আমাকে ঘুম পাড়ানি গান শোনাচ্ছে যেনো। পুকুর ঘাটে নিয়ে সাবান দিয়ে আমাকে গোসল করিয়ে দিচ্ছে।”
শালুক বললো, “আপনি কেনো সবসময় এসব কথা ভাবেন বলেন তো?কষ্টের স্মৃতি মনে করলে কষ্ট বাড়বে,কমবে না।”
ধ্রুব হেসে বললো, “আমার সুখ তো আমার পাশেই আছে শালুক, সে পাশে থাকলে এই কষ্ট সহ্য করা কোনো ব্যাপার না। তবুও আজ কেনো এমন লাগছে জানি না।”
বাকি রাত আর দুজন ঘুমালো না।সকাল হতেই ধ্রুব বললো, “শালুক,চলো বাড়িতে যাই।”
শালুক অবাক হয়ে গেলো ধ্রুবর কথা শুনে। তারপর আনন্দে চিৎকার করে বললো, “আমি তো এক পায়ে খাঁড়া। ”
দুজনে ব্যাগ গুছিয়ে নিয়ে সকাল ১০ টার বাসে উঠলো।ভাগ্য বিরূপ হলো,পথে বাস নষ্ট হয়ে গেলো। ধ্রুবর কেমন অসহ্য লাগতে লাগলো। বুকের ভেতর চিনচিনে ব্যথা জানান দিচ্ছে কিছু একটা হয়েছে কোনো আপন কারো।
অস্থির হয়ে ধ্রুব পায়চারি করতে লাগলো। শালুক অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো ধ্রুবর দিকে।
কি হয়েছে এই মানুষটার?এতো অস্থির কেনো আজ সে?
বাস ঠিক হতে প্রায় আড়াই ঘন্টা লেগে গেলো। ১০ টার বাসে উঠে বাড়ি পৌঁছাতে পৌঁছাতে সন্ধ্যা ৬ টা বেজে গেলো।
সারা বাড়ি কেমন নিরব হয়ে আছে আজ।বাহিরে থেকেই ধ্রুবর কলিজা মোচড় দিয়ে উঠলো। বাগানের মধ্যে দাঁড়িয়ে ধ্রুব বললো, “আমি ভেতরে যাবো না শালুক,তুমি যাও।আমার মন বলছে খারাপ কিছু ঘটেছে। ”
শালুক নিজেও ভেবে পাচ্ছে না ধ্রুবর এই অস্বাভাবিক আচরণ করার মানে কি!
ধ্রুবর হাত ধরে টেনে নিয়ে গেলো ভেতরে। সবাই ড্রয়িং রুমে বসে আছে,আদনানের মা আর শালুকের মা কাঁদছে।
ধ্রুব ভেতরে প্রবেশ করতেই হাসনা বেগম ছুটে এসে ধ্রুবকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে উঠলো। শালুক কিছু বুঝতে পারছে না। এগিয়ে গিয়ে বড় চাচীর পাশে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করলো, “কি হয়েছে বড় চাচী?”
আদিবা বেগম চোখের পানি মুছে বললেন,”দেরি হয়ে গেছে রে মা।অনেক দেরি হয়ে গেছে। দীপালি চলে গেছে ফাঁকি দিয়ে। ”
শালুকের হাত থেকে ব্যাগটা পড়ে গেলো। ধ্রুব ফ্লোরে বসে বললো, “কি হয়েছে চাচী?আমাকে বলো আগে?আমার যে অসহ্য যন্ত্রণা হচ্ছে বুকে চাচী।”
হাসনা বেগম ধ্রুবর পাশে লেপটে বসে বললেন,”ও বাবা,সেই পাষাণী যে চলে গেলো এই দুনিয়া থেকে। তোর যে তাকে ঢাকায় নিয়ে যেতে হবে না আর।তার চিকিৎসা করার ঝামেলা আর নেই রে বাবা।সে যে চলে গেছে কাল রাতেই।”
ধ্রুবর মনে হলো সারা পৃথিবী বুঝি কাঁপছে চোখের সামনে। সব কেমন ঝাপসা লাগছে।অস্ফুটস্বরে ধ্রুব শালুককে ডাকলো। শালুক ছুটে এলো ধ্রুবর কাছে।শালুকের কোলেই ধ্রুব জ্ঞান হারিয়ে পড়ে গেলো।
চোখ খুলে তাকালো অনেক ক্ষণ পরে।রুমে তখন কেউ নেই ধ্রুবর বাবা ছাড়া। ধ্রুবকে শুইয়ে রাখা হয়েছে জহিরের রুমে। ধ্রুব শোয়া থেকে উঠে বসলো। বাবা ছেলে দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে রইলো অপলক।
কেউ কাঁদলো না,কেউ কোনো শব্দ করলো না।কেঁদে গেলো দুজনের হৃদয়, চোখের অশ্রুপাত হলো না,রক্তপাত হলো অন্তরে অন্তরে।
ধ্রুব বললো, “বাবা,মায়ের সাথে আর কি দেখা হবে না এই জনমে?আমার যে তাকে সেই মাউথ অর্গান বাজিয়ে শোনানো বাকি আছে এখনো।
সেই যে ঘুম পাড়ানি গান,যেই গান গেয়ে মা আমাকে ঘুম পাড়াতো, কথা ছিলো তো আমার মুখের সেই গান শুনে এক সময় মা ঘুমাবে।আজ কেনো মা সেই গান না শুনেই ঘুমিয়ে গেলো বাবা?
মা চলে যাওয়ার পর আমার একা ঘুম আসতো না যখন তখন আমি একা একা শুয়ে গাইতাম,তোমায় ছাড়া, ঘুম আসে না মা।
বাবা,এরপর এতো বছর কেটে গেলো, আমি আর মা’কে জড়িয়ে ধরে ঘুমাতে পারি নি। খুব ইচ্ছে ছিলো মা’কে জড়িয়ে ধরে আবারও ঘুমাবো।সেই রাতে মা আমাকে আর শালুককে ঘুম পাড়ানি গান শুনাবে।হলো না তো বাবা,কিছুই হলো না আমার। আমি পারলাম না বাবা মা’কে সুস্থ করার জন্য একটু চেষ্টা করতে।”
সেলিম সাহেব কিছু বলতে পারলেন না। রাতে ধ্রুব গেলো দীপালিদের বাড়িতে। দীপালির বাবা যেনো ধ্রুবর অপেক্ষায় ছিলো। ধ্রুবকে দেখে বের হয়ে এলেন বাহিরে।তারপর ধ্রুবর হাত চেপে ধরে বললেন,”আমার মা তো স্বর্গে চলে গেলো। মা’য়ের প্রাণটা বুঝি তোমাকে একবার চোখের দেখা দেখার জন্য আটকে ছিলো দাদাভাই। সেদিন তুমি চলে যাবার পর মায়ের শরীর আরো খারাপ হতে লাগলো। আমায় ডেকে নিয়ে দিব্যি দিলো যাতে করে তোমাকে কিছু না জানানো হয়।
আমার উপরেই বুঝি অভিমান করে চলে গেলো আমার মা।আমার মায়ের বড় অভিমান ছিলো আমার উপরে। আমার চোখের সামনেই তো আমার সোনার প্রতিমা দিন দিন কংকাল হতে লাগলো। অথচ আমি কিছু করতে পারলাম না।না পারলাম তার চিকিৎসার জন্য শহরে নিতে।আমাকে যে ভয় দেখিয়ে বল তো, জোর করলে নিজের প্রাণ নিজে দিবে।
তোমার জন্য একটা বাক্স রেখে গেছে। ভেতরে আসো।”
ধ্রুব বললো, “না ভেতরে যাবো না। আপনি বাক্স এনে দিন,আমি চলে যাবো।”
বাড়িতে সবাই উদগ্রীব হয়ে বসে আছে ধ্রুবর জন্য। শালুক নিরবে চোখ মুছে নিচ্ছে একটু পর পর। শালুকের ইচ্ছে করছে ছুটে গিয়ে ধ্রুবকে খুঁজে আনতে।কোথায় গেলো ধ্রুব!কেনো এখনো ফিরছে না বাড়িতে!
চিন্তিত বাড়ির প্রতিটি মানুষ। আফিফা,নয়না এসে চলে এসেছে বাবার বাড়ি ধ্রুবর মায়ের মৃত্যু সংবাদ শুনে।
বসার ঘরে সবার মধ্যে অস্থিরতা।
ধ্রুব বাড়িতে এলো রাত এগারোটা নাগাদ।হাতে একটা কাঠের চৌকোনা বাক্স।শালুকের হাতে বাক্সটা দিয়ে বললো,”আমার মা আমার জন্য শেষ স্মৃতি চিহ্ন রেখে গেছে শালুক। ”
সবার সামনে ধ্রুব বাক্স খুললো।ছোট একটা চিরকুট ভেতরে।
মুক্তোর মতো হাতের লিখা,তবে লাইনগুলো আঁকাবাঁকা। ধ্রুব বুঝলো ভীষণ কষ্ট হয়েছে মায়ের এই চিঠি লিখতে। ধ্রুব পড়তে লাগলো,
“আমার নাড়িছেঁড়া ধন!
কতো বছর পর আজ তোমায় দেখলাম।ভালো করে নয়ন ভরে দেখে নিয়েছি আজ।ভেবেছিলাম পরাণ জুড়িয়েছে এবার তোমায় দেখে।কিন্তু তুমি চলে যাবার পর বুঝলাম তোমায় দেখার তেষ্টা আমার এক মহাসাগরের সমান,সেখানে এই টুকু দেখায় কিছুই হয় নি।
ভেবেছিলাম এই জনমে হয়তো ঈশ্বর আমার ডাক শুনবে না,পাপের শাস্তি হিসেবে তোমাকে শেষ বার আর দেখাবে না।কিন্তু ঈশ্বর এই অভাগীর প্রতি অতটা ও নিষ্ঠুর হন নি।তাই হয়তো একবার দেখিয়েছেন। আজ তোমায় দেখার পর এই প্রথম বারের মতো মনে হলো আমি আর বেশি দিন নেই।
আমার প্রতি তোমার অনেক অভিমান আছে জানি।যাবার আগে তোমাকে কিছু দিয়ে যাবার ভীষণ ইচ্ছে ছিলো। এই বাক্সটার উপরের এই কাঠের পাটাতন হালকা চাপ দিলেই খুলে যাবে।নিচে তোমার জন্য আমার পক্ষ থেকে একটা ছোট উপহার রেখে যাচ্ছি। গ্রহণ করো যদি আমাকে ক্ষমা করে থাকো,যদি না গ্রহণ করো তবে জানবো আমাকে মা বলে মানতে পারছো না।আর হয়তো শেষ দেখা হবে না।সেলিম সাহেবকে বলে দিও,এই হতভাগিনী তাকে মন থেকে ভালবেসেছিলো কোনো এক দিন।ভালো থেকো সবাইকে নিয়ে। ”
উপরের পাটাতন খুলে ধ্রুব ভেতরে একটা খম পেলো।খামের ভেতর একটা চেক বই,একটা ইস্যু করা চেকের পাতা আর এক টুকরো কাগজ পেলো।৫০ লক্ষ টাকার একটা চেক। কাগজে লিখা, “এই টাকার মালিক ধ্রুব।আমার নামে কেনা জমি বিক্রির এই টাকার মালিক আমার একমাত্র ছেলে ধ্রুব।”
ধ্রুব ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইলো সবার দিকে।তারপর চিৎকার করে কেঁদে বললো, “এই সব কিছু তোমরা নিয়ে যাও,আমার মা’কে এনে দাও আর একটা বার।আমি একটু মন ভরে মা বলে ডাকি।আমার এখনো মা বলে ডাকার তৃষ্ণা মেটে নি।আমার মা কই?
কেনো বারবার আমাকে এভাবে ফাঁকি দিয়ে যায় আমার মা?
আমি একবার তাকে হারিয়ে নিজেকে সামলে নিতে পেরেছি।এখন আবারও তাকে পেয়ে যে আজীবনের জন্য হারালাম,আর কিসের বিনিময়ে তাকে পাবো আমি?”
সেলিম সাহেবের দুই পা জড়িয়ে ধরে বললো, “আমার মা’কে এনে দাও বাবা।একটা বারের জন্য এনে দাও।আমি আর একটা বার তাকে মা বলতে চাই।আমার আর কিছু চাই না।একবার মা’কে ডাকতে চাই।”
শালুক তাকিয়ে দেখতে লাগলো ইস্পাত-দৃঢ় একটা হৃদয় কেমন ক্ষত-বিক্ষত আজ!
পাষাণ হৃদয়ে মা’য়ের জন্য কতো লুকানো ভালোবাসা!
শত আঘাতে না কাঁদা মানুষটার দুই চোখে কত জল!
চলবে……