বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড Season 2 !! লেখাঃ ইসরাত জাহান
রিতু অনেক রেগে রুমে ঢুকে র দেখে তিথি এখনো ঘুম রিতু রেগে নিজে নিজে বলে (বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড Season 2)
রিতুঃ সকাল ৯ টা র এখনো ম্যাডাম ঘুম😡 wow আজকে ও এনি উঠে নাই,,দেরি করে ঘুমানো র দেরি করে উঠা এই টা যেন রেগুলার নিয়ম হয়ে গেছে দাঁড়া বের করছি তোর ঘুম😡😡😡
রিতু এক গ্লাস পানি হাতে নিয়ে এই সব বলছে,,, রিতুর বিছানার সামনে গিয়ে কমব্লটা সরিয়ে পানি গুলো তিথির মুখে ঢেলে দেয়,,,,একতো শীত তার মধ্যে রিতু আরো ঠান্ডা পানি মুখে ঢেলে দিয়েছে,,,,তিথি লাফিয়ে উঠে দেয় এক চিৎকার
তিথিঃ আম্মুউউউউউউউ কোন জানোয়ার রে আমার মুখে পানি দিয়েছে সামনে আয় আজকে তোকে আমি কাঁচা মরিচ দিয়ে খাবো😡😡
রিতু গ্লাস টা টেবিলে রেখে তিথির মাথায় দেয় এক বারি র বলে
রিতুঃ এই যে ম্যাডাম আমি দিয়েছি😡র কয়টা বাজে?
তিথিঃ কুত্তি তুই আমার মুখে পানি দিয়েছিস তোর মনে কি দোয়া মায়া নাই,,,আমার মতো বাচ্চা মেয়ের গায়ে পানি দিতে তোর হাত কাঁপে নাই পেত্নী কত থেকে😡
রিতুঃ চুপ একদম বদমাশ মেয়ে😡😡সারারাত উনি টিভি দেখবে না হয় গল্পের বই পড়বে,,,,ঘুম যাবে দেরি করে র ঘুম থেকে উঠবে দেরিতে😡😡সে কখন থেকে ডাকছি কিন্তু ম্যাডাম নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে,,,,,
তিথিঃ কেন সকাল সকাল আমার ঘুমের ১২ টা বাজাস তুই কি আমার ফ্রেন্ড নাকি শত্রু😡
রিতুঃ কি বললি আমি সকাল সকাল তোকে ডাকছি😡😡৯ টার ও বেশি বাজে,,,ওই তোর যে অফিসের দেরি হচ্ছে তা কি খবর আছে প্রতি দিন দেরি কেমন করে একটা মানুষ এই জন্য হয়তো তোর চাকরি ১ মাস এর চেয়ে থাকে না,,,,৮ টা জব থেকে তোকে বের করা হয়েছে দেখিস এই অফিস থেকে ও বের করা হবে,,,,
তিথি অগ্নি দৃষ্টিতে রিতুর দিকে তাকিয়ে আছে মনে হচ্ছে এখন আস্তা গিলে খাবে,,,,রিতু তিথির কাপড় আলমারি থেকে বের করে বলে
রিতুঃ চেহারাটা বাংলার পাঁচ না করে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে অফিসে যা,,র আমি যাচ্ছি বাই
তিথিঃ শুধু লেকচার দিবে তাড়াতাড়ি ডাকতে পারে না আবার লেকচার ও দিতে চলে আসবে,,,ধুর ঘুমের ১৩ টা বাজালো,,,এক মিনিট ৯ টার বেশি মানে,,আম্মুইইইই আজকে তো মোটা ম্যানেজার আমাকে আস্তা গিলে খাবে,, উফফফ
তিথি তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে অফিসে যাওয়ার জন্য বের হয় কিন্তু একটা রিকশা ও সে রাস্তায় পায় না তার মাথা আরো খারাপ হয়ে যায় অনেক ক্ষন হাঁটার পর একটা রিকশা পায় অনেক কষ্টে তিথি রিকশাটায় উঠে,,,
(বিঃ দ্রঃ “ বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -1,2,3,4 !! লেখাঃ ইসরাত জাহান ” গল্পের সবগুলো পর্ব একসাথে পেতে এখানে ক্লিক করুন)
তিথিঃঅফিস বাসা থেকে ৩০ মিনিটের দূরে কিন্তু আমি সব সময় দেরি করি আসলে এই টা আমার নিয়ম হয়ে গেছে হিহিহি,, এই নিয়ে ৮ টা জব থেকে আমাকে বের করা হয়েছে এক দেরিতে যাওয়ার জন্য র এক সত্যি কথা বলার জন্য আসলে আমি সত্যি কথা বেশি বলি তাই হয়তো কেউ আমাকে দেখতে পারে না কথায় আছে না ভালো মানুষের কপালে নাকি ভাত নাই কিন্তু আমি ভাবি যে যদি আমার কপালে ভাত না থাকে তাহলে বিরানি তো থাকার কথা কিন্তু তাও থাকে না,,,😕😕😕
“”তিথি দেখতে খুব সুন্দর,,,চেহারায় খুব মায়া তার,,,,চুল গুলো কোমড় পযন্ত লম্বা,,,,ঠোঁট গুলো গোলাপি,,,,চোখ গুলো টানা টানা,,যে কেউ তার প্রেমে পরে যায় কিন্তু তিথি দেখতে যেমন সুন্দর তার ব্যবহার মাশাল্লাহ😂😂তাই কোনো ছেলে যদি এক বার তিথিকে প্রপোস করে র তিথি সে পরিমাণ ওই ছেলেকে ধুয়ে পেলে যার জন্য সে ছেলে গুলোর র সাহস করে ২য় বার তিথির সামনে আসার থাকে না😂😂আসলে তিথি এই প্রেম টেম বুজে না র না বুজতে চায় তার মনে হয় সব চেয়ে ফালতু জিনিস হলো প্রেম করা”,,,,
এই বার বলি তিথিকে,,,,
“”ইসরাত জাহান তিথি ছোট বেলা থেকে এতিম খানায় বড় হয়েছে,,,,বাবা-মাকে তা সে জানে না,,,,এতিম খানার বড় খালা থেকে শুনেছে তিথি যখন ২ দিনের তখন তাকে এতিন খানার সামনে কেউ রেখে যায় কিন্তু কে রেখে গেছে কেউ দেখে নাই,,,,ছোট থেকে কারো ভালোবাসা পায়নি,,,, ভালোবাসা কি হয়তো তা সে জানে না কারণ ভালোবাসার মানুষ কখনো ছিল না তার,,,,,অনেক কষ্ট করে পড়ালেখা টা শেষ করে,,,অনেক পরিমাণের দুষ্ট সে,,আসলে তাকে বকা দেওয়ার শাসন করার কেউ ছিল না,,নিজের মতো বড় হয়েছে,,,,, রিতুর সাথে কলেজ থেকে পরিচিত তিথি র রিতু এক সাথে থাকে এক প্লেটে রিতুর বাবা- মা সবাই গ্রামে থাকে তাই,,,তিথির বয়স ১৮ হওয়া আশ্রম থেকে চলে আসে কারণ ১৮ এর পর আশ্রমে থাকার নিয়ম নাই নিজের টা নিজে করে চলতে হয়,,,,,তিথি টিউশন করে নিজের পড়ালেখা চালায় কিন্তু মাঝ পথে ছেড়ে দিতো হলো কারণ টিউশন টা ছিল না,,,,র কি করার জব করে কিন্তু তিথির একটা চাকরি ও ১ মাসের বেশি থাকে না,,,এই চাকরি টা মাত্র ২৫ দিন কিন্তু সে সব সময় দেরি করে আসে,,,,,,,
তিথি অনেক ক্ষন পর অফিসে চলে আসে র দূরে অফিসে যায় অফিসের দরজার সামনে ঢুকতে খায় এক ধাক্কা,,,তিথি তো অনেকটা রেগে যায় র রাগি ভাবে উপরে তাকিয়ে দেখে রাফি,,,,,
তিথিঃ ওই তোর চোখ কই রে 😡😡দেখে চলতে পারিস না😡😡আজকে যদি আমার পা ভাঙ্গতো না তাহলে তোকে আমি ঘুষি মেরে জাপানে পাঠিয়ে দিতাম😡😡
রাফিঃ “উফফ আল্লাহ এই মেয়ে একটু সুন্দর করে ও বলতে পারে না কি”
রাফি তিথির দিকে হাত ভারিয়ে দেয় কিন্তু তিথি রাফির হাতে একটা থাপ্পড় মারে র নিজে নিজে উঠে কাপড় যারতে যারতে র রাফির দিকে রাগি লুকে তাকিয়ে চলে যায়,,, তিথি তাড়াতাড়ি তার টেবিলে বসে র কাজ করা শুরু করে দেয় র তখন ম্যানেজার তিথিকে দেখে তার টেবিলের সামনে এসে বলে
ম্যানেজারঃ আরে আপনি এতো তাড়াতাড়ি কেন আসলেন র এক বারে লাঞ্চের পর আসলে তো হতো😡😡এতো যলদি কি অফিসে আসতে হয়,,,কতটা কষ্ট করলেন 😡😡
তিথিঃ আরে স্যার আপনি আগে বলবেন না যে লাঞ্চের পর আসার জন্য তাহলে তো আমি একটু ভালো করে ঘুমিয়ে আসতাম এমনিতে রাতে ঘুম তেমন হয়নি,,,,,
ম্যানেজার অনেকটা রেগে যায় তিথির এমন কথা শুনে,,, র রাগে টেবিলে বারি দিয়ে বলে
ম্যানেজারঃ আপনার মাথায় কি গোবর ভরা😡😡সব সময় যা বলি তার উল্টো দিক টা বের করেন😡
তিথিঃ স্যার আপনাকে এই অফিসে জব দিলো কে??আপনি তো এই টা ও জানেন না যে মাথায় গোবর থাকে না র মাথায় যা থাকে তাকে গোবর বলে না তাকে তো বলে ,,,,,,,
তিথি র কিছু বলতে পারলো তার আগে ম্যানেজার দেয় এক ধমক,,
ম্যানেজারঃ একদম চুপ😡😡র একটা কথা বললে দেখবেন কি করি😡😡সোজা বের করে দিবো ফাজিল মেয়ে,,,
ম্যানেজার র কিছু না বলে চলে যায় কারণ সে জানে তিথির সাথে কথা বলা মানে দেওয়ালে নিজের মাথা বারি দেওয়া,,,,
তিথি র কি করার কাজে ব্যস্ত হয়ে পরে,,, কাজ করতে করতে বিকাল হয়ে গেল,,,,র বিকালের সময় একটা ইম্পর্টেন্ট মিটিং থাকায় তিথি র ম্যানেজার একটা রেস্টুরেন্টে যায় র মিটিং করতে থাকে,,,,,
এই দিকে,,,,
সেম রেস্টুরেন্টে আকাশ র মেঘ বসে বসে নিহার কান্ড দেখছে কারণ নিহা মেকাপ করছে বার বার র লিপস্টিক দিচ্ছে,,,
আকাশঃ নিহা কি করছিস তুই,,,,তোকে দেখে তো আজকে পেত্নীরা ও ভয় পাবে😂😂😂( আকাশ র মেঘ এক সাথে হেসে দেয়)
নিহা আকাশের দিকে রাগি লুকে তাকিয়ে বলে
নিহাঃ চুপ কর না হলে এখন এখানে মাইর খাবি,,,😡আমি আমার বেবীর জন্য রেডি হচ্ছি কারণ এখন আমার আবির বেবী আসবে
আকাশ র মেঘঃ আবির র বেবী😱😱😱হায় আল্লাহ আবির বেবী হলো কবে থেকে,,,
ওই সময় রেস্টুরেন্টের সামনে এক বড় গাড়ি এসে থামে র আবির নামার সাথে সাথে সব মেয়েরা আবিরের দিকে তাকিয়ে থাকে,,,,
ব্লু জিন্সের প্যান্ট কালো শার্ট,, চোখে কালো সানগ্লাস,,,,ছোট ছোট চুল গুলো কপালে এসে পরছে,,,দেখতে তো এতো হেন্ডসাম যে সব মেয়েরা ফিদা,,,,,আবির যেখানে যাবে মেয়েদের ক্রাশ হয়ে যাবে ,,, দেখতে যেমন সুন্দর তেমন তার কথা গুলো ও অনেক মিষ্টি,,,,,কিন্তু রাগি ও বটে,,বিনা কারণে আবার রাগ করে না,,,,
ওহ সরি আবিরের পরিচয় তো দিলাম না”””আবির রহমান বাবা-মার খুব আদরের ছেলে,,লন্ডন থেকে কিছু দিন আগে এসেছে পড়ালেখা শেষ করে,,,,বন্ধুদের জান ও সে,,,সব বন্ধুদের জন্য নিজের জান ও দিতে পারে র তারাও,,একটা ছোট বোন ও আছে তার নাম বৃষ্টি রহমান,,,,দেখতে মাশাল্লাহ,,, যেমন ভাই তেমন তার ছোট বোন,,,আকাশ র মেঘ আবিরের বেস্ট ফ্রেন্ড র নিহা ও ফ্রেন্ড কিন্তু বেস্ট ফ্রেন্ড না পুরো চিপকো,,,আবিরের জন্য পাগল সে কলেজ লাইফ থেকে কিন্তু আবির তাকে একটু ও দাম দেয় না,,,,আবির বিদেশ থেকে ফিরে বেশ কিছু দিন হলো ভালো করে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে পারে নাই তাই আজকে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে একটা রেস্টুরেন্টে আসে,,,,
আবির রেস্টুরেন্টে যেতে না যেতে নিহা এসে আবিরকে জড়িয়ে ধরে র গালে কিস করে বলে
নিহাঃ ওহ বেবী এতো সময় লাগে আসতে,,জানো কতো অপেক্ষা করছিলাম তোমার জন্য,, ইউ নো না হাউ মাচ আই মিস ইউ বেবী
আকাশ র মেঘ তো মুখ চেপে হাসতে হাসতে শেষ নিহার কান্ড দেখে,,,আবির নিহাকে একটু সরিয়ে বলে
আবিরঃ নিহা মানুষ দেখছে ওকে,, বস র এই ভাবে মেকাপ কেন করেছিস😨😨পুরো পেত্নী লাগছে😂😂(আকাশ র মেঘ ও হেসে দেয় আবিরের কথায়)
নিহাঃ তোমার জন্য বেবী র তুমি আমায় তুই করে কেন বলো জানো না গফ কে তুই বলতে নাই
আকাশ র মেঘঃ গফ😱😱😱আবির(আবিরের দিকে তাকিয়ে)
নিহা আবিরকে বলে ( বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড Season 2 )
নিহাঃ বেবী আমি একটু ওয়াশরুম থেকে আসছি কেমন,,
আবির মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ জানলো র গিয়ে আকাশের পাশে বসে বলে
আবিরঃ ধুর ওর কথা শুনিস না,,,,তোরা তো জানিস নিজেকে আমার গফ মনে করে,,,র আমার Girlfriend নিহার মতো তো একদম হবে না,,
মেঘঃ আচ্ছা তাহলে তোর Girlfriend কেমন হবে অনেক সিম্পল,,যাকে দেখে আমার হার্ট বিট বেরে যাবে,,,,
র ওই সময় নিহা এসে পরে,,,,
আবির র কিছু বলে না হাসতে থাকে সবার সাথে র খাবার অর্ডার করে,,,, নিহা তো আবিরের গা ঘেষে বসে বসে কথা বলছে,,,মেঘ র আকাশ তা দেখে মুখ চেপে হাসছে,,,,,
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,
বিঃ দ্রঃ একটু নিচে ভালো করে লক্ষ করুন পরবর্তী পর্বের লিংক দেয়া আছে
বিঃ দ্রঃ “ লেখাঃ ইসরাত জাহান ” লেখকের লেখা অন্য গল্প গুলো পড়তে এখানে ক্লিক করুন !!
এক পলকে দেখে নিন সহজে গল্প খুঁজে পাওয়ার সুবিধার্থে দেওয়া হল