তোকে চাই !! Part- 33
হোয়াটট,??কি বলছো??ইম্পসিবল,,,,
।
কেনো ভাইজান??এভাবে বলছেন কেন??সাহেলের মধ্যে কি কোনো সমস্যা আছে???যার কারনে আপনি মানা করছেন,,,
।
না সাহেলের মধ্যে কোনো প্রবলেম নেই,,,কিন্তু প্রবলেম যা আছে,,,তাও কম কিছু নয়,,
।
মানে??ঠিক বুঝলাম না,,,
।
রোদ ম্যারিড,,,, একটা ম্যারিড মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছো,, ব্যাপারটা খুবই অসস্তির,,তাই নয় কি??
।
মামুর মুখে “রোদ ম্যারিড ” কথাটা শুনে উনাদের তিনজনের মুখটাই ফ্যাকাসে হয়ে গেল।।।এমন কিছু হবে ভাবে নি তারা।।
।
রোদ ম্যারিড??(অবাক হয়ে)তাহলে শুভ্র?তুই বা রোদ কেউ কিছু বলিস নি কেনো??
সাহেলের প্রশ্নে শুভ্র একটু নড়েচড়ে বসলো,,,রিমোটের ব্যাটারী চেক করতে করতে খুব স্বাভাবিক গলায় বলে উঠলো,,”তুই তো জিজ্ঞেস করেস নি যে রোদ বিবাহিত কিনা,করেছিলি কি??”।।সত্যি তো সাহেল তো এমন কোনো প্রশ্ন শুভ্রকে করে নি।।তাই বলে কি শুভ্রর বলা উচিত ছিলো না??
।
তাহলে ওর হাজবেন্ড কোথায়??রোদ ওর হাজবেন্ডের সাথে কেনো থাকে না??এনি প্রবলেম??
।
কথাটা বলে,, কাউকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই উনি আমার সামনে এসে দাঁড়ালেন,,,
।
রোদ,,তুমি যদি রাজি থাকো,,,আমি তোমায় এভাবেই বিয়ে করবো,,,তোমার হাজবেন্ডের সাথে কথা বলে ডিবোর্জ নেওয়ার দায়িত্ব আমার,,,,তুমি রাজি তো??
।
আমার এবার কান্না পাচ্ছে,,,একটা মেয়ের জন্য একটা নিঃসন্দেহে অপমানজনক।।নিজের হাজবেন্ডের সামনে কেউ আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছে আর উনি চুপ করে বসে আছেন।।।এসবের মানে কি?আমি মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছি,,চোখ থেকে যেকোনো টাইম জল ঘরিয়ে পড়বে,,,,ঠিক তখনই শুভ্র মুখ খুললেন,,
।
কিন্তু আমি রাজি নই,,
।
তুই রাজি নস মানে??আর তুই রাজি হওয়া না হওয়ার কি আছে??এটা আমার,,রোদের আর ওর হাজবেন্ডের ব্যাপার,,,
।
সেটাই তো,,হাজবেন্ড হিসেবে আমাকেও তো রাজি হতে হবে নাকি??(পকেটে হাত দিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে)
।
হাজবেন্ড হিসেবে?মানে বুঝলাম না(ভ্রু কুচঁকে)
।
তোর পাশে যে দাঁড়িয়ে আছে তার নাম কি জানিস??মিসেস নৌশিন আবরার রোদেলা।।অর্থাৎ আবরার আহমেদ শুভ্রর ওয়াইফ।এখন বুঝতে পারছিস,,হোয়াট আম ছেয়িং??
।
শুভ্রর কথায় সাহেল ভাইয়া চরম শকড।এমন কিছু শোনার আশা হয়তো উনি কোনো কালেই করেন নি।নিজেকে কোনোরকম সামলে নিয়ে বলে উঠলেন,,
।
তাহলে সেদিন যে বললি রোদ তোর ফুপ্পির মেয়ে,,আর রোদের তোকে ভাইয়া ডাকার কারনটাই বা কি??
।সবার আগে আমার গল্প পড়তে চাইলে “নীল ক্যাফের ডায়েরী ” পেজে পাবেন।
কেন, ফুপ্পির মেয়ে কি বউ হতে পারে না?আমার ভাইও ফুপ্পির মেয়েকেই বিয়ে করেছে,,,এখানে অবাক হওয়ার কি আছে?আর রোদ ভাইয়া ডাকাটা ফাস্টলি ওর অভ্যাস কাটিয়ে উঠতে সময় লাগছিলো,,,তাছাড়া তোর সামনেই আমি ওকে ভাইয়া ডাকার জন্য ধমক দিয়েছি,,,তোর ব্যাপারটা ভাবা উচিত ছিলো,,,
।
সাহেল ভাইয়া ব্যাপারটা নিতে পারছেন না,,,হয়তো আরো কিছু বলতেন বাট উনার বাবা-মার জন্য পেরে উঠলেন না,
।
সরি ভাইজান,সাহেলের বোকামীর জন্য না জেনে এমন একটা বিশ্রী কাজ করার জন্য আমরা খুবই লজ্জিত।।সাহেল চলো,,
।
কিন্তু মা,,
।
সাহেল তোমার মা ঠিকই বলছে,,চলো এখান থেকে।অনেক নাটক হয়েছে আর নয়।
।
সাহেল ভাইয়া উনার বাবা-মা নিয়ে চলে গেলেন।যাওয়ার সময় বেশ কয়েকবার সরিও বলেছেন আংকেল আন্টি।আমি স্ট্যাচুর মতো দাঁড়িয়ে আছি,,কি থেকে কি হয়ে গেলো,কিছুই বুঝলাম না।।আমার লাইফ স্টার জলসার নাটক হতে হতে বেঁচে গেছে,,থেংক গড।।তবে আমার মধ্যে একটা খারাপ লাগা কাজ করছে ক্রমাগত,,সাহেল ভাইয়াকে আগেই ব্যাপারটা বলে দিলে আজ হয়তো এই পরিস্থিতি ক্রিয়েটই হতো না।।কিছুক্ষণের মধ্যেই মামানি খাবারের জন্য ডাক পাঠালেন,,,আমিও বাধ্য মেয়ের মতো শুভ্রর পাশে গিয়ে বসে পড়লাম,,,খানিকপর বড় খালামনিও খেতে এলেন,,আমাকে দেখেই বলে উঠলেন,,,
।
কি মেয়েরে বাবা,,,আরে বাড়ির বউ এর যোগ্যতা আছে নাকি এই মেয়ের?কই সবাইকে খাবার সার্ভ করবে তা না,,সবার আগে কব্জি ডুবিয়ে খাচ্ছে,,বেহায়া মেয়ে কোথাকার।।
উনার কথায় খাবারটা গলায়ই আটকে গেলো,,,এতোটা বাজে ভাবে এর আগে কেউ বকেনি আমায়,,,এত্তো খারাপ লাগছিলো কি বলবো,,আজ মনে হচ্ছে শশুড়বাড়ি আছি,,খাবার নিয়েও যেখানে খোটা শুনতে হয়।।আগে তো মনে হতো,,মা আর মামুর কাছে আছি,,সব আবদার গ্রেন্টেড,,,,
।
রানু?কি দেখে এই মেয়েকে বিয়ে করিয়ে এনেছিস শুনি??পড়ালেখার নামে বাইরে ছেলেদের সাথে ফষ্টিনষ্টি করে,,তাইতো ছেলেরা বাড়ি বয়ে চলে আসে।।সরি দুলাভাই কিছু মনে করবেন না,ভাগ্নি বিয়ে করিয়ে এনেছেন বলে মাথায় তুলে রাখতে হবে নাকি??কবে কোন ছেলের সাথে ভেগে যায় কে জানে??বড় বউটা তো তাও বংশের আলো আনতে চলেছে,,এর তো কোনো খবরই নাই।।বিয়ে তো একসাথেই হয়েছে তাহলে সমস্যা কই??কে জানে,,বাচ্চা জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা আছে কি না??আমার বউমা হলে তো পিটিয়ে ঠিক করে ফেলতাম,,আর শুভ্র তোকেও বলি হারি যায়,,,এতোকিছু হলো আর বউকে কিছুই বললি না??আমার রাজ হলে তো এতোক্ষণে কানে-কপালে চড় লাগাতো।।হুহ
।
উনার কথাগুলো শুনে মরে যেতে ইচ্ছে করছিলো,,,বাবা-মার কথা মনে হচ্ছে খুব,,,আজ নিজের বাড়ি থাকলে হাজারো প্রতিবাদের স্বর উঠে আসতো।।আড়চোখে আপুর দিকে তাকালাম,,,আপু একদৃষ্টিতে প্লেটের দিকে তাকিয়ে আছে,,ঠোঁট দুটো কাঁপছে,, বুঝতে পারছি রেগে আছে।।আপুকে আমি সবসময় দেখেছি,,নিজের অপমানে মুখ ফুটে কিচ্ছু বলবে না কিন্তু আমাকে কেউ একটা কটু কথা বললে সে সিংহী রূপ ধারন করে।।আর ভাইয়া থাকলে তো এতোক্ষণে লঙ্কাকাণ্ড শুরু করে দিতো।।কিন্তু আজ আপু নিজের রাগকে দমন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ওইযে শশুড়বাড়ি বলে কথা,,,বউদের তো বোবা হয়েই থাকতে হবে।।এতোকিছু শোনার পরও এখানে বসে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়,,যেকোনো টাইম চোখে জমে থাকা পানিগুলো ঝরে পড়তে পারে।।একবার শুভ্রর দিকে তাকিয়ে উঠে গেলাম,,শুভ্র আপন মনে খাচ্ছে,,তার কোনো ভাবান্তার নেই।।আমি উঠে দাঁড়াতেই উনি আমার হাত ধরে ফেললো,,সামনের দিকে তাকিয়েই বলে উঠলেন,, “খাবার কমপ্লিট করে যাও” আমি উনার দিকে করুন চোখে তাকিয়ে আছি যার অর্থ এই,,,প্লিজ যেতে দিন আমায়,,,আর সহ্য করতে পারবো না আমি।।চাইলে মেরে রক্তাক্ত করে দিন তবু এভাবে মানসিক দিক দিয়ে খুন করবেন না আমায়,,,দোহাই লাগে।।উনি আমার দিকে একটিবার তাকালেন না,,,আমি মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছি,,উনি এবার আমাকে টেনে চেয়ারে বসিয়ে দিয়ে পা দিয়ে আমার চেয়ারটা ঘুরিয়ে নিজের দিকে করে নিলেন,,,নিজের প্লেটটা সরিয়ে রেখে আমার প্লেটটা হাতে তুলে নিলেন,,,টলমলে চোখে অনেকটা অবাক হয়েই উনার কান্ড দেখছি,,কি করতে চাইছেন উনি??সবার সামনে আবার অপমান করবেন না তো??উনি খাবার তুলে আমার মুখের সামনে ধরে বললেন, “হা করো”।। আমি চুপচাপ বসে আছি।।আমাকে চুপ থাকতে দেখে আবারো শান্ত গলায় বললেন,,,” হা করো রোদ”….আমার চোখ থেকে দুফোটা পানি ঘরিয়ে পড়লো,,,খাবারটা মুখে নিয়ে কান্নাভেজা চোখে সবার দিকে আড়চোখে তাকালাম,,,মামু আর মামানি মুখ টিপে হাসছেন,,দিদার মুখটাও খুশিতে চিকচিক করছে,,আপুর চোখে পানি,,বোনের জন্য কিছু না করতে পারার কষ্ট হয়তো ওকে কুড়ে খাচ্ছে,,,খালামনির দিকে তাকিয়েই চোখ নামিয়ে নিলাম,,,উনি পারলে যেনো আমায় খেয়ে ফেলে,,উনার চোখে-মুখে বিরক্তি স্পষ্ট।। শুভ্রর কাজে সে মোটেও সন্তুষ্ট নয়।।।উনি আবারো উনার মুখ খুললেন,,
।
শুভ্র?তোর মধ্যে পুরুষত্ব কিছু আছে??কই বউকে দুটো চড় থাপড়া দিবি তা না আদর করে খাওয়াচ্ছিস??ওকে তো দুদিন ভাত দেওয়াই বন্ধ করে দেওয়া উচিত।।।
।
উনার কথায় শুভ্রর কোনো ভাবান্তর হলো না,,উনি খুব যত্ন সহকারে আমাকে খাইয়ে চলেছেন,,উনাকে দেখে মনে হচ্ছে আমাকে খাওয়ানোটাই এখন উনার কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে ইম্পোর্টেন্ট কাজ।।আমি মাথা নিচু করে খেয়েই চলেছি।।।আমাকে খাওয়ানো শেষ করে,, বাটিতে পানি নিয়ে আমার ডান হাত আর মুখ ভালো করে ধুয়ে টিস্যু দিয়ে মুছে আবারো চেয়ারটা আগের মতো ঘুরিয়ে দিলেন।।নিজের হাতটাও পরিষ্কার করে মুচকি হেসে খালামনিকে বলে উঠলেন,,
।
তো কি বলছিলে বড়খালামনি???
।
কি বলছিলাম মানে তুই শুনিস নি??আবার বউয়ের সাথে প্রেম দেখাচ্ছিস(চড়া গলায়)
।
শুনবো না কেন??অবশ্যই শুনেছি আমার বউয়ের এতো এতো সুনাম করলা আমি না শুনে পারি???
।
আমি উনার দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে আছি,,উনি বাঁকা হাসি দিয়ে বলে উঠলেন,,,
।
খালামনি??আমার বউ কিন্তু বোবা না,,,কথা জানে।।এই যে আমি বসে আছি,,আমার রেসপেক্ট রাখতেই সে চুপ আছে,,,হাজার হলেও আমার খালামনি আর ওর মামানির বোন,,,,নয়তো এতোক্ষণে তোমায় ধুয়ে দিতো।।।আর যায় বলো না কেন?মা আমাকে অবলা মেয়ে দেখে বিয়ে করায় নি বুঝলে??
।
তুই আমাকে কথা শুনাচ্ছিস??(রাগী গলায়)
।
এতোক্ষন তুমি শুনাইলা আমি কিছু বলছি??এখন আমার পালা তুমিও চুপচাপ শুনো,,তুমি শুনাবে আর আমি শুধু শুনবো তা তো হয় না তাই না??
।
আমি উনার কথা শুনে পরপর অবাক হচ্ছি আর সবার রিয়েকশন দেখছি।।।সবার কালো মুখ এখন বেশ স্বাভাবিক বেশ মজা পাচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে,,,উনি শরীর টেনে সোজা হয়ে বসে আবারো বলে উঠলেন,,,
।
এই যে তুমি বললা যে আমার বউয়ের বউ হওয়ার যোগ্যতা আছে কি না,,আমার কিন্তু যথেস্ট সন্দেহ আছে যে তোমার মধ্যে কোনো মেয়ের শাশুড়ী হওয়ার কোনো যোগ্যতা আছে কি না।।আর কি যেনো বলছিলে খাবার সার্ভ??হাসালে আমায়,,তোমার কি মনে হয় ওকে আমি খাবার সার্ভ করার জন্য বিয়ে করে এনেছি??আমার তো মনে পড়ছে না।।।এত্তোগুলো সার্ভেন্ট থাকতে আমার বউ কেনো খাবার সার্ভ করতে যাবে শুনি???আর বেহায়া?খালামনি আমি ওর মধ্যে বেহায়া টাইপ কিছু কোনো কালেই দেখতে পাইনি,,,তবে তোমার মধ্যে এই জিনিসটা প্রবল।।
।
শুভ্র?আমি তোর খালামনি,,,
সেটাই তো,,তুমি আমার খালামনি অথচ আমার বাচ্চা কেনো হচ্ছে না,,সেই নিয়ে পাব্লিক্যালি আলোচনা করছো,,পারলে নিশ্চয় বেডরুমে ঢুকে যেতে??রোদ এখনো পিচ্চি একটা মেয়ে বউমনির সাথে ওর তুলনা কোনোভাবেই যায় না,,,,আর বেবি নিবো কি নিবো না সেটা আমাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার,,,তোমাকে আমাদের এভিলিটি খুজতে আসতে হবে না,,,,সরি টু ছে,, এটাকে আমি বেহায়াপনা ছাড়া আর কিছুই বলতে পারছি না।।তারপর এলো আমার বউয়ের ক্যারেক্টার,,,বউ আমার আর ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট আমার তোমার থেকে নিতে হবে??স্ট্রেঞ্জ না??খালামনি আমার বউয়ের ক্যারেক্টার সম্পর্কে আমি সম্পূর্ণ সচেতন।।এখানে হাজার ছেলেকে দাঁড় করিয়ে দিলেও ও আমাকে ছাড়া অন্য কারো দিকে ফিরেও তাকাবে না,,,সেটা আমি খুব ভালো করেই জানি।।আর কোনো ছেলে যদি বাড়ি বয়ে এসে ওকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়,তো এতে ওর কোনো দোষ আমি দেখি না,,,আর ছেলেটারও দোষ নেই এটা একটা মিসআন্ডারস্ট্যান্ডিং যা এখন ক্লিয়ার।।।আর কি বলেছিলে?মারার কথা??ওকে মারবো??আর আমি??মারা তো দূরের কথা কেউ ওর দিকে আঙ্গুল তুলে দেখাক,,পুরো হাতটিই গুড়িয়ে দেবো।।।আর আমি ওর গায়ে হাত তোলার প্রশ্নই ওঠে না,,,পারলে আমার বাচ্চা বউকে কলিজায় ঢুকায় রাখতাম।।বউকে মারার মধ্যে না,,তাকে ভালোবেসে আগলে রাখার মধ্যেই আমি পুরুষত্বটা বেশি দেখি,,,,ওই হিসেবে আমাদের খালুজানের কিন্তু পুরুষত্ব জিরো লেভেলের,,,তোমাকে মারা তো দূর,,আজ পর্যন্ত কাপাকাপি ছাড়া কথায় বলতে পারলো না,,,তাই নয় কি খালামনি??আমাকে অভ্র ভাইয়া ভেবো না যে,,আমার বউকে আমার সামনেই যাতা বলবে আর আমি শুনে নিবো,,,আমি শুভ্র,,কথাটা মনে রেখো।।।তুমি আমার খালামনি বলে কিছু বললাম না,,,তোমার জায়গায় অন্যকেউ রোদের দিকে আঙ্গুল তুললে তাকে মাটিতে পুঁতে ফেলতে দুবার ভাবতাম না আমি।।বি আ মাদার নট আ মাদার ইন লো,,,নিজের ছোটো বোন থেকেও তো শিখতে পারো।।।এই হলো আমার মা যাকে দেখলে তার প্রতি সম্মান প্রতি মুহূর্তে বাড়ে বয় কমে না।।।এই যে রোদকে এতো কিছু শুনালে,,রোদের আগে চোখে জল আমার মায়েরই এসেছিলো।।একেই বলে মা।।।
।
উনার কথাগুলো মুগ্ধ হয়ে শুনছিলাম,,আর চোখ থেকে অনর্গল পানি ঝরাচ্ছিলাম।।।হ্যা এটাই আমার স্বামী।।আম প্রাউড ফর হিম,,,হি ইজ আ পারফেক্ট ম্যান,,দ্যা রিয়েল ম্যান।।।
।
#চলবে,,,,