বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড Season 2 !! Part- 15

আবিরঃ সত্যি তো?
আবির তিথির এতো কাছে এসে গেছে যে সমুদ্রের ঢেউ এর চেয়ে তিথির মনে ঢেউ বেশি হচ্ছে,,,,,হার্ট- বিট এতো টা ফাস্ট হয়ে গেছে তার প্রত্যেকটা শব্দ আবির শুনতে পারছে,,,
আবির তিথির অনেক কাছে এসে তিথির গালে হাত রেখে তিথির দিকে তাকিয়ে থাকে,,,বাতাসে তিথির চুল গুল আবিরের মুখে এসে পরছে আবিরের খুব ভালো লাগছে এই মুহূর্ত টা,,,আবির তিথির চুল গুলো তার মুখ থেকে সরিয়ে তিথির কানে গুজে দেয়,,আস্তে একটা ফুঁ দেয়,,,তিথি পুরো কেঁপে ওঠে,,,, ঠান্ডায় পুরো কাঁপছে মেয়ে টা,,আবির তিথির দিকে তাকিয়ে দেখে তিথি ঠান্ডায় কাঁপছে,,আবির সাথে সাথে তিথিকে ছেড়ে দিয়ে নিজের জ্যাকেট টা খুলে তিথিকে পরিয়ে দেয়,,,তিথি তো আবিরের দিকে পলকহীন তাকিয়ে আছে,,
আবিরঃ এই যে ম্যাডাম এই ভাবে কেন তাকিয়ে আছেন?
তিথি বড় একটা নিশ্বাস ফেলে আবিরকে বলে
তিথিঃ কিছু না স্যার,,, আমাদের এখন যাওয়া উচিত,,,আসলে অনেক রাত হয়েছে র বাসায় ও কেউ নাই,,,
আবিরঃ বাসায় কেউ নাই মানে?তুমি কি একা থাকো?
তিথিঃ না না আমার একটা বেস্ট ফ্রেন্ড ও থাকে,,,,কিন্তু ও এখন ওর গ্রামের বাড়িতে গেছে চলে আসবে কিছু দিনে,,,
আবিরঃ তাই বলে তুমি একা থাকবে😡😡আমাকে আগে বলো নাই কেন?
তিথিঃ আপনি জেনে কি করতে তখন,,,
আবিরঃ আমি জেনে কি করতাম মানে?😡😡
তিথিঃ না মানে?ইয়ে,,, (আমতা আমতা করে)
আবিরঃ ইয়ে মানে টানে😡😡কি এই সব সোজা কথা বলতে পারো না,,,
তিথিঃ আসলে আপনি জানলে কি করতে আর কি( একটু চাপা হাসি দিয়ে)
আবিরঃ আমার বাসায় নিয়ে যেতাম আর কি…

তিথিঃ আমি একা থাকতে পারি তো,,,আগে ও কতো বার ছিলাম,,,আর ছোট থেকে তো একাই ছিলাম,,অভাস আছে একা থাকার (মন টা ছোট করে)
আবির বুজতে পেরেছে তিথির মন খারাপ হয়ে গেছে,,,,
আবিরঃ আজকে বলেছো আর যদি তোমাকে বলতে শুনি যে তুমি একা বা তোমার কেউ নাই তাহলে থাপ্পড় মেরে গালের দাঁত সব ফেলে দিবো,,বলে দিলাম
তিথির চোখ দুটো ভিজে গেছে,,আজকে তিথির এই টা জেনে খুব খুশি লাগছে যে তার ও কেউ আছে আপন বলতে,,,,ভালোবাসার জন্য কেউ আছে,,,,তিথির চোখ বেয়ে এক ফোঁটা পানি গড়িয়ে পরে পানিটি নিচে পরার আগে আবির তিথির মুখের নিচে হাতটি দিয়ে দেয় আর গড়িয়ে যাওয়া চোখের পানির ফোটা আবিরের হাতে পরে,,,,,
আবিরঃ তোমার চোখের পানির খুব দাম তিথি,,,,আজকের পর প্লিজ কেঁদো না,,আমি সহ্য করতে পারি না তোমার চোখের জল,,,বড্ড ভালোবাসি যে তোমায়,,,,,
তিথি আবিরের দিকে শুধু তাকিয়ে আছে,,তার একটু ও বিশ্বাস হচ্ছে না যে আবির তাকে ভালোবাসে,,তার জন্য চিন্তা করে,,,তাকে নিয়ে ভাবে,,,,তিথি আবিরকে জড়িয়ে কেঁদে দেয়,,,,
তিথিঃ আমাকে কেউ আজ পর্যন্ত এই ভাবে আপন করে নেয় নাই,,,জানেন কেউ বলে নাই যে তিথি র কেঁদো না,,,আমি আছি তোমার পাশে😭😭😭😭কেন আমার কেউ নাই,,,কেন কেউ এসে বলে না প্রিন্সেস তোমার বাবা তোমার পাশে আছে,,কেন কেউ এসে বলে নাই যে আমার মেয়েকে একদিন পরীর মতো সাজাবো,,,কেন কেউ আমাকে শাসন করে নাই,,কেন বকা দেয় নাই,,,😭😭😭😭
আবির ঠিক বুজতে পারছে তিথির মনের অবস্থা,,যার পরিবার নাই সে বুজে পরিবারের মূল্য টা আসলে কি?? মায়ের আদর বাবার শাসন কি জানে না৷৷ ,,পরিবারের ভালোবাসা পাই নাই সে বুজে কষ্ট টা কতো পরিবার না থাকার,,,,আবির তিথির মনের অবস্থা ঠিক বুজতে পারছে,,,,,একটা ছেলে বা মেয়ের জন্য তার পরিবার সবার উপরে,,,বিপদে যখন পরবেন তখন কেউ আগে আসুক র না আসুক পরিবার ঠিক এগিয়ে আসবে,,সব বিপদ থেকে উদার করার জন্য বাবা- মা সব এক করে দিবে,,,পরিবার না থাকা যে বড় কষ্টের,,,,
আবিরঃ এই তিথি আমার দিকে তাকাও (তিথির থুতনি ধরে তুলে)
তিথি তো কেঁদেই যাচ্ছে,,,আবির তিথির চোখের পানি মুছে তিথির গালে দুই হাত রেখে বলে
আবিরঃ কে বলেছে তোমার কেউ নাই,,,আমি আছি তো,,,আর আমার পরিবার আছে,,,,আমার বাবা- মা ও তো তোমার বাবা- মায়ের মতো তাই না,,,,তাহলে কেন কান্না করছো পাগলী,,এক বার আমার বউ হয়ে আমাদের ঘরে যাও তখন দেখবে ম্যাডাম আমার বাবা- মা তোমাকে পেয়ে আমাকে ও ভুলে যাবে,,
তিথির চোখের পানি তার পরও কমছে না,,,আবির একটু মুচকি হেসে তিথিকে বলে
আবিরঃ মনে আছে তোমার আম্মু তোমাকে পেয়ে আমাকে ও ভুলে গেছে,,আর নিজের হাতে খাইয়ে দিয়েছে আর আমাকে খাওয়ার দেওয়ার কথাও তার মাথায় ছিলো না,,
তিথি একটু মুচকি হেসে মাথা নাড়ালো,,,,আবির তিথির কপালে আলতো করে ভালোবাসার পরশ দিয়ে তিথিকে বলে
আবিরঃ তিথি আমাকে বিয়ে করবে??
তিথি আবিরের দিকে শুধু তাকিয়ে আছে,,,,,হয়তো এই কথা আবির বলবে সে ভাবতে ও পারে নাই,,,,
আবিরঃ এই যে মিস ঘুমপরী আমাকে কি আপনি সত্যি বিয়ে করবেন? এই ভাবে চুপ করে আছেন কেন উত্তর দেন?
তিথিঃ হ,,,,,,হ্যাঁ😭
আবিরঃ হ্যাঁ বলছো তা ভালো কথা কিন্তু এই ভাবে কান্না করছো কেন?স্টুপিড
তিথিঃ আপনি আমাকে স্টুপিড কেন বললেন(নাক ঢলতে ঢলতে)
আবির র না পেরে হেসে দেয়,,,,এক তো বাচ্চাদের মতো কান্না করছে তার মধ্যে চেহারাটা পুরো বাচ্চার মতো করে রেখেছে,, আবির তিথির গাল টেনে দিয়ে বলে
আবিরঃ এমনি…আচ্ছা চলো
তিথিঃ কথায়?
আবিরঃ টেবিলে খাবার দেখছো না,,আমরা এখন খাবো
আবির তিথির হাত ধরে টেবিলে নিয়ে যায়,,,,টেবিলের সামনে নিয়ে গিয়ে একটা চেয়ার এগিয়ে দেয় আর তিথিকে ইশারা করে বসতে,,,তিথি চুপচাপ বসে পরে,,,,আবির ও গিয়ে বসে,,,কেন্ডেলের আলোতে তিথির মুখ খানি অনেকটা উজ্জ্বল হয়ে গেছে,,,,দেখতে এতো সুন্দর লাগছে যে আবির এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে,,,,তিথি আবিরের দিকে চোখ পরায় খেয়াল করে আবির তার দিকে কেমন ভাবে যেন তাকিয়ে আছে,,,,
তিথিঃ আ,,,,পনি এই ভাবে তাকিয়ে আছেন কেন?
আবিরঃ হু
তিথিঃ কি হু
আবিরঃ হুম
তিথিঃ উফফফ (বিরক্তি ভাব নিয়ে আবিরের দিকে তাকায় এতে আবিরের কিছু যায় আসে না😂😂সে তো তিথিকে দেখতে ব্যস্ত)
তিথি উঠে আবিরের কাছে যায় র জোরে চিমটি দেয়,,,, আবির তো বেচারা,,,,

আবিরঃ আয়ায়ায়ায়া তিথিইইইইইই
তিথিঃ জ্বি বলুন
আবিরঃ তুমি আবার চিমটি দিলে,,(হাত ঘষতে ঘষতে)
তিথিঃ তো কি করবো?আপনি সে কখন থেকে আমার দিকে ড্যাবড্যাবিয়ে তাকিয়ে আছেন,,,আমি কখন থেকে ডাকছি আপনার তো কোনো খবর নাই,,,তাই আর কি
আবিরঃ ওহ তাই তাহলে তোমাকে ও দিতে হয়
চেয়ার থেকে উঠে তিথির দিকে এগোতে এগোতে,,,তিথি ভয়ে দূরাতে থাকে আর কিছু না ভেবে,,,,আবির তো হতবাক যে এতো বড় মেয়ে এই ভাবে দূরাছে,,, আবির ও তিথির পিছনে পিছনে দুরাতে থাকে,,,,
আবিরঃ তিথি থামো বলছি,,আমি ধরতে পারলে খবর আছে তোমার,,,
তিথিঃ আমাকে কি বাদরে কামড়াইছে যে আমি থামবো আর আপনি আমাকে ধরে লবণ মরিচ দিয়ে খাবেন,,,
আবির দাঁড়িয়ে যায় তিথির কথা শুনে,,,,আবির হাঁপাতে হাঁপাতে নিজে নিজে বলে
আবিরঃ ইয়া আল্লাহ এই কোন পাগল মেয়ের প্রেমে পরলাম😨😨বাদর আবার কামড় দেয়😨😨
তিথি দুরাতে দুরাতে অনেক দূরে চলে আসে আর দুরাতে না পেরে থেমে যায় আর হাঁপাতে থাকে পেটে হাত দিয়ে,,,একটু পর পিছনে তাকিয়ে দেখে আবির পিছনে নাই,,,তিথির চারপাশে তাকিয়ে দেখে কেউ নাই,,,,পুরো অন্ধকার তিথির একটু ভয় করছে,,
তিথিঃ স্যার স্যার আ,,,,পনি আ,,,,আছেন?(কাঁপা কাঁপা গলায়)
আবির তিথিকে চারপাশে খুঁজে দেখছে না কথায় ও নাই,,,আবিরের ও খুব ভয় করছে যে এই মেয়ে গেলো কই একটু সময়ে,,,,,আবির তাড়াতাড়ি দূরে গিয়ে দেখে তিথি দাঁড়িয়ে আছে,,আবির দূরে গিয়ে তিথির সামনে দাঁড়ায়,,,আবিরকে দেখে তো তিথি মনে হয় জানে জান পেয়েছে,,,,তিথি আবিরকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে,,,,
আবিরঃ ভয় পেয়েছো?
তিথি আবিরকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলে
তিথিঃ না একদম না
আবির মুচকি হেসে তিথির মাথায় হাত রাখে,,,,,অনেক ক্ষন পর তিথিকে ছেড়ে দিয়ে বলে
আবিরঃ তিথি চলো বাসায় দিয়ে আসি তোমায়,,,,,
তিথি মাথা তুলে আবির কে হ্যাঁ জানায়,,,,,,
আবির তিথির হাত ধরে হাঁটতে থাকে,,,,,গাড়ির সামনে এসে দরজা খুলে দেয় তিথি গাড়িতে উঠে বসে,,আবির ও উঠে তিথির দিকে তাকিয়ে দেখে তিথি সিট বেল লাগায়নি,,, আবির তিথির দিকে একটু ঝুকে সিট বেলটা লাগায়,,,লাগানোর সময় আবিরের চোখ তো তিথির চোখের দিকে,,,দুইজনে যে দুইজনের চোখে হারিয়ে গেছে,,,,,তিথি অনেকটা লজ্জা পেয়ে তাড়াতাড়ি চোখ সরিয়ে নেয়,,,আবির একটু মুচকি হেসে নিজের সিটে ভালো ভাবে বসে গাড়ি ড্রাইভ করতে থাকে,,,৷ ,, তিথি তো পুরো লজ্জায় আবিরের দিকে তাকাচ্ছে না,,অন্য পাশে তাকিয়ে আছে,,,আবির ড্রাইভ করছে আবার আড় চোখে তিথির দিকে তাকাচ্ছে,,,,,তিথি ও আবিরের দিকে একটু পর পর তাকাচ্ছে,,,হঠাৎ আবির তিথির দিকে তাকিয়ে দেখে তিথি তার দিকে তাকিয়ে আছে,,, আবিরের চোখে পরায় তাড়াতাড়ি তিথি চোখ সরিয়ে ফেলে,,কিন্তু ব্যথ হয় আবির তার আগে দেখে ফেলেছে ,তিথি অনেক লজ্জা পায়,,,
আবিরঃ তুমি যখন লজ্জা পাও না তখন পুরো স্ট্রভেরি লাগে তখন ইচ্ছে করে খেয়ে পেলি😂😂😂
আবিরের এমন কথায় তিথি আরো লজ্জা পেয়ে যায়,,,,লজ্জায় মুখটা পুরো লাল হয়ে গেছে,,,,,
আবিরঃ এই ভাবে লজ্জা পেয়েও না পরে এক্সিডেন্ট করবো😂😂
তিথিঃ মানে?আপনি কেন এক্সিডেন্ট করবেন?
আবিরঃ তুমি যে ভাবে লজ্জা পাচ্ছো তা দেখে আমি নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারি না😂😂তোমার এই লজ্জা মাখা মুখখানি যে আমার খুব পছন্দ তা তো তুমি জানো না,,,
তিথি এই বার আরো লজ্জা পায়,,,,,
আবির মুচকি হেসে ড্রাইভ করতে ব্যস্ত হয়ে পরে,,কিছু ক্ষন পর তাড়াতাড়ি চলে আসে,,,তিথি নেমে চলে যেতে লাগে তখন আবির ডাক দেয়
আবিরঃ এই যে ম্যাডাম?
তিথি পিছনে ফিরে তাকিয়ে দেখে আবির পকেটে হাত রেখে মুচকি হেসে দাঁড়িয়ে আছে,,আবিরকে দেখতে যা লাগছে না আমি নিজে ওর উপর ক্রাশ খাইছি😛😂
আবিরের সে হাসি যা পাগল করার মতো,,,,হাজারো মেয়ের ক্রাশ আজকে তিথির তা ভেবে তিথির কি না খুশি লাগছে,,,,,,তিথি আবিরের দিকে এগিয়ে এসে বলে,,,,
তিথিঃ জ্বি বলুন
আবিরঃ এই ভাবে চলে যাবে একটা গুড নাইট কিস দিবে না,,,,
তিথিঃ মা,,,,,নে?
আবিরঃ তুমি কি গুড নাইট কিস ও বুজো না মিস তিতা😂😂
তিথিঃ আপনি অনেক বাজে আমাকে খালি মিস তিতা বা ঘুমপরী ডাকেন,,
আবিরঃআমার যা ইচ্ছে ডাকবো এতে তোমার কি হুম?
তিথিঃ আমার কি মানে?😡😡আচ্ছা ঠিক আছে আমি যাই
তিথি চলে যেতে লাগে আবির তিথির এক হাত ধরে টান দেয়,,,র তিথির ঘাড়ের কাছে নিজের থুতনি রেখে বলে
আবিরঃ তোমাকে কিছু বলার কি আমার একটু ও অধিকার নাই,,,
তিথি আবিরের দিকে ফিরে তাকিয়ে বলে
তিথিঃ সরি (কানে হাত দিয়ে)
আবির তিথির হাত সরিয়ে গালে আলতো করে চুমু দিয়ে বলে
আবিরঃ গুড নাইট,,,,ভালো থাকো,,,যাও গিয়ে ঘুমিয়ে পরো,,
তিথিঃ আপনি যান আগে আমি পরে যাবো
আবিরঃ তোমাকে যেতে বলছি তো যাও
তিথি আর কি করার চলে যায়,,আবার পিছনে ফিরে তাকিয়ে দেখে আবির এখনও দাঁড়িয়ে আছে আগের জায়গায় আর ইশারা করে তিথিকে বলে
চলে যেতে,,,,তিথি মুচকি হেসে চলে যায়,,,তিথি চলে যাওয়ার পর আবির ও গাড়িতে উঠে চলে যায়,,,,
তিথি ফ্রেশ হয়ে আবিরের জ্যাকেটটি হাতে নিয়ে বিছানায় শুয়ে শুয়ে শুধু আবিরের কথা ভাবছে,আবিরের জ্যাকেটতি নাকের কাছে এনে তার স্মেল নিচ্ছে,মুগ্ধ করার মতো আবিরের শরীরের স্মেল,তিথি জ্যাকেটটির স্মেল নিচ্ছে আর আবিরের কথা ভাবছে,,,,,,বছরের প্রথম দিন আবির তাকে প্রোপাস করেছে তা ভেবে তিথির যা খুশি লাগছে তা বলে বুজাতে পারবে না,,,তিথি আবিরের কথা ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পরে,,,,
এই দিকে নিয়া আবিরকে ফোন এর উপর ফোন করে যাচ্ছে আবির ধরার নামই নাই,,,ঘরের সব জিনিস ছুড়ে ফেলে দেয়,,,রাগে পুরো রুমের অবস্থা খারাপ করে ফেলে,,নিয়া পুরো পাগলের মতো হয়ে গেছে আবিরকে ফোন করতে করতে,,,,,

আবির ফ্রেশ হয়ে বিছানায় শুয়ে আজকের মুহূর্ত গুলো মনে করছে,,, তিথিকে যে সে বড্ড ভালোবেসে ফেলেছে,,,তিথির সে মায়াবী চেহারায় যা আবিরকে মুগ্ধ করে ফেলেছে,,তিথি যে এখন তার নিশ্বাসের সাথে মিশে গেছে,,,,হঠাৎ ফোন টা বেজে উঠায় ফোন টা হাতে নিয়ে দেখে নিয়া ফোন করেছে একটু বিরক্তি নিয়ে ফোন টা রিসিভ করে
নিয়াঃ আবির তুমি এতো ক্ষন আমার ফোন কেন রিসিভ করছো না,,সে ক্ষন থেকে তোমায় ফোন করে যাচ্ছি😡😡
আবিরঃ সরি নিয়া আসলে আমি রুমে ছিলাম না,,র ফোন টা রুমে ছিলো তাই জানি না,,,সরি
নিয়াঃ It’s ok,,,,by the way Happy new year jan
আবিরঃ Happy new year niha
নিয়াঃ আচ্ছা জান এখন আমার সাথে দেখা করো প্লিজ
আবিরঃ নিয়া মাথা ঠিক আছে তোমার সময় দেখেছো এতো রাতে দেখা করতে পারবো না কালকে দেখা করছি ওকে,,,,

নিয়াঃ আজকে আমি কতো প্লেন করেছি আর তুমি
আবিরঃ সরি নিয়া,,আচ্ছা রাখি আমার খুব ঘুম পাচ্ছে,,,কালকে কথা হবে বাই
নিয়াঃ ওকে বাই বেবী,,লাভ ইউ
আবিরের একটু ও ভালো লাগে নাই নিয়ার কথা গুলো,, আবির ভেবেছে নিয়াকে তিথির সব কথা বলবে আর এইটা ও যে আবির তাকে নয় তিথিকে ভালোবাসে,,,
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,