Childhood marriage 2 !! Part- 13
#লেখিকা-সানজিদা সেতু
(পরদিন সকালে)
সায়নঃ মা আমি আসছি
মাঃ আমাকে বলতে এসেছিস কেন?
সায়নঃ মা…প্লিজ…
মাঃ ছয় ছয়টা বছর আমার থেকে দূরে সরে ছিলি,এই ছয় বছরে হাতে গোনা কয়েকটা দিন আমাদের সাথে কথা বলেছিস।এতদিন পর বাড়ি ফিরলি আর দুদিন না যেতেই চলে যাচ্ছিস?
সায়নঃ প্লিজ রাগ কর না মা,সামনেই আমার ইয়ার ফাইনাল তাই যেতেই হবে বাট ছুটি পেলেই আমি আবার চলে আসবো প্রমিজ
মাঃ সত্যিতো?
সায়নঃ হুম,আচ্ছা মা,দাদী দোয়া কর যেন তাড়াতাড়ি আসতে পারি।
(সবার থেকে বিদায় নিয়ে বাবার রুমে ডুকল সায়ন,যাওয়ার সময় খেয়াল করলো ছোঁয়া দরজার আড়ালে দাঁড়িয়ে সব দেখছে)
সায়নঃ বাবা আসবো?
বাবাঃ হ্যাঁ আসো,কিছু বলবে?
সায়নঃ না মানে বাবা,আমি এখন চলে যাচ্ছি
বাবাঃ ওহ
সায়নঃ আমাকে কিছু বলবে না?
বাবাঃ আশা করি ছয় বছর আগে যেই ভুলটা করেছিলে তার পুনঃরাবৃত্তি করবে না
সায়নঃ আমারতো মনে হয় ছয় বছর আগে ভুলটা আমার না,তোমাদেরই ছিল(মনে মনে)
বাবাঃ ঠিক আছে ভালভাবে দেখেশুনে যেও আর পারলে ঠিকমত সবার খোঁজ খবরটা অন্তত নিও
সায়নঃ আচ্ছা বাবা,বাবাকে সালাম করে বেরিয়ে আসলাম।ছোঁয়া দেখলাম তখনও পিলারের আড়ালে দাঁড়িয়ে আছে।এই যে…
ছোঁয়াঃ (চমকে উঠে)আ..আপনি!
সায়নঃ কেন অন্য কাউকে এক্সপেক্ট করছিলে নাকি?
ছোঁয়াঃ তাতে আপনার কি?
সায়নঃ আমার আবার কি হবে,বলছিলাম যে এতই যখন দেখতে ইচ্ছে করছে তখন সামনাসামনি দেখো।এভাবে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখার কি দরকার?
ছোঁয়াঃ আমার অত দেখাদেখির দরকার নেই,আপনার ইচ্ছে হয় আপনি দেখুন
সায়নঃ তাই নাকি?আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে আমিই দেখি,ছোঁয়ার দিকে বড় বড় করে তাকালাম
ছোঁয়াঃ আপনি!!!
সায়নঃ আমি কি?
ছোঁয়াঃ আস্ত একটা খাটাশ
সায়নঃ থ্যাঙ্ক ইউ
ছোঁয়াঃ আচ্ছা আপনি যাচ্ছেন না কেন বলুনতো?সেই সকাল থেকেইতো রেডি হয়ে বসে আছেন অথচ যাচ্ছি যাচ্ছি করেও যাচ্ছেন না…
সায়নঃ আমি চলে গেলে মনে হচ্ছে বেশ খুশি হবে
ছোঁয়াঃ অনেক…
সায়নঃ এখনও চিন্তা করে দেখো,গেলে কিন্তু সহজে আসছি না
ছোঁয়াঃ প্লিজ প্লিজ প্লিজ আসবেন না ফর মাই সেক প্লিজ প্লিজ প্লিজ…
সায়নঃ ওকে…দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে চলে আসলাম
(সবার থেকে বিদায় নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ল সায়ন,যাওয়ার আগে একবার ছোঁয়ার দিকে তাকালো)
সায়নঃ ওর দিকে তাকিয়ে হাত নাড়িয়ে টাটা দিলাম,সাথে মুচকি হাসি
ছোঁয়াঃ ফাযিল বেটা দেখি আমাকে টাটা দিচ্ছে,আবার দাঁত বের করে হাসছে!মুখ ভেংচি দিয়ে ভেতরে চলে আসলাম
সায়নঃ পাগলী একটা,ওকি জানে এভাবে ভেংচি কাটলে ওকে আরো কিউট লাগে?
সায়নের ভার্সিটি পৌঁছতে পৌঁছতে রাত হয়ে গেল,পৌঁছেই সোজা নিজের রুমে চলে গেল…
সায়নঃ হেই মারুফ…হোয়াটস আপ ব্রো…
মারুফঃ শালা…তোর ব্রোর গুষ্টি কিলাই,বলেই ওকে এলোপাথাড়ি কিল ঘুষি দিতে লাগলাম
সায়নঃ আরে আরে মারিছিস কেন?লাগছেতো…
মারুফঃ লাগুক,শালা যাওয়ার সময়তো বলেছিলি যাবি আর আসবি,এই তোর যাওয়া আর আসা?
সায়নঃ কি করব বল,এত বছর পর বাড়ি গেছি তাই…
মারুফঃ তাতো বুঝলাম কিন্তু তাই বলে একটাবার ফোনও দিবি না!আর এখন আসছে হাই ব্রো,হোয়াটস আপ ব্রো…
সায়নঃ কুল বেবি কুল…
মারুফঃ শালা হারামী,তোরেতো আজকে মেরেই ফেলবো
সায়নঃ কোথায় আমি এতদূর থেকে আসলাম,আমাকে একটু ঠাণ্ডা টাণ্ডা খাওয়াবি তা না করে…
মারুফঃ ঠান্ডা!তোরে ঠাণ্ডা না ডাণ্ডার বাড়ি খাওয়াবো,জাস্ট একটু ওয়েট…
সায়নঃ এই না না,আমার ওসব ঠাণ্ডা টাণ্ডা কিচ্ছু লাগবে না।আমি এমনিতেই ঠিক আছি
মারুফঃ হ্যাঁ তো ঠিকতো থাকবিই,না থাকলেও থাকতে হবে নাহলে…
সায়নঃ দোস্ত প্লিজ..মাফ করে দে না…ভুল হয়ে গেছে,আর হবে না
মারুফঃ You better be,by the way অনেকদূর জার্নি করে এসেছিস এখন রেস্ট কর।এখনকার মত ছেড়ে দিচ্ছি বাট পানিশমেন্টটা কিন্তু তোলা থাকলো
সায়নঃ থ্যাঙ্ক গড…
মারুফঃ কিছু খেয়েছিস?
সায়নঃ উহু
মারুফঃ আচ্ছা ফ্রেশ হয়ে নে তারপর সবাই মিলে একসাথে ডিনার করব,আমি সবাইকে বলে দিচ্ছি যে তুই চলে এসেছিস
সায়নঃ আচ্ছা
(কিছুক্ষণ পর)
সায়ন আর ওর বন্ধুরা ক্যাফেটেরিয়াতে খেতে বসেছে,এতদিন পর সায়নকে ফিরে পেয়ে যেন ওদের গ্যাংটা আবারো প্রাণ ফিরে পেয়েছে
সায়নঃ তারপর এদিকের খবর কি?
তানিঃ সবদিকের সব খবরই ভাল খালি আমাদেরই খবর খারাপ
দীপুঃ ওই ছুড়ি এতরাতে তুই এইখানে কি করিস?
তানিঃ আমার স্যুইটহার্ট ফিরে আসছে আর আমি আসব না!কেমনে সম্ভব?
সায়নঃ ওই কে তোর স্যুইটহার্ট?
তানিঃ কে আবার তুই
সায়নঃ হুহ
আসিফঃ যাই হোক আমাদের ছেলেদের আসরে মেয়েরা নট এ্যালাউড
রাকিবঃ মেয়ে!এখানে আবার মেয়ে কোথা থেকে আসলো?
আসিফঃ কেন?চোখের সামনেইতো দাঁড়িয়ে আছে,দেখতে পাচ্ছিস না?
রাকিবঃ তুই কি তানির কথা বলছিস?
আসিফঃ অফকোর্স,এখানে কি আর কোন মেয়ে আছে?
রাকিবঃ হাহাহা দাঁড়া একটু হেসে নেই হাহাহা
আসিফঃ ওই শালা,হাসছিস কেন?
রাকিবঃ ওকে তোর মেয়ে মনে হয়!কোন এ্যাঙ্গেল থেকে?
আসিফঃ সব এ্যাঙ্গেল থেকেই,চোখ থাকলে তোরও তাই লাগতো
রাকিবঃ রিয়েলি!তানি..
তানিঃ বল
রাকিবঃ একবার ডানে ঘুরবি?
তানিঃ হুম কিন্তু কেন?
রাকিবঃ এবার বামে
তানিঃ এই তোর মাথা ঠিক আছেতো?করছিসটা কি বলবিতো…
রাকিবঃ এবার একটু আমার দিকে এগিয়ে পাশ ফিরে দাঁড়াবি ঠিক আছে?
তানিঃ না ঠিক নেই,আগে বল কাহিনী কি তারপর দেখছি
আসিফঃ এবার কিন্তু বাড়াবাড়ি করছিস রাকিব
রাকিবঃ এবার উল্টো দিকে ঘুরে দাঁড়া আর যেখান থেকে এসেছিলি সেখানেই ফিরে যা
তানিঃ মানে কি!আমার মাথায় কিন্তু কিছুই ঢুকছে না
দীপুঃ আরে বুঝলি না,ওই শালা হারামীটা তুই মেয়ে কিনা দেখছে
তানিঃ রাকিবের বাচ্চা…এইবারতো তোরে খাইছি…
রাকিবঃ দেখেছিস আসিফ,তোকে বলছিলাম না,এইডা মাইয়া মানুষ হইতেই পারে না।দেখ কেমনে আমারে মারতাছে..
তানিঃ আজকেতো তোকে মেরেই ফেলবো…
সায়নঃ এই সবাই থাম
(সায়নের ঝাড়ি খেয়ে সবাই যার যার চেয়ারে বসে পড়লো)
সায়নঃ এবার বল তানি যেই কথাটা বললো তার মানেটা কি?তোদের খবর খারাপ মানে…
মারুফঃ মানে আর কি,তুই যাওয়ার পর থেকে তোর ওই গার্লফ্রেন্ড আমাদের মাথা খারাপ করে দিয়েছে আর সবচেয়ে বেশি সাফার করেছি আমি কারণ আমি তোর রুমমেট
সায়নঃ গার্লফ্রেন্ড মানে?
দীপুঃ মানে আবার কি?তোর কি অন্য কোন গার্লফ্রেন্ড আছে নাকি?
সায়নঃ তোর এক্স্যাক্টলি কার কথা বলছিস ক্লিয়ারলি বলবি?
আসিফঃ কে আবার,রিয়া…প্রতিদিন তোর কথা জিজ্ঞেস করে করে আমাদের মাথাটাই নষ্ট করে দিয়েছে
সায়নঃ ও হ্যাঁ আমিতো ভুলেই গিয়েছিলাম যে যাওয়ার আগে রিয়াকে হ্যাঁ বলে দিয়েছিলাম
তানিঃ প্লিজ দোস্ত ওই মেয়ের থেকে দূরে সরে যা,She is just not your type
মারুফঃ আচ্ছা তুই কি আর কোন মেয়ে পেলি না?ওটাকেই পছন্দ হল!
দীপুঃ তুই খালি একবার বল,তোর জন্য মেয়েদের লাইন লাগিয়ে দিব।Just stay away from Riya…
সায়নঃ আচ্ছা ওসব পরেও দেখা যাবে,আপাতত আমরা ডিনার শুরু করি,সব ঠাণ্ডা হয়ে গেল তো…
(পরদিন সকালে)
সকাল হতেই রিয়া সায়নদের বাসার উদ্দেশ্যে বের হয়ে পড়েছে।পরনে কাল জিন্স,সাদা শার্ট,হাই হিল আর তারাসাথে বড় গ্লাসের সানগ্লাস।মুখে ভারী মেকাপ আর ঠোঁটে পুরু করে লাল টকটকে লিপস্টিক,পুরো চেহারায় একটা আর্টিফিশিয়াল আর্টিফিশিয়াল ভাব স্পষ্ট ফুটে উঠেছে কিন্তু সেসবের দিকে আর কয়জনই বা খেয়াল করে?সবাইতো এই কৃত্রিমতার সাথেই অভ্যস্ত হয়ে গেছে,তাইতো ও যখন গাড়ি থেকে নেমে হাঁটছিল আশেপাশের সবাই তখন হা করে তাকিয়ে দেখেছিল।
রিয়াঃ কত্ত বড় সাহস,সায়ন এসেছে এই খবরটা পর্যন্ত আমাকে দিল না!কতবার করে বলে দিয়েছিলাম যে ও আসলেই যেন আমাকে একবার ফোন দেয় কিন্তু তারপরও…আরে বাবা,আমি ওর গার্লফ্রেন্ড আর আমাকেই ইগনোর করা!আর সায়ন?ওই বেটা এসে পর্যন্ত একটাবারও আমাকে ফোন দিল না!আজই এর একটা বিহিত করতে হবে…
ক্রিং…ক্রিং…ক্রিং…ক্রিং…
(কলিং বেলের শব্দ শুনে ঘুম ভেঙ্গে গেল মারুফের)
মারুফঃ এত সকালে আবার কে আসলো?ইশ রে সবে ঘুমটা একটু গাঢ় হয়ে এসেছিল,এই বেটার এখনই আসতে হল!আরেকটু পরে আসলে কি এমন ক্ষতি হয়ে যেত?
রিয়াঃ আবারো কলিং বেলে চাপ দিলাম,বাজিয়েই যাচ্ছি,যতক্ষণ না কেউ দরজা খুলছে এভাবেই বাজতে থাকবে
মারুফঃ কি আশ্চর্য!এভাবে কেউ বেল বাজায়?মনে হচ্ছে বেলটাই ভেঙ্গে ফেলবে!আজ এর একদিন কি আমার একদিন,একটানে দরজা খুলে ফেললাম।এই কে রে…
রিয়াঃ আহ শেষমেষ দরজা খুলেছে তাহলে,দাঁড়াও দেখাচ্ছি মজা…
মারুফঃ দরজা খুলতেই দেখলাম রিয়া দাঁড়িয়ে আছে।তু..ত..তুমি!এ..এখানে!
রিয়াঃ হ্যাঁ আমি,দরজা থেকে সরো
মারুফঃ কেন?
রিয়াঃ কেন আবার,ভেতরে ঢুকব তাই…
মারুফঃ না যা বলার ওখান থেকেই বল,ভেতরে আসতে হবে না
রিয়াঃ হোয়াট!আর ইউ ম্যাড?আমার সায়নের সাথে দরকার আছে সো প্লিজ ভেতরে ঢুকতে দাও
মারুফঃ নো ওয়ে,সায়ন এখন ঘুমাচ্ছে,তুমি অন্য সময় আসো
রিয়াঃ তুমি আমাকে নিষেধ করছো!How dare you?
মারুফঃ এই যাওতো তোমার সাথে বকতে আমার একদম ভাল লাগছে না
রিয়াঃ না,আজ তোমাদের সব কয়টার একটা ব্যবস্থা করে তবেই আমি এখান থেকে যাব।সায়ন…সায়ন…
মারুফঃ এই মেয়ে,তোমাকেতো বললাম সায়ন ঘুমাচ্ছে।তারপরেও ডিস্টার্ব করছো!
রিয়াঃ আমি ডিস্টার্ব করছি!ডিস্টার্বতো তুমি করছো,আমাকে আমার সায়নের সাথে দেখা করতে দিচ্ছো না
মারুফঃ Shut up and get lost
রিয়াঃ সায়নের সাথে দেখা না করে আমি কোত্থাও যাব না।সায়ন…সায়ন…Where are you…
(ওদের কথা কাটাকাটি শুনে সায়নের ঘুম অলরেডি ভেঙ্গে গেছে তাই উঠে বাইরে চলে এসেছে)
মারুফঃ লিসেন রিয়া,তুমি কিন্তু বেশি বাড়াবাড়ি করছো
রিয়াঃ বাড়াবাড়ি আমি করছি নাকি তুমি
মারুফঃ শাট আপ রিয়া,নাহলে…
সায়নঃ কি হয়েছে রে মারুফ?
(সায়নকে দেখেই রিয়া একরকম ছুটে গিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরলো)
রিয়াঃ ইউ নো সায়ন,আমি তোমাকে কত্ত মিস করেছি আর তোমার বন্ধুরা…
সায়নঃ দেখো রিয়া,আমি চাই না এখানে কোন সিনক্রিয়েট হোক।কেউ দেখে ফেলবে সো প্লিজ Stay away from me
রিয়াঃ দেখে দেখুক,আই ডোন্ট কেয়ার
সায়নঃ বাট আই ডু সো…
(নিতান্ত অনিচ্ছা স্বত্তেও রিয়া সায়নের থেকে সরে দাঁড়ালো)
সায়নঃ মারুফ,ওকে ভেতরে নিয়ে আয়
মারুফঃ কিন্তু দোস্ত…
সাসায়নঃ যা বলছি কর,কথা বাড়াস না…
মারুফঃ ওকে…
(সায়নের কথাতে রিয়া মনে মনে অনেক খুশি হয়েছে,মারুফের দিকে রীতিমত চোখ রাঙিয়ে তাকাল তারপর হনহন করে ভেতরে চলে গেল)
রিয়াঃ তোমার এই স্টুপিড ফ্রেণ্ড নিজেকে কি ভাবে আল্লাহই জানে,আমাকে তোমার কাছে আসতে বাঁধা দিচ্ছিল!
মারুফঃ বেশ করেছি,আমার উচিত ছিল তোমাকে ঘাড় ধরে বের করে দেওয়া,কেন যে করলাম না…
রিয়াঃ দেখেছো?এখনও আমার সাথে কেমন বিহেভ করছে!হাউ ডেয়ার হি!
মারুফঃ ইউ…
সায়নঃ মারুফ…
মারুফঃ বাট দোস্ত,এই মেয়ে…
সায়নঃ মারুফকে বাইরে যাওয়ার জন্য ইশারা করলো
মারুফঃ তোরা কথা বল,আমি চা নাস্তার ব্যবস্থা করছি
(মারুফ বেরিয়ে গেল)
রিয়াঃ Thank you so much baby
সায়নঃ কিন্তু কেন?
রিয়াঃ কারণ তুমি ওই বেয়াদবটাকে তার আসল জায়গাটা দেখিয়ে দিয়েছো
সায়নঃ মারুফকে আমি এই জন্যে বাইরে যেতে বলিনি,আসলে আমার তোমার সাথে কিছু কথা বলার ছিল তাই…
(সায়ন রিয়ার দিকে পেছন ফিরে দাঁড়িয়ে ছিল,রিয়া এবার ছুটে গিয়ে ওকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলো)
রিয়াঃ তুমি স্বীকার কর আর না কর আমি কিন্তু ঠিকই জানি কাজটা তুমি কেন করেছো।Love you sayon,love you so…much
সায়নঃ রিয়া…ছাড় আমাকে
রিয়াঃ না,এতদিন পর তোমাকে কাছে পেয়েছি কিছুতেই ছাড়ব না আর অফিশিয়ালি এটাই বোধহয় আমাদের ফার্স্ট ডেট সো…
সায়নঃ নাহ এই মেয়ে নিজে থেকে ছাড়বে না,একরকম জোর করেই ওকে দূরে সরিয়ে দিলাম
রিয়াঃ What happened baby?
সায়নঃ লিসেন রিয়া,আই ডোন্ট লাইক দিস
রিয়াঃ বাট হোয়াই?তখন নাহয় বাইরে ছিলাম তাই হেজিটেশন ফিল করছিলে বাট এখনতো এখানে তুমি আর আমি ছাড়া আর কেউ নেই সো…
সায়নঃ লিসেন রিয়া,I think we need to talk
রিয়াঃ কথা পরেও বলা যাবে,নাউ ইটস টাইম ফর রোমান্স সো…
সায়নঃ রিয়া নো,বলছি না আমার থেকে দূরে থাকো
রিয়াঃ বলেছো বাট…আই ডোন্ট কেয়ার
রিয়া আস্তে আস্তে সায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে,সায়ন যতই পেছাচ্ছে রিয়া তত এগিয়া যাচ্ছে।পেছাতে পেছাতে সায়ন একেবারে দেয়ালের সাথে ধাক্কা খেল,আর পেছানোর কোন উপায় নেই কিন্তু রিয়া কিছুতেই থামছে না।রিয়া সায়নের পায়ের উপর পা দিয়ে দাঁড়িয়ে দুহাত দিয়ে ওর গলা জড়িয়ে ধরলো
সায়নঃ স্টপ ইট রিয়া
রিয়াঃ নো ওয়ে..
(রিয়া সায়নকে আরও নিবিড়ভাবে জড়িয়ে ধরলো তারপর আস্তে আস্তে নিজের নরম অধরজোড়া সায়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে লাগলো…)
চলবে…
#গত পর্বে ভুলবশত আগের পর্বের অনেকখানি অংশ পোস্ট করে ফেলেছিলাম।সেই জন্য আমি এক্সট্রিমলি সরি,আশা করি সবাই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখেবেন আর কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন…