Psycho is Back

Psycho is Back !! Part- 12

সাইকোর রুমের সামনে দাড়িয়ে আছি।।হাত, পা আমার কাঁপচ্ছে, সাথে ঠান্ডা হয়েও আসচ্ছে না জানি কি হয়????
কিছুক্ষণ আগেই এহসান ভাইয়া আর নুহা আপু গেছেন, সামনের শুক্রবার তার এঙ্গেজমেন্ট, তাই ইন্ভাইট করতে আসচ্ছেন।।গাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে ভিতরে আসচ্ছিলাম, আমার তো খুব খুশি লাগচ্ছে, তখনি উনার এক গার্ড এসে বলে গেছে ইউসুফ নাকি আমায় ডাকচ্ছে….।তখন আমার মনে পরে সাইকো যাওয়ার সময় তাহলে তার ঘরে যাওয়ার জন্যই ইশারা করেছিল।।ভয়ে গলা শুকিয়ে কাঠ….আমার।।না জানি কি করে??? না গেলেও আবার কি করে বসে,, তাই ৭/৫ না ভেবে চলে গেলাম তার রুমে….!!
কখন থেকে দাড়িয়ে আছি,, ভিতরে যাওয়ার সাহস করে উঠতে পারছি না।।এক কদম এগিযেও যেতে পারছি না।।বার বার আমার কাঁপা হাত দিয়ে দরজা খুলার জন্য হাত বাড়াচ্ছি।।মুহুর্তে আবার পিছিয়েও ফেলছি….!! ভয়ে আমার কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে আছে।।তখনি খট করে দরজা খুলে যায়।।আর আমি ভয়ে ভয়ে সামনে তাকিয়ে দেখি….ইউসুফ দরজার সাথে হেলে দাড়িয়ে আছে…দুহাত তার বুকে গুজা।।খুব শান্ত ভাবে তাকিয়ে আছে আমার দিক…..!!
আমি আমার ওরনার কোনা দুহাত দিয়ে পেঁচাচ্ছি।। আর বার বার এদিক ওদিক তাকাচ্ছি ভয়ে তাররদিক তাকাতেই পাচ্ছি না।।হঠাৎ আমাকে টান দিয়ে তার রুমের ভিতরে ঢুকিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলেন….!! তার এই কাজে আমি আরো ভয় পেয়ে গেলাম।।সারা শরীর থর থর করে কাপঁচ্ছে আমার। আমাকে এভাবে টান দেয়াতে আমার এক হাত ইউসুফের শার্টের মুঠ করে চোখ বন্ধ করে রাখি।।তিনি এখনো আমাকে ছাড়েন নি।।আমি পিটপিট করে চোখ জোড়া মেলে দেখি…..সাইকো এক ধ্যায়ানে আমার দিক তাকিয়ে আছে।।চোখের চাহনীও তার স্থীর।। দুজনের মাঝে পিনপতন নিরবতা।।উনি আমার খুব কাছে…. তার এক হাত আমার কমোড়ে তো আরেক হাত আমার পিঠে।।তার এমন চাহনীতে আমার কেমন যানি অনুভুতি হচ্ছে,,,, তবে খারাপ না সেই অনুভুতিটা।।তখনি তিনি মৃদু সুরে বলে উঠেন,,,
—–আমি তোকে টাচ করলে তুমি এতো কাপা কাপি কর কেন??
আমি কিছু বললাম না চুপ থাকলাম।।কেন জানি বলতে ইচ্ছে করছেনা কিছু।।সাথে লজ্জাও লাগচ্ছিল।।সাথে শ্বাস আটকে আসচ্ছে আমার।।
আমি তার বুকের বামপাশের দিক শার্ট কুচঁকে ধরে ছিলাম।।সেখান থেকে ধুকপুক ধুকপুক হৃদছন্দ ছড়াচ্ছে।।কেন যানি হাতের মুঠ করাটা ছেড়ে তার বুকের সেই হৃদপিন্ডে হাত রাখলাম।।তখন তিনি আমার পিঠ থেকে হাত ছাড়িয়ে আমার হাতের উপর হাত রেখে বলতে লাগে,,
—–শুন্তে পারছো বাবুই পাখি?? আমার হার্ড কতটা বিট করছে!!…!! ইউ নো হোয়াট বেবি…যেদিন তোমাকে প্রথম দেখেছিলাম? সেদিন ঠিক সেইম ভাবে বিট করেছিল…!!ইনফ্যাক্ট যখন যখন তুমি আমার খুব কাছে থাকো…..ঠিক সেইম ভাবে বিট করে….!!
উনার কথা গুলো শুনে আমার চোখ কঁপালে,,, আমি তার দিক বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছি।।তিনি তখন মুচকি হেসে বলতে লাগে,,
—-তুমি যখন এভাবে চোখ বড় বড় করে তাকাও তখন তোমাকে এক ছোট ডলের মতো লাগে।।
আমি সাথে সাথে নিচে তাকাই।।তখনি তিনি আমার আরো কাছে এগিয়ে আসে,,আর আমার থুতনির নিচে দুটো আঙ্গুল দিয়ে মুখ উপরে তুলে।।আমি সাথে সাথে কেন জানি চোখ বন্ধ করে ফেলি।।তার এমন হুঠহাঠ স্পর্শে প্রতিবার আমার শরীরে শিহরণ দিয়ে উঠে,,,!!আমার বন্ধ চোখ জোড়ায় তিনি ফু দিলেন….!!! আমার জানি কেমন লাগলো….!! তার সেই বুকের মাঝে রাখা হাতটা আবার মুঠ করে নিলাম।।তিনি ধীরে ধীরে আমার কানের কাছে মুখ নিয়ে বলতে লাগে,,,
—–আজ তোমাকে খুব সুন্দর লাগচ্ছে বাবুই পাখি!! ঠিক আমার মোনালিসার মতো!!
মোনালিসার নাম শুনে আমার সব ফিলিংস ফুড়ুৎ করে উড়ে গেল…. তার মানে তার দুইটা জিএফ আছে আর তাও আমার সাথে ফ্লাট করছে চোখ মলে তাকালাম,,
আর এক ভ্রু বললাম,,
—–দুইটা বুঝি আপনার জিএফ??তাই বুঝি আপনি আমার সাথে এভাবে টানাটানি করেন??তাদের মতো দেখতে বলে??
তিনি এবার আমাকে ছেড়ে দিয়ে হাসতে লাগলেন।। আর বেডে গড়াগড়ি খেতে লাগলেন….!! এই প্রথম তাকে রাগ গুস্সা না বরং হাসতে দেখছি তাও মন খুলে।।আমার কি হলো জানি না।।তাকে এভাবে হাসতে দেখে আমারো কেন জানি ঠোঁটে হাসি ফুটে উঠলো।।তার দিকে তাকিয়ে আছি…..আসলেই উনি অনেক সুন্দর।।শুধু শুধু কেন এমন গম্ভীরতা ছেয়ে রাখে???তিনি তো হাসতেই পারেন….হাসলে কি হয় সব সময়…??
সাইকো হঠাৎ হাসি থামিয়ে দেয়…..মুহুর্তেই মুখে গম্ভীরতার ছাপ ফুঁটে ওঠে তার।।তার এ রূপ দেখে আমিও চুপসে গেলাম।।তিনি বেডে মাথা নিচু করে বসে থাকেন কতক্ষণ তারপর আমার দিক তাকালেন…..হুট করে দাড়িয়ে বড় বড় পা ফেলে আমার সামনে এসে দাড়ালেন আমি সাথে সাথে দুকদম পিছিয়ে গেলাম…… আর একটু পিছিয়ে যেতেই তিনি ধরে ফেললেন আমাকে আর তার সামনে বরাবার দাড় করিয়ে দিলেন….সাইকো আমার থেকে অনেক লম্বা ৬ ফুটতো হবেই!!আর আমি মাত্র ৫ ফুট ২….সাইকো আমার কোমোরে ধরে একটু উঁচু করে তার মুখের সামনে আমার মুখ নিয়ে আসলো…..তার এই কাজে আমি অনেক ঘাবড়ে গেলাম এবং সাথে সাথে দুই চোখ কুচকে বন্ধ করে ফেললাম।।আর কিছুক্ষণ পর তার নিশ্বাস আমার কানের কাছের পরছে…..সাথে সাথে কিছুক্ষণ আগের অনুভুতি, শিহরণ আবার হানা দিচ্ছে।।তার সাথে নতুন করে বুঝতে পারছি,,আমার শরীর কেমন অসাড় হয়ে আসছে।। এই বুঝি তার বুকে ঢোলে পরে যাবো….তখনি তিনি ফিসফিস করে বলতে লাগে,,,,,
—–মো না লি সা মানে হচ্ছে মাই লেডি…..আমার কোনো জিএফ নেই!!! কিন্তু হে…..আমার মুখে তার দু হাত দিয়ে তুলে বলতে লাগেন,,,একদম সুইট ভয়েসে…..তুমি আছো….এ মনের কোনে নয়??? সবটা জুড়ে।।বলে আমার কঁপালে তার ঠোঁট দিয়ে স্পর্ষ করলেন।।
আমি এবার তাকে ধাক্কা দিযে সরিয়ে দৌড়ে দরজার কাছে চলে আসচ্ছিলাম,,কারণ হঠাৎ তার এই রূপ আমি হজম করতে পারছি না।।দরজা খুলতেই তিনি বলতে লাগেন,,,,
—-এই শুনো….!! নিচে ওয়েট করো আমি আসচ্ছি।। আজ তোমাকে আমি ড্রপ করে দিব ভার্সিটিতে।।
তুই থেকে ডিরেক্ট তুমি…..!!!
আর পারছি না…!!!
এত শক্টড একদিনে আমি আর নিতে পারছি না….!!
তার দিক না তাকিয়ে মাথা নাড়িয়ে হে বলে দৌড়ে চলে আসলাম রুমে….!!!
হুহহহহ…!!!!
এখন নিতে পারছি শ্বাস…. বড় বড় করে আরো কয়েক বার শ্বাস নিতে লাগলাম…..।।
তখনি আমার ফোনের মেসজ টিউন বেজে উঠে…।।
এতক্ষণ ফোনের কথা মনেই ছিল না।।
ফোন হাতে নিতেই দেখি রিয়ানের ৫০০+ মিসড কল….!!!
ও মাই খাট…!!
এত কিছুর মাঝে এর কথা মাথা থেকে চলেই গিয়ে ছিল…সাথে সাথে মেসেজ টা চেক করলাম….!!
“where are you??
pick up the phone…..!!
damn it….!!!””
এইটা কেমন মেসেজ?? বুঝলাম না….!!!
সাথে সাথে তাকে কল করলাম ফোনটা বন্ধ….!!
কি হলো এর কিছু বুঝচ্ছি না…!!
থাক ভার্সিটিতে গিয়ে মিট করে নিবো…!
হয়তো রাগ করেছে…??
—–কুহু???
নিচে থেকে আন্টি মা ডাকাচ্ছেন…।। আমি বেগ নিয়ে ফোনটা হাতে নিয়ে দৌড়ে নিচে আসলাম।।ইউসুফ ভাই গাড়িতে বসে ছিল।। আন্টি আর নানু মাকে বায় বলে গাড়িতে চড়ে বসলাম।।গাড়ি চলছে আপন গতিতে…!!
গাড়িতে বসে আমার লজ্জা লাগছিল ভাইয়ার করা তখনকার কাজ গুলো মনে পরছে বার তাই বাহিরের দিকে তাকিয়ে ছিলাম।।উনিও হয়তো বুঝতে পারছেন…তাই মুচকি হেসে গাড়ি ড্রাইভ করছেন….।।
গাড়ি এসে ভার্সিটির সামনে থামলো….তখনি তিনি বলে আমার সামনে পরে থাকা চুল গুলো কানের পিছনে গুজে দিতে দিতে বলতে লাগেন….,
—–গার্ডরা সর্বক্ষণ তোমার আশেপাশে থাকবে তোসার অগোচরে… এমন কিছু করো না বাবুই পাখি…যাতে আমার আগের রূপে ফিরতে হয়।। যাও বলে মাথার এক পাশে চুমু খেলেন।।আর বললেন যাও….!!
হঠাৎ উনার এমন ঠান্ডা হুমকিতে জমে গেছি…।
ভেবেছিলাম হয়তো ভাল হয়ে গেছে কিন্তু এতো সাইকো শালা….।। সাইকো কখনো ভাল হয় নাকি?? হুহহহহ!!!
কিছু না বলে নেমে চলে গেলাম গাড়ি থেকে…!!
ইউসুফও চলে গেলেন…।।
আমি আশেপাশে আমার ফ্রেন্ডদের খুঁজতেসি।।তখনি কেউ পিছন থেকে আমার হাত টেনে কোথাও নিয়ে যেতে লাগলো…।। সামনের লোকটি আর কেউ না রিয়ান…! ও কে কেমন জানি দেখাচ্ছে…।। রাগে আছে বুঝাও যাচ্ছে।।হটাৎ একটি ক্লাস রুমে এনে আমাকে ছুরে মারলো।।আর আমি পরে যেতেই বাম হাতের কুনির দিক অনেকটাই ছিলে গেসে….!! খুব ব্যথাও করছে…তাই চিল্লিযে রিয়ানকে বললাম…!!
—–সমস্যা কি আপনার এমন করছেন কেন?? দেখন আমি কতটা ব্যথা পাইছি।।বলে ফুপাতে লাগলাম….!!
তখনি রিয়ানের কথায় আমার কান গরম হয়ে লাল হতে লাগলো….যেন এখনি ধোঁয়া বের হবে….!!!
চলবে,,,😏