Psycho is Back

Psycho is Back !! Part- 17

দেখতে দেখতে এহসান ভাইয়ার এনগেজমেন্ট চলে আসে।। কাল ভাইয়ার এনগেজমেন্ট তাই তিনি আমাকে নিতে আসছেন,, কালকে তারা সবাই যাবেন ।।
তাদের কাজ থাকায় তারা যেতে পারেননি।।আন্টি মা আজ নানু মাকে চেক আপ করাতে নিয়ে যাবেন তাই তারাও যেতে পারছেন না।।কালকে যেহেতু শুক্রবার তাই সবাই যাবেন।।
কিন্তু নানু মা কেন জানি আমার যাওটা পছন্দ করলেন না।।বার কয়েক না করেও, আমার আর এহসান ভাইয়ার জোড়াজোড়িতে রাজি হয়ে গেলেন।।
সাইকোও আমাকে যেতে দিতে চাইছিল না।।তার অবশ্য কারণ ওই একটা নুহা আপির সেই দিনের সেই কথা ধরে বসে আছেন।।সত্যিই যদি তার ভাইয়ের জন্য আমাকে নিয়ে যায়।।
তা ভেবে অস্থির তিনি।।তখন আন্টি মা তাকে বুঝান ।। আর এহসান ভাইয়াও আসাস দেন, যে আমাকে যেভাবে নিয়ে যাচ্ছেন সেভাবে দিয়ে যাবেন।।তাই যেতে দিচ্ছেন।।আমি খুব খুশি ভাইয়ার সাথে যাচ্ছি বলে।।
আবার এটা ভেবেও কষ্ট হচ্ছে বাবা নামক প্রানীটির সাথে হয়তো দেখা হবে।।আর দেখা হলেই কি সে তো আর আমাকে চিনবেও না।।তাও তাকে একটি বার দেখতে চাই।।
হাহহহ।।।দীর্ঘ শ্বাস বেরিয়ে আসলো আমার।।
এহসান ভাইয়ার বাড়ির সামনে দাড়িয়ে আছি।।বলতে গেলে এটিতো আমার ও বাসা কিন্তু…..আমার বলার অধিকার আমার নেই।।বাড়িটি খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে।।এ বাড়িতে আমি আজ প্রথম পা দিয়েছি।।শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি।।কারণ ভাই, চাচ্চু-চাচী আম্মু সবাই আমাদের বাসায় যেতেন।।
নানু মা কখনো তাদের এখানে আসতে দিতেন না।।চাচ্চু আর চাচী আম্মু অনেক ভাল আমাকে অনেক আদর করেন।।প্রতি বার আমার বার্থ ডে তে গাড়ি ভর্তি করে গিফ্ট পাঠান তারা।এহসান ভাইয়া অনেক কষ্টে ফলে আমি এ বাড়িতে এসেছি।।
সত্যিই খুব সুন্দর।। এহসান ভাইয়াদের জয়েন ফ্যামিলি হলেও আলাদা থাকেন মানে তারা সবাই বাংলাদেশের বাহিরে থাকেন।।যখন ঈদ বা কোনো অনুষ্ঠানে একত্রিত হন তারা।।যেমনি আজ হচ্ছে।। দু ভাই এক সাথে এবাসায় থাকেন।।শুনেছি আমার দাদু-দাদা ও আছেন তারা নাকি আমার বাবা নামক প্রানীটির সাথে বাহিরে থাকেন।।কিন্তু তারাও আমাকে মানতে নারায।।
বাসার ভিতর ঢুকতেই চাচী আম্মু আমাকে জড়িয়ে ধরলেন।।আর কান্না করতে লাগলেন।।আমি জড়িয়ে ধরলাম।।
—-কেমন আছো চাচি আম্মু??একটু হেসে বললাম।।
চাচি আম্মু আমার থুতনিতে তার ডান দিয়ে ধরে বলতে লাগলেন,,
—–আলহামদুলিল্লাহ আম্মু,,!! তুই কেমন আছিস?? কেমন শুকিয়ে গিয়েছিস?? ঠিক মতো খাস না তুই তাই না??
—-না না চাচি আম্মু খাইতো।।আর কই শুকিয়েছি?? দেখ সেই গুলুমুলু আছি।। আরো ২ কেজি ওজন বেড়েছে আমার।।
চাচি আম্মু হাসতে লাগেন আমার কথায়।।তারপর আমাদের গেষ্ট রুমে নিয়ে যান।।
আমি ফ্রেস হয়ে বসে আছি, যেহেতু এবাড়িতে কাউকে তেমন চিনি না,, তাই আর কি বসে বসে ফোন চাপছি।।তখনি কত গুলো মেয়ে দৌড়ে বাহিরে গেল।।কারা যেন এসেছে বিদেশ থেকে দেখার জন্য।।আমি রুমের বারান্ধা দিয়ে উঁকি দিলাম।।
একটি গাড়ি ভিতরে প্রবেশ করলো।।তা থেকে নেমে আসলো অতি ফর্সা আর অতি লম্বা একটি ছেলে, তার সাথে একটি মেয়ে সেও অনেক রূপবতী,, যার কমোড়ে একটি হাত ছেলের ধরে বাড়ির বাহিরে দাড়িয়ে আছে।।
তারপর আরেকটি গাড়ি প্রবেশ করলো,, তা থেকে নেমে এসে তাদের পিছনে দাঁড়াল খুব সুন্দর বৃদ্ধা, বৃদ্ধ, পড়নে তাদের মেচিং পোষাক।।বৃদ্ধা মহিলাটির পড়নে অতি সাধারণের মাঝে অসাধারণ একটি শাড়ি,,লোকটির গায়ে সেই শাড়ির কালাড়ের একটি সুট।।উনাদের দেখেই বুঝাচ্ছে যৌবন কালে নির্ঘাত তারা অনেক যুবক যুবতীর মরণের কারণ হয়েছেন।।এখনোতো স্মার্ট কম না।।
তারপর পর আরেকটি গাড়ি ঢুকলো,, সেখান থেকে নেমে আসলেন,,মধ্য বয়স্ক নারী-পুরুশ।।তারাও খুব সুন্দর।।কিন্তু মধ্যবয়সী লোকটিকে দেখে খুব চিনা চিনা লাগচ্ছে বাট মনে পরছে না কে সে?? বা কই দেখছি।।
তাকিয়ে দেখলাম চাচি আম্মু বাটি জাতিয় কিছু একটা বাহিরে নিয়ে বের হলেন।।যা থেকে আগুন বের হচাছে।।তারপর সেই ছেলে মেয়েদের সামনে ঘুড়িয়ে সেই আগুনে কিছু ছেড়ে দিলেন।। যা পট পট করে ফুটতে লাগলো।।তারপর তাদের জড়িয়ে ধরলেন।।তারাও ধরলো।।
তারপর পিছনের সেই বৃদ্ধ,বৃদ্ধাকে সালাম করলেন পা ধরে।। একে একে সবাই ভিতরে ঢুকে গেলেন।।তার কিছুক্ষন পর আরেকটি গাড়ি ভিতরে প্রবেশ করে।।সেখান থেকে আমার বয়সী একজন বের হয় দৌড়ে চাচি আম্মুর সামনে এসে হাপাতে হাপাতে বলতে লাগে,,
—-ছোট মা আমি কি দোষ করেছি??ভুলে গেলে আমায়।।
—-নারে তোরে কেমনে ভুলি।।তুইতো আমার সোনা মা।। আদুরী সুরে বলে যেই কাজ ওই ছেলে মেয়েটির সাথে আগুন দিয়ে করেছে,, সেই কাজটি তার সাথেও করলো।।
পরে বুঝলাম তিনি নজর উঠানোর জন্য এমন করলেন।।তারপর ঘরে চলে আসলাম,, আর মনে করতে লাগলাম ওই লোকটিকে কই দেখেছি।।
কিছুক্ষণ পর ঘরে আমার বয়সি একটি মেয়ে আসে।।
—-হেই!! হায়…আম সারা।।হাত বাড়িয়ে বলল।।
—–হ্যালো….!! আমি কায়নাত কুহু..!! আমি হাত বাড়িয়ে দিলাম তার দিকে।।
—-আমি এহসান ভাইয়ার খালাতো বোন।।ভাইয়া আমাকে তোমার কাছে আসতে বললেন।।তুমি এখানে নিশ্চয়ই কাউকে চিন না??
—–হুম।।
—–আচ্ছা চল, ভাইয়া তোমাকে নিচে যেতে বলেছে।।
—-কিন্তু…!!
—-আরে চলো না।। আমি যানি বোরিং লাগচ্ছে তোমার।।চল বলে টানতে টানতে নিচে নিয়ে আসলো।।
নিচে সেই বিদেশ থেকে আগমনকারীদের আপ্যায়ন চলছে।।এদিকে আমার ক্ষুদা পাইসে খুব।।আমি সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামচ্ছি।।সারা আমার হাত ধরে রাখছে।।নিচে নামতেই হঠাৎ করে সারার ডাক পরে।।
—-তুমি একটু দাড়াও আমি আসচ্ছি।।
আমি মাথা নাড়াই।।
এদিকে সবাই হলে বসা, তাদের হলটা অনেক বড় আর সুন্দর।।কিন্তু পরিচিত মুখ দেখতে পাচ্ছি না।।সারার আসতেও লেট হচ্ছে তাই খুঁজতে লাগলাম তাকে।।তখনি কারও সাথে ধাক্কা লাগে,,,
—-আর ইউ ব্লাইন্ড…!! চেচিয়ে বলল সামনের ব্যক্তিটি।।তাকিয়ে দেখি লাস্টে আসা সেই মেয়েটি।।
—–সরি আমি দেখিনি??
—–চোখ কঁপালে নিয়ে হাটলে দেখবে কিভাবে?? বাই দ্যা রাস্তা,,হু আর ইউ??তোমাকে ঠিক চিন্তে পারলাম না???
—-আমি কুহু…!! এহসান ভাইয়ার বোন…!!
—-ওহো…!!কিন্তু তোমাকে আমার খুব চেনা চেনা লাগচ্ছে??আমাদের কি আগে কখনো কথা হয়েছে??
—–নাহ।। আমি তো আজ ফার্স্ট আসলাম।।
—–ওহো!!
তখনি সেই বৃদ্ধা আসে আর বলতে লাগেন,,,
—–তানহা… রুমে যাও বাচ্চা, ফ্রেশ হয়ে নাও।।
তানহা মাথা নাড়িয়ে চলে গেল।।
তখনি মহিলাটি আমার দিকে চোখ পাকিয়ে বলতে লাগে,,,
—-তুই এখানে কি করিস…!!
আমি কিছু বুঝলাম না আশপাশ ভাল করে দেখলাম তখনি বৃদ্ধা মহিলাটি বলে উঠে,,
—-এদিক ওদিক কি উঁকিঝুঁকি করছিস…হুম..!!তোকে বলছি আমি??তুই আমার বাসায় কি করছিস….!!!
এক পর্যায় চেঁচিয়ে বলল কথা গুলো।।আমি সাথে সাথে কেঁপে উঠলাম।।আর হলে উপস্তিত সবাই চুপ করে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।।
আর আমি হাত মুচড়াচ্ছি।।বুঝতে পারচ্ছি না উনি এমন কেন করছেন।।তখনি চাচী আম্মু দৌড়ে আমার কাছে আসে আর বলতে লাগে,,
—–কি হয়েছে মা??
তখনও বৃদ্ধা মহিলাটি সেই আগের মতো চিল্লিয়ে বলল,
—-ওই এখানে কেন বউ মা??
—–মা আমি আনিয়েছি ওকে,, এহসানের বিয়ে আর সবাই উপস্তিত যদি কুহু না থাকে কেমন দেখায় না??
—–কেন দেখাবে হুম?? কি পরিচয়ে আনিয়েছো ওকে??মানুষ জিগাসা করলে কি উওর দিবে…!!আর তুই!! (আমার দিক আঙ্গুল তুলে) তোর এই নাপাক কদমই কিভাবে ফাল্লি আমার বাসয়…!!তোর মা এসে আমাদের জিবনটা তছনছ করে চলে গেছে,,এখন তুই চলে এসেছিস…!!
—–মা আপনি কি বলছেন এ সব…!! ও ছোট মানুষ এখানে আসতেও চাইনি আর আপনাদের ও চেনেও না..!! শুধু শুধু কথা শুনাচ্ছেন কেন??বৃদ্ধাকে কিছু বলতে না দিয়ে চাচি আম্মু বলতে লাগেন এসব।।
বৃদ্ধা চুপ হয়ে গেলেন।।আর আমি কিছু বুঝতে পারছি ও না।।কি হচ্ছে না হচ্ছে।।আর এই মহিলাই আমাকে এসব কেন বলছে।।আমার মাকে নিয়েও কথা বলছেন।।কষ্ট দুঃখে চোখ দিয়ে টপ টপ পানি পড়তে লাগেন।।তখনি এহসান ভাইয়া এসে বলতে লাগেন,,
—-আর একটা না দাদু,, অনেক বলেছো।।ও আমার বোন আমি ওকে এনেছি…!!ওকে যদি আর একটা কথা বল তাহলে আমি এখন এই মুহুর্তে বাসা থেকে বের হয়ে যাবো।।
বৃদ্ধাও যেন দমবার নয়।।
—–দেখলি তোর জন্য আজ আমার নাতি যে চোখ তুলে কথা বলতো না সে আমাকে হুমকি দিচ্ছে।।তোর কখনো ভাল হবে না।।তখনি সেই ফর্শা ছেলেটি এসে বলতে লাগে,,
—-দাদু কি হচ্ছে চিল্লাচ্ছো কেন??
—-চিল্লাবো না?? যে কাল সাপের জন্য আমাদের সংসারটা তছনছ হয়েছিল….তার মেয়ে এসে হাজির।।এঁকে যেতে বল আমার সামনে থেকে।।এখনি বের হতে বল এ বাড়ি থেকে।।
—-নাহ দাদু কুহু কোথাও যাবে না।।গেলে আমিও চলে যাবো ওের সাথে।।এহসান ভাইয়া আমাকে জড়িয়ে ধরে বললাম।।তখনে আমার কান্নার বেগ বাড়তে লাগলো।।
দাদু কিড়মিড় করে বলতে লাগেন,,
—–তোকে আমি দেখে নিব।।বলে তার রুমে চলে গেলেন।।আর সেই ছেলেটি বলতে লাগে,,,
—–তুই তো সব জানিস তাহলে ওকে এখানে কেন আনলি।।কাজটি ভাল করিস নি।।
—–আয়মান ভাইয়া,, তুমিও এমন বলছো?? ওতো তোমার ও….!!
বাকি কথা বলার আগেই আয়মান এহসানকে থামিয়ে দেয়।।আর সে বলে উঠে,,
—-ও মার কেউ না।।বুঝতে পেরিস??
বলে গট গট করে চলে গেল।।তখনি আরেকটি মেয়ে আসে,, যাকে আয়মানের সাথে দেখেছিল তখন।।মেয়েটি এগিয়ে এসে বলতে লাগে,,
—–ভাইয়া ওকে আমি রুমে দিয়ে আসি,,তুই যদি কিছু মনে না করিস তো।।
—-কি মনে করবো,, ওতো তোর ও বোন।।
মেয়েটি আমাকে আমার রুমে নিয়ে আসে আর বলতে লাগে,,
—-কুহু কেঁদ না।।
—-আপনি আমার নাম জানেন?
—-হুম।। জানি।।আমি তোমার ফুপাতো বোন আমার নাম আমায়রা।।
—-আমার ফুপাতো বোন ও আছে??আমি তো জানতাম কেউ নেই আমার।।
—-কে বলছে নেই??আমরা সবাই আছি তো।।আচ্ছা আর কথা না।।চুপচাপ বসো আমি।। তোমার জন্য খাবার নিয়ে আসচ্ছি।।ওকে।।
আমি মাথা নাড়ালাম।।এ বাসায় এ প্রথম তিনি ছাড়া আর কেউ ভালভাবে কথা বলেন নি।।
আমার অনেক কান্না পাচ্ছে।।
দাদু কেন এতো কথা বললেন আমায়,, আমি কি এমন করেছি।। বা আমার মা কি করেছিলেন।।যে তিনি এতো রাগ আমাদের উপর।।আর আমিতো জানতাম আমার মা মারা যাওয়ার পর বাবা আমাকে ছেড়ে চলে যান।।আমি তো জানতামি না আমার একটি পরিবার ও আছে।।এহসান ভাইয়া, চাচ্চু কেউ কিছু বলেন ও নি।।আর তার কেন আমাকে এত ঘৃণা করেন।।
খুব খারাপ লাগছে।।কারো সাথে কথা বললেও হয়তো ভাল লাগতো।।ফোনটা হাতে নিলাম আর কল করলাম ইউসুফ ভাইয়াকে।।কেন জানি মনে হলো তার সাথে এখন কথা বললেই হয়তো আমার দুঃখ কষ্ট গুলো দূর হবে।।
ফোনে দু বার রিং বাজতেই ফোন তুলল ইউসুফ।।
—-বাবুইপাখি আম শকড।।তুমি আমাকে কল করলে?? মিস করছিলে বুঝি।।
আমি আনমনেই বললাম,,
—-হুম।।
—-বাবুইপাখি তোর কি মন খারাপ??
—-না।।
—-তাহলে এমন কেন লাগছে তোর কন্ঠ।।
—-ঠান্ডা লেগেছে ভাইয়া।।
—-তুই কেঁদেছিস তাই না??
আমি চুপ।।
—-আমাকে বল বাবুইপাখি কি হয়েছে?
আমি এবার কেঁদে দিলাম।।আর পারছি না।।তিনি ওপাশ থেকে অনেক বুঝাচ্ছেন।।
—–বাবুই তুই যদি না বলিস কি হয়েছে আমি কিন্তু এখনি নিতে আসবো তকে।।
আমি অনেক কষ্টে নিজেকে শান্ত করলাম।।
—-নাহ ভাইয়া কিছু হয় নি,, নানু মাকে ছাড়া কখনো থাকিনি তো তাই কান্না পাচ্ছে খুব।।
—-দূর পাগলী কাঁদিস না কালতো আমরা আসচ্ছি।।আচ্ছা শোন বাবুইপাখি তোর জন্য একটি সারপ্রাইজ আছে।।
—-কি ভাইয়া??
—-বললে তো শেষ বাবুন।।খেয়েছিস কিছু??
—-উহুম।
—-কেন??
—-সবার সাথে খাবো।।
—-ওকে।।সবাই তোর সাথে ভাল ব্যবহার করছে তো বাবুন।।
আমি চমকে গেলাম।।ভাইয়া কিছু বুঝে গেল নাতো।।আমি আমতা আমতা করে বললাম,,,
—–হে ভাইয়া।।
—–তাহলে সত্যি করে বল কাঁদছিস কেন??
—–মার কথা খুব মনে পড়ছে তাই।।
—–আচ্ছা শোন তুই কই এখন??
—–বারান্ধায়।।
—–আমিও।। দেখ বাহিরে কত সুন্দর চাঁদ।।
—–হুম।।
—–ঠিক সেই দিনের মতো তাই না।।
আমি সেদিনের কথা মনে করে লাল নীল হতে লাগলাম লজ্জায়।।ভাইয়া ওপাশ থেকে হাসতে লাগলেন।।
—–ইসস আমার বাবুই কি লজ্জাটা না পাচ্ছে।।সামনে থাকলে তোর সেই লাল লাল গাল গুলোতে আমার ঠোঁট দিয়ে ছুঁয়ে দিতাম।।
আমি চুপ লজ্জায় আমি শেষ।।আমার পরান পাখি যায় যায়।।
ভাইয়া বলতে লাগে,,
—-হইছে আর লজ্জা পেতে হবে না।।যা খেয়ে নে রাতে আমি কল দিব।।আজ সারারাত কথা বলবো।।ঠিকাছে??
—-আচ্ছা বলে কল কেঁটে দিলাম।।তখনি আমায়রা এসে ঢুকে খাবারের প্লেট নিয়ে।। আর বলতে লাগে,,
চলবে🙂