বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -3 !! Part- 11

(সবার প্রিয় শিহাব ইজ বেক ওয়েলকাম করুন ফুল নিয়ে😂)
আবিরঃ বাহা এই জঙ্গলি বিলাই তো পুরো ময়ূরীর মত নাচতে জানে,,
তিথির হঠাৎ নজর পড়ে আবিরের দিকে,,নাচ থামিয়ে আবিরের কাছে এসে ধমক এর সুরে বলে
তিথিঃ লজ্জা শরম এর কি মাথাটা ও খাইছেন আপনি মিস্টার বজ্জাত এনাকন্ডা
আবিরঃ কিইই
তিথিঃ বাবারে এখন দেখি কানে ও কম শুনে 😒ডাক্তার দেখান না হলে পরে সমস্যা হবে
আবিরঃ ওহ রেলি মিস বকবক???
তিথি কিছু টা ঘাবড়ে যায় কারণ আবির তিথির অনেক টা কাছে এসে যায়,,ঢোক গিলে বলে
তিথিঃ হুম
আবিরঃ আমি তো জানতাম না যে জঙ্গলি বিলাই রা ও এতো সুন্দর করে ডান্স করতে পারে
তিথি নিজের চারপাশে তাকিয়ে আবার আবির এর দিকে তাকিয়ে বলে
তিথিঃ কে জঙ্গলি বিলাই???
আবির নিজের হাত তিথির সামনে রেখে বলে
আবিরঃ আমার হাতের এমন অবস্থা যে করছে সে তো জঙ্গলি বিলাই এই,,বাই দ্যা ওয়ে মিস বকবক থুক্কু মিস জঙ্গলি বিলাই তুমি কিন্তু সে লেভের ভালো নাচ জানো যা ওইইইইইই আর কি

আবির এই কথা বলে চলে যায় তিথি হাবলার মত দাঁড়িয়ে আছে,,এক তো তাকে জঙ্গলি বিলাই বলছে আবার তার তারিফ ও
তিথিঃ এই টা কি হলো?? ওই বজ্জাত এনাকন্ডা আর তারিফ তাও আমার?মনে হয় মাথায় ডাব পড়ছে হু
তিথি কিছু ক্ষন লাইব্রেরিতে গিয়ে বই এই পাশ অই পাশ দেখে পড়া যেন তার মাথার উপর দিয়ে যায়,,,,রিতু তিথির এমন কান্ড দেখে হেসে দেয়,,,
তিথিঃ উফফ এতো কঠিন কেন পড়ালেখা,,,যদি এক্সম না হয়তো আর উপরে ক্লাস গুলো তে উঠে যেতাম ইসসস
রিতুঃ পাগলী আসলে তুই
তিথিঃ হুর,,,আচ্ছা রিতু আমার না এখন একটা জিনিস ইচ্ছে করছে
রিতুঃ কি?
তিথিঃ অই বজ্জাত এনাকন্ডাকে ইঁদুরের মাংস দিয়ে টমেটো রানা করে খাওয়াতে ইচ্ছে করছে, ইস কি উইয়ায়ামি না হবে😋
রিতুঃ ছিইইইইই তুই আসলে কি রে,,,পুরো এলিয়েন তুই কি সব বলছিস খচ্ছর মাইয়া,,,
তিথিঃ যা বাবা এতো মজার খাবার এর নাম বললাম আর তুই কি না,,দূর তোরা কেউ আমার মজার রান্নার রেসিপির তারিফ তো করিস না উল্টো খচ্ছর বলিস,,,ওই জানিস ভিটামিন জেড আছে হুম
আবির ওই খানে ছিলো তিথির আজগুবি কথা গুলো শুনে হেসে দেয়,,,প্রথমে ভাবে তিথির সামনে যাবে আবার কি মনে করে দাঁড়িয়ে পড়ে আর শুনতে থাকে তিথির কথা গুলো,,,ফোন টা বের করে রেকর্ড করতে থাকে তিথি কি কি বলে,,,,
রিতু আর না পেরে চলে যায় বমি ভাব করে,,তিথি ভেংচি দিয়ে বইটা হাতে নিয়ে মুখে কলম নিয়ে নিজে নিজে বলে
তিথিঃ খরগোশ এর মাংস দিয়ে বেগুন তো সে ইয়ামি হবে সাথে যদি তেলাপোকার চাটনি উইথ টমেটো ইয়ায়ামিইই,,,
তিথির কথা শুনে আবিরের বমি করার অবস্থা,,আর না পেরে তিথির সামনে এসে বলে
আবিরঃ এই নিস ঝগড়াটি এলিয়েন
তিথি আবিরকে দেখে প্রচুর ক্ষেপে যায়,,রাগী লুক দিয়ে বলে
তিথিঃ কে ঝগড়াটি এলিয়েন??(প্রচুর রেগে)
আবিরঃ আর কে তুমি
তিথিঃ অই বজ্জাত এনাকন্ডা কোন দিকে ঝগড়াটি এলিয়েন লাগি হুম
আবিরঃ তুমি তো এমনিতেই ঝগড়াটি,,আর যে আজগুবি কথা আর খাবার এর নাম জানো না এই সব শুধু এলিয়েন রাই জানে,,আর তোমাকে দেখলে কেন জানি মনে হয় ঝগড়াটি এলিয়েন,,,(খিলখিল করে হেসে দিয়ে)
তিথি তো এই বার রেগে মেগে আগুন, আর না পেরে আবিরের কলার চেপে ধরে ধরে বলে
তিথিঃ তুই তো একটা লাল কুমির,,, সবুজ তেলাপোকা,,,গোলাপি কাক,,,,,হলুদ বিলাই হু
আবিরঃ এই সব কি পৃথিবীতে আছে??আচ্ছা তুমি দেখেছো?
তিথিঃ হুম দেখেছি এই যে আমার সামনে নীল বাদর টা
আবির তিথির কোমড় চেপে ধরে নিজের দিকে টেনে এনে বলে
আবিরঃ আমার এতো কাছে আসার ইচ্ছে করলে আগে বলে দিতে এই ভাবে কলার কেন ধরতে হয় মিস জঙ্গলি বিলাই
তিথি পুরো ঘাবড়ে যায়,, সে ভাবতে ও পারে নাই আবির তাকে এই ভাবে টেনে নিবে,, তিথি ছুটার চেস্টা করে কিন্তু পারে না,,,
আবিরঃ খুব শখ না আমার কলার ধরার,,,আজকের পর ভুলে ও এই শখ থাকবে না,,
পুরো লাইব্রেরি খালি ছিলো তাই তিথি চিৎকার করে ও লাভ হচ্ছে না,,,,তিথি তারপর ও চিৎকার করতে যাবে আবির তিথির ঠোঁটে আলতো করে নিজের ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়,,,চোখ দুটি পাথর এর মত বড় বড় করে ফেলে,,,,কি হলো কিছু তো বুজে পারলো না,,,,আবির তিথির কোমড় টা আরো জোরে চেপে ধরে নিজের আরো কাছে টেনে নেয়,,,তিথি আবিরের ঘাড়ে খামচি দিতে দিতে শেষ কিন্তু আবির ছাড়ার নাম এই নাই,,,,তিথির চোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে যাচ্ছে আবির এর এই দিকে খেয়াল পর্যন্ত নাই,,,

কিছু ক্ষন পর আবির তিথিকে ছেড়ে দেয়,,তিথি বড় বড় নিশ্বাস ফেলে,,,ঠোঁট দুটো টমেটো এর মত লাল হয়ে গেছে৷ আবির মুচকি হেসে বলে
আবিরঃ তোমার ঠোঁট তো মধুর থেকে ও মিষ্টি মিস জঙ্গলি বিলাই,,,
তিথির রাগ যেন দিগুণ বেরে যায়,,,আবিরের দিকে রাগী ফেস করে কিছু বলতে যাবে তার আগে আবির বলে
আবিরঃ আজকের পর আমার কলার চেপে ধরার আগে আজকের কথাটা মনে রাখিও৷,, তোমাকে কি ভাবে শায়েস্তা করতে হয় আমার জানা আছে ওকে৷৷
আবির চলে যেতে লাগে আবার ফিরে এসে তিথির ঠোঁটে আলতো করে চুমু দিয়ে চলে যায়,,,,,
তিথি রেগে পাশে যত বই ছিলো সব ছুড়ে মারে,,,,নিজের ঠোঁট ঘষতে থাকে,,দৌড়ে গিয়ে ওয়াশরুমে যায় আয়নায় তাকিয়ে থেকে ঠোঁট দুটো লাল হয়ে আছে,,বারবার ওই সিন টা তার সামনে ভেসে উঠছে,,,পানি দিয়ে ঘষতে থাকে আর কাঁদতে থাকে,,,,
তিথিঃ আই জাস্ট হেট ইউ মিস্টার আবির রহমান৷ তোমায় আমি ছাড়বো না,,,আজকের জন্য তো তোমায় আমি কখনো ক্ষমা করবো না,,,
তিথি কান্না করতে করতে শেষ এই ভাবে এম্যহবে সে ভাবতে ও পারে নাই,,,অনেক ক্ষন পর ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে আসে,,চোখ পুরো লাল হয়ে যায়,,পুরো মুখ ও লাল,,তিথি কান্না করতে পারে না তার মুখ পুরো লাল হয়ে যায় আর চোখ ফুলে যায়,,,,
রিতু তিথিকে দেখে দৌড়ে এসে বলে
রিতুঃ কিরে অই তোরে সে কখন থেকে খুজছি আর তুই কি না গায়েব কই ছিলি হুম
তিথিঃ………….
।।
রিতুঃ কিরে তোরে বলছি আর তুই কি না চুপ,,,,,
তিথি রিতুকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেয় আর সব বলে
রিতুঃ কিইই? ওই ছেলেকে দেখে তো ভদ্র মনে হয় আর সে কি না এই সব ছি
তিথিঃ অই ছেলে আর ভদ্র রেলি রিতু?নাম্বার ওয়ান লুচ্ছা,,লুচ্চার বাপ ওই হারামি বজ্জাত এনাকন্ডা টা,,,ইচ্ছে তো করছে ওইইই শয়তান কে ইঁদুরকে কুচি কুচি করে নুডুলস পায়েস আর মুলার জুস খাওয়াই হুম,,,
রিতুঃ তুই আবার শুরু হলি???উফফ
তিথিঃ চুপ একদম শেওড়া গাছের পেত্নী,,,, জানিস ওই হারামি আমাকে জোর করে কিস করেছে(ন্যাকা কান্না করে করে) আজ পর্যন্ত কোনো ছেলে হাত পর্যন্ত ধরে নাই আর সে কি না😭আম্মু গো কই তুমি
রিতুঃ আচ্ছা আমার মা এই বার চল,,বাসায় যাই
তিথিঃ ওই শয়তানের মাথায় যদি আমি কাঁঠাল না ভাঙ্গি না তাহলে আমার নাম ও তিথি না হু(নাক ঘষা দিয়ে)
রিতুঃ শয়তান এর মাথায় কাঁঠাল কি ভাবে ভাঙ্গে(তিথির দিকে প্রশ্নবোধক ভাবে তাকিয়ে)
তিথিঃ কি ভাবে মানি কি ডাপুশ ডাপুশ করে ভাঙ্গে এই টা ও জানিস না বেকুব মেয়ে হু
রিতুঃ হুম তাও কথা,,আমি যে কার সাথে কথা বলছি তা তো একদম ভুলে গেলাম,,তুই যে এলিয়েন এতে আমার বিন্দু মাত্র আর সন্দেহ নাই,,,
তিথিঃ কানের নিচে কষায় চড় দিমু মাইয়া আমায় আর একবার এই নামে ডাকবি তো,,, ওই বজ্জাত এনাকন্ডা আমার নামের ১৩ টা বাজায়ছে,,,
রিতুঃ কি নাম দিচ্ছে তোর শুনি?
তিথিঃ আমি নাকি? (রাগে গজগজ করে)
রিতুঃ কি নাম দিয়েছে তা তো বলবি
তিথিঃ আমি নাকি মিস বকবক,,জঙ্গলি বলাই,,ঝগড়াটি এলিয়েন,,,, উফফ আর মনে পড়ছে না কেন,,,লি হারামির মাথা টা আমি খুলে ডাব সাবান দিয়ে ওয়াশ করে রোদেশুকাতে পারতাম,
রিতুঃ হুম তাও কথা তুই যে মেয়ে সব পারতে পারিস(আস্তে করে বলে)
তিথিঃ কিছু কি বলেছিস?
রিতুঃ না চল
তিথি আর রিতু পার্কে দিয়ে যাচ্ছে হঠাৎ তিথির নজর পড়ে মাঠের দিকে,,, মাঠে আবির বাস্কেট বল খেলছে তিথিকে দেখে থেমে যায়,,তিথি রাগী লুক দিয়ে হাঁটা শুরু করে,,,,,আবির বাস্কেট বলটি জোরে তিথির দিকে ছুড়ে পড়ে,,,বলটি এসে তিথির মাথার উপর পড়ে,,,প্রচন্ড ব্যাথা পায় তিথি,,রাগে তো তিথি মাথা থেকে পিন নিয়ে বলটি ফুটো করে দেয়,,,আবির তিথির সামনে হাটু ঘেড়ে বসে বলে
আবিরঃ উফফস সরি মিস ঝগড়াটি এলিয়েন ভুলে তোমার মাথায় লাগছে,,,আসলে খেয়াল করি নাই বেশি ব্যাথা পাইছো
তিথি রাগী লুক দিয়ে আবিরের দিকে তাকায় আর আবির তিথির গালে দুই হাত দিয়ে নিজের দিকে এনে মাথায় ফুঁ দিতে থাকে,,দুইজনে দুইজন এর অনেক টা কাছে,,,আবিরের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে তিথি আর আবির মাথায় আস্তে আস্তে ফুঁ দিচ্ছে আর তিথির গাল টা আলতো করে ধরে,,,,
দূর থেকে নিয়া তাকিয়ে আছে আর রাগে ফুলছে আবির আর তিথিকে দেখে,,,রাগটা যেন বেরে যাচ্ছে আবির তিথির গাল এই ভাবে ধরে নিজের অনেক টা কাছে টেনে এই ভাবে যত্ন নিচ্ছে,,,,
অই দিকে শুধু নিয়া রাগে ফুলছে না শিহাব ও,,,,শিহাবের হাতে পানির বোতল ছিলো রাগে পানির বোতলটি চেপে ধরে,,,রাগে মনে হচ্ছে এখন আবিরের খুন করে দিবে,,,,

দুইটা মানুষ একে অপরের প্রতি ঘৃনা জমিয়ে আজ অনেক টা কাছে,,এই টা কি ঘৃনা নাকি অন্য কিছু তারা কেউ বুজে উঠতে পারছে না,,,
আবির তিথির গালটা জোরে চেপে ধরে বলে
আবিরঃ ব্যাথা ও আমি দিবো আর মলম ও আমি লাগাবো মিস ঝগড়াটি এলিয়েন উফস মিস জঙ্গলি বিলাই
তিথি আবিরকে ধাক্কা দিয়ে উঠে আবিরের দিকে রাগী লুক নিয়ে বলে
তিথিঃ সব কিছুর লিমিট পার করে দিয়েছিস মিস্টার বজ্জাত এনাকন্ডা,,, এই বার আমিও তোকে ছাড়বো না হু
আবিরঃ ছাড়ার জন্য তো আগে ধরতে হয় মিস বকবক (তিথির কাছে যেতে যেতে) আচ্ছা যাও আমি তোমার কাছে আসছি আমায় ধরো তারপর না হয় ছাড়িও
তিথি রেগে আবিরকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়,,আবির হাত থাকা বলটি জোরে তিথির দিকে ছুড়ে মারে কিন্তু বলটি পাশে পড়ে তিথি পিছনে তাকায় তখন আবির ফ্লাই কিস ছুড়ে দিয়ে বলে
আবিরঃ আমায় না ধরে চলে যাচ্ছো মিস বকবক
তিথিঃ লুচ্চা হারামি একটা,,ইচ্ছে তো করছে আটার মত ফিসে ফেলি হু
আবির ঠিক বুজতে পারছে তিথি আবিরকে ইচ্ছে মত বকা দিচ্ছে,, আবির মুচকি হাসে আর তিথির যাওয়া দেখে,,,
চলবে,,,,,,